নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মাননীয় সাধারণ পরিষদের সভাপতি মহোদয়,
১৩০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম বার্ষিকীতে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ভারত গর্বিত। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আবেগের কথা আপনাদের মধ্যে ভাগ করে নেব।
মহামান্য,
১৯৪৫ সালের পৃথিবীর সঙ্গে আজকের পৃথিবীর তাৎপর্যপূর্ণভাবে তফাৎ রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, সূত্র-সম্পদ, সমস্যা-সমাধান – সবকিছুই বেশ আলাদা। গঠনগত চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে যে আন্তর্জাতিক কল্যাণে এই প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়েছিল, সেদিনের সময়ের নিরিখে তা যুক্তিযুক্ত ছিল। আজ আমরা সম্পূর্ণ আলাদা এক জগতে রয়েছি। একবিংশ শতাব্দীতে বর্তমানে আমরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং আমরা যে ভবিষ্যতের মুখোমুখি তা অতীতের সেই সময় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাই, আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন : যে প্রতিষ্ঠানের সনদ ১৯৪৫ সালের পরিস্থিতি অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল, তা কি আজ প্রাসঙ্গিক? যদি শতাব্দী বদলায়, আর আমরা না বদলাই, তাহলে শক্তি এক সময় দুর্বল হয়ে যায়। আমরা যদি গত ৭৫ বছরের রাষ্ট্রসঙ্ঘকে মূল্যায়ন করি, তাহলে আমরা অনেক সাফল্য দেখতে পাব।
কিন্তু একই সময়ে এমন অনেক ঘটনাও রয়েছে যার নিরিখে বলা যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন আছে। যে কেউ বলতে পারেন যে আমরা সফলভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে এড়াতে পেরেছি। কিন্তু বিভিন্ন যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ আমরা এড়াতে পারিনি, সেটা অস্বীকার করা যায় না। বহু সন্ত্রাসবাদী হামলায় বিশ্ব কেঁপে উঠেছে, রক্তস্নাত হয়েছে। যেসব মানুষ তাঁদের জীবন এই যুদ্ধ এবং হামলায় হারিয়েছেন তাঁরা সকলেই মানুষ, আপনার মতো, আমার মতো। হাজার হাজার শিশু যারা এই বিশ্বকে সমৃদ্ধ করতে পারত, তারা অকালে ঝরে গেছে। বহু মানুষ তাদের জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে গৃহহীন হয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন। সেই সময়ের রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্যোগ কি যথেষ্ট ছিল? এমনকি, আজকের নিরিখেও তা কি যথেষ্ট? সারা বিশ্ব গত ৮-৯ মাস ধরে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই মহামারীর বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ কোথায়? তার সক্রিয় ভূমিকা কোথায়?
মহামান্য,
এই আঙ্গিকে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করা রাষ্ট্রসঙ্ঘের চরিত্রের দিক থেকে অত্যন্ত প্রয়োজন। এটা ঘটনা যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে বিশ্বাস এবং সম্মান ভারতে পেয়ে আসছে তা অনবদ্য। কিন্তু এটাও সত্যি যে ভারতের জনসাধারণ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সার্বিক সংস্কারের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ ভারতের জনসাধারণ ভাবছেন, এই সংস্কার প্রক্রিয়া কখন যুক্তিসম্মতভাবে শেষ হবে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারত আর কতদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাঠামোর বাইরে থাকবে? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ যে দেশে বাস করেন, যে দেশে শত শত ভাষা রয়েছে, উপ-ভাষা আছে, অনেক মতের মানুষ বাস করেন, সেই দেশ ౼ যে দেশ এক সময়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, আবার সেই দেশ যারা শত শত বছর বিদেশি শাসনের অধীনে ছিল।
মহামান্য,
যখন আমরা শক্তিশালী ছিলাম, আমরা সারা পৃথিবীতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি করিনি; যখন আমরা দুর্বল ছিলাম, আমরা তখনও পৃথিবীর বোঝা হয়ে থাকিনি।
মহামান্য,
যখন সেই দেশের পরিবর্তন বিশ্বের বৃহৎ অংশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তখন আর কতদিন সে অপেক্ষা করে থাকবে?
