নয়াদিল্লি, ১০ আগস্ট, ২০২১
নমস্কার,
এখন আমার আপনাদের মধ্যে কয়েকজন মা ও বোনের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার জন্য আনন্দের বিষয়, কয়েকদিন পরেই রাখি উৎসব আসছে আর আজ আমি মা ও বোনেদের অগ্রিম আশীর্বাদও পেয়েছি আর একইসঙ্গে দেশের কোটি কোটি গরীব, দলিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী পরিবারের বোনেদের আজ একটি উপহার দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ উজ্জ্বলা যোজনার পরবর্তী পর্যায়ে অনেক বোনকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ আর গ্যাস উনুন দেওয়া হচ্ছে। আমি সমস্ত সুবিধাভোগীদের আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
মহোবায় উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী হরদীপ সিং পুরীজি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার মন্ত্রিসভার আরেকজন সাথী রামেশ্বর তেলিজি, উত্তরপ্রদেশের দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি ও ডঃ দীনেশ শর্মাজি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সভায় উপস্থিত আমার সাথী সমস্ত সাংসদগণ, সমস্ত সম্মানিত বিধায়কগণ আর আমার ভাই ও বোনেরা,
উজ্জ্বলা যোজনা দেশের যত মানুষের, যত মহিলার জীবনকে উজ্জ্বল করেছে তা অভূতপূর্ব। এই প্রকল্প ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত মঙ্গল পাণ্ডেজির মাটি থেকে শুভ সূচনা হয়েছিল। আজ উজ্জ্বলার দ্বিতীয় সংস্করণও উত্তরপ্রদেশেরই মহোবার বীরভূমি থেকে শুরু হচ্ছে। মহোবা হোক কিংবা বুন্দেলখণ্ড – এগুলি তো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে এক ধরনের জ্বালানির কাজ করেছে। এখানকার প্রতিটি ধূলিকণায় রানি লক্ষ্মীবাঈ, রানি দুর্গাবতী, মহারাজা ছত্রশাল, বীর আলহা আর ঊদল-এর মতো অনেক বীর-বীরাঙ্গনাদের শৌর্যগাথার সুরভী রয়েছে। আজ যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে তখন এই আয়োজনে এই মহান ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করারও সুযোগ এনে দিয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ আমি বুন্দেলখণ্ডের আরেক মহান সন্তানকে স্মরণ করছি। মেজর ধ্যানচাঁদ, আমাদের দদ্দা ধ্যানচাঁদ। দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কারের নাম এখন মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার রাখা হয়েছে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস যে অলিম্পিকে আমাদের যুব বন্ধুদের অভূতপূর্ব প্রদর্শনের মাঝে খেলরত্নের সঙ্গে যুক্ত দদ্দার এই নাম লক্ষ কোটি যুবক-যুবতীকে প্রেরণা জোগাবে। এবার আমরা দেখেছি আমাদের খেলোয়াড়রা মেডেল তো জিতেছেনই, অনেক ক্রীড়ায় অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়ে ভবিষ্যতের সঙ্কেতও প্রদান করেছেন।
ভাই ও বোনেরা,
আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করতে চলেছি। এক্ষেত্রে বিগত ৭.৫ দশক ধরে যে উন্নতি আমরা দেখেছি তা আমাদের অবশ্যই মনে করায় কিছু পরিস্থিতি যা কয়েক দশক আগেই বদলে দেওয়া যেত। বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল, শৌচালয়, গ্যাস, সড়ক, হাসপাতাল, স্কুল – এরকম অনেক মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে যেগুলি পূরণের জন্য দশকের পর দশক ধরে দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি লোকসান যদি কারোর হয়ে থাকে তা আমাদের মা ও বোনেদের বিশেষ করে, গরীব মা ও বোনেরা অনেক সমস্যামুক্ত হয়েছেন। ঝুপড়িতে টপটপ করে জল পড়ায় সবচাইতে বেশি সমস্যা যদি কারোর হয়ে থাকে তাও মায়েদেরই হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে সবচাইতে বেশি সমস্যা যদি কারোর হয়ে থাকে তাও মায়েদেরই হয়েছে। নোংরা জলের জন্য পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েন মায়েরাই। শৌচালয়ের অভাবে মেয়েদের অন্ধকারের জন্য অপেক্ষা করতে হত। বিদ্যালয়ে শৌচাগার না থাকলে সমস্যায় পড়ত আমাদের মেয়েরা। আমাদের মতো অনেক প্রজন্ম মায়েদের ধোঁয়ায় চোখ ঢলতে ঢলতে রান্না করতে দেখেছে, ভীষণ গরমে আগুনের সামনে বসে এই ধরনের দৃশ্য দেখেই তো বড় হয়েছি।
