অ্যাসোচেমের সভাপতি বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কাজী, সচিব জেনারেল দীপক সুদজী, অ্যাসোচেমের লক্ষ লক্ষ সদস্যবৃন্দ, ভারতীয় শিল্প জগতের রথী-মহারথীগণ, এখানে উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্র মহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!!!
অ্যাসোচেম আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করেছে। ব্যক্তি হোক কিংবা সংস্থা, ১০০ বছরের অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের জন্যই অনেক বড় পুঁজি হয়। আমি অ্যাসোচেমের সকল সদস্যকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
আমাকে বলা হয়েছে যে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় ১০০টি জায়গায় এই অনুষ্ঠান লাইভ দেখানো হচ্ছে।
আমি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্থানে সম্মিলিত সকলকে, শিল্পোদ্যোগীদের, বিশেষ করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
এখন ২০১৯ সালের হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি। ২০২০’র নতুন বছর আর নতুন দশক, আপনাদের সকলের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি এবং সফলতা নিয়ে আসুক, আপনারা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছান – এই কামনা নিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করবো।
বন্ধুগণ,
আপনারা নিজেদের শতবার্ষিকী পালনের যে থিম রেখেছেন, তা দেশ ও দেশবাসীর লক্ষ্য ও স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। এমন নয় যে, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থ ব্যবস্থার স্বপ্ন আমরা হঠাৎ করে দেখতে শুরু করেছি। বিগত পাঁচ বছর ধরে দেশ নিজেকে এতটা শক্তিশালী করে তুলেছে যে, এখন আমরা এ ধরণের লক্ষ্য ধার্য করতে পারি আর সেই লক্ষ্য পূরণও সম্ভব। এটা আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন যে, ৫ -৬ বছর আগে আমাদের অর্থনীতি কেমন বিপর্যয়ের পথে এগিয়ে চলেছিল। আমাদের সরকার শুধু তা প্রতিরোধ করেছে, এমন নয়, দেশের অর্থনীতিকে একটি শৃঞখলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে।
ভারতের অর্থনীতি যাতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য মেনে এগিয়ে যায়, তা সুনিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থায় বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন এনেছি। বহুমুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিল্প জগতের অনেক দশক পুরনো দাবিগুলি পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আর সেজন্য আজ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার ভিত্তি গড়ে উঠেছে। আমরা ভারতের অর্থনীতিকে নির্দিষ্ট রূপদান এবং আধুনিকীকরণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির জন্য সমস্ত উপায় থেকে শুরু করে জিএসটি পর্যন্ত, আধার সংযুক্ত বেতন থেকে শুরু করে ডিবিটি পর্যন্ত, আমরা অর্থনীতির অধিকাংশ মাত্রাকে নির্দিষ্ট রূপদানের ব্যবস্থার অন্তর্গত করার চেষ্টা করেছি। এর পাশাপাশি, আমরা অর্থনীতিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিকীকরণকে আরও গতি প্রদানের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।
এখন কয়েক সপ্তাহের জায়গায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোম্পানি নিবন্ধীকরণ হয়ে যায়। সীমান্ত পারের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অটোমেশনের মাধ্যমে সময় কমানো, পরিকাঠামোকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমুদ্র বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমানো – এই সব কিছুই আমাদের অর্থনীতির আধুনিকীকরণের দৃষ্টান্ত।
বন্ধুগণ,
আজ দেশে এমন সরকার রয়েছে, যারা শিল্প জগতের কথা শনে, তাদের প্রয়োজনগুলি বোঝে এবং তাদের পরামর্শগুলি শুনে পূর্ণ সংবেদনশীলতা নিয়ে কাজ করে। শিল্প জগত কি চায় না যে দেশে করের জাল হ্রাস পাক, প্রত্যেক রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন দরের সমস্যা থেকে তারা মুক্তি পাক? আমাদের সরকার দিন-রাত এক করে এই দাবি পূরণ করেছে, আমরা জিএসটি পূরণ করেছি। শুধু তাই নয়, বাণিজ্য জগৎ থেকে যত ধরণের ফিডব্যাক পেয়েছি, সেগুলি অনুসারে আমরা জিএসটি-তেও পরিবর্তন এনেছি।
বন্ধুগণ,
অনেক বছর ধরেই ভারতের শিল্পোদ্যোগীরা বাণিজ্য প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সরল করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আপনাদের এই দাবি মেনেই আমাদের সরকার কাজ করেছে। আজ ভারত ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে বিগত তিন বছর ধরে লাগাতার উন্নতি করা বিশ্বের প্রথমটি ১০টি দেশের মধ্যে একটি। ১৯০টি দেশের মধ্যে র্যাঙ্কিং – এ আমরা ১৪২ থেকে ৬৩তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। এটা কি সহজ কথা!
‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বলতে চারটি শব্দ লাগে। কিন্তু এই র্যাঙ্কিং – এ পরিবর্তন তখনই সম্ভব হয়, যখন দিন-রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে নীতি-নিয়মে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে কন্সট্রাকশন পারমিট, আমদানি-রপ্তানির ক্লিয়ারেন্সের কয়েকশো প্রক্রিয়াকে সরল করার পর, অনেক বাধা-বিপত্তি দূর করার পরই এ ধরণের র্যাঙ্কিং-এ উন্নতি করা সম্ভব হয়। আমরা ভবিষ্যতে আরও উন্নতির জন্য লাগাতার কাজ করে চলেছি।
বন্ধুগণ,
আপনারা এটাও জানেন যে, কোম্পানি আইনে কয়েকশো এমন ব্যবস্থা ছিল, যাতে ছোট ছোট ভুলের জন্য ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। আমাদের সরকার এ ধরণের অনেক বিষয়কে এখন অপরাধমুক্ত করে আইন সংশোধন করেছে।
এভাবে আমাদের সরকার ‘ইনভার্টেট ডিউটি’ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে লাগাতার কাজ করে চলেছে। গত কয়েক বছর ধরে বাজেটে এই বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে, ভারতে নির্মাণ ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এ বছর অক্টোবর মাসে দেশের কর ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট আরেকটি ঐতিহাসিক সূত্রপাত হয়েছে। করদাতা এবং কর বিভাগের মধ্যে যাতে কোনও মনস্থতা না থাকে, সেই লক্ষ্যে আমরা নতুন পদক্ষেপ নিয়েছি। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা আনতে আমরা ‘ফেসলেস’ কর প্রশাসনের দিকে এগিয়ে চলেছি।
বন্ধুগণ,
কর্পোরেট কর হ্রাস, এর প্রক্রিয়াকে সরল করা নিয়ে অনেক বছর ধরে দেশে অনেক আলাপ-আলোচনা শুনেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে কার্যকরি পদক্ষেপ কে নিয়েছে? আমাদের সরকার নিয়েছে। আজ আমাদের দেশে কর্পোরেট কর যত কম, এর আগে কখনও এত কম ছিল না। অর্থাৎ, শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কর্পোরেট কর সংগ্রহকারী সরকার হ’ল আমাদের সরকার।
বন্ধুগণ,
দেশে শ্রম আইন সংস্কার নিয়ে আলাপ-আলোচনা অনেক বছর ধরে চলছে। অনেকে এটাও মনে করতেন যে, এক্ষেত্রে কিছু না করাই শ্রমিকের স্বার্থের অনুকূল। অর্থাৎ শ্রমিকদের নিজের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এতদিন যেমন চলছে, তেমনই চলতে দেওয়া। কিন্তু আমাদের সরকার এটাকে ঠিক মনে করেনি।
আমরা মনে করি, শ্রম শক্তি রয়েছে, তাঁদেরও সমস্ত রকমভাবে দেখভাল হওয়া উচিৎ। তাঁদের জীবনকে সহজ করে তুলতে, যাতে তাঁরা সঠিক সময়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পান, স্বাস্থ্য পরিষেবা পান – এই সকল ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কাজ করেছে।
সেজন্য শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সদস্যদের পরামর্শ এবং শিল্পোদ্যোগীদের পরামর্শ মাথায় রেখে আমরা শ্রম আইনে এমনসব পরিবর্তন এনেছি, যা ছিল সময়ের দাবি। কিন্তু বন্ধুগণ, অর্থ-ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করে তুলতে শিল্প জগতের হিতে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, কিছু মানুষ সেগুলির দিকে প্রশ্ন তোলাকেই নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে করেন।
২০১৪ সালের আগে যখন বছরের পর বছর ধরে ভারতের অর্থ-ব্যবস্থা সর্বনাশের দিকে এগিয়ে চলেছিল, তখন অর্থ-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী মানুষরা কিভাবে তামাশা দেখছিলেন, তা যেন দেশের মানুষ কখনও না ভোলেন।
আমরা পূর্বসূরীদের কাছ থেকে কেমন অর্থ-ব্যবস্থা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি, তৎকালীন খবরের কাগজগুলিতে এ বিষয়ে কি ধরণের আলোচনা হ’ত, আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের স্থান কোথায় ছিল আমি এখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। কিন্তু আজ আমরা সেসব সমস্যা থেকে দেশকে স্থায়ীভাবে উদ্ধার করার উপায় বের করেছি, আর সেসব উপায়কে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ করে তোলার ভিত্তি করে তুলেছি।
বন্ধুগণ,
আপনারা এটাও ভালোভাবে জানেন যে, ২০১৪ সালের আগে দেশে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা কিরকম সঙ্কটে ছিল। তখন অবস্থা এমন ছিল যে, ব্যাঙ্কগুলির লোকসান পূরণের জন্য প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা পুঁজি প্রভিশনিং করতে হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারের প্রথম ‘ইন্দ্রধনুষ’ পরিকল্পনার মাধ্যমে ৭০ হাজার কোটি টাকা আর তারপর ‘রিক্যাপ’ – এর মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলির ফলে ১৩টি ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই লাভের মুখ দেখেছে। ৬টি ব্যাঙ্ক ‘পিসিএ’ থেকেই বেরিয়ে এসেছে। আমরা ব্যাঙ্কগুলির একত্রীকরণকে ত্বরান্বিত করেছি। ব্যাঙ্কগুলি এখন সারা দেশে একটি নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে, তাদের আন্তর্জাতিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করার পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকার ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তে সবরকম দখলদারি সমাপ্ত করে দিয়েছে।
সরকারের দখলদারি ছাড়াই দক্ষ ব্যক্তিদের যাতে স্বচ্ছ উপায়ে নিযুক্তি সম্ভব হয়, সেজন্য ব্যাঙ্ক বোর্ড ব্যুরো গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আরবিআই এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের রেখে তাঁদের সম্পূর্ণ স্বায়ত্ত্ব শাসন প্রদান করা হয়েছে। এখন আপনারা ব্যাঙ্কের উচ্চ পদে নিযুক্তি নিয়ে কোনও গুঞ্জন আর শুনবেন না।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার মনে করে, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনেক বারই আমাদের কোম্পানিগুলির ব্যর্থতাকেও স্বীকার করে নিতে হয়। সকল অসফলতা যে কোনও আর্থিক অপরাধের জন্যই আসে, তা নয়। সেজন্য সরকার কোম্পানি সঞ্চালকদের জন্য একটি উন্নত ‘এক্সিট রুট’ গড়ে তোলার পথে কাজ করে চলেছে।
দেউলিয়া ও দেউলিয়াপনা কোড আজ এমন অনেক কোম্পানির জন্য সহায়ক হয়েছে, যারা কোনও না কোনও কারণে অসাফল্যের সম্মুখীণ হয়েছিল। এটি ভারত সরকারের প্রতি শিল্প জগতের পক্ষ থেকে হাত বাড়ানোর প্রচেষ্টা, যাতে এ ধরনের কোম্পানিগুলি নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারেন, ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারেন।
বন্ধুগণ,
যতগুলি সিদ্ধান্তের কথা বলেছি, সেগুলি শিল্পোদ্যোগীদের পুঁজি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
আমি আজ অ্যাসোচেমের এই মঞ্চ থেকে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ও কর্পোরেট জগতের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের ব্যবস্থায় পুরানো যত দুর্বলতা ছিল ইতিমধ্যে সেগুলিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সেজন্য এখন মন খুলে সিদ্ধান্ত নিন, বিনিয়োগ করুন এবং খরচ করুন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে আর সেই সিদ্ধান্তগুলি প্রকৃত বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত হয়, তা হলে কোনও ক্ষেত্রেই আপনাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অনুচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা এটা বলতে পারি যে, দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ভিত্তি এখন এতটাই স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী যে, এই ব্যবস্থা এখন ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্যকে শক্তি যোগাবে, প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরে দেবে। আজও আমরা বিশ্বের অগ্রগণ্য ১০টি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের গন্তব্য। বিগত কয়েক বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে গতি বেড়েছে।
আমি মনে করি যে, এই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দুটো মানে রয়েছে। সুযোগের দিক থেকে আমি এই দুটোকেই কাজে লাগাই। একটির অর্থ হ’ল – প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, যা সম্পর্কে আপনারা সকলেই কম-বেশি জানেন। আর দ্বিতীয়টি হ’ল আমার জন্য – ফার্স্ট ডেভেলপ ইন্ডিয়া। বিগত ২০ বছরে যত পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ দেশে এসেছে, তার প্রায় ৫০ শতাংশ বিগত পাঁচ বছরে এসেছে। বিগত পাঁচ বছরে আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি করেছি। আজ আমাদের দেশে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট আপ বাস্তু ব্যবস্থা রয়েছে। দেশে উদ্ভাবন এবং শিল্পোদ্যোগের একটি নতুন বাতাবরণ গড়ে উঠেছে। আজ বিশ্বের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী ভারতের দিকে পূর্ণ বিশ্বাস ও আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। ভারতের ক্ষমতা সম্পর্কে বিশ্বে অভূতপূর্ব ভরসা গড়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ,
