জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছে। শিক্ষার গুণমান ও প্রসার বৃদ্ধির লক্ষ্যে একগুচ্ছ অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় সমস্ত শিক্ষা ঋণ ও বৃত্তি প্রদান ও নজরদারি চালানোর জন্য একটি সম্পূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা দানের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য মিশন চালু করা হয়েছে।
বিদেশের খ্যাতনামা শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট শিক্ষক, বিজ্ঞানী এবং উদ্যোগপতিরা যাতে ভারতের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন অবকাশের সময় পড়াতে পারেন, সেজন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অফ অ্যাকাডেমিক নেটওয়ার্ক বা ‘জ্ঞান’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়ছে। এর ফলে, ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের পঠন-পাঠনের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ ঘটবে। অনলাইন শিক্ষার সুব্যবস্থা করতে ‘স্বয়ম’ নামে এক প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষার ব্যাপক উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। জাতীয় ই-গ্রন্থাগার সবার জন্য শিক্ষা সরঞ্জাম ও জ্ঞানের উৎসমুখ খুলে দেবে। ‘শলাদর্পণ’ নামে একটি মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিভাবকরা যাতে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সন্তানদের শিক্ষার অগ্রগতির ওপর নজর রাখতে পারেন তারও ব্যবস্থা হয়েছে। ছাত্রীদের স্কুলে ভর্তির বিষয়টিতে উৎসাহিত করতে, ‘উড়ান’ নামে একটি বালিকা শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ‘ঈশান বিকাশ’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির নির্বাচিত কিছু স্কুল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের অবকাশের সময় আই আই টি, এন আই টি এবং আই আই এস ই আর-এর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিরাচরিত শিল্পকলা ও হস্তশিল্পের কাজে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘উস্তাদ’ নামে এক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, চিরাচরিত শিল্পকলা ও হস্তশিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, তাঁদের কাজের ও উৎপাদিত পণ্যের মানবৃদ্ধি, এগুলির নথিভুক্তি এবং বিপণনের ব্যবস্থা করা।
সকলেই জানেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী দক্ষ ভারত কর্মসূচিকে কতটা গুরুত্ব দেন। সরকার, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেশের যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য ‘দক্ষতা উন্নয়ন’ বিষয়ক একটি পৃথক মন্ত্রক চালু করেছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই ৭৬ লক্ষ যুবককে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দক্ষতা সংক্রান্ত শংসাপত্রকে ‘স্কুল টু স্কিল’ কর্মসূচিটি পাঠ্যক্রমের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ সহ প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা অনুমোদিত হয়েছে। আগামী তিন বছরে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনায় ১০ লক্ষ গ্রামীণ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ আইনের সংশোধনের ফলে কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার আগামী আড়াই বছরে ১ লক্ষ শিক্ষানবিশের প্রশিক্ষণের সুযোগের জন্য তাদের স্টাইপেন্ডের ৫০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে। আগামী কয়েক বছরে শিক্ষানবিশের সংখ্যা এখনকার ২.৯ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সারা দেশের সর্বত্র অনলাইন পরিষেবার জন্য কেন্দ্র স্থাপনে চালু হয়েছে ন্যাশনাল কেরিয়ার সেন্টার। এখান থেকে যুবকরা পেশা সংক্রান্ত সরঞ্জাম ও স্বমূল্যায়নের যন্ত্রপাতি পাবে। যুবকদের জন্য উপদেষ্টা বা কাউন্সেলারদের সহায়তা দিতে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
“পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য মিশন ফর …… ট্রেনিং কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনুন”।