প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় স্তরের কর্মসূচি – কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের আওতায় অর্থ সহায়তা দানের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ফসল কাটার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সহ সুদ ছাড় ও অর্থ সহায়তার মাধ্যমে যৌথভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত টিকে থাকতে সক্ষম এমন প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগের জন্য এই কর্মসূচির আওতায় মাঝারি-দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এই কর্মসূচির আওতায় প্রাইমারী এই এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি, মার্কেটিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি, কৃষক উৎপাদক সংগঠন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কৃষক, জয়েন্ট লায়াবিলিটি গ্রুপ, মাল্টি-পার্পাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, কৃষি-শিল্পোদ্যোগী, স্টার্ট আপ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কেন্দ্র/রাজ্য সংস্থা অথবা স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির পৃষ্ঠপোষক সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পগুলিতে ঋণ সহায়তা হিসাবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
চলতি অর্থবর্ষ থেকে আগামী চার বছর এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবর্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী তিনটি অর্থবর্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা করে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
এই অর্থ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সমস্ত ঋণের ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক ৩ শতাংশ হারে সুদ ছাড় পাওয়া যাবে। সর্বাধিক সাত বছর সুদ ছাড়ে সুবিধা পাওয়া যাবে। এই খাতে সরকারের খরচ হবে ১০ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্তের অধিকার সরকারের কাছেই থাকবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে ৬ মাস থেকে সর্বাধিক ২ বছর।
কর্মসূচিটির রূপায়ণে নজরদারি ও অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য জাতীয়, রাজ্য ও জেলাস্তরে নজরদারি কমিটি গঠন করা হবে। এই অর্থসহায়তা কর্মসূচিটির রূপায়ণের মেয়াদ ২০২০ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৯ অর্থবর্ষ (১০ বছর) পর্যন্ত।
CG/BD/SB
An important step towards transforming the agriculture sector. https://t.co/3IvemvZWn4
— Narendra Modi (@narendramodi) July 8, 2020