নতুন দিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
নমস্কার,
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী ডাঃ হর্ষবর্ধন জী, বিভাগীয় জাতীয় সভাপতি ডঃ বিজয় ভাটকর জী, সম্মানিত বৈজ্ঞানিক গণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয় গণ।
উৎসব, পার্বণ যেমন ভারতের চরিত্রে রয়েছে, ভারতের স্বভাবে রয়েছে, তেমনি এগুলি ভারতের ঐতিহ্য। আজকের এই উৎসবে আমরা বিজ্ঞানকে উদযাপন করছি। আমরা সেই মানুষের প্রাণশক্তিকেও উদযাপন করছি যাঁরা আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহ জুগিয়ে যান।
বন্ধুগণ,
ভারতে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে। আমাদের বৈজ্ঞানিকেরা ব্যতিক্রমী গবেষণা করেছেন। আমাদের প্রযুক্তি শিল্প বিশ্বের সমস্যাগুলি সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু, ভারত আরও করতে চায়। আমরা উন্নততর ভবিষ্যতের আকাংখায় গর্বের সঙ্গে নিজেদের অতীতের দিকে তাকাই।
বন্ধুগণ,
সেজন্য ভারত বুনিয়াদি শিক্ষায় জোর দিচ্ছে। আপনাদের থেকে ভালো আর কে জানে যে বৈজ্ঞানিক মেজাজ তৈরি করতে শৈশব থেকে ভালো সময় আর কী হতে পারে? আজ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় গঠনগত সংস্কার করা হচ্ছে। যাতে কেতাবী জ্ঞান থেকে এগিয়ে আরও আরও জিজ্ঞাসা জেগে ওঠে। তিন দশকের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর দেশ একটি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি পেয়েছে। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রের অগ্রাধিকারই বদলে গেছে।
আগে প্রারম্ভিকতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, এখন ফলাফলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আগে পাঠ্যবই পড়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, এখন গবেষণা এবং প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশে এমন একটি আবহ গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যার মাধ্যমে দেশে অতি উৎকৃষ্ট শিক্ষকদের একটি দল তৈরি হতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নতুন এবং উঠতি বৈজ্ঞানিকদেরও সাহায্য করবে, প্রেরণা জোগাবে।
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
শিক্ষাক্ষেত্রে এই যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে তার পরিপুরক হিসেবে অটল ইনোভেশন মিশনও শুরু করা হয়েছে। এই অভিযান জিজ্ঞাসা, উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনকে একপ্রকার উদযাপন করে। এর মাধ্যমে সারা দেশের অনেক স্কুলে অটল টিংকারিং ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে, যেগুলি উদ্ভাবনের নতুন ক্রীড়া ক্ষেত্র রূপে সাফল্য পাচ্ছে। এই গবেষণাগারগুলির মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নত হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অটল ইনকিউবেশন সেন্টারগুলি তৈরি করা হচ্ছে যাতে দেশে গবেষণা এবং উন্নয়নের একটি উন্নত ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এভাবে আরও উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আরও আইআইটি প্রতিষ্ঠার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,
উৎকৃষ্ট গবেষণার জন্য সরকার প্রাইম মিনিস্টার রিসার্চ ফেলোশিপ স্কিমও শুরু করেছে। এর লক্ষ্য হলো দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের পছন্দ মতো গবেষণা করার সুযোগ দেওয়া। দেশের সমস্ত আইআইটি, সমস্ত আইআইএসইআর, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ্ সায়েন্স এবং কিছু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং এনআইটি-তে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভূত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে এর মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে ৬-৭ মাস আগে এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিগত কয়েক মাসে আমার অনেক বৈজ্ঞানিক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত বৈভব শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করেছে। একমাস ধরে চলা এই শীর্ষ সম্মেলনে গোটা বিশ্ব থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকরা এক মঞ্চে জড়ো হয়েছেন। এতে প্রায় ২৩ হাজার বন্ধু অংশগ্রহণ করেছেন। ৭০০ ঘন্টা থেকেও বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। আমারও অনেক বৈজ্ঞানিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই কথা বলার সময় তাঁদের অধিকাংশই দুটো বিষয়ে জোর দিয়েছেন। এই দুটি বিষয় হলো আস্থা এবং সহযোগিতা। দেশ আজ এই আস্থা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সাফল্যের লক্ষ্যেই কাজ করছে।
