Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় এক বছরের মেয়াদে শিশু ঋণে যাঁরা ঋণ পরিশোধ করেছেন, তাঁদের ঋণের ২ শতাংশ সুদের অর্থ দেবে সরকার


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (পিএমএমওয়াই)-র আওতায় যাঁরা ১২ মাসের মেয়াদে শিশু ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁদের ঋণের ২ শতাংশ সুদের অর্থ ফেরৎ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

এই প্রকল্পে ৩১শে মার্চের হিসাবে যাঁদের বকেয়া ঋণ পরিশোধ হয়নি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩১শে মার্চের মধ্যে যাঁরা অনুৎপাদিত সম্পদের তালিকাভুক্ত হননি, তাঁরাই সুবিধা পাবেন।

এর ফলে, যাঁরা সঠিক সময়ে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন, তাঁরা উৎসাহিত হবেন। সরকার এই প্রকল্পের জন্য ১, ৫৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

প্রেক্ষাপট

আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ঘোষণার পর অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের জন্য এই প্রকল্পটি সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার আওতায় যাঁরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঋণকে শিশু ঋণ বলা হয়। নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মাইক্রো ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন, মুদ্রা লিমিটেডের নিবন্ধীকৃত সংস্থাগুলি থেকে এই ঋণ পাওয়া যায়। কোভিড-১৯ মহামারীর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে লকডাউন জারি থাকার পর অতিক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পোদ্যোগীদের ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এরা মূলত শিশু মুদ্রা ঋণ থেকে মূলধন যোগাড় করেছিলেন। লকডাউনের ফলে এদের আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর ফলে, ঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছেন।

৩১শে মার্চের হিসাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার শিশু ঋণের আওতায় ৯ কোটি ৩৭ লক্ষ অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি ঋণ বকেয়া আছে।

আগামী এক বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বাস্তবায়িত করবে। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১শে আগস্টের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনক্রমে যে সমস্ত ঋণ গ্রহীতারা তাঁদের ঋণদাতাদের থেকে মোরাটোরিয়ামের সুযোগ পাবেন, তাঁরাই কোভিড-১৯ রেগুলেটরি প্যাকেজের আওতায় এই সুযোগ পাবেন। বাকিদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প পয়লা জুন থেকে আগামী বছরের ৩১শে মের মধ্যে কার্যকর হবে।

এই প্রকল্পের ফলে, তৃণমূল স্তরের ঋণ গ্রহীতারা আর্থিক সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অর্থের অভাবে তাঁদের কর্মীদের ছাঁটাই না করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবেন। সঙ্কটের এই সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এই সাহায্যের ফলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভবিষ্যতে যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

CG/CB/SB