Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ


মঞ্চে উপস্থিত সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় সমাগত ভাই ও বোনেরা,

খুব সুন্দর আবহাওয়া। এতক্ষণ শ্রদ্ধেয়া মেহবুবা মহোদয়ার কথা শুনছিলাম, তিনি উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন, সঙ্কল্প নিয়েছেন। তেজস্বী নেতৃত্বদানের মাধ্যমে তিনি নতুন সরকার গঠনকরেছেন।তারপর আজ প্রথমবার এ রাজ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। আমি তাঁকে এবং সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীরকে অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। জম্মু ও কাশ্মীরের জনজীবনে এমনই উৎসাহ ও উদ্দীপনাময় সময়ে আমরা শ্রদ্ধেয় মুফ্‌তি মহম্মদ সঈদ মহোদয়ের অনুপস্থিতি অনুভব করছি। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সর্বদাই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবতেন। যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, তিনি বলেছেন, “দেশের উন্নতির জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখা জরুরি।” জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে যে দূরত্ব সেটা হ্রাস করার স্বপ্ন তিনি দেখতেন। তিনি এখানে এমন সরকার পরিচালনার স্বপ্ন দেখতেন, যে সরকারের উন্নয়নযজ্ঞ এই রাজ্যের সকল ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করে তুলবে, যাতে গোটা দেশের মানুষ, দেশের ‘মুকুটের মণি’ এই রাজ্যটির জন্য গর্ব করতে পারে।

তাঁর সুযোগ্য কন্যা মেহবুবা মহোদয়াও সেই স্বপ্ন ও দর্শনের উত্তরাধিকার বহন করেন। তাঁর সঙ্গে আমার যতবারই দেখা হয়েছে তিনি এই রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে নানা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের সমস্যা নিরসনের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এখানে বসেও আমার সঙ্গে এই সুন্দর আবহাওয়া নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তিনি বলেছিলেন পর্যটন ক্ষেত্র বিকাশের আরও নানা সম্ভাবনার কথা, সড়ক উন্নয়ন এবং সেতু নির্মাণের কথা। এহেন উৎসর্গীকৃত মানুষের নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়ন সুনিশ্চিত, আর সেজন্যই আমি মেহবুবাজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

আজ মাতা বৈষ্ণোদেবীর চরণে এসে তিনটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নবীন প্রজন্মের মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। অনেকেই জানেন না যে জম্মু ও কাশ্মীরের এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় সকল রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের এখানে রেখে শিক্ষাদান করে। এই ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের এই পরিচয় দেশের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে যায়। এই পরিচিতি দেশের ঐক্য ও সংহতিকে সুদৃঢ় করে, গৌরবান্বিত করে।
আজ আমার একটি স্পোর্টস্‌ কমপ্লেক্স উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য হয়েছে। খেলাধূলা মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে, প্রস্ফুটিত হতে সাহায্য করে। আমরা সবাই জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে ‘খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব’-এর কথা শুনি, যা এমনকি আমাদের পারিবারিক জীবনকে, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে। খেলা থেকেই এই খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব, আন্তরিকতা, পরস্পরের জন্য স্বার্থত্যাগের মনোভাব, হাতে হাত ধরে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জয়লাভের উদ্যমকে সঞ্জীবিত রাখে।
মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন (পীঠস্থান) বোর্ড এই স্পোর্টস্‌ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। এই নির্মাণ শুধু খেলাধূলার উন্নতিতেই কাজে লাগবে না, অসংখ্য মানুষের মনে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব সঞ্চারিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই মনোভাব মানুষের চলার পথকে মসৃণ করে, জীবনকে শক্তি যোগায়।

কাশ্মীরের ছেলেরা ক্রিকেটে যেভাবে উন্নতি করছে তা দেখে গর্ব হয়। ২০১৭ সালে ভারতে ফিফা অনূর্ধ ১৭ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই ফুটবল অনূর্ধ ১৭ বিশ্বকাপ আগামীদিনে ভারতের নবীন প্রজন্মকে অনেক এগিয়ে দেবে। বিশ্ব ফুটবলে এগিয়ে থাকা অনেক দেশের খেলোয়াড় ও নামী কোচরা আসবেন। ফুটবলে আমরা এখন অনেক পিছিয়ে আছি। কিন্তু তবুও আমরা এই বিশ্বকাপের আয়োজনকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলতে চাই যাতে ফুটবলের শ্রেষ্ঠ প্রদর্শন নিজের চোখে দেখে আমাদের তরুণ প্রজন্ম লাভবান হয়। পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ এসে ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, ভারতের যুবশক্তির সামর্থ্য সম্পর্কে অবহিত হবে। এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সও এ ধরনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।

