উপস্থিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ এবং আজকের অনুষ্ঠান যাঁদের ঘিরে, সেই নবীন বন্ধুরা,
আজ আপনারা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে যে লাগাতার তপস্যার পর্যায় আপনারা অতিক্রম করেছেন, যদিও আমার মনে হয় আরও পথ বাকি, আপনারাও আমার সঙ্গে সহমত হবেন। পার্থক্য এটাই যে, এতদূর পর্যন্ত কেউ না কেউ আপনাদের পৌঁছে দিয়েছেন, এখন আপনাদের নিজে নিজে লক্ষ্যসাধনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। যাঁরা আপনাদের হাত ধরে এতদূর টেনে এনেছেন, নিজেরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েও আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ মসৃণ করেছেন। তাঁদের পরিশ্রম কতটা সার্থক তা নির্ভর করছে আজ আপনারা এখান থেকে কী নিয়ে যাচ্ছেন তার ওপর। যাঁরা এখান থেকে দু’হাত ভরে নিয়ে যেতে পারছেন, তাঁদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, প্রত্যেক পথের মোড়ে এই সম্পদ কাজে লাগবে। কিন্তু যাঁরা আপনাদের এখানে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁদের কথা মনে রাখবেন।
ভবিষ্যতে কী করবেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে এতদিন আপনারা অনেকেই বলতেন, আগে তো পড়া শেষ করি! কিন্তু আজ থেকে আপনার জবাব অন্যরকম হওয়া উচিত। বাবা-মা সন্তানকে জন্ম দিয়েই অত্যন্ত খুশি হন। কিন্তু সেই সন্তান যখন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তাঁদের আনন্দের সীমা থাকে না। আপনার জন্মের আনন্দ থেকে বাবা-মায়ের মনে যখন প্রতিষ্ঠার আনন্দ বেশি হয় তখন আপনাদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাঁরা আপনাদের নিয়ে কেমন স্বপ্ন দেখে অতি কষ্টে আপনাদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছেন, সেই সব স্বপ্নকে জীবনে সাকার করার দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আপনাকে কিছু কিনতে হবে কিন্তু বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে টাকা আসতে দেরি হচ্ছে, তখন বাবা-মায়ের ওপর কত রাগ করেছেন। কিন্তু ভাবেননি যে তাঁরাও টাকা পাঠাতে দেরি হচ্ছে বলে আপনার থেকে অনেক বেশি চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু এর বদলে তাঁরা আপনার কাছ থেকে কোন প্রত্যাশা রাখেন না, কোন প্রতিদান চান না। তাঁরা চান আপনারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হন। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে একথাগুলি আমাদের ভোলা উচিত নয়।
কারোর বাবা-মা স্বপ্ন দেখেছেন যে ছেলে ডাক্তার হবে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে আপনাদের মনেও সঞ্চারিত হয়েছে। কিন্তু আপনারা অনেকেই সেসব কিছু হতে পারেননি, অল্পের জন্য অনেক সুযোগ ফসকে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আপনারা যে জ্ঞান আহরণ করেছেন তার মূল্যও অপরিসীম। সেই ঐতিহ্যকে পাথেয় করে আপনারা যা হতে পেরেছেন, নিষ্ঠার সঙ্গে সেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গেলে আপনারা অদূর ভবিষ্যতেই সাফল্য পাবেন।
কুন্ঠা, অসাফল্য, স্বপ্ন সাকার হওয়ার পথে নানা বাধা – এগুলিকে বোঝার মতো বয়ে নিয়ে যাবেন না। এগুলি থেকে শিক্ষা নিতে হয়। অসাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়েই জীবনের বৃহত্তর প্রতিস্পর্ধাগুলি সম্মুখীন হওয়ার সামর্থ্য অর্জিত হয়। আগেকার দিনে বলা হত, অমুক সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে। একবার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়লে একসময় অন্যদিক দিয়ে বেরোবেই। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। এখন জীবনের যে কোন মোড়েই পরিবর্তন আসতে পারে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সংগ্রাম করে গেলে যে কোন মুহূর্তে উল্লম্ফনের সুযোগ আসতে পারে। সেই উল্লম্ফন ব্যক্তিকে দিকচক্রবাল পেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। ইচ্ছাশক্তি প্রবল হতে হয়। স্বপ্ন দেখতে হয়।
