Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অযোধ্যায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

অযোধ্যায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য


নতুন দিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

অযোধ্যাবাসী সকলকেই আমার অভিনন্দন! সারা বিশ্ব আগত প্রায় ২২ জানুয়ারি দিনটির জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে রয়েছে। কারণ ওই দিনটি হল এক বিশেষ ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সুতরাং অযোধ্যাবাসীও ঐ দিনটির জন্য খুব স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দ ও উত্তেজনার সঙ্গে অপেক্ষা করে রয়েছেন। ভারতীয় ভূ-খন্ডের প্রতিটি ধুলিকণাকে আমি প্রণাম জানাই। প্রণতি জানাই ভারতের প্রতিটি ব্যক্তি মানুষকে। ওই বিশেষ মুহূর্তটির জন্য আমিও আপনাদের মতো উত্তেজনার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি। এই উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দ ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের সকলের মধ্যেই। মাত্র কিছুক্ষণ আগে অযোধ্যার রাস্তায় আমি প্রত্যক্ষ করেছি এমন কিছু মুহূর্ত যাতে আমার মনে হয়েছে যে সমগ্র অযোধ্যা শহরটি যেন আজ নেমে এসেছে পথেঘাটে। আপনাদের এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদের জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। আসুন আমার সঙ্গে আপনারাও গলা মিলিয়ে বলে উঠুন –

সিয়াবর রামচন্দ্র কি – জয়!

সিয়াবর রামচন্দ্র কি – জয়!

সিয়াবর রামচন্দ্র কি – জয়!

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী জ্যোতিরাদিত্য জি, অশ্বিনী বৈষ্ণব জি ও ভি কে সিং জি, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য জি ও ব্রজেশ পাঠক জি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, সকল সাংসদ ও বিধায়ক এবং আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, যাঁরা আজ এখানে বিরাট সংখ্যায় সমবেত হয়েছেন তাঁদের সকলের উদ্দেশে জানাই আমার অভিবাদন। 

দেশের ইতিহাসে ৩০ ডিসেম্বর দিনটির এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই দিনটিতেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্দামানে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আবার, এই পবিত্র দিনটি স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাধীনতার অমৃতকালের লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার সংকল্প গ্রহণ করে আমরা এখন অগ্রগতির পথে পা বাড়িয়েছি। এক বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে সাকার করে তুলতে অযোধ্যা নগরী আমাদের প্রচেষ্টায় নতুন শক্তি ও উৎসাহ যুগিয়েছে। ১৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের আজ উদ্বোধন। একই সঙ্গে আবার কয়েকটি প্রকল্প উৎসর্গ করা হবে জাতির উদ্দেশে। এই পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি আধুনিক অযোধ্যা নগরীকে জাতীয় মানচিত্রে বিশেষ গর্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারীর মধ্যেও আমাদের অনলস নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফসল হলো আজকের এই অযোধ্যা নগরী। এই প্রকল্পগুলির জন্য সকল অযোধ্যাবাসীকে জানাই আমার অভিনন্দন। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন,

পৃথিবীর যে কোন দেশই তার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হতে পারে। আমাদের ঐতিহ্য আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছোনোর দিশা নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং বর্তমান ভারত অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে প্রাচীনত্বের সঙ্গে আধুনিকতাকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে। অযোধ্যায় রামলালার অধিষ্ঠান ছিল এক সময় এক অস্থায়ী অচ্ছাদনের মধ্যে। তেমনি ভাবে দেশের চার কোটি দরিদ্র মানুষের দীর্ঘদিন কোন স্থায়ী আস্থানা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু তাঁরা এখন সকলেই পাকা বাড়িতে বসবাসের সুযোগ লাভ করেছেন। বর্তমান ভারত একদিকে যেমন তাঁর ধর্মীয় স্থানগুলির সৌন্দার্যায়ন ঘটিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে দেশের রূপান্তরও ক্রমশ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৩০ হাজারেরও বেশি পঞ্চায়েত ভবন সহ কাশী বিশ্বনাথ ধামকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কেদারনাথ ধামকে শুধুমাত্র পুনর্গঠনই করা হয়নি, একই সঙ্গে দেশে স্থাপিত হয়েছে ৩১৫টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ। মহাকাল, মহালোক নির্মাণের কাজে আমরা শুধু হাত দিইনি, একই সঙ্গে প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারে জলের সুযোগ পৌঁছে দিতে সংস্থাপিত হয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক। একদিকে আমরা যেমন মহাকাশ ও সমুদ্র গবেষণা কাজে ব্যস্ত, অন্যদিকে তেমনি আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি দেশের পৌরাণিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্যকে। বর্তমান ভারতকে আমরা একঝলক প্রত্যক্ষ করতে পারছি অযোধ্যা নগরীর মধ্যে। উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্যের মিলন ঘটিয়ে আমরা ২১ শতকের এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে পারবো। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, 

