Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অসমের সোনিতপুর জেলায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মূল ভাষণ

অসমের সোনিতপুর জেলায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মূল ভাষণ


নতুনদিল্লি, ০৭.০২.২০২১

ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!

অসমের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী, শ্রী রামেশ্বর তেলিজি, অসম সরকারের মন্ত্রী শ্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাজি, শ্রী অতুল বোরাজি, শ্রী কেশব মহন্তজি, শ্রী রণজিৎ দত্তজি, বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজনের প্রধান শ্রী প্রমোদ বোরোজি, অন্যান্য সমস্ত সংসদরা, বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

“মোর ভাই বহিন সব, তাহনিদের কী খবর, ভাল তো? খুলম্বায়। নোন্থা মনহা মাবোরৈ দং?”

গত মাসে আমি সমাজের দরিদ্র, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষদের জমির পাট্টা বিলি কর্মসূচির অংশ হিসেবে অসমে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম যে অসমের মানুষের স্নেহ এবং ভালবাসা এত গভীর, যে তা আমাকে বারবার অসমে নিয়ে আসে। এখন আবার আমি আপনাদের সকলকে প্রণাম জানাতে এসেছি। আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। গতকাল আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, যে ঢেকিয়াজুলিকে কতটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, তারপর সেটা আমি টুইটও করেছিলাম। আপনারা কত প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিলেন। আমি এই আত্মীয়তার জন্য অসমের মানুষের চরণে প্রণাম জানাই। আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দজি, হেমন্তজি, রঞ্জিত দত্তজি, সরকার এবং বিজেপির সংগঠনের সকল সদস্যের প্রশংসা জানাই। তাঁরা সকলে অসমের উন্নয়নে, অসমের সেবায় এত দ্রুত গতিতে কাজ করছেন যে আমি মাঝেমাঝেই এখানে উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পাচ্ছি। আমার জন্য আজকের দিনটা খূব বিশেষ! আজ আমি সোনিতপুর- ঢেকিয়াজুলির এই পবিত্র ভূমিকে প্রণাম করার সুযোগ পেয়েছি। এটা সেই ভূমি, যেখানে রুদ্রপদ মন্দিরের কাছে অসমের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস আমরা জানতে পেরেছিলাম।

এটা সেই একই ভূমি যেখানে অসমের মানুষ আক্রমণকারীদের পরাজিত করেছিল, তাদের ঐক্য, তাদের শক্তি, তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল। ১৯৪২ সালে, এই ভূমিতেই অসমের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য, দেশের পতাকার সম্মান জানাতে নিজেদের বলিদান করেছিলেন। এই শহীদদের বীরত্বের স্মরণে ভূপেন হাজারিকা বলেছিলেন-
” ভারত সিংহ আজি জাগ্রত হয়।
প্রতি রক্ত ​​বিন্দুতে,
হহস্র শহীদর
হাহত প্রতিজ্ঞাও উজ্জ্বল হয়”

অর্থাৎ ভারতের সিংহরা আজ জেগে উঠেছে। এই শহীদদের রক্তের এক ফোঁটা, তাঁদের সাহস আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে। তাই শহীদদের বীরত্বের সাক্ষী সোনিতপুরের এই ভূমি, অসমের এই অতীত, বারবার আমার মনকে অসমীয়া গৌরবে ভরে তুলছে।

বন্ধুগণ,
আমরা সবসময় শুনেছি, আমরা দেখেছি যে দেশের প্রথম ভোর পূর্বোত্তর থেকেই হয়। তবে এটাও সত্যি যে অসম এবং পূর্বোত্তরকে উন্নয়নের ভোরের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। হিংসা, বঞ্চনা, বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব, বিরোধ, এই সমস্ত বিষয়কে পিছনে ফেলে এখন গোটা পূর্বোত্তর উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। এবং অসম এর মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ঐতিহাসিক বোড়ো শান্তি চুক্তির পর সম্প্রতি বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচন এখানে উন্নয়ন এবং আস্থার একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। আজকের দিনটিও অসমের ভাগ্য এবং অসমের ভবিষ্যতের পথে এই বড় পরিবর্তনের সাক্ষী। আজ একদিকে অসম বিশ্বনাথ ও চরৈদেবে দুটি মেডিকেল কলেজ উপহার পাচ্ছে, অন্যদিকে, ‘অসম মালা’র’ মাধ্যমে আধুনিক পরিকাঠামোর ভিত্তি স্থাপনও করা হয়েছে।

