Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপার্থিতে সাই হিরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপার্থিতে সাই হিরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


                                                  নতুনদিল্লি ০৪ জুলাই,২০২৩

 প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপার্থিতে সাই হিরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন । অনুষ্ঠানে বিশ্বের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং পুণ্যার্থী উপস্থিত ছিলেন।

      প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উপস্থিত সবাইকে অভিনন্দন জানান । তিনি বলেন, “শ্রী সত্য সাই-এর আশীর্বাদ এবং অনুপ্রেরণা আমাদের সঙ্গে রয়েছে” । সাই হিরা গ্লোবাল কনভেনশন সেন্টার চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন । নতুন এই কেন্দ্রটি আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন, ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতীক হল এই সেন্টারটি।

      শ্রী মোদী বলেন, সমাজে নেতাদের ভালো আচরণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ মানুষ তাদের অনুসরণ করেন । শ্রী সত্য সাই এর জ্বলন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি । তিনি বলেন, “ভারত আজ স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির দিকে এগোচ্ছে এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করছি। আমাদের অঙ্গীকার হল, বিকাশ (উন্নয়ন) এবং  বিরাসতের  (ঐতিহ্য) মেলবন্ধন।

      শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের আধ্যাত্মিক স্থানগুলির পুনর্জাগরণের পাশাপাশি ভারত প্রযুক্তি এবং আর্থিক ক্ষেত্রেও এগিয়ে চলেছে । ভারত বর্তমানে বিশ্বের সেরা ৫টি আর্থিকভাবে উন্নত দেশের একটি বলে মন্তব্য করেন তিনি । তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ৫জি-র ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনলাইন লেনদেনের ৪০ শতাংশই এখন ভারতে হয়ে থাকে । পুট্টাপার্থিকে ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল করে তোলার জন্য তিনি পুণ্যার্থীদের কাছে আর্জি জানান।

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে । গ্লোবল কাউন্সিলের মতো সংস্থাগুলির মাধ্যমে ভারত সম্পর্কে বেশি করে জানতে পারছেন বিশ্ববাসী। শ্রী মোদীর মতে, হাজার হাজার ধরে সব সাধকরা “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত”-এর বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন । তিনি বলেন, শ্রী সত্য সাই পুট্টাপার্থিতে জন্মগ্রহণ করলেও, তাঁর অনুগামীরা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন।

      শ্রী সত্য সাই-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী এই ধর্মগুরুর বাণীগুলির কথা উল্লেখ করেন । এর মধ্যে রয়েছে “সবাইকে ভালোবাসুন, সবার সেবা করুন”, “আঘাত নয়, সবসময় সাহায্য করুন”, “কথা কম কাজ বেশি” প্রভৃতি । গুজরাতে ভূমিকম্পের সময় তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্রীরা।

      শ্রী মোদী বলেন, ভারতের সামাজিক কল্যাণে ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলি বরাবরই কেন্র্যবিন্দুতে থেকেছে। তাঁর কথায়, আজ দেশের উন্নয়নে বিশেষ গতি এসেছে । অমৃত কালের অঙ্গীকার পূরণে সত্য সাই ট্রাস্টের মতো সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । 

      দেশ গড়ার কাজে এবং সামাজিক ক্ষমতায়ণে সত্য সাই ট্রাস্টের প্রয়াসের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সত্য সাইয়ের গড়ে তোলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে।

      প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পরিবেশ রক্ষায় মিশন লাইফ এবং ভারতের জি ২০ সভাপতিত্বের কথা উল্লেখ করেন । তিনি বলেন, এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎই আমাদের মন্ত্র।  রাষ্ট্রসংঘের সদর কার্যালয়ে যোগা অনুষ্ঠানের রেকর্ড সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে  তিনি আরও বলেন, যোগার সঙ্গে দেশের মানুষ আয়ুর্বেদকেও গ্রহণ করছেন । আমাদের সাংস্কৃতিক ভাবনাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মন্তব্য করেন তিনি । 

      প্রধানমন্ত্রী ‘প্রেম তরু’ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে আগামী ২ বছরে এক কোটি বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । এই প্রকল্পের কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের কাছে আবেদন জানান । সেইসঙ্গে প্লাস্টিকমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দেন তিনি।

      অন্ধ্রপ্রদেশের ৪০ লক্ষ পড়ুয়ার কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সত্য সাই সেন্ট্রাল ট্রাস্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে শ্রী অন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য রাজ্যগুলিও এ ধরনের উদ্যোগে সামিল হলে দেশের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন । 
      প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সত্য সাই-এর আশীর্বাদ আমাদের সবার সঙ্গে রয়েছে । এই শক্তি দিয়েই আমরা উন্নত ভারত গড়ব এবং গোটা বিশ্বকে সেবা করার অঙ্গীকার পূরণ করব।”

CG/MP/CS