মহর্ষি বাল্মীকি স্বয়ং প্রাচীন অযোধ্যা নগরীর বর্ণনা দিয়ে গেছেন। প্রাচীন অযোধ্যা নগরী যে সৌন্দর্য ও বৈভবে এক্কালে সমৃদ্ধির শিখরে আরোহণ করেছিল তার বর্ণনা আমরা পেয়েছি মহর্ষির রচনার মধ্যে। তাই প্রাচীন অযোধ্যা নগরীর সঙ্গে আধুনিক অযোধ্যার মিলনে আমরা এক নতুন অযোধ্যা নির্মাণের কাজে ব্রতী হয়েছি। 

বন্ধুগণ, 

আগামী দিনগুলিতে উন্নয়নের এক বিশেষ মডেল রূপে চিহ্নিত হবে অযোধ্যা শহরটি। অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের সুন্দর মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে তা সকলের কাছে আকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। লক্ষ লোকের সমাগম ঘটবে অযোধ্যা ধামে। বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে অযোধ্যা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। 

বন্ধুগণ, 

আজ অযোধ্যা ধাম বিমান বন্দর এবং অযোধ্যা ধাম রেল স্টেশনের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। আমি আনন্দিত যে অযোধ্যা বিমান বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মীকির নামানুসারে। রামায়ণ মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে মহর্ষি আমাদের মিলন ঘটিয়েছিলেন ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে। তাই মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি ব্যবহার করে আমরা পৌঁছে যেতে পারবো অনুপম সৌন্দর্যময় রাম মন্দিরের ঐশ্বরিক তথা আধ্যাত্মিকতার জগতে। নতুন এই বিমান বন্দরটি বছরে ১০ লক্ষ যাত্রীর চাপ সামলাতে পারবে। তবে, মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে প্রতি বছর ৬০ লক্ষ যাত্রী এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। অযোধ্যা রেল স্টেশন দিয়ে বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু স্টেশনটির পুরো কাজ সম্পূর্ণ হলে তা প্রতিদিন ৬০ হাজার যাত্রীর চাপ সামলানোর উপযোগী হয়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ, 

রেল স্টেশন এবং বিমান বন্দরের উদ্বোধন ছাড়াও অযোধ্যায় রামপথ ও ভক্তিপথ, ধর্মপথ এবং শ্রীরাম জন্মভূমিপথ আজ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। অযোধ্যা শহরে গাড়ি পার্কিং-এর স্থানগুলিও আজ থেকে খুলে দেওয়া হলো। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অযোধ্যায় নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে। আমাদের এই নতুন নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান ও রুজিরোজগারের সুযোগ। স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রিক্সা ও ট্যাক্সি চালক, ধাবা ও হোটেল ব্যবসায়ী, পোষাক বিক্রেতা, ফুল-মালার দোকানদার, পূজার উপকরণ বিক্রেতা এবং ছোট-খাটো দোকানদাররা তাঁদের আয় ও উপার্জন বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।  