“অখমর বিকাখর যাত্রাত আজি এক উল্লেখযোগ্য দিন। এই বিখেখ দিনোটোত ময় অখমবাখিক আন্তরিক অভিনন্দন জনাইছু”।

বন্ধুগণ,
সম্মিলিত চেষ্টা থেকে, সম্মিলিত ইচ্ছা থেকে কীভাবে ফলাফল আসে অসম তার একটি বড় উদাহরণ। আপনাদের পাঁচ বছর আগের সেই সময়ের কথা মনে আছে হয়তো, যখন অসমের বেশিরভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাল হাসপাতাল শুধুই স্বপ্ন ছিল। ভাল হাসপাতাল, ভাল চিকিৎসার মানে ঘন্টার পর ঘণ্টা যাত্রা, ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা এবং অগুনতি অসুবিধা! অসমের মানুষ আমাকে বলেছেন যে তাঁরা সর্বদা উদ্বিগ্ন থাকতেন যে কোনও এমারজেন্সি না চলে আসে! কিন্তু এই সমস্যাগুলি এখন দ্রুত সমাধানের দিকে এগিয়ে চলেছে। আপনারা সহজেই এই পার্থক্যটি দেখতে পারেন, অনুভব করতে পারেন। স্বাধীনতার পর থেকে ৭ দশকে, অর্থাৎ ২০১৬ পর্যন্ত অসমে মাত্র ৬টি মেডিকেল কলেজ ছিল। তবে এই ৫ বছরে অসমে এরইমধ্যে আরও ৬ টি মেডিকেল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আজ, উত্তর অসম এবং আপার অসমের প্রয়োজনের কথা ভেবে বিশ্বনাথ এবং চরৈদেবে আরও দুটি মেডিকেল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই মেডিকেল কলেজগুলি নিজেরাই আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং আগামী কয়েক বছরেই আমার কয়েক হাজার যুবক এখান থেকে ডাক্তার হয়ে বেরোবে। আপনি দেখুন, ২০১৬ পর্যন্ত অসমে মোট সোয়া সাতশো এমবিবিএসের আসন ছিল। তবে এই নতুন মেডিকেল কলেজগুলি শুরু হলেই অসম প্রতি বছর ১৬০০ জন নতুন এমবিবিএস ডাক্তার পাবে। এবং আমার আরও একটা স্বপ্ন আছে। এটা একটু সাহসী স্বপ্ন মনে হতে পারে, তবে আমার দেশের গ্রামে আমার দেশের দরিদ্রদের ঘরে প্রতিভার কোনও ঘাটতি নেই। তারা সুযোগ পায় না। স্বাধীন ভারত এখন যখন ৭৫ এ পা দিচ্ছে। তো আমার একটা স্বপ্ন রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যে কমপক্ষে একটি মেডিকেল কলেজ, কমপক্ষে একটি টেকনিক্যাল কলেজ, মাতৃভাষায় পড়ানো শুরু করুক। কেউ কি অসমিয়া ভাষায় পড়াশুনা করে ভালো ডাক্তার হতে পারে না? স্বাধীনতার ৭৫ বছর হতে চলেছে এবং নির্বাচনের পরে যখন অসমে নতুন সরকার গঠন হবে, আমি আপনাদের এখানে অসমের মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা অসমেও স্থানীয় ভাষায় একটি মেডিকেল কলেজ চালু করব। স্থানীয় ভাষায় একটি টেকনিক্যাল কলেজ শুরু করা হবে। এবং ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বাড়বে। কেউ তাকে থামাতে পারবে না। এই ডাক্তাররা অসমের বিভিন্ন অঞ্চলে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিষেবা দেবেন। এরফলে চিকিৎসা করতেও সুবিধা হবে, মানুষদের চিকিৎসার জন্য খুব বেশি দূর যেতে হবে না।

বন্ধুগণ,
আজ, গুয়াহাটিতে এইমসের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর কাজও আগামী দেড়-দু বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এইমসের বর্তমান ক্যাম্পাসে এমবিবিএসের প্রথম ব্যাচ এই একাডেমিক সেশন থেকে শুরুও হয়ে গিয়েছে। যেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে যাবে, আপনারা দেখবেন গুয়াহাটি আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এইমস গুয়াহাটি কেবল অসমেই নয়, গোটা পূর্বোত্তর পূর্বোত্তরের জীবনেও বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। আজ, যখন আমি এইমস সম্পর্কে বলছি, আমি আপনাদের একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই। দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি কেন বুঝতে পারল না যে গুয়াহাটিতে এইমস তৈরি হলে, আপনারা কতটা উপকৃত হবেন। এরা পূর্বোত্তর থেকে এত দূরে ছিলেন যে এরা কখনই আপনাদের সমস্যাগুলো বুঝতে পারেনি।