আমাদের দেশে কোটি কোটি ছাত্রের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। আপনারাও কি সেরকমই এক একজন ? আমার মনে হয়, একটু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবা উচিত। আপনারা যদি ভাবেন ভারতের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই করদাতাদের অর্থানুকূল্যে পরিচালিত হয়। সরকারি টাকায় এবং আপনাদের পিতা-মাতার জমা করা ফি-র টাকা দিয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়েও সেসব কিছু রয়েছে। তার ওপর রয়েছে মা বৈষ্ণোদেবীর আশীর্বাদ।শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ তহবিলের একটি অন্যতম উৎস হল দরিদ্র সাধারণ তীর্থযাত্রীদের দান। মাতা বৈষ্ণোদেবীর পূণ্য তীর্থে দরিদ্র সাধারণ মানুষ তাঁদের সাধ্যমতো দান করেন। সেই ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষেরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে এই মন্দিরে পৌঁছন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী – সারা ভারতের মানুষের সেই অর্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলি গড়ে উঠেছে, ছাত্রাবাস গড়ে উঠেছে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উচিত দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে সঙ্কল্পবদ্ধ হওয়া। পাশাপাশি, এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও যাঁরা আপনাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়েছেন, সেসব শিক্ষক, অগ্রজ শিক্ষার্থী, এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরে যিনি চা বিক্রি করেন তিনিও আপনাকে অনেক রাত পর্যন্ত চা খাইয়েছেন। তারপর বলেছেন, এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো, সকালে তোমার পরীক্ষা আছে। কখনও কোন বয়স্ক পিয়নও হয়তো আপনাদের কোন খারাপ কাজে বাধা দিয়েছেন। তাঁদের সকলের সাহায্যেই আপনি আজ এখানে পৌঁছেছেন। তাঁদেরকেও আপনারা ভুলবেন না।
এই সমাবর্তনের কল্পনা কয়েক হাজার বছর আগে ভারতেই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। সমাবর্তনকে দীক্ষান্ত সমারোহ বলা যায়, কিন্তু শিক্ষান্ত সমারোহ নয়। সেজন্য আপনাদের কোনরকম শিক্ষা দেওয়ার অধিকার আমার নেই। দীক্ষান্ত সমারোহের পর আমাদের অর্জিত শিক্ষা সমাজ এবং জীবনকে সমর্পন করে দিয়ে আমরা সমাজের কাজের দুনিয়ায় পা রাখি। যে দেশের ৮০ কোটি মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে সে দেশ বিশ্বে কিনাকরে দেখাতে পারে! এই নবীন প্রজন্মের স্বপ্ন ভারতের উন্নয়নের কারণ হয়ে উঠবে। আমরা সেই দেশের মানুষ যাঁরা উপনিষদ থেকে যাত্রা শুরু করে আজ উপগ্রহ প্রেরণ করতে পেরেছি। এই উপনিষদ থেকে উপগ্রহ পর্যন্ত যাত্রা আমাদের গুরুকুল থেকে বিশ্বকুলে নিজেদের প্রজ্ঞার বিস্তারের ফলেই সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৈজ্ঞানিকদের মঙ্গল গ্রহে রকেট প্রেরণ করতে কত বছর লেগে গেছে!প্রত্যেককেই অসাফল্যের মুখ দেখতে হয়েছে। কিন্তু ভারতের নবীন প্রজন্মের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তাঁদের প্রথম প্রচেষ্টাতেই মঙ্গলযানকে সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর অন্যযে কোনও দেশের তুলনায় অনেক কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে তাঁরা এই সাফল্যের মুখ দেখেছেন। ভারতের মঙ্গল যাত্রার খরচ কত হয়েছে ? এখান থেকে যদি কাটরা যেতে হয় অটোরিক্সায় কিলোমিটার প্রতি ১০ টাকা লাগবে। কিন্তু এই নবীন প্রজন্মের বৈজ্ঞানিকরা যে মঙ্গলযান বানিয়েছেন, তার যাত্রাপথের খরচ কিলোমিটার প্রতি ৭ টাকারও কম। এমনকি, মঙ্গল গ্রহ নিয়ে সিনেমা বানাতে হলিউডের নির্দেশক ও প্রযোজকরা যত টাকা খরচ করেন, তার থেকেও কম খরচে আমাদের মঙ্গলযান সত্যিকারের মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে গেছে। ভারতের নবীন প্রজন্মের মেধা ও সামর্থ্য দেখুন!