এই বিষয়টিকে ভিত্তি করেই আমরা ৫ ট্রিলিয়ন দলার অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছি। আগামী বছরগুলিতে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ এই প্রক্রিয়াকে শক্তি যোগাবে। দেশের গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ এই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ এই লক্ষ্য পূরণে নতুন শক্তি যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ২ কোটি নতুন গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সংকল্প, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রচেষ্টা এবং দেশের কয়েক লক্ষ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কোটি কোটি স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর জন্য সহজ পুঁজি – এ ধরণের অনেক প্রচেষ্টা দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে, নতুন প্রত্যয় দেবে।
বন্ধুগণ,
ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে প্রায় দ্বিগুণ করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ রাখিনি। এই প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের জন্য আমরা রাজ্যগুলিকেও উৎসাহ যোগাচ্ছি। নির্মাণ, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছি। প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নির্মাণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি।
বন্ধুগণ,
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমাদের অর্থ ব্যবস্থা নিয়ে যত আলাপ-আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে, আমি খুব ভালোভাবেই সেসব সম্পর্কে অবহিত। এই আলাপ-আলোচনার মধ্যেই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বিগত সরকারের সময় ১ কোয়ার্টারে জিডিপি-র বিকাশ হার ৩.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। স্মরণ করুন, সেই সময় সিপিআই হেডলাইন মুদ্রাস্ফীতি কোন্ মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল? ৯.৪ শতাংশ অব্দি পৌঁছে গিয়েছিল। সিপিআই কোর মুদ্রাস্ফীতি কোথায় ছিল?৭.৩ শতাংশে। ডব্লিউপিআই মুদ্রাস্ফীতি কোথায় পৌঁছেছিল?৫.২ শতাংশ পর্যন্ত। ফিসক্যাল ডেফিসিট কত দূর গিয়েছিল? জিডিপি-র ৫.৬ শতাংশ পর্যন্ত। সেই সময় জিডিপি-র অনেক কোয়াটার্স এমন গিয়েছিল, যা অর্থ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত নিরাশা-ব্যঞ্জক ছিল। আমি সেই বিতর্কে যেতে চাই না যে, সেই সময় কিছু মানুষ কেন চুপ ছিলেন!
বন্ধুগণ,
দেশের অর্থনীতিতে এমন উত্থান-পতন আগেও এসেছে, কিন্তু আমাদের দেশে এমন সামর্থ্য রয়েছে যে, প্রত্যেকবারই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং আগের চেয়ে ভালোভাবে বেরিয়ে এসেছে। সেজন্যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকেও ভারত অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।
বন্ধুগণ,
ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আকাঙ্খা স্পষ্ট এবং মনের জোরও অদম্য। আমাদের সরকারের পরিচয় হ’ল – আমরা যা বলি, তা করি। ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য সেজন্য সম্ভব। অনেক কিছু আগে অসম্ভব বলে মনে হ’ত, যা দেশ সম্ভব করে দেখিয়েছে। ৬০ মাসে ৬০ কোটি জনসংখ্যাকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্ত করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু আজ তা সম্ভব হয়েছে। তিন বছরেরও কম সময়ে ৮ কোটি বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ, ১০ লক্ষেরও বেশি রান্নার গ্যাস বিতরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে।
এত কম সময়ে দেশের প্রতিটি পরিবারকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে। দেশের একটা বড় জনসংখ্যাকে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং – এর সঙ্গে যুক্ত করা আগে অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে। আজ দেশে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে। আমাদের দেশে ভীম অ্যাপ এবং রূপে কার্ড এত দ্রুত প্রচলন সম্ভব হবে, তা কে ভেবেছিলেন? কিন্তু তা আজ সম্ভব হয়েছে। এসব সাফল্যের সঙ্গে যদি আমি বিগত ছয় মাসে উদাহরণ দেওয়া শুরু করি, তা হলে আপনাদের আজ আর লাঞ্চ ব্রেক নেওয়া সম্ভব হবে না।
বন্ধুগণ,
সংকল্প থেকে সিদ্ধি, এই ইতিবাচক ও স্বচ্ছ আবহে আপনাদের জন্যও সুযোগের বিস্তার ঘটছে।
