Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

অটল বিহারী বাজপেয়ী চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লক্ষ্ণৌতে অটল বিহারী বাজপেয়ী চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস উপলক্ষে ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী বলেন, এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা যে, সুপ্রশাসন দিবস উদযাপনের দিনেই উত্তর প্রদেশ সরকারের যাবতীয় কাজকর্ম যে ভবন থেকে করা হয়, সেখানেই অটলজীর মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হ’ল। প্রয়াত অটলজীর এই অসাধারণ মূর্তিটি উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর লোক ভবনে কর্মরত সকলকে সুপ্রশাসন ও জনপরিষেবা পৌঁছে দিতে উৎসাহিত করবে।

বহু বছর ধরে লক্ষ্ণৌ অটলজীর সংসদীয় কেন্দ্র ছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে উৎসর্গ করতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। অটলজী প্রায়শই বলতেন, জীবনকে টুকরো টুকরো ঘটনার কোলাজ হিসাবে দেখা উচিৎ নয়, বরং সামগ্রিক হিসাবে উপলব্ধি করা প্রয়োজন। এই উপলব্ধি সরকারের কাছেও যেমন সত্য, তেমনই সুপ্রশাসনের ক্ষেত্রেও সমান প্রাসঙ্গিক। ব্যাপকতার দিক থেকে সমস্যার ভিত্তিগুলিকে উপলব্ধি করতে না পারলে সুপ্রশাসন গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয় বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, প্রতিকারমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, চাহিদা ও যোগানে ফারাক দূর করার মতো বিভিন্ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছ ভারত থেকে যোগাভ্যাস, উজ্জ্বলা থেকে ফিট ইন্ডিয়া অভিযান এবং আয়ুর্বেদ চর্চার প্রসারে গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপই অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে গ্রামাঞ্চলে ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি ওয়েলনেস সেন্টার বা রোগী কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই কেন্দ্রগুলিতে আগাম রোগ নির্ণয় ও রোগের লক্ষণ নিরূপণ করার কাজ হবে। এর ফলে, রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপযুক্ত চিকিৎসাও মিলবে। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির ফলে দেশে ৭০ লক্ষেরও বেশি দরিদ্র রোগীর কাছে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি জানান। কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই প্রায় ১১ লক্ষ দরিদ্র রোগী এই কর্মসূচির সুফল পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে রাজ্যের গ্রাম গ্রামান্তরের মানুষকে স্বাস্থ্য রক্ষার বিধি ব্যবস্থা এবং সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে জানাতে সরকারের প্রচারাভিযান এক বড় পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকারের কাছে সুপ্রশাসনের অর্থই হ’ল – প্রত্যেকের কথা শোনা, প্রত্যেক নাগরিকের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা এবং প্রত্যেক নাগরিকই নিরাপদ ও সুরক্ষিত – এই উপলব্ধি গড়ে তোলা। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনোত্তর বছরগুলিতে ‘আমরা অধিকারের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি এবং উত্তর প্রদেশবাসীর কাছে আবেদন রেখেছি যে, আমরা আমাদের কর্তব্য ও বাধ্যবাধকতাগুলির ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দেব। আমাদেরকে সর্বদাই অধিকার ও কর্তব্য স্মরণে রাখতে হবে’। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সুশিক্ষা ও শিক্ষার অধিকার সকলেরই প্রাপ্য। তেমনই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাও বজায় রাখাও কাম্য। সুপ্রশাসন দিবস উদযাপনের দিন আমাদের সঙ্কল্পই হ’ল – আমরা আমাদের দায়িত্বগুলি পালন করবো, উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করবো, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবো এবং এগুলি সবই ছিল অটলজীর লক্ষ্য।

CG/BD/SB