প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আয়োজিত ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর ‘চ্যাম্পিয়ন অফ্ দ্য আর্থ’ পুরস্কার পাওয়ার পর, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণ দেওয়ার এটাই তাঁর কাছে প্রথম সুযোগ। তিনি বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলায় আমরা বর্তমানে যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি তা যথেষ্ঠ নয়। এক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন আনার জন্য বিশ্ববাসীকে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রর্দশন, সম্পদের যুক্তিগ্রাহ্য ব্যবহার, আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা হ্রাস করা এবং সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে জীবনযাপন সবক্ষেত্রেই আমাদের পরম্পরা ও বর্তমান সময়ের যাবতীয় প্রয়াসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নির্লোভ থাকাই আমাদের আদর্শ। এক্ষেত্রে ভারত আজ এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল বিষয়ে কেবল কিছু কথা বলার জন্যই নয়, বরং এক বাস্তবসম্মত প্রয়াস ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিয়ে উপস্হিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি উপদেশ-পরামর্শ দেওয়ার চেয়ে সঠিক পন্হা-পদ্ধতি মেনে চলা অনেক বেশি কার্যকর।
জীবাশ্ম বর্হিভূত জ্বালানী ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত অগ্রসর হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ২০২২ সালের মধ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ ১৭৫ গিগাওয়াটের বেশি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে, তা আরও বাড়িয়ে ৪৫০ গিগাওয়াট করা হবে। তিনি আরও বলেন ভারতে ই-মবিলিটি বা বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যবস্হাকে দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলে জৈব-জ্বালানী মিশ্রণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৫ কোটি পরিবারের কাছে পরিচ্ছন্ন রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
শ্রী মোদী বলেন, জল সংরক্ষণ, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং জল সম্পদের উন্নয়নের জন্য জল জীবন মিশন প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এই মিশনে আগামী কয়েক বছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় ৮০টি দেশ আন্তর্জাতিক সৌরজোট অভিযানে সামিল হয়েছে। অন্যান্য অংশীদারদের নিয়ে ভারত ও সুইডেন ইন্ডাস্ট্রি ট্রানজিসন ট্র্যাকের আওতায় লিডারশিপ গ্রুপের সূচনা করতে চলেছে। এই উদ্যোগ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য এক উপযুক্ত মঞ্চ প্রদান করবে। শিল্প সংস্হাগুলিকে কার্বন নির্গমন কমাতেও এই উদ্যোগ সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ভারত এক জোটের সূচনা করতে চলেছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে এই জোটে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এবছর ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের লক্ষ্যে ভারতের এই উদ্যোগ প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গড়ে তুলবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
CG/SS/NS
Earlier today, PM @narendramodi spoke at the @UN Summit on Climate Action. pic.twitter.com/dYVBFqZtqf
— PMO India (@PMOIndia) September 23, 2019
पिछले वर्ष "चैम्पियन ऑफ द अर्थ" अवार्ड मिलने के बाद यह U.N. में मेरा पहला संबोधन है।
— PMO India (@PMOIndia) September 23, 2019
और ये भी सुखद संयोग है कि न्यूयॉर्क दौरे में मेरी पहली सभा क्लाइमेट के विषय पर है: PM @narendramodi
Climate change को लेकर दुनिया भर में अनेक प्रयास हो रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 23, 2019
लेकिन, हमें यह बात स्वीकारनी होगी, कि इस गंभीर चुनौती का मुकाबला करने के लिए उतना नहीं किया जा रहा, जितना होना चाहिए: PM @narendramodi
Addressing a Summit on Climate Change at the @UN. https://t.co/PswS5nEv1Y
— Narendra Modi (@narendramodi) September 23, 2019