আমরা বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা চাই আমাদের বিজ্ঞানী বন্ধুরা, বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাগুলির সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের মেধাকে লালিত করুন, ক্ষুরধার করুন। এটা আশ্বর্যের নয় যে ভারত হ্যাকাথনের আয়োজন এবং অংশগ্রহণে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশ – বিদেশে আয়োজিত এই ধরণের হ্যাকাথন আমাদের বিজ্ঞানীদের সামনে মত বিনিময় এবং নানা সুযোগের দরজা খুলে দেয়।
বন্ধুগণ,
যতক্ষণ পর্যন্ত না বিজ্ঞানের লাভ এবং ব্যবহারযোগ্যতা প্রত্যেক মানুষের পক্ষে সহজ হয়, ততক্ষণ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি অসম্পূর্ণ। বিগত ৬ বছরে দেশের যুব শক্তিকে এধরণের সুযোগের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য দেশে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্তারিত করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন ভারতে অভাব এবং প্রভাবের মাঝের সুগভীর খাদটি পূরণ করার ক্ষেত্রে একটি বড় সেতু গড়ে তুলছে। এর সাহায্যে প্রথমবার দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষও সরকারের সঙ্গে, ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সাধারণ ভারতবাসীর শক্তি বেড়েছে এবং সরকারি সাহায্যকে সরাসরি দ্রুত ‘ডেলিভারির’ ভরসাও দেওয়া হয়েছে। আজ গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শহরগুলি থেকে অনেক বেশি। গ্রামের গরীব কৃষকরাও ডিজিটাল লেনদেন করছেন। আজ ভারতের একটি বড় জনসংখ্যা স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপগুলির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আজ ভারত গ্লোবাল হাইটেক পাওয়ারের বিবর্তন এবং বিপ্লব উভয়েরই কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
বন্ধুগণ,
ভারত এখন বিশ্বস্তরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষ পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে পৌঁছনোর জন্য হাইটেক সমাধান সৃষ্টি এবং গ্রহণের জন্য তৎপর। ভারতের কাছে হাইটেক হাইওয়ের জন্য ‘ডেটা, ডেমোগ্রাফি এবং ডিম্যান্ড’, অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তি, জনসংখ্যার সুবিধা, এবং চাহিদা আর এগুলিকে সামলানোর জন্য ভারসাম্য, এবং সংরক্ষণ প্রদানের জন্য গণতন্ত্রও রয়েছে। সেজন্য বিশ্ব আজ ভারতকে এতটা ভরসা করছে।
বন্ধুগণ,
সম্প্রতি ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানকে আরও ছড়িয়ে দিতে পিএম বাণী স্কিমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে গোটা দেশে সরকারি জায়গায় সকলের জন্য উৎকৃষ্ট ওয়াই-ফাই যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্ভব হবে। বিজ্ঞান লাভবান হবে। কারণ দেশের গ্রামগুলি থেকে উঠে আসা যুব সম্প্রদায়ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সহজেই আয়ত্ব করতে পারবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে জলের অভাব, দূষণ, মাটির উৎকর্ষ এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো অনেক সমস্যা রয়েছে। যেগুলির আধুনিক সমাধান বিজ্ঞানের হাতে রয়েছে। আমাদের সমুদ্রগুলিতে যে জল শক্তি এবং খাদ্যের ভাণ্ডার রয়েছে সেসব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দ্রুত গতিতে প্রকাশ করার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের বড় ভূমিকা রয়েছে। যেভাবে আমরা মহাকাশ ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি, এমনি আমাদের গভীর সমুদ্রেও সাফল্য পেতে হবে। ভারত সেজন্য গভীর সমুদ্র অভিযানও শুরু করেছে।
বন্ধুগণ,
