Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

 

ভারত মাতা কি জয়! 
ভারত মাতা কি জয়! 
ভারত মাতা কি জয়! 

অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল সৈয়দ আব্দুল নাজির জি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী আমার বন্ধু শ্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু জি, অভিনেতা রাজনীতিবিদ ও উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জি, কেন্দ্রীয় সরকারে আমার সহকর্মীগণ, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ, সকল সাংসদ এবং অন্যান্য বিধায়ক, মাননীয় নাগরিকগণ, ভায়েরা এবং বোনেরা, 

আন্ধ্র প্রজলা প্রেমা মরিয়ু অভিমা-নানকি না কৃতজ্ঞতলু।
না অভিমানান্নি চুপিনচে অবকাসম ইপ্পুডু লভিন-চিন্ধি।

প্রথমেই আমি সীমাচলম বরাহ লক্ষ্মী নরসীমা স্বামীকে প্রণাম জানাই। 

বন্ধুগণ, 

আপনাদের আশীর্বাদে ৬০ বছরে এই প্রথম দেশ তৃতীয়বারের জন্য একটি সরকারকে বেছে নিয়েছে এবং সরকার গঠনের পর এটাই আমার প্রথম সরকারি কর্মসূচি। আপনারা যেমন সুন্দর ভাবে আমাকে স্বাগত ও সম্মান জানিয়েছেন এবং সারাটা পথ ধরে যেভাবে মানুষ আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। আজ চন্দ্রবাবুর ভাষণে তিনি সবকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভাগ করে নিয়েছেন। আমি তাঁর প্রতিটি কথার পিছনে থাকা মনোভাব এবং আদর্শকে সম্মান করি এবং আমি অন্ধ্র এবং দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, একসঙ্গে আমরা নিশ্চিত ভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। 

বন্ধুগণ, 

আমাদের অন্ধ্রপ্রদেশ একটি সম্ভাবনা ও সুযোগের রাজ্য, সম্ভাবনা এবং অগ্রগতির রাজ্য। যখন অন্ধ্রের এই সম্ভাবনাগুলি পূরণ হবে অন্ধ্র উন্নত হবে এবং তখনই ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেই জন্য অন্ধ্রের উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। অন্ধ্রের মানুষের সেবা করা আমাদের দায়বদ্ধতা। অন্ধ্রপ্রদেশ ২০৪৭-এর মধ্যে রাজ্যকে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণ করতে চন্দ্রবাবু গাড়ুর সরকার শুরু করেছে ‘Swarna Andhra@2047’ উদ্যোগ। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজ্যের এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকার কর্মসূচিগুলিতে। আজ ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মূল্যের প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে এখানে। এই প্রকল্পগুলি অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সমগ্র দেশকে অভিনন্দন জানাই এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য। 

বন্ধুগণ, 

অন্ধ্রপ্রদেশ তার উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের জন্য আইটি এবং টেকনলোজির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব। এখনই সময় এসেছে অন্ধ্রের নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কেন্দ্র হয়ে ওঠার। যে সমস্ত প্রযুক্তি এখন তৈরি হচ্ছে, আমাদের তাকে প্রথম থেকেই গ্রহণ করতে হবে। আজ গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার একটি নতুন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ২০২৩-এ দেশ ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের সূচনা করে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০-এর মধ্যে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করা। প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি গ্রিন হাইড্রোজেন হাব স্থাপন করা হবে, যার একটি হবে আমাদের বিশাখাপত্তনমে। ভবিষ্যতে বিশাখাপত্তনম বিশ্বের কয়েকটি শহরের একটি শহর হবে, যার বৃহৎ আকারের গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র থাকবে। এই গ্রিন হাইড্রোজেন হাব একাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে উৎপাদন ক্ষেত্রেরও উন্নতি করবে। 

বন্ধুগণ, 

আজ আমার সুযোগ হয়েছে নাক্কাপল্লিতে বাল্ক ড্রাগ পার্ক প্রকল্পের শিলান্যাস করার। দেশের তিনটি রাজ্যের অন্যতম অন্ধ্রপ্রদেশ, যেখানে এমন একটি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এই পার্কে উৎপাদন এবং গবেষণার চমৎকার পরিকাঠামো থাকবে। এতে লগ্নিকারকদের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এখানকার ওষুধ কোম্পানিগুলি উপকৃত হবে। 