মহামান্য,
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ভাবনা নিয়ে গঠিত হয়েছিল তার সঙ্গে ভারতের ভাবনার যথেষ্ট মিল রয়েছে এবং ভারতের মৌলিক দর্শনের থেকে তা কিছু আলাদা নয়। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ – সারা বিশ্ব একটি পরিবার – এই ভাবনাই তো গোটা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মধ্যে আছে। আমরা সারা বিশ্বকে একটি পরিবার বলে বিবেচনা করি। আমাদের সংস্কৃতি, স্বভাব এবং ভাবনার এটি অঙ্গ। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও ভারত সবসময় সারা বিশ্বের কল্যাণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ভারত হল সেই দেশ যে তার সাহসী সৈনিকদের ৫০টি শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পাঠিয়েছে। ভারত হল সেই দেশ যার সাহসী সৈন্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সবথেকে বেশি আত্মোৎসর্গ করেছেন। আজ প্রতিটি ভারতীয় যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের অবদান দেখেন, তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানে ভারতের বর্ধিত ভূমিকার আশা করেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান,
২ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ এবং ২১ জুন ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ পালনের উদ্যোগ ভারত নিয়েছিল। একইভাবে, আজ ভারতের উদ্যোগে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো উন্নয়নের জোট এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোট বাস্তবায়িত হয়েছে। ভারত সবসময়ই সারা মানবজাতির স্বার্থের কথা বিবেচনা করে। তার নিজের কুক্ষিগত স্বার্থের কথা ভাবে না। ভারতের নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই দর্শনই সবসময় চালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করে। ভারতের এই দর্শনের এক ঝলক আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের ‘প্রতিবেশীই প্রথম নীতি’ থেকে আমাদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’, এই অঞ্চলের সকলের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকার মধ্য দিয়ে। ভারতের অংশীদারিত্ব সবসময়ই এই নীতির ওপর ভর করে চলে। ভারতের যে কোনও বন্ধুত্বসুলভ আচরণ কখনই কোন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যায় না। ভারত যখন উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করে, তার পেছনে তার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করে না – যাতে অংশীদার রাষ্ট্রটি নির্ভরশীল অথবা অসহায় হয়ে পরে। আমাদের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে আমরা কখনই পিছপা হই না।
মহামান্য,
মহামারীর এই সময়ে যখন প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, ভারতের ওষুধ শিল্প ১৫০টির বেশি দেশকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে। বিশ্বের সবথেকে বড় টিকা প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে আমি আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই আশ্বাস দিতে চাই যে, এই সঙ্কটের বিরুদ্ধে মানবজাতিকে ভারতের টিকা উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থা সাহায্য করবে। ভারতে এবং আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আমরা তৃতীয় পর্যায়ের চিকিৎসামূলক পরীক্ষা চালাচ্ছি। ভারত সব রাষ্ট্রকে তাদের টিকা প্রদানের জন্য কোল্ড চেন এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
মহামান্য,
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। যাঁরা তাদের আস্থা ভারতের প্রতি দেখিয়েছেন, আমি আমার দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সারা বিশ্বের উপকারের জন্য বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা আমরা ব্যবহার করব। মানবকল্যাণে আমাদের যে পথ অনুসরণ করি, তা সারা বিশ্বের কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হবে। ভারত সবসময়ই শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির পক্ষে বক্তব্য রেখে এসেছে। মানবতা, মানবজাতি এবং মানবিক মূল্যবোধের শত্রুর বিরুদ্ধে অর্থাৎ, জঙ্গিবাদ, অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান, মাদক পাচার এবং অর্থ তছরূপের বিরুদ্ধে ভারত সোচ্চার হতে কখনও দ্বিধাবোধ করেনি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরম্পরা এবং হাজার বছরের অভিজ্ঞতা౼ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির ভালোর জন্য সবসময় সাহায্য করবে। ভারতের অভিজ্ঞতা, ভারতের উন্নয়নের পথে যাত্রা, তার চড়াই-উৎরাই সবসময়েই বিশ্বের কল্যাণের পথকে মজবুত করবে।