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা যা কিছু নতুন অর্জন করছি তার লাভ আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রতিফলিত হবে। এখন যেমন মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কার করা হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়কে, দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রকেও শুধু আকাশ নয় অসীম উচ্চতা স্পর্শ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাচ্ছে। নতুন উৎপাদন সংশ্লিষ্ট উৎসাহ-ভাতা স্বরূপ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এহেন পদক্ষেপের ফলে বিজ্ঞানী সমাজ এবং বিজ্ঞান চর্চা আরও শক্তিশালী হবে, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। এর ফলে উদ্ভাবনের জন্য বেশি ‘রিসোর্সেস জেনারেট করা হবে’ এগুলির ফলে বিজ্ঞান এবং শিল্পের মাঝে অংশীদারিত্বের একটি নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, তা সে হাইড্রোজেন অর্থনীতি হোক, নীল অর্থনীতি হোক কিংবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার হোক, নতুন নতুন চুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন পথ বেরিয়ে আসবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই উৎসব, বিজ্ঞান ও শিল্পের মাঝে সমন্বয়ের প্রাণশক্তি এবং সহযোগিতার নতুন মাত্রা প্রদান করবে। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সবচাইতে বড় সমস্যা হলো কোভিড অতিমারীর সময় ভ্যাকসিন তৈরি করা। যাই হোক, এখনকার মতো এটিই সবচাইতে বড় সমস্যা। আপনারা বিজ্ঞানের প্রতি অতি উৎকৃষ্ট মেধার ছেলেমেয়েদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে দীর্ঘকাল সঙ্গে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। ফলস্বরূপ এখন পিওর সায়েন্স থেকে প্রযুক্তির পাঠ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং যুবক- যুবতীদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যাই হোক, যে কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য চাই সেদেশে বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানের ক্ষমতা বৃদ্ধি। কারণ যা আজ বিজ্ঞান সেটাই আগামীকাল প্রযুক্তিতে পরিণত হবে। আর পরবর্তীকালে তাই হয়ে উঠবে এক একটি কারিগরি সমাধান।
সুতরাং, এই বৃত্ত ভালো মেধাদের আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা ক্ষেত্রে আকর্ষণ করবে। সেজন্য সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রবৃত্তি ঘোষণা করেছে। কিন্তু এজন্য বিজ্ঞানী সম্প্রদায়ের মধ্য থেকেও একটি বড় জনসংযোগের উদ্যোগ নিতে হবে। চন্দ্রযান অভিযান ঘিরে উত্তেজনা একটি মহান সূত্রপাত বলা যেতে পারে। আমরা তখন দেশের নবীন প্রজন্মের প্রবল উৎসাহ দেখেছি। আমাদের ভাবি বৈজ্ঞানিকেরা সেই উৎসাহীদের মধ্য থেকেই উঠে আসবেন। তাঁদেরকে আমাদের প্রেরণা জোগাতে হবে।
বন্ধুগণ,
আজকের এই জমায়েতের মাধ্যমে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভারতীয় প্রতিভা এবং ভারতে উদ্ভাবন ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহ জোগাতে হবে। ভারত তার উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতাকে উদযাপন করছে। ভারত সরকার যে কোনো সমস্যা এবং গবেষণার পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
বন্ধুগণ,
বিজ্ঞান, ব্যক্তির মনের সামর্থকে, ব্যক্তির অন্তরে যা কিছু শ্রেষ্ঠ তা প্রকাশ করায়। এই প্রাণশক্তি আমরা কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কর্মরত আমাদের বৈজ্ঞানিকদের মধ্যেও দেখেছি। আমাদের বৈজ্ঞানিকেরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সামনে রেখেছে, উন্নত পরিস্থিতিতে রেখেছে।
বন্ধুগণ,
২০০০ বছর আগে মহান তামিল সন্ন্যাসী এবং সমাজ সংস্কারক থিরুবল্লুভর জী যে সূত্রবাক্য, যে মন্ত্র গিয়ে গেছিলেন তা আজও ততটাই সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন ‘বালুকাময় মাটিতে আপনারা যত গভীরে খনন করতে থাকবেন তত দ্রুত একদিন অবশ্যই জল পর্যন্ত পৌঁছে যাবেন। ঠিক তেমনি আপনারা যত বেশি শিখতে থাকবেন একদিন জ্ঞানের ও বুদ্ধিমত্তার অমৃত প্রবাহ পর্যন্ত অবশ্যই পৌঁছবেন’!
আপনাদের সকলের প্রতি আমার আনুরোধ, এই শেখার প্রক্রিয়াকে কখনো থামতে দেবেন না। আপনারা যত শিখবেন, যত নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন করবেন ততই আপনাদের উন্নতি হবে, এবং দেশেরও উন্নতি হবে। এই প্রাণ শক্তি ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হবে। বিজ্ঞান ভারতকে, গোটা বিশ্বের উন্নয়নকে আরও প্রাণ শক্তি জুগিয়ে যাবে। এই কামনা, এই বিশ্বাসের সঙ্গে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
***
CG/SB/SKD
Speaking at the India International Science Festival. https://t.co/AosroYdIQI
— Narendra Modi (@narendramodi) December 22, 2020