বন্ধুগণ, 

আমাদের সরকার নগরায়ণকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখে। আমরা চাই অন্ধ্রকে নতুন যুগের নগরায়ণের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে। এই স্বপ্নকে সফল করতে আজ কৃষ্ণপট্টনম যা কৃষ সিটি হিসেবেও পরিচিত, তার শিলান্যাস করা হয়েছে। এই স্মার্ট সিটি চেন্নাই – বেঙ্গালুরু শিল্প করিডোরের অংশ হবে। এতে অন্ধ্রে আসবে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং শিল্পে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। 

বন্ধুগণ, 

অন্ধ্রপ্রদেশ ইতিমধ্যেই শ্রী সিটির ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হওয়ার উপকার পাচ্ছে। আমাদের প্রয়াস অন্ধ্রপ্রদেশকে দেশের শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষ রাজ্য করে তোলা। উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে আমাদের সরকার পিএলআই-এর মতো কর্মসূচি চালাচ্ছে। এর ফলে আজ ভারত একাধিক পণ্যের উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। 

বন্ধুগণ, 

আজ নতুন বিশাখাপত্তনম শহরে সাউথ কোস্ট রেলওয়ে জোন সদর দপ্তরের শিলান্যাস করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আলাদা রেলওয়ে জোনের দাবি ছিল এবং আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। সাউথ কোস্ট রেলওয়ে জোনের সদর তৈরি হয়ে গেলে এই অঞ্চলজুড়ে কৃষি এবং ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যকলাপের প্রসার ঘটবে। এছাড়াও পর্যটন ক্ষেত্র এবং স্থানীয় অর্থনীতি বেড়ে ওঠার নতুন সুযোগ পাবে। আজ যোগাযোগ সংক্রান্ত কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হচ্ছে। রেলওয়ে ক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশ অন্যতম রাজ্য, যেখানে ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎদয়ন সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭০-এর বেশি রেল স্টেশনের উন্নতি করা হয়েছে অমৃত ভারত স্টেশন কর্মসূচিতে। অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৭টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং অমৃত ভারত ট্রেন চালানো হচ্ছে। 

বন্ধুগণ, 

অন্ধ্রপ্রদেশে আরও ভাল যোগাযোগ এবং উন্নত সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে পরিকাঠামো বিপ্লব রাজ্যের সমগ্র মানচিত্রে পরিবর্তন ঘটাবে। এতে জীবনযাত্রা সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে। এটিই হবে অন্ধ্রের ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্যের ভিত্তি। 

বন্ধুগণ, 

কয়েক শতাব্দী ধরে বিশাখাপত্তনম এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ভারতের বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার। এমনকি, আজও বিশাখাপত্তনম একই গুরুত্ব বহণ করছে। আমরা সমুদ্র সংক্রান্ত সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নীল অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছি। এই জন্য বিশাখাপত্তনম মৎস্য বন্দরের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। আমরা পূর্ণমাত্রায় কাজ করছি, যাতে অন্ধ্রপ্রদেশে মৎস্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ভাই এবং বোনেদের আর্থিক ও বাণিজ্যিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়। আমরা মৎস্যজীবীদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মতো সুবিধা দিয়েছি। আমরা সাগরের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। 

বন্ধুগণ, 

আমাদের প্রয়াস হল দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সার্বিক উন্নয়ন, যাতে উন্নয়নের ফল সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর কাছে পৌঁছোয়। এটি অর্জন করতে এনডিএ সরকার সমৃদ্ধ এবং আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশ তৈরি করতে দায়বদ্ধ। আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন হল তা অন্ধ্রের মানুষের সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করবে। আরও একবার আমি আপনাদের এই প্রকল্পগুলির জন্য অভিনন্দন জানাই। 

আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ!

(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে)

 

 

SC/AP/AS