প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন স্বচ্ছতা এবং উত্তরদায়ীতা, মানুষের জন্য যে কোনও সরকারের দুটি প্রধান স্তম্ভ। স্বচ্ছতা এবং উত্তরদায়ীতা যে শুধু মানুষকে সরকারের কাছাকাছি নিয়ে আসে তাই নয়, তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমান এবং অখণ্ড অংশভাগী করে তোলে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর রেকর্ড চারবারের মেয়াদে নরেন্দ্র মোদী একটি খোলামেলা ও স্বচ্ছ সরকারের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন। সরকারের নিয়ম এবং নীতিগুলি ঠান্ডাঘরে বসে তৈরি হয়নি বরং তা হয়েছে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। যে কোনও নীতি প্রণয়নের আগে তার খসড়া মানুষকে জানাতে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে তাঁরা এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য এবং প্রস্তাব জানাতে পারেন। একই সঙ্গে, গরিব কল্যাণ মেলার মতো উদ্যোগগুলি লালফিতের ফাঁস এড়িয়ে গরিব মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার কাজকে সুনিশ্চিত করেছে। ‘এক দিনের প্রশাসন’ – এর আরও এক উদাহরণ হল – ই-প্রশাসন পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে নাগরিকদের কাছে সময় নির্দিষ্ট পরিষেবার ওপর গুরুত্ব প্রদান। এই কাজের মূল লক্ষ্য ছিল, নাগরিক সনদের আওতায় সরকার থেকে নাগরিকদের জন্য সমস্ত পরিষেবা সুনিশ্চিত করা।
স্বচ্ছতার ওপর তাঁর বিশেষ জোর দেওয়ার মধ্য দিয়ে, ভারতের মানুষের জন্য একটি খোলামেলা, স্বচ্ছ এবং জনকেন্দ্রীক সরকারের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।