বন্ধুগণ,
এসব সমস্যা নিয়েই কি আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষের দিকে এগিয়ে যেতে পারি? আমরা কি আমাদের প্রাণশক্তি নিছকই মৌলিক প্রয়োজন মেটাতেই খরচ করে যাব? যখন মৌলিক সুবিধার জন্য কোনও পরিবার, কোনও সমাজ সংঘর্ষ করতে থাকে, তখন আমাদের বড় স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হতে পারে? স্বপ্ন পূরণ হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত এই বিশ্বাস সমাজে না পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাস কিভাবে জোটাতে পারবেন। আর আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনও দেশ কিভাবে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারে?
ভাই ও বোনেরা,
২০১৪ সালে যখন দেশবাসী আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, তখন এ ধরনের প্রশ্নগুলি আমরা নিজেদেরকেই জিজ্ঞাসা করি। তখন একদম স্পষ্ট ছিল যে এইসব সমস্যার সমাধান আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খুঁজতে হবে। আমাদের মেয়েরা বাড়ি এবং রান্নাঘরের বাইরে বেরিয়ে জাতি গঠনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান তখনই রাখতে পারবেন যখন আগেই বাড়ি এবং রান্নাঘর সংক্রান্ত সমস্যাগুলি বাস্তবায়িত হবে। সেজন্য বিগত ৬-৭ বছরে এ ধরনের প্রত্যেক সমাধানের জন্য মিশন মোডে কাজ করা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে সারা দেশে কোটি কোটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে। এই বাড়িগুলিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মালিকানার অধিকার মহিলা সদস্যদের নামে রয়েছে। আমরা হাজার হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তৈরি করেছি আর ‘সৌভাগ্য’ যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ৫০ কোটিরও বেশি মানুষকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে। মাতৃবন্দনা প্রকল্পের মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সময় টিকাকরণ আর পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য হাজার হাজার টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হচ্ছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি। এতে করোনাকালে সরকার প্রায় ৩০ হাজার কোটি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করিয়েছে। এখন আমরা জল জীবন মিশনের মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারগুলিতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল পৌঁছনোর কাজ করে চলেছি।
বন্ধুগণ,
বোনেদের স্বাস্থ্য, সুবিধা এবং ক্ষমতায়নের এই সঙ্কল্পের বাস্তবায়নে উজ্জ্বলা যোজনায় অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৮ কোটি গরীব, দলিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী পরিবারগুলির বোনেদের বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা কতটা লাভবান হয়েছেন এটা আমরা করোনা সঙ্কটকালে দেখেছি। যখন বাইরে যাওয়া-আসা বন্ধ ছিল, কাজকর্ম বন্ধ ছিল তখন কোটি কোটি গরীব পরিবারে কয়েক মাস ধরে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারও দেওয়া হয়েছিল। কল্পনা করুন, উজ্জ্বলা না থাকলে করোনার সঙ্কটকালে আমাদের এই গরীব বোনেদের অবস্থা কী হত!