আজ একটি হাসপাতাল উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য হয়েছে। আমি ভুলেও একথা বলতে চাই না যে এই হাসপাতালে সকলে স্বাগত। বরঞ্চ আমি চাই আপনাদের কাউকে যেন এই উন্নত পরিষেবা প্রদানে সক্ষম হাসপাতালে না যেতে হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে যত উন্নতি হবে, তত কম হাসপাতালে যেতে হবে।

প্রিভেনটিভ হেল্‌থ কেয়ার আমাদের সুলভে নিরাপদ রাখে। এক্ষেত্রে আমরা যত সক্রিয় হব, হাসপাতাল থেকে আমাদের দূরত্বকে তত বেশি সুনিশ্চিত করব। কারও জীবনে যেন এমন দিন না আসে, যাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা এমনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে যে দীর্ঘকাল অসুস্থ না হওয়াটাই আশ্চর্যের বিষয়। পরিচ্ছন্নতা আমাদের অসুস্থতা থেকে দীর্ঘকাল দূরে রাখতে সক্ষম। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশারদদের মতে ভারতের দরিদ্র পরিবারের মানুষদের জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা অসুখবিসুখ সারাতে খরচ হয়। এক পরিবারে ৫-৬ জন সদস্য থাকলে ২৫-৩০ হাজার টাকা ওষুধের পেছনে খরচ হয়। পরিচ্ছন্ন থাকলে আমরা ঐ পরিবারপিছু এত টাকা সাশ্রয় করতে পারি।

ছেলেমেয়েদের হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুমৃত্যুর কারণ সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া। ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খেলে যে বিষক্রিয়া হতে পারে সেটাই মৃত্যু ডেকে আনে। সেজন্যই মাতা বৈষ্ণোদেবীর পদতলে তাঁর আশীর্বাদে নির্মিত এত বড় হাসপাতাল উদ্বোধনের পরও আমি পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আহ্বান জানাই, যাতে আমরা সকলে হাসপাতাল থেকে নিজেদের দূরত্বে বজায় রাখতে পারি।

ভারত গোটা বিশ্বে যোগাভ্যাস প্রবর্তন করেছে। এখন তো রাষ্ট্রসঙ্ঘও ২১ জুনে আন্তর্জাতিক যোগদিবস ঘোষণা করেছে। গত বছর ঐদিনে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ যোগদিবসে উৎসব পালন করেছে। যারা আদর্শ পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশ্বাস রাখেন তাঁরা সকলেই আজ যোগাভ্যাসকে আপন করে নিয়েছেন। আদর্শ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে কেবল স্বাস্থ্যই নয়, সুস্থ থাকার জন্য যোগাভ্যাসের ভূমিকা অপরিসীম। এই হাসপাতালের জন্য যারা জমি দিয়েছেন সেই গ্রামের মানুষদের পরিবারের সকলের জন্য আজীবন নিঃশুল্ক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে ‘শ্রাইন বোর্ড’। আমার হাত দিয়েই তাঁরা সেই পাঁচজন গ্রামবাসীর হাতে হেল্‌থ কার্ড তুলে দিয়েছেন। সেজন্য আমি শ্রাইন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আর ঐ গ্রামবাসীদেরও অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। ভূমিদানসহজ কথা নয়। ভূমিদান করার জন্য অনেক বড় হৃদয় থাকতে হয়। তাঁদের জমিতে গড়ে ওঠা এই হাসপাতাল যখন অসংখ্য মানুষকে নিরাময় করবে, অনেক মুমূর্ষু রোগী জীবন ফিরে পাবেন তখন তাঁরা যে অসীম পরিতৃপ্তি পাবেন তার কোনও তুলনা হয় না। সেজন্য আমি হৃদয় থেকে ঐ গ্রামবাসী জমিদাতাদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