যাঁদের এই মেধা ও সামর্থ্য রয়েছে, তাঁদের স্বপ্ন দেখারও অধিকার আছে। আর স্বপ্ন সাকার হলে দেখবেন আপনার জীবনে আনন্দ অনেকগুণ বেড়ে যাবে। অবশ্য অনেক সময় উচ্চাশা বাস্তবে পরিণত না হলে মানুষ হতাশার অন্ধকারে ডুবে যায়। সেজন্যই আমি গোড়াতেই বলেছি, কোন অসাফল্যের বোঝা বহন করবেন না। নতুন করে স্বপ্ন দেখুন, তাহলেই দেখবেন সেই স্বপ্ন সফল করার ইচ্ছাশক্তি আপনার জীবনকে নতুন গতি দেবে, নতুন লক্ষ্যসাধনে, নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং নতুন আদর্শ স্থাপনে সাহায্য করবে। আপনারা মাতা বৈষ্ণোদেবীর চরণে শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছেন। এখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বিদ্যালাভ করেছেন। মেয়েদের এই সাফল্য মা বৈষ্ণোদেবীকে বেশি আনন্দ দিয়েছে। মহিলাদের সাফল্যের হার যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সেদিন দূরে নেই যখন পুরুষদের জন্য সংরক্ষণ প্রথা চালু করতে হবে। হয়তো দেখা গেল, ছাত্ররা আন্দোলন করছে যে আমাদের জন্য এতগুলি স্বর্ণপদক সংরক্ষণ করতে হবে!
গতকালই ভারতের এক কন্যা দীপা বিশ্বক্রীড়া মঞ্চে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সে রিও অলিম্পিকের জন্যে নির্বাচিত হয়েছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় কন্যা অলিম্পিকে জিমনাস্টিক্সের মূল পর্বে নিজের সৌকর্য প্রদর্শন করবে। এই ধরনের সাফল্য দেশের যুবসম্প্রদায়ের মনে শক্তি যোগায়। দেশের এক ক্ষুদ্র প্রান্তীয় রাজ্য ত্রিপুরার এই মেয়েটি অত্যন্ত কম ক্রীড়া সরঞ্জাম ও প্রতিকূল পরিবেশেও প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে এতদূর পৌঁছেছে। ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে আরও সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে যখন কেউ এগিয়ে যায়, তখন নিজের জীবনের প্রতিকূলতাগুলিকে সে অগ্রাহ্য করে। সফল মানুষের জীবন এরকমই। যে মহান বৈজ্ঞানিক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের হাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল, তিনি একটা সময় খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে গোটা বিশ্ব ‘মিসাইল ম্যান’ নামে চিনত। সুখ-সুবিধা, সুযোগ এবং ব্যবস্থা থাকলেই সাফল্য আসে না। প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। যার ইচ্ছাশক্তি প্রবল, তার সামনে রাস্তা নিজে থেকে খুলতে থাকে। বিহারের গরিব কৃষক, লেখাপড়া না জানা মানুষের মনে যখন প্রবল ইচ্ছা জাগে, তিনি একাই একটি পাহাড় খনন করে পথ নির্মাণ করতে পারেন। আজ সেই দশরথ মাঝির নাম কে না জানে। তিনি কেবল রাস্তা নির্মাণ করেননি, মানবিক শৌর্য্যের ইতিহাস লিখেছেন। একবিংশ শতাব্দী জ্ঞান আহরণের শতাব্দী। আর ইতিহাস বলে, যখনই মানবজাতি এহেন জ্ঞানযুগে প্রবেশ করেছে, তখনই ভারত মানব সভ্যতাকে নেতৃত্ব দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে আরেকবার ভারতের নেতৃত্বের অবকাশ তৈরি হয়েছে।
জ্ঞানের রথে চড়েই ভারত বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে, আর আপনারা সেই জ্ঞানের বাহক। সেই জ্ঞানের শক্তি নিয়েই আপনারা দেশের জন্য কিছু করার সামর্থ্য অর্জন করেছেন। আপনারা যদি সত্যি সত্যি দেশের জন্য কিছু করতে চান, তাহলেই কিছু করে উঠতে পারবেন। আর যদি সত্যি কিছু করে উঠতে পারেন, তাহলে দেখবেন সেই সাফল্যের শক্তি কত মহীয়ান। শ্রদ্ধেয়া মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মহোদয়ার একটি কথা আমার খুব ভালো লেগেছে। তিনি বলেছেন, এই নবীন প্রজন্মই বিশ্বের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবে, আমরা কেমন মহান পরম্পরার ঐতিহ্য বহন করি,আমাদের মন কত সুন্দর, কত উদার। কেমন প্রকৃতি থেকে আমাদের জিজীবিষা গড়ে উঠেছে। এই নবীন প্রজন্মের রাষ্ট্রদূতরাই জম্মু-কাশ্মীরের এই মহান ধরিত্রীর কথা, ভারতের ‘মুকুট মণি’র কথা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেবেন। এখানে ভারতের অনেক রাজ্য থেকে ছাত্ররা পড়তে এসেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়, এই সভাগৃহ, একটি ক্ষুদ্র ভারতবর্ষ। জম্মু-কাশ্মীরের মহান ধরিত্রী থেকে ভারতের নানা প্রান্তের এই যুবক-যুবতীরা তাঁদের স্বপ্ন সাকার করার সামর্থ্য নিয়ে নিজ নিজ প্রান্তে ফিরে যাবেন। এই আনন্দধারা সর্বত্র প্রবাহিত হবে।