বন্ধুগণ,
উজ্জ্বলা যোজনার আরেকটি প্রভাব হল গোটা দেশে এলপিজি গ্যাস সংক্রান্ত পরিকাঠামো কয়েকগুণ বিস্তৃতি লাভ করেছে। বিগত ৬-৭ বছরে সারা দেশে ১১ হাজারেরও বেশি নতুন এলপিজি বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুধু উত্তরপ্রদেশেই ২০১৪-তে ২ হাজারেরও কম বিতরণ কেন্দ্র ছিল। আজ উত্তরপ্রদেশে এর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি। এর ফলে একদিকে আমাদের যুব সম্প্রদায় নতুন কর্মসংস্থান পাচ্ছেন আর অন্যদিকে যে পরিবারগুলি আগে উন্নত পরিষেবার অভাবে গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল, তাঁরাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এভাবেই নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে আজ ভারতে রান্নার গ্যাস কভারেজ ১০০ শতাংশের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে যত গ্যাস সংযোগ ছিল তার অনেক বেশি বিগত সাত বছরে দেওয়া হয়েছে। সিলিন্ডার বুকিং এবং ডেলিভারি নিয়ে আমাদের যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলিও দূর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
উজ্জ্বলা যোজনার এই যে সুবিধা বেড়েছে, এতে আজ আরেকটি মাত্রা যোগ করা হচ্ছে। বুন্দেলখণ্ড সহ গোটা উত্তরপ্রদেশে আর আমার অন্যান্য রাজ্যের অনেক বন্ধু কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে শহরে যান। অন্যরা রাজ্যেই থেকে যান। কিন্তু সেখানে তাঁদের সামনে ঠিকানার প্রমাণও সবসময় ছিল না। এবার এরকম লক্ষ লক্ষ পরিবারকে উজ্জ্বলা ২.০ প্রকল্প সবচাইতে বেশি কাজে লাগবে। এখন আমার শ্রমিক বন্ধুদের আর ঠিকানার প্রমাণের জন্য এখানে-সেখানে ছটফট করে মরতে হবে না, আপনাদের সততার ওপর সরকারের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। আপনারা নিজেদের ঠিকানা নিছকই একটি সেলফ ডিক্লারেশন অর্থাৎ, নিজে লিখে দিতে হবে আর আপনারা গ্যাস সংযোগ পেয়ে যাবেন।
বন্ধুগণ,
সরকারের প্রচেষ্টা এখন সেই লক্ষ্যেও এগিয়ে যাওয়া, যাতে আপনাদের রান্নাঘরে নলের মাধ্যমে জলের মতো নলের মাধ্যমে গ্যাসও আসে। এই পিএনজি সিলিন্ডারের তুলনায় অনেক সস্তায় পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশ সহ পূর্ব ভারতের অনেক জেলায় পিএনজি সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রথম পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশের ৫০টিরও বেশি জেলায় প্রায় ২১ লক্ষ বাড়িকে আমরা যুক্ত করার লক্ষ্য রেখেছি। এভাবে সিএনজি-ভিত্তিক যানবাহন চালু করার ক্ষেত্রেও বিশদভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
স্বপ্ন যখন বড় হয় তখন তাকে পাওয়ার চেষ্টাও ততটাই বড় হওয়া উচিৎ। আজ বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলিকে আবার স্মরণ করব। একটু আগেই আমরা একটা ছোট তথ্যচিত্র দেখেছি। জৈব জ্বালানি ক্ষেত্রে কী ধরনের কাজ হচ্ছে তা এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে। জৈব জ্বালানি একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানিই শুধু নয়, এই জ্বালানি আত্মনির্ভরতার ইঞ্জিনকে, দেশের উন্নয়নের ইঞ্জিনকে ও গ্রামের উন্নয়নের ইঞ্জিনকে গতি প্রদানেরও একটি মাধ্যম। জৈব জ্বালানি একটি এমন জ্বালানি যা আমরা বাড়ি এবং খেতের আবর্জনা থেকে, গাছের পচা ফল থেকে পেতে পারি। তেমনই একটি জৈব জ্বালানি ইথানল নিয়ে দেশ অনেক বড় লক্ষ্যসাধনের কাজ করছে। বিগত ৬-৭ বছরে আমরা পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মেশানোর লক্ষ্য পূরণের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ৪-৫ বছরে আমরা ২০ শতাংশ মিশ্রণের লক্ষ্যকে হাসিল করার দিকে এগিয়ে চলেছি। লক্ষ্য, দেশে এমন সব গাড়ি উৎপাদন করা যেগুলি ১০০ শতাংশ ইথানল দিয়েই চলবে।