শ্রদ্ধেয় জগমোহনজি যখন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন, তখনই এই মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড গড়ে উঠেছে। সেই থেকে এই মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড অনেক সামাজিক উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করে আসছে। বিস্ববিদ্যালয় স্থাপন, অত্যাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে এই শ্রাইন বোর্ড দেশের অন্য যে সংস্থাগুলির কাছে দেবোত্তর সম্পত্তি রয়েছে তাদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে। সেজন্যও তাঁরা অনেক অভিনন্দনের পাত্র।

আমার বিশ্বাস এই উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপনের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে বড় কোনও রোগের জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না। ভালো ব্যবস্থা, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি এখানকার আবহাওয়া এত ভালো এবং পরিবেশ এত নির্মল যে, যে রোগ সারতে অন্যত্র ১৫ দিন লাগবে, এখানে তা সারতে পাঁচদিন লাগবে। এ খবর দেশের বাইরে পৌঁছলে মাতা বৈষ্ণোদেবীর চরণতলে এই অনুপম পরিবেশে চিকিৎসা করাতে বিশ্বের নানা দেশ থেকে রোগীরা আসবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের আয়ের সিংহভাগ আসে পর্যটন থেকে। এই হাসপাতাল সাফল্যের সঙ্গে কাজ করলে স্বাস্থ্য পরিষেবাসংক্রান্ত পর্যটন থেকেও রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই টাকায় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য সরকার রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারবে।

আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে যাতে ১২৫ কোটি জনসাধারণের স্বপ্ন সাকার করার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির নতুন শিখরে পৌঁছে দেওয়া যায়! কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কামরূপ – সর্বত্র সুষম উন্নয়ন, দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। দেশে আধুনিক বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আরও বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, উন্নত সড়ক, বিদ্যুৎ সংযোগ, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের মাধ্যমেই সমাজ জীবনের উন্নতি সম্ভব। প্রয়াত মুফ্‌তি মহম্মদ সঈদ জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্র থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ আদায় করে উন্নয়নযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আজও পূর্ণশক্তি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের স্বার্থে আপনাদের রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। ভারতের খুব কম নেতাই দেশের সকল প্রান্তের সাধারণ মানুষের এত ভালবাসা পেয়েছেন। অটলজি সর্বদাই জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের কথা ভাবতেন। তিনি বলতেন, মানবতা, কাশ্মীরি সংস্কৃতি ও সহবত এবং দেশাত্মবোধ – এই তিনটি স্তম্ভকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। আমরা বাজপেয়ীজির সেই মানবতা, কাশ্মীরি সংস্কৃতি ও সহবত এবং দেশাত্মবোধের ভাবনায় ‘সবার সাথে সবার উন্নয়ন’ মন্ত্রের রং লাগিয়েছি। সকলের উপকার করতে প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেলেই আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারব।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, পর্যটনের বিকাশে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা জম্মু ও কাশ্মীর বেড়াতে এলে শুধুই রাজ্যের আর্থিক লাভ হয় না, দেশেরও আর্থিক লাভ হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন উন্নয়নে অনেকক’টি ক্ষেত্রে আমাদের নতুন পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। পর্যটনকে অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করা, আধ্যাত্মিক পর্যটনের পথ প্রশস্ত করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলেমিশে সুপরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে, যাতে আমাদের নবীন প্রজন্মের প্রত্যেক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও জোর দিতে হবে। রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে জম্মু ও শ্রীনগরের মাঝের দূরত্বকে অর্ধেক করে দিতে নতুন প্রশস্ত সড়কপথ গড়ে তোলা হচ্ছে। ক্রমে এই পরিকাঠামো লেহ্‌-লাদাখ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ভবিষ্যতের পর্যটক অনেক কম সময়ে ভূ-স্বর্গে চলে আসতে পারবেন, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থাও আরও উন্নত হবে। সেজন্য আমরা যৌথভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। শ্রদ্ধেয়া মেহবুবা মহোদয়াকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। রাজ্যপাল মহোদয়কেও অভিনন্দন জানাই, তিনি শ্রাইন বোর্ডের মাধ্যমে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ জনসাধারণের কল্যাণে কাজে লাগবে। আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ।

PG/SB/DM/S