Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সংস্কারের পথে :এক নতুন সূর্যোদয়


upload-SAGY [ PM India 436KB ]

দেশের সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

জন ধন, আধার ও মোবাইলের (জ্যাম) মাধ্যমে পরিবর্তনমুখী এক সংস্কারের অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে ভারত। উল্লেখিত ঐ তিনটি ব্যবস্থার এক অভিন্ন সংযুক্তির মধ্য দিয়ে ভর্তুকি সহায়তা গ্রাহক ও গ্রহীতার কাছে সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। ভর্তুকিবাবদ নগদ অর্থ গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়ার এক পদ্ধতি এখন অনুসরণ করা হচ্ছে। এর সুফল রয়েছে দুটি। একটিতে ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় কারচুপি বা ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যটিতে ভর্তুকি সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে প্রকৃত ব্যক্তির কাছে।

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করার লক্ষ্যে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার এক জাতীয় সহমত গঠনের কাজেও সফল হয়েছে। এই কর প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে সংবিধান সম্পর্কিত একটি বিলও সরকারের পক্ষ থেকে পেশ করা হয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হলে ১ এপ্রিল, ২০১৬ থেকে এক অত্যাধুনিক পরোক্ষ কর ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে। এই ক্ষেত্রটিতে ভিন্ন ভিন্ন কর যে দ্বিধা ও সংশয়ের সৃষ্টি করেছিল এবং তার ফলে যে প্রতিকূল প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে তা দূর করে এক সংযুক্ত সাধারণ দেশীয় বাজার গড়ে তোলার কাজে এই নতুন ব্যবস্থা যে সফল হয়ে উঠবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা নামে আরেকটি অভিনব কর্মসূচির কাজও শুরু করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর আওতায় সাংসদদের উৎসাহিত করা হচ্ছে তাঁদের নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত কোন একটি গ্রামকে বেছে নিয়ে সেটিকে এক আদর্শ গ্রামে (মডেল ভিলেজ) রূপান্তরিত করারলক্ষ্যে। পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণের পরিবর্তে নিজের নির্বাচনী এলাকার সার্বিক বিকাশ ও রূপান্তরে সাংসদদের উদ্বুদ্ধ করাই সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার মূল লক্ষ্য।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের (এমওপিএনজি) একটি বিশেষ প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যে গ্যাসচালিত সার প্রকল্পগুলিতে অভিন্ন মূল্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের যোগানসম্পর্কিত এই প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে যুগ্ম প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, তাও সরকারিভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে, ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি বিশেষভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ ছিল তার অনেকটাই এখন শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, প্রতিরক্ষা, নির্মাণ ও রেলের মতো ভারতের উচ্চমানের শিল্পক্ষেত্রগুলিতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ এখন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নীতিকে উদার করে তোলা হয়েছে এবং এই ক্ষেত্রটিতে বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা ২৬ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত। আধুনিক এবং যুগোপযোগী প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ প্রসারিত হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় সম্প্রসারিত হয়েছে সুনির্দিষ্ট রেল পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় কাজকর্ম নিরন্তর করে তোলার লক্ষ্যে।

জ্যাম ট্রিনিটি সম্পর্কে আপনারা আরও বিস্তারিত জানুন

অপেক্ষা করুন, লোডিং হচ্ছে... Loading