বন্ধুগণ,
ইথানলের ব্যবহার বাড়লে যাতায়াত অনেক সস্তা হবে, পরিবেশও ততটাই নিরাপদ থাকবে। কিন্তু সব থেকে বড় লাভ হবে আমাদের কৃষকদের, আমাদের যুব সম্প্রদায়ের। তাঁদের মধ্যেও বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের কৃষক ও যুব সম্প্রদায়ের অনেক বেশি লাভ হবে। আখ থেকে যখন ইথানল তৈরির বিকল্প পাওয়া যাবে, তখন আখ চাষিরা আগের থেকে অনেক বেশি রোজগার করবেন। কৃষকরা তাড়াতাড়ি টাকা পাবেন আর ঠিক সময়ে পাবেন। গত বছরই উত্তরপ্রদেশে ইথানল উৎপাদকদের থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার ইথানল কেনা হয়েছে। গত বছর ইথানলের সঙ্গে যুক্ত জৈব জ্বালানির মাধ্যমে অনেক কারখানা উত্তরপ্রদেশেই তৈরি করা হয়েছে। আখের ছিবড়ে থেকে কম্প্রেসড বায়ো-গ্যাস তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশের ৭০টি জেলায় সিবিজি প্ল্যান্টস বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। এখন তো কৃষি-অবশিষ্ট থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদনের জন্য তিনটি বড় কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কমপ্লেক্স বদায়ু এবং গোরক্ষপুরে আর একটি পাঞ্জাবের ভাতিন্ডাতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি কৃষকদের আবর্জনা থেকেও রোজগার দেবে। আমাদের হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে আর পরিবেশও ভালো থাকবে।
বন্ধুগণ,
এভাবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল গোবর্ধন যোজনা। এই প্রকল্প গোবর থেকে বায়ো-গ্যাস উৎপাদনের উৎসাহ জোগায়। এর মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পরিচ্ছন্নতাই আসবে আর এ ধরনের পশুরা যারা ডেয়ারি ক্ষেত্রের জন্য আর উপযুক্ত নয়, যখন আর দুধ দেবে না, তখনও তার গোবর কৃষকদের রোজগারের কারণ হয়ে উঠবে। যোগীজির সরকার অনেক গোশালাও নির্মাণ করিয়েছে। এই গোরুগুলি এবং অন্যান্য গবাদি পশুর দেখাশোনা আর কৃষকদের ফসলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।
বন্ধুগণ,
এখন দেশ মূল পরিষেবাগুলির লক্ষ্য পূরণে উন্নত জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। আগামী ২৫ বছরে আমাদের এই সামর্থ্যকে কয়েকগুণ বাড়াতে হবে। সমর্থ এবং সক্ষম ভারতের এই সঙ্কল্পকে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে বাস্তবায়িত করতে হবে। এক্ষেত্রে বোনেদের বিশেষ ভূমিকা থাকবে। আমি উজ্জ্বলা যোজনার সমস্ত সুবিধাভোগী বোনেদের আরেকবার শুভকামনা জানাই আর রাখির এই পবিত্র উৎসবের আগে মা-বোনেদের এই সেবা করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের আশীর্বাদ সর্বদাই যেন আমার ওপর বজায় থাকে, যাতে আমরা একটি নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে ভারতমাতার সেবার জন্য, ১৩০ কোটি দেশবাসীর সেবার জন্য গ্রাম, গরীব, কৃষক, দলিত, পীড়িত, পিছিয়ে পড়া – সকলের সেবার জন্য আপ্রাণ কাজ করে যেতে পারি – এই কামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
CG/SB/DM/
Speaking at the launch of #PMUjjwala2. https://t.co/720VRhaqWT