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন,

রেল আধুনিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক গুচ্ছ ট্রেন পরিষেবারও আজ সূচনা হলো। অমৃত ভারত সিরিজের প্রথম ট্রেনটি চালু হচ্ছে আজ থেকেই। ‘বন্দে ভারত’, ‘নমো ভারত’ এবং ‘অমৃত ভারত’ সিরিজের ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে ভারতীয় রেলের ইতিহাসে। প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্পর্শ করে যাবে অযোধ্যা রেল স্টেশনটিকে। আধুনিক অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দরিদ্র এবং অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রভূত উপকারে আসবে। গোস্বামী তুলসী দাস তাঁর ‘রামচরিত মানস’-এ উল্লেখ করেছেন যে অন্যের প্রতি সেবার থেকে বড় আর কোন ধর্ম বা কর্তব্য থাকতে পারে না। এই আদর্শকে অনুসরণ করে সূচনা হয়েছে আধুনিক অমৃত ভারত ট্রেনের। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, 

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে মিলন ঘটেছে উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্যের। দেশের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করে কাশী থেকে। কিন্তু বর্তমানে কাশী, বৈষ্ণো দেবী কাটরা, উজ্জ্বয়িনী, পুষ্কর, তিরুপতি, শিরদি, অমৃতসর এবং মাদুরাই সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলির সংযোগ ও যোগাযোগ ঘটেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে। অযোধ্যা ধাম জংশন – আনন্দ বিহার বন্দে ভারত ট্রেনের আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। এই সিরিজের ট্রেনগুলির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের আদর্শকে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। 

বন্ধুগণ, 

অতি প্রাচীনকাল থেকে তীর্থযাত্রা আমাদের দেশে এক তাৎপর্যময় ঘটনা রূপে চিহ্নিত হয়েছে। বদ্রীনাথ বিশাল থেকে সেতুবন্ধ রামেশ্বর, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর, দ্বারকা থেক জগন্নাথ পুরী, ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন স্থান, চারধাম যাত্রা, কৈলাশ ও মানস সরোবর যাত্রা, শক্তিপীঠ যাত্রা – এসমস্ত কিছুই আজও আকর্ষণ করে দেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীকে। ভগবান বুদ্ধের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে লুম্বিনী, কপিলাবস্তু, সারনাথ, কুশিনগর ও রাজনগরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলি। অন্যদিকে, শিখ ও জৈন ধর্ম আচরণের জন্য দেশের প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে আরও বহু ধর্মীয় স্থান। অন্যদিকে, উত্তর পূর্ব ভারতে বিশেষত অরুণাচল প্রদেশে রয়েছে বিখ্যাত পরশুরাম কুন্ড। 

বন্ধুগণ, 

আমাদের সকলের জীবনেই আজ উপস্থিত এক বিশেষ ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নতুন নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে নতুন নতুন সংকল্প গ্রহণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি। আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে আবেদন জানাই যে আগামী ২২ জানুয়ারি দিনটিতে দীপাবলি উদযাপনের মতো ভগবান শ্রীরামের প্রতি ভক্তি জানাতে নিজ নিজ গৃহে তাঁরা যেন বাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এর আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এক নতুন ভারত। 

বন্ধুগণ, 

মোদীর গ্যারান্টি সম্পর্কে জানতে কম বেশি সকলেই প্রায় সমান উৎসুক ও আগ্রহী। আমি তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, মোদী যা বলেন বাস্তবে তাই করে থাকেন। কারণ তিনি তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীর সেবায়। তাই মোদী গ্যারান্টির ওপর আস্থা এখন সকলের মধ্যেই এই ঘটনার প্রমাণ আজকের এই অযোধ্যা নগরী। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে ঘোষণা করছি যে পবিত্র অযোধ্যা ভূমির উন্নয়নে আমি চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখবো না। ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ আমাদের সকলের ওপর বর্ষিত হোক এই প্রার্থনা জানাই। আমি আনত প্রণাম জানাই ভগবান শ্রী রামের পদপ্রান্তে। আমাদের এই উন্নয়নের যাত্রাপথে সামিল হওয়ার জন্য সকলকেই জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আসুন আমরা মিলিত কন্ঠে বলে উঠি :

জয় সিয়ারাম! 

জয় সিয়ারাম! 

জয় সিয়ারাম! 

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

আপনাদের সকলকে জানাই আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ।

(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে)

PG/SKD/AS