Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

  পঞ্চায়েতীরাজ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাম প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বার্তালাপ


 

নমস্কার !!

আপনাদের সবাইকে পঞ্চায়েতীরাজ দিবস উপলক্ষ্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই বন্ধুগণ। করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী, সত্যিই আমাদের সকলের কাজ করার পদ্ধতি বদলে দিয়েছে। আগে আমরা যে কোনো কর্মসূচীতে মুখোমুখি মিলিত হতাম, এখন সেই কর্মসূচী ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে।

এই সময় সারা দেশের লক্ষ লক্ষ পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন !!  আজ অনেক পঞ্চায়েত ভালো ভালো কাজের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। পুরস্কার বিজেতা সমস্ত পঞ্চায়েত ও জনপ্রতিনিধিদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

বন্ধুগণ, পঞ্চায়েতীরাজ দিবসে আমাদের গ্রাম পর্যন্ত সুশাসন পৌঁছে দেওয়ার সংকল্পকে পুনরুচ্চারণের সুযোগ আসে। আর এই করোনা সঙ্কটের সময়ে এই সংকল্পের প্রাসঙ্গিকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা সত্য যে করোনা মহামারী, আমাদের জন্য অনেক সমস্যা নিয়ে এসেছে।

কিন্তু এর থেকে বড় কথা হল এই মহামারী আমাদের একটি নতুন শিক্ষা দিয়েছে, নতুন বার্তাও দিয়েছে। আজ এই কর্মসূচীর মাধ্যমে আমি দেশের প্রত্যেক নাগরিক, গ্রাম ও শহর নির্বিশেষে, সকলকে একটি বার্তা দিতে চাই।

বন্ধুরা, করোনা সঙ্কট আমাদের যে সবচাইতে বড় বার্তা দিয়েছে, যে সবচাইতে বড় শিক্ষা দিয়েছে, সেটি হল আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে।

গ্রাম,  নিজস্ব স্তরে, নিজস্ব মৌলিক প্রয়োজন সাধনের জন্য স্বনির্ভর হোক। জেলা, নিজের মতো, রাজ্য নিজের মতো, এবং এভাবে গোটা দেশ কেমন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে, নিজস্ব প্রয়োজনগুলি পূরণের জন্য আমাদের বাইরের মুখাপ্রেক্ষী যেন না হতে হয়, এখন এটাই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।

ভারতে এই ভাবনা অনেক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। কিন্তু আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, স্বনির্ভর হতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

শক্তিশালী পঞ্চায়েত আত্মনির্ভর গ্রামের ভিত্তি স্বরূপ। সে জন্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হবে, গণতন্ত্র তত মজবুত হবে। আর ততটাই সমাজের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পৌঁছবে।

বন্ধুগণ, এই ভাবনা নিয়েই সরকার, পঞ্চায়েতীরাজ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাগুলিকে, পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তোলার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে। ৫ – ৬ বছর আগে পর্যন্ত এমন সময় ছিল, যখন দেশের ১০০টিরও কম পঞ্চায়েত ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে গেছে।

শুধু তাই নয়, গ্রামে গ্রামে কমনসার্ভিস সেন্টারের সংখ্যাও ৩ লক্ষ অতিক্রম করেছে।

সরকার, ভারতেই মোবাইল ফোন উত্পাদনের যে অভিযান শুরু করেছিল, তার ফলে আজ গ্রামে গ্রামে সুলভ মূল্যে স্মার্টফোন পৌঁছে গেছে। আজ যে এত বড়ভাবে ভিডিও কনফারেন্স হচ্ছে, তার পেছনে এ সব প্রচেষ্টার অবদান রয়েছে।

বন্ধুগণ, গ্রামের পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে, শহর ও গ্রামের দূরত্ব কম করতে, আজ সরকার দুটো বড় প্রকল্প শুরু করেছে। একটু আগেই আপনারা একটি ভিডিও ফ্লিমে দেখেছেন, একটি e-গ্রাম স্বরাজ পোর্টাল আর তার অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হল, স্বামীত্ব  যোজনার শুভ সূচনা।

e-গ্রাম স্বরাজ অর্থাৎ সিমপ্লিফাইড ওয়ার্কবেসড অ্যাকাউন্টিং অ্যাপ্লিকেশন ফর পঞ্চায়েতীরাজ, এটি এক প্রকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ। এটি ভবিষ্যতে গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা কাজের হিসেব রাখার ‘সিঙ্গেল প্লাটফর্ম’ হয়ে উঠবে। এখন আর আপনাদের ভিন্ন  ভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ভিন্ন  ভিন্ন কাজ করার প্রয়োজন হবে না।