— Narendra Modi (@narendramodi) August 10, 2021
उज्ज्वला योजना ने देश के जितने लोगों, जितनी महिलाओं का जीवन रोशन किया है, वो अभूतपूर्व है।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
ये योजना 2016 में यूपी के बलिया से, आजादी की लड़ाई के अग्रदूत मंगल पांडे की धरती से शुरु हुई थी।
आज उज्ज्वला का दूसरे संस्करण भी यूपी के ही महोबा की वीरभूमि से शुरु हो रहा है: PM
आज मैं बुंदेलखंड की एक और महान संतान को याद कर रहा हूं।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
मेजर ध्यान चंद, हमारे दद्दा ध्यानचंद।
देश के सर्वोच्च खेल पुरस्कार का नाम अब मेजर ध्यान चंद खेल रत्न पुरस्कार हो गया है: PM @narendramodi
बीते साढ़े 7 दशकों की प्रगति को हम देखते है तो हमें जरूर लगता है कि कुछ स्थितियां, कुछ हालात ऐसे हैं जिनको कई दशक पहले बदला जा सकता था।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
घर, बिजली, पानी, शौचालय, गैस, सड़क, अस्पताल, स्कूल, ऐसी अनेक मूल आवश्यकताएं है जिनकी पूर्ति के लिए दशकों का इंतज़ार देशवासियों को करना पड़ा: PM
हमारी बेटियां घर और रसोई से बाहर निकलकर राष्ट्रनिर्माण में व्यापक योगदान तभी दे पाएंगी, जब पहले घर और रसोई से जुड़ी समस्याएं हल होंगी।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
इसलिए, बीते 6-7 सालों में ऐसे हर समाधान के लिए मिशन मोड पर काम किया गया है।
स्वच्छ भारत मिशन के तहत देशभर में करोड़ों शौचालय बनाए गए: PM
बहनों के स्वास्थ्य, सुविधा और सशक्तिकरण के इस संकल्प को उज्ज्वला योजना ने बहुत बड़ा बल दिया है।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
योजना के पहले चरण में 8 करोड़ गरीब, दलित, वंचित, पिछड़े, आदिवासी परिवारों की बहनों को मुफ्त गैस कनेक्शन दिया गया।
इसका कितना लाभ हुआ है, ये हमने कोरोना काल में देखा है: PM
बुंदेलखंड सहित पूरे यूपी और दूसरे राज्यों के हमारे अनेक साथी, काम करने के लिए गांव से शहर जाते हैं, दूसरे राज्य जाते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
लेकिन वहां उनके सामने एड्रेस के प्रमाण की समस्या आती है।
ऐसे ही लाखों परिवारों को उज्ज्वला 2.0 योजना सबसे अधिक राहत देगी: PM @narendramodi
अब मेरे श्रमिक साथियों को एड्रेस के प्रमाण के लिए इधर-उधर भटकने की ज़रूरत नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
सरकार को आपकी ईमानदारी पर पूरा भरोसा है।
आपको अपने पते का सिर्फ एक सेल्फ डेक्लेरशन, यानि खुद लिखकर देना है और आपको गैस कनेक्शन मिल जाएगा: PM @narendramodi
बायोफ्यूल एक स्वच्छ ईंधन मात्र नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
बल्कि ये ईंधन में आत्मनिर्भरता के ईंजन को, देश के विकास ईंजन को, गांव के विकास ईंजन को गति देने का भी एक माध्यम है।
बायोफ्यूल एक ऐसी ऊर्जा है जो हम घर और खेत के कचरे से, पौधों से, खराब अनाज से प्राप्त कर सकते हैं: PM @narendramodi
अब देश मूल सुविधाओं की पूर्ति से, बेहतर जीवन के सपने को पूरा करने की तरफ बढ़ रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 10, 2021
आने वाले 25 साल में इस सामर्थ्य को हमें कई गुणा बढ़ाना है।
समर्थ और सक्षम भारत के इस संकल्प को हमें मिलकर सिद्ध करना है।
इसमें बहनों की विशेष भूमिका होने वाली है: PM @narendramodi