আমাদের মন্ত্র হওয়া উচিৎ ‘বেটা বেটি, এক সম্মান’। আসুন, কন্যাসন্তানের জন্মকে আমরা স্বাগত জানাই। পুত্র-সন্তানের পাশাপাশি কন্যাসন্তানদের জন্যও আমাদের সমান গর্বিত হওয়া উচিত। কন্যাসন্তানের জন্মকে স্মরণীয় করে রাখতে পাঁচটি গাছের চারা রোপণ করুন - এই আবেদন জানাই আপনাদের কাছে। জয়াপুর গ্রামের নাগরিকদের উদ্দেশে একথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐ গ্রামটি তিনি বেছে নিয়েছিলেন আদর্শ গ্রাম রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সূচনা ২২ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে হরিয়ানার পানিপথে।এর সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। কন্যাসন্তানের জন্মহার ক্রমশ হ্রাস পাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির কার্যকর মোকাবিলায় এই কর্মসূচিটির কথা চিন্তাভাবনা করা হয়। একইসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে যুক্ত করা হয় এই কর্মসূচির বিশেষ ধারণাটির ...
‘জ্যাম’ সম্পর্কে ধারণা ও চিন্তাভাবনার মূলে রয়েছে অনেকগুলি উদ্যোগ ও কর্মসূচি যা আগামীদিনে এক এক করে রূপায়িত হতে চলেছে। আমার কাছে তাই ‘জ্যাম’-এর অর্থ ‘জাস্ট অ্যাচিভিং ম্যাক্সিমাম’, অর্থাৎ, সর্বোচ্চ সাফল্যের লক্ষ্যে। প্রতিটি অর্থের ব্যয় থেকে সর্বোচ্চ সুফল লাভ করতে হবে দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতায়নসম্ভব করে তুলতে হবে দেশের জনসাধারণের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার বাস্তবায়িত করে তোলা প্রয়োজন. -নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরেও ভারতের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর অর্থ, একদিকে যেমন সঞ্চয়ের কোন পথ তাঁদের সামনে খোলা নেই, অন্যদিকে তেমনই প্রাতিষ্ঠানিক ঋণলাভের কোন সুযোগও তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী ...
‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা একটি বিশেষ সমস্যার সম্মুখীন হই। আমাদের উন্নয়নসূচির আদর্শ ছিল একতরফাভাবে কোন কিছু রূপায়ণ করে যাওয়া। লক্ষ্ণৌ, গান্ধীনগর কিংবা দিল্লির জন্য কোন প্রকল্প রচনা করা হলে সেটিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হত অন্যান্য এলাকা বা অঞ্চলগুলিতেও। কিন্তু এই আদর্শ অনুসরণ করার পরিবর্তে আমরা চাহিদা ও প্রয়োজনভিত্তিক উন্নয়নের দিকেই দৃষ্টি ফেরাতে চাই। আর এই কারণেই আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। উন্নয়নের চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তার দিকটি তাই গ্রাম পর্যায়ে প্রথম অনুভূত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। সাধারণ মানুষের হৃদয় জয়ের লক্ষ্যে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ...
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ভারতে শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে রয়েছে অফুরন্ত শক্তি ও উৎসাহ। এই বিষয় দুটিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর এইভাবেই আমাদের জাতি হয়ে উঠবে কর্মপ্রার্থী নয়, কর্মদাতা। - নরেন্দ্র মোদী শিল্পোদ্যোগের বিষয়টিকে উৎসাহিত করতে এনডিএ সরকার বিশেষভাবে সচেষ্ট। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটি গড়ে উঠেছে চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে। শুধুমাত্র নির্মাণ বা উৎপাদন ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহ যোগানো এই কর্মসূচিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নতুন প্রক্রিয়া : শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত কাজকর্মে উৎসাহযোগানোর লক্ষ্যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার ওপর। নতুন পরিকাঠামো: দেশের বিকাশ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক এবং সহায়ক পরিকাঠামো গড়ে তোলা একান্ত ...
উত্তর প্রদেশের গঙ্গার তীরে অবস্থিত বারাণসী থেকে সংসদে ২০১৪ সালের মে মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “মা গঙ্গার সেবা করাই আমার ভাগ্যের লিখন”। গঙ্গানদী যে কেবল সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, দেশের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি এর ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কোয়ার পার্কে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি এই নদীকে আমরা পরিচ্ছন্ন করে তুলতে পারি, তা হলে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের বিরাট উপকার হবে। তাই, গঙ্গাকে পরিষ্কার করার কাজটি এক ধরনের অর্থনৈতিক কর্মসূচিও বটে”। এই স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিতে সরকার ‘নমামী গঙ্গে’ নামে এক সুসংহত গঙ্গা সংরক্ষণ অভিযান চালু করেছে। গঙ্গানদীর ...