মহামান্য,
গত কয়েক বছর ধরে সংস্কার-সম্পাদন-রূপান্তর – এই মন্ত্র অনুসরণ করে ভারত তার লক্ষ লক্ষ নাগরিকের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বের অনেক দেশের জন্য এই অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে। মাত্র ৪-৫ বছরের মধ্যে ৪০ কোটি নাগরিককে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত করা কোনও সহজ কাজ নয়। কিন্তু ভারত দেখিয়েছে, সে এটি করতে পারে। ৪-৫ বছরের মধ্যে ৬০ কোটি মানুষকে খোলা শৌচকর্ম থেকে মুক্ত করাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু ভারত তা অর্জন করেছে। ৫০ কোটির বেশি নাগরিককে ২-৩ বছরের মধ্যে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা সহজ জিনিস নয়। কিন্তু ভারত তাও করে দেখিয়েছে। আজ ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারতের লক্ষ লক্ষ নাগরিকের জীবনে ডিজিটাল প্রক্রিয়া ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি, স্বচ্ছতাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত যক্ষ্মা নির্মূল করার প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে। আজ গ্রামাঞ্চলের ১৫ কোটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত ব্রডব্যান্ড অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ৬ লক্ষ গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে একটি বৃহৎ প্রকল্পের সূচনা করেছে।
মহামান্য,
আমরা আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোভিড-পরবর্তী সময়ে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের পথে এগোচ্ছি। আত্মনির্ভর ভারত বিশ্বের অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আজ যখন এটা নিশ্চিত করা হচ্ছে যে, দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে সবরকমের প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনরকমের বৈষম্যের স্বীকার না হন, তখন ভারত মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহিত করছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা ভারতীয় মহিলারা পাচ্ছেন। বিশ্বের যেসব দেশে মহিলারা ২৬ সপ্তাহের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি উপভোগ করতে পারেন, ভারত তার মধ্যে অন্যতম। প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের মধ্য দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
মহামান্য,
প্রগতির এই যাত্রাপথে ভারত সারা বিশ্বের থেকে শিখতে চায়। একইসঙ্গে, তার অভিজ্ঞতাও সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়। আমি আশাবাদী যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষ পূর্তিতে এই প্রতিষ্ঠান এবং তার সদস্য রাষ্ট্রগুলি এই মহান সংস্থার প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার জন্য দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হবে। সারা বিশ্বের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আসুন আমরা আরও একবার বিশ্বের কল্যাণের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে শপথ গ্রহণ করি।
ধন্যবাদ।
CG/CB/DM
आज पूरे विश्व समुदाय के सामने एक बहुत बड़ा सवाल है कि जिस संस्था का गठन तब की परिस्थितियों में हुआ था,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
उसका स्वरूप क्या आज भी प्रासंगिक है?: PM
अगर हम बीते 75 वर्षों में संयुक्त राष्ट्र की उपलब्धियों का मूल्यांकन करें, तो अनेक उपलब्धियां दिखाई देती हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
अनेक ऐसे उदाहरण भी हैं, जो संयुक्त राष्ट्र के सामने गंभीर आत्ममंथन की आवश्यकता खड़ी करते हैं: PM#ModiAtUN
ये बात सही है कि कहने को तो तीसरा विश्व युद्ध नहीं हुआ, लेकिन इस बात को नकार नहीं सकते कि अनेकों युद्ध हुए, अनेकों गृहयुद्ध भी हुए।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
कितने ही आतंकी हमलों ने खून की नदियां बहती रहीं।
इन युद्धों में, इन हमलों में, जो मारे गए, वो हमारी-आपकी तरह इंसान ही थे: PM
वो लाखों मासूम बच्चे जिन्हें दुनिया पर छा जाना था, वो दुनिया छोड़कर चले गए।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
कितने ही लोगों को अपने जीवन भर की पूंजी गंवानी पड़ी, अपने सपनों का घर छोड़ना पड़ा।
उस समय और आज भी, संयुक्त राष्ट्र के प्रयास क्या पर्याप्त थे?: PM#ModiAtUN
पिछले 8-9 महीने से पूरा विश्व कोरोना वैश्विक महामारी से संघर्ष कर रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
इस वैश्विक महामारी से निपटने के प्रयासों में संयुक्त राष्ट्र कहां है?