আমরা ‘সকলের সাথে সকলের উন্নয়ন’ – এই মন্ত্রের আনন্দধারা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এই সঙ্কল্পই দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আর আমরা সবাই দেশকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করব, দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে, নিজের স্বপ্ন সাকার হবে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব। আজকের নবীন প্রজন্মের সকল ছাত্রছাত্রীদের, বিশেষ করে, যে মেয়েরা আজ এখানে তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান রেখেছেন, তাঁদের সকলকে লক্ষ লক্ষ শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের বাবা-মা-কেও শুভেচ্ছা জানাই। যাঁরা কন্যাসন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। মেয়ে যখন সাফল্য পায়, সেই সাফল্যের পেছনে তাঁর যত পরিশ্রম থাকে, পাশাপাশি থাকে তাঁর মায়ের পরিশ্রম ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি। নাহলে অধিকাংশ বাড়িতেই মেয়ে বড় হতে শুরু করলে মায়েরা চান যে তারা ঘরের কাজে মা-কে সাহায্য করুক। ছোট ভাই-বোনদের সামলাক, রান্নাবান্না, বাসন মাজা শিখুক, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুক। কিন্তু যে মা সেসব সাহায্যের পরোয়া না করে মেয়েকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান, সেসব মায়েদের ত্যাগকে আমি প্রণাম জানাই। তাঁদের ইচ্ছাশক্তিকে আমি প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ।
PG/SB/DM/S
Question of what next will play on your minds. But the person who knows what lies ahead won't need to depend on others: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
Recall what your parents did for you. They sacrificed their own happiness for yours: PM @narendramodi https://t.co/Iy8hu3vQmx
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
You may have thought of so much in your childhood but it may not have worked out. Forget that & instead think of what you have achieved: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
This university is built through the contribution of so many pilgrims, many of whom came from far away places: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
Let's pledge that we will do something for poor, because it was a poor pilgrim who contributed to build this university: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
You will remember every moment of your time here: PM @narendramodi addresses students https://t.co/Iy8hu3vQmx
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
Our nation is scaling new heights of progress and with such a youthful population we can achieve so much: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
Dream to do something and not to become someone: PM @narendramodi https://t.co/Iy8hu3vQmx
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016
This is a century of knowledge & whenever there has been an era of knowledge India showed the way: PM @narendramodi https://t.co/Iy8hu3vQmx
— PMO India (@PMOIndia) April 19, 2016