এখন যেমন বললাম, এই পোর্টালে, এই অ্যাপে, পঞ্চায়েতের উন্নয়ন কর্মসূচীগুলির বিররণ থেকে শুরু করে সেজন্যে নির্ধারিত তহবিল এবং তার খরচ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। এর মাধ্যমে এখন যে কোনো ব্যক্তি নিজের গ্রাম পঞ্চায়েতে কী কী কাজ, কেমনভাবে চলছে তার খোঁজ নিতে পারবেন।

এর মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আসবে। রেকর্ড রাখার কাজও অনেক বেশি সহজ হবে। আর প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, e-গ্রাম স্বরাজ পোর্টালের মাধ্যমে আপনারা সবাই কত বড় শক্তি পেতে যাচ্ছেন।

বন্ধুগণ, গ্রামগুলিতে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে কত ধরণের বিবাদ হয়, সে সম্পর্কে আপনারা খুব ভালো ভাবেই জানেন। স্বামীত্ব যোজনা এই বিবাদ নিরশণে একটি প্রচেষ্টা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সমস্ত গ্রামের বাসস্থানগুলিকে ড্রোনের মাধ্যমে মানচিত্রায়ণ করা হবে। এর পর গ্রামের জনগণকে তাদের সম্পত্তির একটি মালিকানা প্রমাণপত্র বা ‘টাইটেল ডিড’ প্রদান করা হবে।

স্বামীত্ব যোজনার মাধ্যমে গ্রামের মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন। আগে এই সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে যত ভ্রান্তি ছিল, সব দূরীভূত হবে। দ্বিতীয়ত এর মাধ্যমে গ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির উন্নত পরিকল্পনা রচনায় আরো সুবিধা হবে। এর আরেকটি লাভ হল, এর মাধ্যমে শহরের মতো গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার পথ আরো সুগম হবে।

বন্ধুগণ, এখন উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড এই ৬টি রাজ্যে এই প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে। এ থেকে যে অভিজ্ঞতা হবে, যেখানে ত্রুটি শুধরাতে হবে, সংস্কার করতে হবে – এই সমস্ত সংস্কারের পরই এই প্রকল্পকে গোটা দেশে চালু করা হবে।

বন্ধুগণ, কখনও কখনও আমার মনে হয় যে জীবনে আমরা কতটা সত্যিকারের শিক্ষা পেয়েছি তার পরীক্ষা, সঙ্কটের সময়ই হয়। নিরাপদ পরিবেশে, সুরক্ষিত আবহে, সত্যিকারের শিক্ষা, সত্যিকারের সামর্থ্ সম্পর্কে বোঝা যায় না। এই করোনা সঙ্কট দেখিয়ে দিয়েছে, যে দেশের গ্রামে গ্রামে বসবাসকারী মানুষেরা হয়তো বড় বড় এবং নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা পান নি, কিন্তু তারা এই সঙ্কটকালে নিজেদের শিষ্টাচার এবং পারম্পরিক শিক্ষার পরিচয় দিয়েছেন।

গ্রাম থেকে যে সব তথ্য আসছে, তা বড় বড় বিদ্বানদের প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমার বন্ধুরা, এ কাজ আপনারা করেছেন, গ্রামের প্রত্যেক ব্যক্তি করেছেন, আমার আদিবাসী ভাই – বোন, মাঠে ময়দানে কাজ করা, ফসল কাটা এবং চারা রোপনে ব্যস্ত বন্ধুগণ, আপনারা এই দেশকে প্রেরণা যোগানোর কাজ করেছেন।

আপনারা সবাই বিশ্বকে মন্ত্র দিয়েছেন – দুই গজ দূরত্ব রাখতে হবে। অর্থাৎ একজন মানুষ থেকে আর একজন মানুষের দূরত্ব দুই গজ হতে হবে। গ্রামে গ্রামে এই মন্ত্র পালনের লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। দুই গজ দূরত্ব, অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আপনারা করোনা ভাইরাসকেও নিজেদের থেকে দূরে রাখছেন, কোনো সম্ভব্য সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাচ্ছেন। আপনাদের এই প্রচেষ্টা নিয়ে আজ সারা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে – ভারত কিভাবে করোনা প্রতিরোধ করছে। 

বন্ধুগণ, এত বড় সঙ্কট এসেছে, এত বড় বিশ্বব্যাপী মহামারী এসেছে, কিন্তু এই ২ – ৩ মাসে আমরা এটা দেখেছি, যে ভারতের জনগণ সীমিত সাধ্য ও সম্পদ নিয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সামনে না ঝুঁকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটা সত্যি, যে অনেক বাধা আসছে, অনেক কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু শপথের সামর্থ্য দেখিয়ে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে নতুন নতুন উপায় খুঁজে দেশকে বাঁচানোর আর দেশকে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বন্ধুগণ, এই পরিস্থিতিতে গ্রামগুলিতে কী হচ্ছে, তা আমি ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজ রাখছি। আজ আমি আপনাদের মধ্যে কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের অভিজ্ঞতার বর্ণনা এবং আপনাদের পরামর্শ শুনতে চাই। তাহলে আসুন, এই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করি, আমাকে বলা হয়েছে, যে প্রথম জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু হবে।

