Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

আইআইটি মাদ্রাজের ৫৬তম দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আইআইটি মাদ্রাজের ৫৬তম দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সামনে এক ক্ষুদ্র ভারত এবং নতুন ভারতের উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। এটাই হল আবেগ, প্রাণবন্ততা ও ইতিবাচকতা। আমি আপনাদের চোখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। আমি ভারতের নিয়তিও আপনাদের চোখে দেখতে পাচ্ছি। স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কর্মীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। আমি এই ধরণের কর্মীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করতে চাই। নীরবে সাধারণ মানুষের লোকচক্ষুর অন্তরালে এই কর্মীরা আপনাদের জন্য খাবার বানিয়ে থাকেন, শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন এবং ছাত্রাবাসগুলিরও দেখাশোনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতায় আস্হা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার সফরে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনায় একটি অভিন্ন বিষয় বারবার উল্লিখিত হয়েছে। সেটি হল, নতুন ভারত সম্বন্ধে ইতিবাচকতা। ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ সারা বিশ্ব জুড়েই নিজেদের ছাপ রেখেছেন। বিশেষ করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে এই প্রভাব অত্যন্ত উজ্জ্বল। এই ধরণের উদ্যোগে শক্তি যুগিয়েছে যারা, তাদের অধিকাংশই আইআইটির প্রাক্তণী। আপনারা ব্র্যান্ড ইন্ডিয়াকে সারা বিশ্বে আরও উজ্জ্বল করে তুলছেন।

আজ ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। আপনাদের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা এই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে। আপনাদের উদ্যোগ ভারতকে অন্যতম প্রতিযোগীতামূখী অর্থনীতি হয়ে ওঠার ভিত গড়ে দেবে। ভারতের উদ্ভাবন অর্থনীতি ও সদ্ব্যবহারের এক অসাধারণ মিশ্রন।

আমরা দেশে গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রের জন্য এক অনুকূল বাতারণ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অটল ইনক্যুবেশ সেন্টার গড়ে উঠছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হল স্টার্ট আপ বা নব গঠিত শিল্প সংস্হাগুলির জন্য উপযুক্ত বাজার খুঁজে বের করা।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আপনাদের কঠোর পরিশ্রমই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। আপনাদের সামনে অসংখ্য সুযোগ অপেক্ষায় রয়েছে। অবশ্য সব সুযোগই সহজ নয়। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবেন না, নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জ মেটানোর উপযুক্ত করে তুলুন। এভাবেই আপনারা নিজেদের মধ্যে এক সক্ষম ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেখানেই কাজ করুন, যেখানেই থাকুন সর্বদাই মনে রাখবেন আপনার মাতৃভূমির প্রয়োজনীয়তা এবং মাতৃ স্বরূপা ভারতের কথা। কিভাবে আপনার কর্মকান্ড, গবেষণা ও উদ্ভাবন মাতৃভূমির কাজে লাগবে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করুন। এটা আপনার সামাজিক কর্তব্য।

আজ, এক সমাজ হিসেবে আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে চাই। প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব বিকল্প কি হতে পারে যার ব্যবহার একই থাকবে কিন্তু কোনও বিরুপ প্রভাব থাকবেনা। বিকল্প বস্তুটির বিষয়ে আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবকদের কাছ থেকে প্রত্যাশায় রয়েছি।

আমাদের সমাজে দু ধরণের মানুষ রয়েছেন। একদল যারা বাঁচতে চান, অন্যদল যারা সমস্যা থেকে পালিয়ে যেতে চান। স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব মানুষ অন্যের জন্য বাঁচেন তাঁরা এক আনন্দময় ও পরিপূর্ণ জীবন উপভোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী পরিশেষে বলেন, শিক্ষা ও শিক্ষণ এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তিনি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও শিক্ষাগ্রহণ ও বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণের আগ্রহ বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

 

 

CG/BD/NS