প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ২০২০র জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন করা হয়েছে। এরফলে বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে বিপুলভাবে সংস্কারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এটিই প্রথম শিক্ষানীতি, ৩৪ বছর আগে ১৯৮৬-র ‘শিক্ষার ওপর জাতীয় নীতি’র পরিবর্তে এটি কার্যকর হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ, সমদর্শীতা, গুণমান, আয়ত্বের মধ্যে পঠন পাঠনের সুযোগ এবং দায়বদ্ধতা- এগুলির ওপর ভিত্তি করে এই নীতি তৈরি করা হয়েছে। ২০৩০ সালের জন্য স্থিতিশীল উন্নয়নের উদ্দেশে এই শিক্ষানীতি কার্যকর হবে। এরফলে ভারত গতিশীল জ্ঞান কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং সর্বাঙ্গীন, পরিবর্তনযোগ্য, বহুস্তরীয়, একবিংশ শতকের উপযোগী একটি বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যাবে যার মূল উদ্দেশ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে অনন্য ক্ষমতা গড়ে তোলা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ
স্কুল শিক্ষা
স্কুল শিক্ষায় সর্বস্তরে সর্বজনীন প্রবেশ নিশ্চিত করা
২০২০র জাতীয় শিক্ষানীতি প্রাক স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তর- প্রতিটি স্তরে সর্বজনীন স্কুল শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পরিকাঠামোগত সমর্থন, উদ্ভাবনী শিক্ষা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মূল ধারায় নিয়ে আসা হবে। ছাত্রছাত্রীদের দিকে নজর রেখে তাদের শিক্ষালাভের মাত্রার মূল্যায়ণ, প্রথাগত এবং প্রথা বর্হিভূত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, পরামর্শদাতা অথবা সুশিক্ষিত সমাজকর্মীদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত-বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করা, তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর জন্য এনআইওএস এবং রাজ্য মুক্ত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে মুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সমতুল পর্ষদ শিক্ষাসূচী, কারিগরি পাঠক্রম, বয়স্ক স্বাক্ষরতা এবং জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থাপনা এই শিক্ষানীতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০র মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি স্কুলছুট শিশুকে মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
শৈশবের প্রথম পর্যায়ে যত্ন এবং নতুন পাঠক্রম ও শিক্ষানীতির ব্যবস্থা
শৈশবের শুরুতে শিশুদের প্রতি যত্ন নিয়ে শিক্ষাদানের জন্য ১০+২ শিক্ষা কাঠামোর পরিবর্তে ৫+৩+৩+৪ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। এরফলে ৩ থেকে ৮, ৮ থেকে ১১, ১১ থেকে ১৪, এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর ধাপ অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এই ব্যবস্থায় ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের বিদ্যালয় ব্যবস্থায় নিয়ে আনা সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য এই সময়সীমাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। নতুন ব্যবস্থায় ১২ বছর বিদ্যালয় শিক্ষার আগে ৩ বছর অঙ্গনওয়াড়ী বা প্রাক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
এনসিইআরটি শৈশবের শুরুতে শিক্ষাদানের বিষয়ে জাতীয় পাঠক্রম এবং শিক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামোটি তৈরি করবে। ন্যাশনাল ক্যারিকুলার অ্যান্ড পেডাগোগিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্লি চাইন্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনের মাধ্যমে ৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষাদানের পাঠক্রম তৈরি করা হবে। এই ব্যবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ী ও প্রাক বিদ্যালয়গুলিকে শক্তিশালী করা হবে, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াটি মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক যৌথভাবে পরিচালনা করবে।
মূল স্বাক্ষরতা এবং গণনা বিদ্যা অর্জন
স্বাক্ষরতা এবং গণনা বিদ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০র মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক একটি ন্যাশনাল মিশন অন ফান্ডামেন্টাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউম্যারেসি গড়ে তুলবে। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত পড়ুয়া যাতে স্বাক্ষরতা এবং গণনা বিদ্যা অর্জন করতে পারে তার জন্য রাজ্যগুলি একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে। এছাড়া ন্যাশনাল বুক প্রমোশন পলিসিও তৈরি করা হবে।
বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার
একবিংশ শতাব্দীর সময়োপযোগী করে তোলার জন্য পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের উদ্দেশে বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বর্তমান পাঠক্রমকে হ্রাস করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ছাত্রছাত্রীরা যেন শিখতে পারে ও জটিল বিষয় নিয়ে তারা যেন চিন্তাভাবনা করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হবে। এরজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় হাতেকলমে বিভিন্ন বিষয় প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ পাবে- তাদের বিষয় পরিবর্তনের সুবিধা দেওয়া হবে। কলা ও বিজ্ঞান, পাঠক্রম এবং পাঠক্রম বর্হিভূত কর্মকান্ড, কারিগরি ও পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে দৃঢ়ভাবে কোন বিভেদ তৈরি করা হবেনা।
ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে
এনসিইআরটি, একটি নতুন ও সর্বাত্মক ন্যাশনাল কারিকুলার ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন- এনসিএফএসই ২০২০-২০২১ তৈরি করবে।
বহুভাষিকতা এবং ভাষার শক্তি
এই শিক্ষানীতি অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষা/স্থানীয় ভাষা/আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে লেখাপড়া করানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবস্থা অষ্টম শ্রেণী বা তার পরও চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ত্রি-ভাষা সূত্র অনুযায়ী বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষায় সংস্কৃত নিয়ে বিদ্যাচর্চা করতে পারবে। ভারতের অন্যান্য প্রাচীন (ক্ল্যাসিক্যাল) ভাষা এবং সাহিত্য নিয়েও পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। ছাত্রছাত্রীরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ‘ভারতের ভাষা সমূহ’এর আওতায় একটি প্রকল্পে অংশ নেবে- ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ উদ্যোগে এই প্রকল্প কার্যকর হবে। তবে ছাত্রছাত্রীদের ওপর কোন ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবেনা। দেশজুড়ে ভারতীয় সংকেত ভাষার (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ) একটিই সংস্করণ তৈরি করা হবে। যেসমস্ত পড়ুয়াদের শুনতে সমস্যা হয় তাদের জন্য জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের পাঠক্রমে এটি কার্যকর করা হবে।
মূল্যায়ণের সংস্কার
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে সংকলিত মূল্যায়ণ ব্যবস্থার পরিবর্তে গঠনমূলক মূল্যায়ণ চালু করা হবে। এরফলে ছাত্রছাত্রীরা দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়ণ ব্যবস্থায় সামিল হবে। তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ, জটিল বিষয়ে ভাবনাচিন্তা এবং নানা ঘটনায় স্বচ্ছভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা অর্জন করবে। ছাত্রছাত্রীরা তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পর্ষদ পরীক্ষা নিলেও সেক্ষেত্রে সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটানো হবে। পারফরমেন্স অ্যাসেসমেন্ট, রিভিউ অ্যান্ড অ্যানালিসিস অফ নলেজ ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট বা পরখ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। জাতীয় মূল্যায়ণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান ও অধীত বিদ্যার মূল্যায়ণ করা হবে।
সমদর্শী ও সমন্বিত শিক্ষা
কোন শিশু যাতে তার জন্মগত বা সামাজিক কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ তা নিশ্চিত করছে। সামাজিক ও আর্থিকভাবে পশ্চাদপদ গোষ্ঠির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে- এর মাধ্যমে লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক এবং ভৌগলিক পরিচিতির কারণে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্যও গুরুত্ব দেওয়া হবে। পিছিয়ে পরা অঞ্চল এবং জনগোষ্ঠীর জন্য জেন্ডার ইনক্লুশন ফান্ড ও স্পেশাল এডুকেশন জোনস গঠন করা হবে। ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুরা বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সাধারণ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের জন্য স্পেশাল এডুকেটর, রিসোর্স সেন্টার, সহায়ক যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় ‘বাল ভবন’ গড়ে তুলতে উৎসাহিত করা হবে। এখানে বিশেষ বোর্ডিং স্কুলে শিল্পকলা এবং খেলাধুলা ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগে ছাত্রছাত্রীরা সামিল হতে পারবে। সামাজিক চেতনা কেন্দ্র গঠন করা হবে, সেগুলি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সহ বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ উদ্যোগ
স্বচ্ছতার সঙ্গে বলিষ্ঠভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হবে। তাঁদের পদোন্নতি মেধার ভিত্তিতে করা হবে। এরজন্য তাঁদের পারফরমেন্স নির্দিষ্ট সময় অন্তর মূল্যায়ণ করা হবে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন, শিক্ষকদের পেশাগত মান বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে একটি অভিন্ন ব্যবস্থাপনা ২০২২ সালের মধ্যে চালু করবে। এনসিইআরটি, এসসিইআরটি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্ন সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই ব্যবস্থাপনার সূচনা করা হবে।
বিদ্যালয় পরিচালন ব্যবস্থা
বিদ্যালয়গুলি যাতে পাঠাগার, শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকাঠামো সহ পেশাদার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধা পেতে পারে তারজন্য একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এই ক্লাস্টার একটি পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ করবে।
বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য মান নির্ধারণ ও স্বীকৃতিদানের ব্যবস্থা
স্পষ্ট এবং পৃথকভাবে নীতি নির্ধারণ, শিক্ষাগত বিভিন্ন বিষয়ের পরিচালনার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্টেট স্কুল স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি গড়ে তুলবে। স্বাধীন এই প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করবে। যার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। এসসিইআরটি-গুলি বিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ এবং স্বীকৃত কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে।
উচ্চশিক্ষা
২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ জিইআর বৃদ্ধি
উচ্চশিক্ষায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (জিইআর) বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কারিগরি শিক্ষাও অন্তর্গত। ২০১৮ সালে যেখানে এই অনুপাত ছিল ২৬.৩ শতাংশ, ২০৩৫ সালের মধ্যে তা বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ নতুন আসনের ব্যবস্থা করা হবে।
সর্বাঙ্গীন বহুস্তরীয় শিক্ষা ব্যবস্থা
এই শিক্ষানীতি, স্নাতক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৃহত্তর, বহুস্তরীয়, সর্বাঙ্গীন একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে যেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পরিবর্তনযোগ্য পাঠক্রম, বিভিন্ন বিষয় বাছাই করার ক্ষেত্রে নানা সুযোগসুবিধের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকেও যুক্ত করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা বহুস্তরীয় পদ্ধতিতে যেকোন পাঠক্রমে যুক্ত হতে পারবে আবার যথাযথ শংসাপত্র নিয়ে যেকোন পাঠক্রম থেকে বেরিয়েও যেতে পারবে। স্নাতক স্তরে তিন বা চার বছরের পাঠক্রমের ব্যবস্থা থাকছে- যেখানে ছাত্রছাত্রীরা যথাযথ শংসাপত্র নিয়ে প্রয়োজনমতো বেরিয়ে যেতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এক বছর পড়াশোনার পর সার্টিফিকেট, দু বছর পড়াশোনার শেষে অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা, তিন বছর পড়াশোনার পর স্নাতক ডিগ্রি এবং চার বছর শেষে গবেষণা সহ স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাগত ক্রেডিট, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্জন করতে পারবে। এই ক্রেডিট একটি অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্কে জমা হবে। চূড়ান্ত ডিগ্রি অর্জনের সময় সমস্ত ক্রেডিট ওই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
বহুস্তরীয় শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, আইআইএম-এর মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বহুস্তরীয় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে গড়ে তোলা হবে।
দেশে গবেষণার ক্ষেত্রে উৎসাহদানের জন্য একটি জাতীয় শিক্ষা ফাউন্ডেশন তৈরি করা হবে যার সাহায্যে উচ্চশিক্ষায় গবেষণা করার সুযোগ বাড়বে।
ব্যবস্থাপনা
সব বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (এইচইসিআই)গঠন করা হবে। তবে এই ব্যবস্থায় চিকিৎসাশিক্ষা এবং আইনশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি যুক্ত থাকবেনা। এইচইসিআই-এর অধীনে ৪টি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান থাকবে। ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন রেগুলেটরি কাউন্সিল, মান নির্ধারণের জন্য জেনারেল এডুকেশন কাউন্সিল, তহবিল যোগানের জন্য হায়ার এডুকেশন গ্রান্ডস কাউন্সিল এবং স্বীকৃতিদানের জন্য ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গড়ে তোলা হবে। এইচইসিআই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কোন বিধি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই কমিশনের থাকবে। বেসরকারী এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই নিয়ম মেনে পরিচালিত হবে।
র্যা শনালাইজড ইন্সটিটিউশনাল আর্কিটেকচার
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বহু বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের গবেষণা ভিত্তিক পাঠদানের জন্য প্র্যয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। রিসার্চ ইনটেনশিভ ইউনির্ভাসিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চরিত্র বদল হয়ে টিচিং ইনটেনশিভ ইউনিভার্সিটিজ এবং স্বায়ত্বশাসিত ডিগ্রি প্রদানকারী কলেজ হিসেবে কাজ করবে।
কলেজগুলির স্বীকৃতি প্রতি ১৫ বছর পর পর মূল্যায়ণ করা হবে- সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে স্বশাসনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করা হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি কলেজ স্বশাসিত ডিগ্রি প্রদানকারী কলেজের মর্যাদা পাবে অথবা কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ হিসেবে থাকবে।
উৎসাহপ্রদানকারী দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা
উৎসাহপ্রদানকারী দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, স্বাধীন ব্যবস্থাপনায় নিয়োগ পেতে পারেন জাতীয় শিক্ষানীতিতে তারজন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজস্ব পাঠক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা শুধুমাত্র পাঠদানই করবেন না, তাঁদের দায়বদ্ধতার দিকটিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষকশিক্ষিকাদের শিক্ষা
ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর টিচারস এডুকেশন ২০২১ তৈরি করা হবে। এনসিইআরটি-র সঙ্গে পরামর্শক্রমে একটি নতুন ও সর্বাত্মক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ৪ বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হবে। যেসব শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মান যথাযথ থাকবেনা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেন্টরিং মিশন
ন্যাশনাল মিশন ফর মেন্টরিং তৈরি করা হবে। এই মিশনে প্রথিতযশা প্রবীন ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবীদরা যুক্ত থাকবেন। এঁরা ভারতীয় ভাষায় পাঠদান করতে পারবেন এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন উদ্যোগে সাহায্য করবেন।
ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা
তপশীলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হবে। জাতীয় স্কলারশিপ পোর্টালটিকে আরও কার্যকর করে তোলা হবে। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত স্কলারশিপ পাবেন। বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিনামূল্যে অথবা প্রচুর পরিমাণে স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে।
মুক্ত ও দূরশিক্ষা
এই ব্যবস্থা জিইআর বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনলাইনের মাধ্যমে পাঠক্রম, গবেষণার জন্য অর্থের সংস্থান, ছাত্রছাত্রীদের পরিষেবা বৃদ্ধি, ক্রেডিট ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই ব্যবস্থায় সর্বোচ্চমানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করা হবে।
অনলাইন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান
অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের সুযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে। মহামারীর সময়ে যথাযথ গুণমানের শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদের যেন দেওয়া যায় তার জন্য এই ব্যবস্থাপনা। যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার সামনে পাঠদান সম্ভব নয় সেখানেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরজন্য একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক গড়ে তুলবে যার সাহায্যে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে বিদ্যালয়ে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা যাবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তি
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান, মূল্যায়ণ, পরিকল্পনা এবং পরিচালন ব্যবস্থাপনা চালানোর জন্য ন্যাশনাল এডুকেশনাল টেকনোলজি ফোরাম নামে একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা তৈরি করা হবে। এরজন্য সর্বস্তরের শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করা হবে। শ্রেণীকক্ষে পাঠদান, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পিছিয়ে পরা গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা এর সাহায্যে গড়ে তোলা হবে।
ভারতীয় ভাষাগুলির বিষয়ে উৎসাহদান
সমস্ত ভারতীয় ভাষার যথাযথ সংরক্ষণ, মানোন্নয়নের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ট্রান্সলেশন অ্যান্ড ইন্টারপ্রিটেশন, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট (অথবা ইন্সটিটিউটস) ফর পালি, পার্শিয়ান অ্যান্ড প্রাকৃত গঠন করার সুপারিশ করেছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংস্কৃত সহ সমস্ত ভাষা বিভাগকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মাতৃভাষা এবং স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে পঠন-পাঠনে উৎসাহ দেওয়া হবে।
শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আসতে পারেন এবং আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে যাতে বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বৃত্তিমূলক শিক্ষা
উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমস্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বহু বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
বয়স্ক শিক্ষা
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী যুবক-যুবতী এবং প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের সকলকেই স্বাক্ষর করে তোলা হবে।
শিক্ষায় অর্থের সংস্থান
শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি একযোগে কাজ করবে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৬ শতাংশ যাতে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
অভূতপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ
প্রায় আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েত, ৬ হাজার ৬০০ টি ব্লক, ৬ হাজার পুরসভা ও ৬৭৬টি জেলা থেকে ২ লক্ষের বেশি পরামর্শ গ্রহণ করে এক অভূতপূর্ব পদ্ধতিতে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ তৈরি করা হয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ব্যাপক, সর্বাত্মক এবং যত বেশি সম্ভব পরামর্শ নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই কাজ শুরু করেছিল। প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব স্বর্গীয় টিএসআর সুহ্মমনিয়ানের নেতৃত্বে ‘কমিটি ফর রিভলিউশন অফ দি নিউ এডুকেশন পলিসি’ এই সংক্রান্ত্র প্রতিবেদন ২০১৬র মে মাসে জমা দেয়। তার ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রক জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৬র খসড়া তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে ২০১৭-র জুন মাসে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পদ্মবিভূষণ ডঃ কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটিও জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরি করেছে। ২০১৯এর ৩১শে মে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে কমিটি তার প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর মন্ত্রকের ওয়েবসাইট ও মাই গভ ইনোভেট পোর্টালে সেই খসড়াটি আপলোড করা হয়েছিল। সেখানে শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও জনসাধারণ এই খসড়া নীতির প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
জাতীয় শিক্ষানীতিটি দেখতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –
http://pibcms.nic.in/WriteReadData/userfiles/2020729wqee233%20(1).pdf
CG/CB/NS
I wholeheartedly welcome the approval of the National Education Policy 2020! This was a long due and much awaited reform in the education sector, which will transform millions of lives in the times to come! #NewEducationPolicyhttps://t.co/N3PXpeuesG
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
NEP 2020 is based on the pillars of:
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Access.
Equity.
Quality.
Affordability.
Accountability.
In this era of knowledge, where learning, research and innovation are important, the NEP will transform India into a vibrant knowledge hub.
NEP 2020 gives utmost importance towards ensuring universal access to school education. There is emphasis on aspects such as better infrastructure, innovative education centres to bring back dropouts into the mainstream, facilitating multiple pathways to learning among others.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Replacing 10+2 structure of school curricula with a 5+3+3+4 curricular structure will benefit the younger children. It will also be in tune with global best practices for development of mental faculties of a child. There are reforms in school curricula and pedagogy too.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
NEP 2020 has provisions to set up a Gender Inclusion Fund and also Special Education Zones. These will specially focus on making education more inclusive. NEP 2020 would improve the education infrastructure and opportunities for persons with disabilities.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Thanks to NEP 2020, the Indian Higher Education sector will have a holistic and multi-disciplinary approach. UG education will offer flexible curricula, creative combinations of subjects, integration of vocational education.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
UG education would also include multiple entry and exit points with appropriate certification. An Academic Bank of Credit will be set up to enable digital storage of credits earned from different HEIs, which can also be transferred and counted as a part of the final degree.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Respecting the spirit ‘Ek Bharat Shreshtha Bharat’, the NEP 2020 includes systems to promote Indian languages, including Sanskrit. Many foreign languages will also be offered at the secondary level.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Indian Sign Language (ISL) will be standardised across the country.
Aspects such as widening the availability of scholarships, strengthening infrastructure for Open and Distance Learning, Online Education and increasing the usage of technology have received great attention in the NEP. These are vital reforms for the education sector.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
Framing of NEP 2020 will be remembered as a shining example of participative governance. I thank all those who have worked hard in the formulation of the NEP 2020.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2020
May education brighten our nation and lead it to prosperity.