Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

আই.এ.এস. শিক্ষানবিশদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা


s2015021662356 [ PM India 189KB ]

নয়াদিল্লি , ১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ “ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার প্রথম ও মুখ্য দায়িত্ব হওয়া উচিত জনস্বার্থ, অর্থাৎ গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া।” গতকাল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আই.এ.এস. শিক্ষানবিশদের সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানান। ১৮৩ জন শিক্ষানবিশ , যাঁদের মধ্যে তিনজন ভূটান সিভিল সার্ভিসের, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টত বলেন, ইংরেজদের শাসনকালে আমলারা ইংরেজ শাসনকর্তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করতেন; কিন্তু স্বাধীন ভারতে প্রশাসনিক ব্যবস্থার মূলে রয়েছে জনস্বার্থ। এটিই গণতন্ত্রের সত্তা, বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরিত করতে প্রধানমন্ত্রী ভগবান বুদ্ধদেবের বাণী উল্লেখ করে বলেন – “অন্তরে বিরাজমান দীপ জ্বালাও।” তিনি তাঁদের বলেন, প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে সহজাত সুচারুতাই চাকুরিজীবনে তাঁদের শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি তিনি কেন্দ্র সরকারের প্রত্যেকজন সচিবকে উপদেশস্বরূপ বলেছেন, তাঁদের প্রথম কর্মস্থানে গিয়ে দেখতে সেইসব জায়গায় কিরকম পরিবর্তন ঘটেছে, যদিও তাঁরা কর্মজীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি শিক্ষানবিশদের বলেন, আই.এ.এস. পদের নির্ধারিত পদোন্নতি ব্যবস্থার বিষয়ে কেবল সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, কোন পদে তাঁরা চাকুরি করছেন না ভেবে, তাঁরা গরিব মানুষদের জীবন কতটা বদলাতে পেরেছেন তার ভিত্তিতে নিজেদের বিচার করুন। প্রধানমন্ত্রী জানান, আজকের দিনে বহু সরকারি চাকুরির সমান চাকুরি বেসরকারি ক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। সেইজন্য সরকারি আধিকারিকদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরাদের, এমনকি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে নিজেদের প্রদত্ত পরিষেবার তুলনামূলক বিচার করতে হবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিকাশ ও সেই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবোধ সমাপ্ত করা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, মূল সমস্যা নীতি নিয়ে নয়, বরং রীতি নিয়ে। তিনি জানান, এক এক সময়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আধিকারিকরা উত্তর-পূর্বে স্থানান্তকরণ এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। উত্তর-পূর্বের পরিকাঠামোগত উন্নয়নসাধনের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টির ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, পরিকাঠামোর উন্নতি হলে উত্তর-পূর্ব ভারত এগিয়ে যেতে পারবে। আরেকটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে একবিংশ শতকটি ভারতের হবে এবং ভারত বিশ্বগুরু`র পর্যায়ে উন্নীত হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, বিশ্ব পুনরায় ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ হার লক্ষ্য করছে। দেশের সামরিক প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে একটি বহুমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা জরুরি যাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সামরিক উৎপাদন ক্ষমতার প্রসার করা সম্ভব হয়।