আপনাদের আগের চেয়ে আরও উদ্যমী করে তুলতে, কৃষি থেকে শুরু করে কোম্পানিগুলির উৎপাদনে আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি করতে আপনাদের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান আগের চেয়ে উন্নত করতে সরকার সমস্ত রকমভাবে ভারতের শিল্প জগতের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি এই মঞ্চের মাধ্যমে দেশের শিল্পোদ্যোগীদের আহ্বান জানাই যে, আপনারা এগিয়ে যান, আপনারা সমর্থ, আপনারা সক্ষম। গোটা বিশ্বের বাজার আপনাদের সামনে রয়েছে, গোটা বিশ্বকে প্রতিযোগিতায় আহ্বান জানানোর সাহস আপনাদের মধ্যে রয়েছে। আপনাদের সংকল্প ও সামর্থ-ই ভারতে ৫ লক্ষ ট্রিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনাদের সমৃদ্ধ পরম্পরা, একবিংশ শতাব্দীতে নতুন ভারতকেও উন্নত ও শক্তিশালী করবে। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টা সফল হোক – এই কামনা করে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।
আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ধন্যবাদ।
CG/SB/SB…
आपने अपने सेन्टेनरी सेलीब्रेशन की जो थीम रखी है, वो देश के, देशवासियों के लक्ष्यों और सपनों के साथ जुड़ी है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
बीते पाँच वर्षों में देश ने खुद को इतना मजबूत किया है कि इस तरह के लक्ष्य रखे भी जा सकते हैं और उन्हें प्राप्त भी किया जा सकता है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
हमने अर्थव्यवस्था के ज्यादातर आयामों को Formal व्यवस्था में लाने का प्रयास किया है।इसके साथ ही हम अर्थव्यवस्था को आधुनिक टेक्नोलॉजी का इस्तेमाल करते हुए Modernize और Speed-Up करने की दिशा में भी आगे बढ़े हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
हमने अर्थव्यवस्था के ज्यादातर आयामों को Formal व्यवस्था में लाने का प्रयास किया है।इसके साथ ही हम अर्थव्यवस्था को आधुनिक टेक्नोलॉजी का इस्तेमाल करते हुए Modernize और Speed-Up करने की दिशा में भी आगे बढ़े हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
Ease of Doing Business कहने में चार शब्द लगते हैं लेकिन इसकी रैंकिंग में बदलाव तब होता है जब दिन-रात मेहनत की जाती है, जमीनी स्तर पर जाकर नीतियों में, नियमों में बदलाव होता है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
टैक्स सिस्टम में Transparency, Efficiency और Accountability लाने के लिए हम Faceless Tax Administration की ओर बढ़ रहे हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/xmtthdx7AT
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
Labor Reforms की बातें भी बहुत वर्षों से देश में चलती रही हैं।कुछ लोग ये भी मानते थे कि इस क्षेत्र में कुछ न करना ही लेबर वर्ग के हित में है। यानि उन्हें अपने हाल पर छोड़ दो, जैसे चलता रहा है, वैसे ही आगे भी चलेगा।लेकिन हमारी सरकार ऐसा नहीं मानती: PM @narendramodi pic.twitter.com/8K6oJdDEOG
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
सरकार द्वारा उठाए गए कदमों की वजह से अब 13 बैंक मुनाफे में वापस आ चुके हैं। 6 बैंक PCA से भी बाहर निकल चुके हैं।हमने बैंकों का एकीकरण भी तेज किया है।बैंक अब अपना देशव्यापी नेटवर्क बढ़ा रहे हैं और अपनी ग्लोबल पहुंच कायम करने की ओर अग्रसर हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/PTqtQqxCx9
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
मैं आज Assocham के इस मंच से, देश की बैंकिंग से जुड़े लोगों को, कॉरपोरेट जगत के लोगों को ये विश्वास दिलाना चाहता हूं कि अब जो पुरानी कमजोरियां थीं, उस पर काफी हद तक काबू पा लिया गया है।इसलिए खुलकर फैसले लें, खुलकर निवेश करें, खुलकर खर्च करें: PM @narendramodi pic.twitter.com/548muR79M1
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019
इसी Positivity के आधार पर हम 5 ट्रिलियन डॉलर की इकोनॉमी की तरफ बढ़ने वाले हैं।आने वाले वर्षों में इंफ्रास्ट्रक्चर पर 100 लाख करोड़ रुपए का निवेश, इसे ताकत देगा।देश की ग्रामीण अर्थव्यवस्था पर 25 लाख करोड़ रुपए का निवेश इस लक्ष्य को प्राप्त करने में मदद करेगा: PM @narendramodi pic.twitter.com/tp7LlMKeR8
— PMO India (@PMOIndia) December 20, 2019