एक प्रभावशाली Response कहां है?: PM#ModiAtUN
संयुक्त राष्ट्र की प्रतिक्रियाओं में बदलाव,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
व्यवस्थाओं में बदलाव,
स्वरूप में बदलाव,
आज समय की मांग है: PM#ModiAtUN
भारत के लोग संयुक्त राष्ट्र के reforms को लेकर जो Process चल रहा है, उसके पूरा होने का लंबे समय से इंतजार कर रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
भारत के लोग चिंतित हैं कि क्या ये Process कभी logical end तक पहुंच पाएगा।
आखिर कब तक भारत को संयुक्त राष्ट्र के decision making structures से अलग रखा जाएगा: PM
एक ऐसा देश, जो दुनिया का सबसे बड़ा लोकतंत्र है,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
एक ऐसा देश, जहां विश्व की 18 प्रतिशत से ज्यादा जनसंख्या रहती है,
एक ऐसा देश, जहां सैकड़ों भाषाएं हैं, सैकड़ों बोलियां हैं, अनेकों पंथ हैं, अनेकों विचारधाराएं हैं: PM#ModiAtUN
जिस देश ने वर्षों तक वैश्विक अर्थव्यवस्था का नेतृत्व करने और वर्षों की गुलामी, दोनों को जिया है,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
जिस देश में हो रहे परिवर्तनों का प्रभाव दुनिया के बहुत बड़े हिस्से पर पड़ता है,
उस देश को आखिर कब तक इंतजार करना पड़ेगा?: PM#ModiAtUN
हम पूरे विश्व को एक परिवार मानते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
यह हमारी संस्कृति, संस्कार और सोच का हिस्सा है।
संयुक्त राष्ट्र में भी भारत ने हमेशा विश्व कल्याण को ही प्राथमिकता दी है: PM#ModiAtUN
भारत जब किसी से दोस्ती का हाथ बढ़ाता है, तो वो किसी तीसरे देश के खिलाफ नहीं होती।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
भारत जब विकास की साझेदारी मजबूत करता है, तो उसके पीछे किसी साथी देश को मजबूर करने की सोच नहीं होती।
हम अपनी विकास यात्रा से मिले अनुभव साझा करने में कभी पीछे नहीं रहते: PM
Pandemic के इस मुश्किल समय में भी भारत की pharmaceutical industry ने 150 से अधिक देशों को जरूरी दवाइयां भेजीं हैं: PM#ModiAtUN
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
विश्व के सबसे बड़े वैक्सीन उत्पादक देश के तौर पर आज मैं वैश्विक समुदाय को एक और आश्वासन देना चाहता हूं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
भारत की Vaccine Production और Vaccine Delivery क्षमता पूरी मानवता को इस संकट से बाहर निकालने के लिए काम आएगी: PM#ModiAtUN
विश्व के सब से बड़े लोकतंत्र होने की प्रतिष्ठा और इसके अनुभव को हम विश्व हित के लिए उपयोग करेंगे।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
हमारा मार्ग जनकल्याण से जगकल्याण का है।
भारत की आवाज़ हमेशा शांति, सुरक्षा, और समृद्धि के लिए उठेगी: PM#ModiAtUN
भारत की आवाज़ मानवता, मानव जाति और मानवीय मूल्यों के दुश्मन- आतंकवाद,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
अवैध हथियारों की तस्करी,
ड्रग्स,
मनी लाउंडरिंग
के खिलाफ उठेगी: PM
भारत की सांस्कृतिक धरोहर,
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
संस्कार,
हजारों वर्षों के अनुभव,
हमेशा विकासशील देशों को ताकत देंगे: PM
बीते कुछ वर्षों में, Reform-Perform-Transform के मंत्र के साथ भारत ने करोड़ों भारतीयों के जीवन में बड़े बदलाव लाने का काम किया है।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
ये अनुभव, विश्व के बहुत से देशों के लिए उतने ही उपयोगी हैं, जितने हमारे लिए: PM
सिर्फ 4-5 साल में 400 मिलियन से ज्यादा लोगों को बैंकिंग सिस्टम से जोड़ना आसान नहीं था।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
लेकिन भारत ने ये करके दिखाया।
सिर्फ 4-5 साल में 600 मिलियन लोगों को Open Defecation से मुक्त करना आसान नहीं था।
लेकिन भारत ने ये करके दिखाया: PM#ModiAtUN
आज भारत Digital Transactions के मामले में दुनिया के अग्रणी देशों में है।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
आज भारत अपने करोड़ों नागरिकों को Digital Access देकर Empowerment और Transparency सुनिश्चित कर रहा है: PM#ModiAtUN
आज भारत अपने गांवों के 150 मिलियन घरों में पाइप से पीने का पानी पहुंचाने का अभियान चला रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
कुछ दिन पहले ही भारत ने अपने 6 लाख गांवों को ब्रॉडबैंड ऑप्टिकल फाइबर से कनेक्ट करने की बहुत बड़ी योजना की शुरुआत की है: PM
Pandemic के बाद बनी परिस्थितियों के बाद हम “आत्मनिर्भर भारत” के विजन को लेकर आगे बढ़ रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
आत्मनिर्भर भारत अभियान, Global Economy के लिए भी एक Force Multiplier होगा।
भारत में ये सुनिश्चित किया जा रहा है कि सभी योजनाओं का लाभ, बिना किसी भेदभाव, प्रत्येक नागरिक तक पहुंचे: PM
Women Entrepreneurship को Promote करने के लिए भारत में बड़े स्तर पर प्रयास चल रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 26, 2020
आज दुनिया की सबसे बड़ी Micro Financing Schemes का सबसे ज्यादा लाभ भारत की महिलाएं ही उठा रही हैं।
भारत उन देशों में से एक है जहां महिलाओं को 26 Weeks की Paid Maternity Leave दी जा रही है: PM