Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য


নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

 

মহামান্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজি, নমস্কার!

বিজয় দিবসের অনেক অনেক অভিনন্দন আর পৌষ পার্বণের শুভেচ্ছা। 

আজ গোটা বিশ্ব ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করছে, কিন্তু আপনার আর আমার মাঝে এই মাধ্যম নতুন নয়। অনেক বছর ধরেই আমরা ভিডিও-র মাধ্যমে কথাবার্তা বলে আসছি। 

অনেকবার আমরা ভিডিও-র মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি।

মহামান্যবর,

বিজয় দিবসের পরদিনই আমাদের আজকের সাক্ষাৎ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিগুলিকে হারিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়কে আপনাদের এই বিজয় দিবস রূপে উদযাপন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আজ যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৯তম বর্ষপূর্তি পালন করছে, আমি উভয় দেশের শহীদদের, যাঁরা নিজেদের প্রাণ আহুতি দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রণাম জানাই। 

বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল আমি ভারতে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছি আর চারটি স্বর্ণিম বিজয় মশাল প্রজ্জ্বলিত করেছি। 

এই চারটি বিজয় মশাল গোটা ভারত ভ্রমণ করবে আমাদের শহীদদের গ্রামে গ্রামে সফর করবে। 

১৬ ডিসেম্বরে আমরা স্বর্ণিম বিজয় দিবস পালন করছি। সারা ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। 

মহামান্যবর,

মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে আমি সমস্ত ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। 

আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা আমার জন্য গর্বের বিষয় হবে।

মহামান্যবর,

বাংলাদেশ আমাদের ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির একটি মূল স্তম্ভ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও নিবিড় করার প্রতি প্রথমদিন থেকে আমার বিশেষ অগ্রাধিকার ছিল। 

এটা সত্যি যে বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে এ বছরটি সকলের জন্য অত্যন্ত সমস্যাসঙ্কুল ছিল। 

কিন্তু আনন্দের বিষয় হল এই কঠিন সময়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় ছিল। 

ঔষধ সরবরাহ থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জামের জোগান কিংবা উভয় দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের মিলেমিশে কাজ করার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও আমাদের উভয় দেশের মধ্যে খুব ভালো সহযোগিতা চলছে। এই ক্রমানুসারে আমরা আপনাদের প্রয়োজনের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখব।

সার্ক ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবদানের জন্য আমি আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। 

স্বাস্থ্য ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও এ বছর আমাদের বিশেষ সহযোগিতা নিরন্তর এগিয়ে চলেছে। 

স্থল সীমান্ত বাণিজ্যে নানা বাধা-বিপত্তি আমরা লাঘব করতে পেরেছি। উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেক বেশি বিস্তারিত করেছি। নতুন নতুন যোগাযোগের পথ খুলে গিয়েছে। 

এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য আমাদের প্রবল ইচ্ছাশক্তির পরিচায়ক। 

মহামান্যবর,

‘মুজিব চিরন্তর’ – বঙ্গবন্ধুর বার্তা অত্যন্ত আন্তরিক। এই মনোভাব থেকে আমরাও তাঁর মূল্যবোধের উত্তরাধিকারকে সম্মান করি। 

আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধের উত্তরাধিকার স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের জন্য আপনার ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতাও অত্যন্ত সুস্পষ্ট। 

এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আজ আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে একটি ডাকটিকিটের উদ্বোধন আর বাপু ও বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হচ্ছে। আমি আশা করি যে বাপু ও বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শনী আমাদের যুব সম্প্রদায়কে প্রেরণা জোগাবে, এত অংশ বিশেষ বিভাগে কস্তুরবা গান্ধীজি এবং পূজনীয় বঙ্গমাতাজিকেও উৎসর্গ করা হয়েছে। 

মহামান্যবর,

এখন আমি আপনাকে উদ্বোধনী বক্তব্যের জন্য আমন্ত্রণ জানাই। 

***

 

CG/SB/DM