মহম্মদ ইকবাল, জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা থেকে যুক্ত হচ্ছেন, তিনি ব্লক, পঞ্চায়েত নারবাওয়ের চেয়ারম্যান। ইকবালজী নমস্কার,

ইকবালজী, আপনাদের ব্লকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কিভাবে চলছে। আপনারা ‘দুই গজ দূরত্ব’ এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে কী কী করছেন ?

ইকবাল – নমস্কার স্যার, আমি জম্মু-কাশ্মীরের ব্লক, নারবাও থেকে আপনাকে অত্যন্ত হার্দিক অভিনন্দন জানাই। আজ এই উপলক্ষ্যে আমাদের পঞ্চায়েত দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানাই। স্যার, আমরা এসময় নারবাওয়ে কিভাবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি – আপনি যে আদেশ দিয়েছেন, যেভাবে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন, তৃণমূল স্তরে আমরা তা ১০০ ভাগ পালন করছি। সেজন্যে আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, যখন আপনি শুরুতে একদিনের লকডাউন করেছিলেন। সেদিন আমরা ব্লক লেভেলের মেডিকেল অফিসার, আমাদের আইসিডিএস, আমাদের পঞ্চায়েত থেকে একটি নির্দেশ জারি করি। বিডিসি অফিসে আমরা একটি মিটিং করি, সেই মিটিং-এ আমরা তিনটি বিভাগকে; আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী এবং পঞ্চায়েত পিআরআই সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। আমরা তাদেরকে করোনা প্রতিরোধী নানা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিই। তাদেরকে আমরা ব্লক এলাকার বাড়িতে বাড়িতে পাঠাই।

আমি বাস্তব ঘটনা বলছি – আমাদের ব্লকে এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে আমাদের টিম অর্থাৎ আমাদের পিআরআই স্বাস্থ্য এবং আইসিডিএস কর্মীরা যান নি। তাঁরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেক মানুষকে সচেতন করেছেন। কিভাবে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা যেতে পারে। আমাদের ব্লকে এখন পর্যন্ত শুধু একটি পজিটিভ কেস এসেছে। কিন্তু তার সবথেকে বড় কারণ হল তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে এখনও পঞ্চায়েত স্থাপিত হয় নি। ফলে সেখানে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যরা ছিলেন না এবং আমরা এই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারি নি।

কিন্তু বাকি যত গ্রাম রয়েছে, আমাদের জেলায় আর যত ব্লক রয়েছে, জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় আমরা প্রতিটি বাড়িতে প্রত্যেক ব্যক্তির ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ জেনে তাদেরকে চিহ্নিত করেছি, কোয়ারান্টাইন করেছি, কাউকে কাউকে হোম কোয়ারান্টাইন করেছি এবং সেখানে পিআরআই-রা নিয়মিত ২৪  ৭ ঘন্টা শিফটে ডিউটি করছেন। যাতে এই হোম কোয়ারান্টাইন সফল হয়। আমাদের জেলা প্রশাসন যে রকম নির্দেশ দিয়েছে, তা পালনে যত কঠোর হওয়া প্রয়োজন, লকডাউন সফল করতে আমাদের পিআরআই-রা সেটা করছে। তাঁরা ডিউটি রোস্টার বানিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে পথে থেকে লকডাউন সফল করেছে। আমরা এলাকার জনগণকে দুটো বার্তা দিয়েছি, প্রথমটি হল – ‘সবাইকে সম্মান করবে, সবাইকে সন্দেহ করবে’। দ্বিতীয় বার্তা হল – ‘বাড়িতে থাকুন, নিরাপদ থাকুন’। এই দুটো বার্তার ফলে আজ আমাদের ব্লকে ৯৯ শতাংশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্যার। ধন্যবাদ স্যার।

প্রধানমন্ত্রীজী – আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছিল, যে আপনি নিজে নিয়মিত ক্ষেত্র সমীক্ষা করেন। নিজে গ্রামে গ্রামে যান, তার ফলে আপনি এত সহজে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনার এলাকার মানব সম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে লকডাউনের নিয়ম পালন পর্যন্ত সব কিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘দুই গজ দূরত্ব’ এই মন্ত্রকে আপনারা গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে এবং সমগ্র জম্মু-কাশ্মীরে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে