Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গত দশকের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব। ‘তাঁর সারা জীবন আমাদের সকলের কাছে ব্যাপক অনুপ্রেরণার’ বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধুকে নির্ভীক এবং শান্তির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী এক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে শ্রী মোদী বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা সেই সময় দেশের মুক্তি যুদ্ধের যাবতীয় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যুবাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বাংলা ভূমিতে সমস্ত গণতান্ত্রিক মুল্যবোধগুলিকে উপেক্ষা করে কিভাবে অন্যায় ও বর্বরতার রাজত্ব কায়েম হয়েছিল সেকথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস ও গণ হত্যার হাত থেকে বের করে নিয়ে আসতে বঙ্গবন্ধু যেভাবে তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন, শ্রী মোদী সেকথাও স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ এক ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন ঘৃণা ও নেতিবাচক মনোভাব কোনো দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হতে পারেনা। কিন্তু কিছু মানুষ যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রচেষ্টাকে পছন্দ করতেন না, তারা তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।

‘আমরা সকলেই দেখছি যে কিভাবে সন্ত্রাস এবং রাজনীতি তথা কূটনীতির হিংসাত্মক হাতিয়ার একটি সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। বাংলাদেশ যখন উন্নতি ও অগ্রগতির নতুন শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে তখন সমগ্র বিশ্ব নজর রাখছে সন্ত্রাস ও হিংসার সমর্থকরা কোথায় রয়েছে এবং কোন দেশে রয়েছে’ বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান যে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশের মানুষ নিরন্তর কাজ করে চলেছেন দেখে শ্রী মোদী আনন্দ প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ অর্থনীতি সহ অন্যান্য সামাজিক সূচক, এমনকি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও নতুন মাপকাঠি স্হাপন করছে। দক্ষতা, শিক্ষা, স্বাস্হ্য, মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মাইক্রো ফিনান্স ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেন শ্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক সোনালী অধ্যায় রচনা করেছে, সেইসঙ্গে দুই দেশের অংশীদারিত্বে এক নতুন মাত্রা ও দিশার সূচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে জটিল সীমান্ত সমস্যার সমাধানে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আস্হার কারন।

শ্রী মোদী আরও বলেন, বাংলাদেশ শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারই নয়, উন্নয়নেরও অংশীদার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন- বিদ্যুৎ বন্টন, সড়ক, রেল, ইন্টারনেট, বিমান ও জলপথ পরিবহনে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, উস্তাদ আলাউদ্দিন খান, লালন শাহ, জীবনানন্দ দাশ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো পন্ডিতদের কথা স্মরণ করেন।

শ্রী মোদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও আদর্শের ফলে দুই দেশের পরম্পরা আরও সঙ্ঘবদ্ধ ও নিবিড় হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে বিগত দশকে দুই দেশের অংশীদারিত্ব, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে দৃঢ় ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং ২০২২এ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আস্হা প্রকাশ করেন যে, এই দুই মাইল ফলক কেবল ভারত ও বাংলাদেশের উন্নতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে না, সেইসঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও নিবিড় হবে।

CG/BD /NS 18 March, 2020…