বন্ধুগণ,
আজ, কেন্দ্র সরকার অসমের উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। অসমও দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা হোক, জন ঔষধি কেন্দ্র হোক, বা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ডায়ালাইসিস প্রোগ্রাম হোক, স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হোক, সাধারণ মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আজ সারা ভারত দেখতে পাচ্ছে, সেই পরিবর্তন, একই সংশোধন অসমেও দেখা যাচ্ছে। আজ, প্রায় ১.২৫ কোটি দরিদ্র মানুষ আসমে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আমাকে জানানো হয়েছে যে অসমের ৩৫০ এরও বেশি হাসপাতাল এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এত অল্প সময়ে, অসমের দেড় লক্ষ দরিদ্র মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অসমের দরিদ্র মানুষদের কয়েক হাজার কোটি টাকা চিকিৎসায় খরচ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছে। গরিবদের টাকা বেঁচে গেছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের পাশাপাশি অসম সরকারের ‘অটল অমৃত অভিযান’ থেকেও মানুষেরা উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের পাশাপাশি সাধারণ শ্রেণির নাগরিকদেরও খুব কম কিস্তিতে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, অসমের প্রতিটি কোণে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে, যা দরিদ্রদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলিতে অসমের ৫৫ লক্ষেরও বেশি ভাইবোন প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন।

বন্ধুগণ,
করোনার সময়ে স্বাস্থ্যসেবার সংবেদনশীলতা এবং আধুনিক সুবিধাগুলির গুরুত্ব দেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। যেভাবে দেশ করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যেভাবে ভারত নিজের টিকাকরণ অভিযান চালাচ্ছে, তার প্রসংশা সারা বিশ্ব করছে। করোনার থেকে শিক্ষা নিয়ে, দেশ প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে আরও নিরাপদ ও সহজ করতে আরও দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেছে। আপনি এবারের বাজেটেও এর ঝলক আপনারা দেখেছেন। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যের ব্যয়ে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশে ৬০০ টিরও বেশি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড ল্যাব তৈরি করা হবে। ছোট শহর এবং গ্রামগুলির মানুষ, যাঁদের চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য অনেকদূর যেতে হয় তাঁরা এরফলে উপকৃত হবেন।

বন্ধুগণ,
অসমের চা বাগানগুলো অসমের সমৃদ্ধির, এখানকার অগ্রগতির একটি প্রধান কেন্দ্র। সোনিতপুরের লাল চা তো এমনই তার অভিন্ন স্বাদের জন্য পরিচিত। সোনিতপুর ও অসমের চায়ের স্বাদ কতটা বিশেষ,  সেটা আমার থেকে কে জানবে? সে কারণেই আমি সবসময় অসমের চা শ্রমিকদের অগ্রগতির সঙ্গে গোটা অসমের উন্নতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। আমি আনন্দিত যে অসম সরকার এই দিকে অনেক ইতিবাচক প্রচেষ্টা করছে। গতকালই অসম ‘চাহ উদ্যান ধন পুরস্কার মেলা’ প্রকল্পের আওতায় অসমের সাড়ে সাত লক্ষ চা বাগান শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। চা বাগানে কর্মরত গর্ভবতী মহিলাদের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সরাসরি সহায়তা করা হচ্ছে, চা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যসেবার জন্য, পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট চা বাগানে পাঠানো হচ্ছে, বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। অসম সরকারের এই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, এবার চা বাগানে কর্মরত আমাদের ভাই-বোনদের জন্য এবারের বাজেটেও আমাদের ভাই-বোনদের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। চা শ্রমিকের জন্য এক হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ আপনার সুবিধাগুলোর বিস্তার করবে, আমাদের চা শ্রমিকদের জীবনকে আরও সহজ করে দেবে।

বন্ধুগণ,
আজ যখন আমি অসমের চা শ্রমিকদের কথা বলছি, তখন আমি আজকাল দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিষয়েও কথা বলতে চাই। আজ দেশকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্রের অপরাধীরা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে তারা ভারতের চা-কেও ছাড়ছে না। আপনি নিশ্চয়ই খবরে শুনেছেন, এই চক্রান্তকারীরা বলছে যে ভারতীয় চায়ের ছবি মলিন করতে হবে, পরিকল্পনা করে। কিছু নথি প্রকাশিত হয়েছে যা থেকে জানা গিয়েছে যে বিদেশে বসে থাকা কিছু শক্তি ভারতীয় চায়ের যে পরিচিতি রয়েছে, তার ওপর আক্রমণ করার চেষ্টায় রয়েছে। আপনি কি এই আক্রমণকে গ্রহণ করছেন? এই আক্রমণের পরেও যাঁরা চুপ করে থাকে তাঁদের আপনারা গ্রহণ করবেন? যাঁরা আক্রমণকারীদের প্রশংসা করেছেন, তাঁদের আপনারা গ্রহণ করবেন? প্রত্যেককেই উত্তর দিতে হবে। যাঁরা ভারতের চা বদনাম করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। এবং যারা এখানে চুপ করে বসে আছেন সেসমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে প্রতিটি চা বাগান উত্তর চাইবে। ভারতে চা পান করা প্রত্যেক ব্যক্তি এর উত্তর চাইবে। আমি অসমের ভূমি থেকে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বলতে চাই, তারা যত ইচ্ছা ষড়যন্ত্র করে নিক, দেশ তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না। আমার চা কর্মীরা এই যুদ্ধে জিতবে। ভারতীয় চায়ের ওপর যে আক্রমণগুলো হচ্ছে তাতে তেমন শক্তি নেই, যা আমাদের চা বাগানের শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে পারে। দেশ এভাবেই উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে অগ্রসর হতে থাকবে। অসম একইভাবে উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। অসমের উন্নয়নের এই চাকা এরকমই দ্রুতগতিতে ঘুরতে থাকবে।

বন্ধুগণ,
আজ, যখন অসমের প্রতি অঞ্চলে এত বেশি কাজ করা হচ্ছে, প্রতিটি শ্রেণি এবং প্রত্যেক অঞ্চলের উন্নয়ন হচ্ছে, তখন অসমের শক্তি বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অসমের শক্তি বাড়াতে এখানকার আধুনিক রাস্তা ও পরিকাঠামোর বড় ভূমিকা রয়েছে। এটা মাথায় রেখেই, আজ ভারত মালা প্রকল্পের আদলে অসমের জন্য ‘অসম মালা’ শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অসমের প্রশস্ত মহাসড়কের নেটওয়ার্ক তৈরি, এখানকার সমস্ত গ্রামকে প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা, এখানকার রাস্তাগুলি দেশের বড় বড় শহরের মতো আধুনিক হওয়া, অসম মালা প্রকল্পটি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করবে , আপনাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। গত কয়েক বছরের মধ্যেই অসমে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে, নতুন-নতুন সেতু তৈরি হয়েছে। আজ ভূপেন হাজারিকা সেতু ও সরাইঘাট সেতু আধুনিক অসমের পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠছে।আগামী দিনে এই কাজ আরও দ্রুত হতে চলেছে। উন্নয়ন এবং অগ্রগতির  গতি বাড়াতে, এবার বাজেটের পরিকাঠামো খাতে নজিরবিহীন জোর দেওয়া হয়েছে। একদিকে, আধুনিক পরিকাঠামোগত কাজ এবং অন্যদিকে ‘অসম মালা’র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজ, আপনি কল্পনা করতে পারেন, অসমে আসন্ন দিনগুলিতে কত কাজ হতে চলেছে, এবং এরফলে কত যুবকের কর্মসংস্থান হবে। এবার মহাসড়কগুলো আরও উন্নত হবে, যোগাযোগ আরও ভাল হবে, তখন বাণিজ্য ও শিল্পও বৃদ্ধি পাবে, পর্যটনও বাড়বে। এরফলেও আমাদের যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে, অসমের উন্নয়ন নতুন গতি পাবে।

বন্ধুগণ,
অসমের বিখ্যাত কবি রূপকুঁওর জ্যোতি প্রসাদ আগরওয়ালের লাইনগুলি হ’ল-

আমার নতুন ভারত,
নতুন চিত্র,
জাগলো রে,
জাগলো রে,

আজ, এই লাইনগুলি অনুভব করে, আমাদের নতুন ভারতকে জাগ্রত করতে হবে। এই নতুন ভারত স্বনির্ভর ভারত হবে, এই নতুন ভারত অসমকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এই শুভেচ্ছার সঙ্গে, আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক অভিনন্দন। আমার সঙ্গে দুই মুঠো করে পুরো শক্তি দিয়ে বলুন, ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

***

 

 

CG/JD