স্বাধীনতা লাভের পর প্রায় সাতটি দশক অতিক্রান্ত। কিন্তু দেশের ১৮ হাজার গ্রাম এখনও অন্ধকারে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের অভাবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন যে অন্ধকার এই গ্রামগুলিতে আগামী ১ হাজার দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। তাই, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের লক্ষ্যে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। আর এই কর্মসূচির সর্বত্র রয়েছে এক অভাবনীয় স্বচ্ছতা। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং একটি ওয়েব ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে যে গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা দেখতে পাওয়া যাবে। এই কর্মসূচিটিকে তাই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ হিসেবেই ...
জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এই বছরটি ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক বছর ছিল। কম বৃদ্ধির হার, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার এবং কমে যাওয়া উৎপাদনের হার থেকে এন ডি এ সরকার যে কেবলমাত্র আমাদের অর্থনীতির সাধারণ পর্যায়ের সূচকগুলিকে শক্তিশালী করেছে তাই নয়, অর্থনীতিকে উচ্চ হারে বৃদ্ধির রাস্তায় নিয়ে গেছে। ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশের মতো উচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই হার বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে দ্রুততম বলে বিবেচিত হয়েছে। বিভিন্ন রেটিং সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী এন ডি এ সরকারের আমলে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার দ্রুত হবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক ...
কৃষির বিকাশ ও উন্নয়নে তথা কৃষিক্ষেত্রকে উৎসাহিত করে তোলার লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। কৃষকরা হলেন দেশের মেরুদণ্ড। তাই, দেশের কৃষিজীবী মানুষকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। কৃষির সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে রূপায়িত হচ্ছে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি। সেচের সুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতার বিষয়টিকে উৎসাহিত করবে ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাঁই যোজনা’। এর মূলে রয়েছে এক বিশেষ লক্ষ্য। তা হল, কৃষিযোগ্য ভূমিকে সুরক্ষিত রাখতে কোন না কোনভাবে সেচ-সুবিধার প্রসার ও উন্নয়ন। ‘প্রতিটি জলবিন্দুর বিনিময়ে অধিকতর শস্য’– আধুনিক সেচ পদ্ধতির মূলে রয়েছে এই বিশেষ ধারণাটি। এ সম্পর্কে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে দেশের কৃষি-নির্ভর সাধারণ ...
স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের সুফল জাতির জীবনে এক নতুন পরিবর্তনেরসূচনা করেছে। বিগত দশকটিতে নীতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে দুর্নীতি, বৈষম্য ও একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণের বহু ঘটনাই ঘটে গেছে। কিন্তু গত এক বছরে এই অবস্থায় ঘটেছে এক বিশেষ পরিবর্তন যাকে স্বাগত জানিয়েছে সমগ্র জাতি। কয়লার ব্লক বন্টনের বিষয়টি যখন শীর্ষ আদালত বাতিল বলে ঘোষণা করে, কেন্দ্রীয় সরকার তখন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং সঠিক সময়ে নিলাম বন্টনের ব্যবস্থা করে এক অভূতপূর্ব তৎপরতার নজির সৃষ্টি করে। দেশের ৬৭টি কয়লা ব্লকের নিলাম ও বন্টন থেকে আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে দিল্লি উচ্চ আদালতের বক্তব্যটি হল : “আমরা ...
জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছে। শিক্ষার গুণমান ও প্রসার বৃদ্ধির লক্ষ্যে একগুচ্ছ অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় সমস্ত শিক্ষা ঋণ ও বৃত্তি প্রদান ও নজরদারি চালানোর জন্য একটি সম্পূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা দানের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য মিশন চালু করা হয়েছে। বিদেশের খ্যাতনামা শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট শিক্ষক, বিজ্ঞানী এবং উদ্যোগপতিরা যাতে ভারতের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন অবকাশের সময় পড়াতে পারেন, সেজন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অফ অ্যাকাডেমিক নেটওয়ার্ক বা ‘জ্ঞান’ নামে ...