জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
এই বছরটি ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক বছর ছিল। কম বৃদ্ধির হার, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার এবং কমে যাওয়া উৎপাদনের হার থেকে এন ডি এ সরকার যে কেবলমাত্র আমাদের অর্থনীতির সাধারণ পর্যায়ের সূচকগুলিকে শক্তিশালী করেছে তাই নয়, অর্থনীতিকে উচ্চ হারে বৃদ্ধির রাস্তায় নিয়ে গেছে। ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশের মতো উচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই হার বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে দ্রুততম বলে বিবেচিত হয়েছে।
বিভিন্ন রেটিং সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী এন ডি এ সরকারের আমলে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার দ্রুত হবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক সূচক ও সরকারের সংস্কারের কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে রেটিং সংস্থা ‘মুডিস’ ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মানকে ‘স্থিতিশীল’ থেকে বাড়িয়ে ‘ইতিবাচক’ বলে ঘোষণা করেছে। ‘ব্রিক্স’ গোষ্ঠীর সূচনার সময়য় অনেকে মনে করেছিলেন ভারত, এই গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্তির মতো পরিস্থিতিতে নেই। ভারতের পরিস্থিতিকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়েছিল। আর এখন ভারতই ‘ব্রিক্স’কে বৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসাবে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
উৎপাদন ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বের ফলে শিল্প উৎপাদনের সূচক, গত বছরের ঋণাত্মক বৃদ্ধি থেকে সরে এসে চলতি বছরে ২.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির (পাইকারি মূল্য সূচক) হারও ক্রমাগত কমছে। ২০১৪’র এপ্রিল মাসে এই হার ৫.৫৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৫’র এপ্রিলে ২.৬৫ শতাংশ হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি ঐতিহাসিক গতিতে বাড়ছে। এক্ষেত্রে ইক্যুইটির পরিমাণ ৪০ শতাংশ বেড়ে গত বছরের ১,২৫,৯৬০ কোটি টাকা থেকে চলতি বছরে ১,৭৫,৪৪৫ কোটি টাকা হয়েছে।
রাজকোষ ঘাটতির হারও ক্রমাগত কমে চলেছে। ভারতের চলতি খাতে ঘাটতির হার গত বছরের জাতীয় আয়ের ৪.৭ শতাংশ থেকে কমে ১.৭ শতাংশ হয়েছে। ভারতে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এটি ৩১,১৮০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩৫,২১০ কোটি ডলার হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থা এর ফলে সামাল দেওয়া যাবে।