Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অ্যারো ইন্ডিয়া শো’তে প্রধানমন্ত্রী


s2015021862407 [ PM India 196KB ]

s2015021862408 [ PM India 139KB ]

s2015021862406 [ PM India 210KB ]

s2015021862410 [ PM India 183KB ]

s2015021862411 [ PM India 204KB ]

নয়াদিল্লি , ১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ আজ অ্যারো ইন্ডিয়া শো`র দশম সংস্করণে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণের প্রথমেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, বরিষ্ঠ আধিকারিক, বাণিজ্য ক্ষেত্রের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ২৫০টিরও বেশি ভারতীয় সংস্থা ও ৩০০টিরও বেশি বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারত সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করে। তিনি এও জানান যে, উপস্থিত অনেকের ভারতে বাণিজ্যিক স্বার্থ থাকলেও, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতে আমদানি কমাতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। তার জন্য সামরিক বাহিনীতে আধুনিকীকরণের প্রয়োজন বলে জানান শ্রী মোদী। একশো কোটি মানুষের দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিচালনা কাজে নানারকম জিনিসের প্রয়োজন হয় এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, অ্যারো শো দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রকে সমস্ত বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করার মঞ্চ। যে দেশে মজবুত প্রতিরক্ষা শিল্প রয়েছে, সে দেশ কেবল আরও নিরাপদ হবে না, এর ফলে অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধাও বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্র বিনিয়োগ টানবে, উৎপাদন বাড়াবে, নানা উদ্যোগের সহায়ক হবে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক বিকাশের মাত্রা বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় দুই লক্ষ কর্মচারী এবং কয়েক হাজার ইঞ্জিনিয়ার ও বৈজ্ঞানিক নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁদের প্রয়াসে বার্ষিক প্রায় ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের দ্রব্য উৎপন্ন হয়। তবে , দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রতিরক্ষা শিল্পের বহর এখনও ক্ষুদ্র। তবে, সেখানেও হাজার হাজার মানুষ কর্মরত রয়েছেন বলে জানান শ্রী মোদী। তা সত্ত্বেও প্রায় ৬০ শতাংশের প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এই আমদানিকৃত প্রতিরক্ষা সামগ্রীর জন্য এক আজার কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। শ্রী মোদী জানান যে গবেষণা বলছে, আমদানি যদি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানো হয়, দেশে এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার অতিরিক্ত উচ্চদক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। এছাড়া, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে উৎপাদিত দ্রব্যের ক্রয় ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ বাড়ালে, প্রতিরক্ষা শিল্পের উৎপাদনের হার দ্বিগুণ হবে। এর ফলে, প্রত্যক্ষভাবে এবং সহযোগী উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী জানান যে, সেইজন্যেই সরকার দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে বিকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। প্রতিরক্ষা শিল্প `মেক ইন ইন্ডিয়া` কর্মসূচির একটি মূল অংশ। শ্রী মোদী জানান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ক্রয় নীতি ও পদ্ধতির সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি জানান, ভারতে উৎপাদিত সামগ্রী স্পষ্টতই অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া ক্রয় পদ্ধতিকে সহজ, দায়বদ্ধ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, এই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর হয়েছে যা আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে আরও বাড়তে পারে এবং বিদেশি সংস্থাগত বিনিয়োগের মাত্রা সর্বাধিক ২৪ শতাংশ করা হয়েছে। বহু দ্রব্যকে শিল্পগত লাইসেন্স প্রাপ্তির বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান , বেসরকারি ক্ষেত্রের ভূমিকা বাড়ানো হচ্ছে যাতে সকলে সমান সুযোগ পায়। অফসেট্স নীতিতে বহু উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সূচনা করা হয়েছে বলে শ্রী মোদী জানান। শ্রী মোদী বলেন, উৎপাদন ক্ষেত্রের গবেষণা ও বিকাশের জন্য সরকারের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। একটি প্রযুক্তি বিকাশ তহবিলের সূচনা হতে চলেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষামূলক গবেষণার কাজের বিজ্ঞানী, সৈনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প জগৎ ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞদেরকে যুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই ক্ষেত্রের রপ্তানি নীতিসমূহ স্পষ্ট, সহজ ও অনুমানযোগ্য করা হয়েছে। তবে, তাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের উচ্চমানের ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন হবে না। শ্রী মোদী জানান, দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র আগ্রহ প্রকাস করেছে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিক্ষা ক্ষেত্রে নব উচ্ছাস দেখা গিয়েছে। বহু বড় মাপের আন্তর্জাতিক সংস্থাও ভারতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠন করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, অধিগ্রহণ ও অনুমতি প্রদানের পদ্ধতিতে আরও সংস্কার-সাধনের প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের চাহিদা এবং নবপ্রযুক্তির ধারাকে মাথায় রেখে কাজটি করা হবে। `সাপ্লাই চেন` বা সরবরাহ শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তিনি আরও জানান, প্রতিরক্ষা শিল্পের বিশেষ প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী অর্থ যোগান ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। মূলত, এই শিল্পের বিশেষ বাজারে সরকারই ক্রেতা। বিনিয়োগের অঙ্ক বিশাল এবং নানা বড় ধরনের সঙ্কট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর ব্যবস্থা দেশী উৎপাদন ও আমদানির মধ্যে ভেদাভেদ না করে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প সাফল্যমণ্ডিত হবে যদি উৎপাদন ক্ষেত্রকে রূপান্তরিত করা যায়। তার জন্য প্রয়োজন উন্নত পরিকাঠামো, ব্যবসা করার উপযোগী পরিবেশ, স্পষ্ট বিনিয়োগ নীতি, ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য ও সহজে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রাপ্তি। তিনি বলেন, উন্নত দ্রব্য এবং আধুনিক বৈদ্যুতিন ও সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী উৎপাদনের একটি জাতীয় শিল্পের প্রয়োজন রয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদের প্রয়োজন রয়েছে। কেবল অ্যারোস্পেস শিল্পে আগামী দশ বছরে দুই লক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রয়োজন মেটাতে সরকার বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষতা গঠন কেন্দ্র স্থাপন করবে। ভাষণের শেষ পর্বে শ্রী মোদী বলেন, বিশ্ব জুড়ে প্রতিরক্ষার বাজেট কমানো হচ্ছে। ভারতের ক্ষুদ্র কিন্তু আধুনিক উৎপাদন ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা ক্ষেত্রগুলি খরচ কমাতে সাহায্য করবে।