আধারকে সাধারণ মানুষের সহায়ক করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘দ্য আধার অ্যান্ড আদার ল’জ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল,২০১৯’ অনুমোদিত হয়েছে। এটি এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশটির জায়গা নেবে। গত বছর দোসরা মার্চ রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশে যে সংশোধনীগুলি ছিল,তার সবই আছে প্রস্তাবিত এই বিলে। এই বিল পেশ হবে সংসদের আগামী অধিবেশনে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউআইডিএআই জনস্বার্থ রক্ষায় এবং আধারের অপব্যবহারের মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারবে। এই সংশোধনীর ফলে কোন ব্যক্তিকে প্রমাণ হিসেবে আধার নম্বর দাখিল করতে বাধ্য করা যাবে না যদি না সংসদের কোন আইন দ্বারা তা বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন গ্রাহক স্বেচ্ছায় আধার নম্বর দিতে পারবেন।
এই সংশোধনীর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
· আধার নম্বর যাঁর আছে,তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে এটি যাচাই করা যেতে পারে।
· প্রকৃত আধার নম্বর গোপন রাখতে ১২ সংখ্যার আধার নম্বর এবং এর বিকল্প
ভার্চ্যুয়াল পরিচিতি ব্যবহার করা যাবে।
· কোন শিশুর আধার নম্বর থাকলে ১৮ বছর বয়সের পর সেই আধার নম্বর
বাতিল করার সুযোগ থাকবে।
· একমাত্র সংসদে পাশ হওয়া কোন আইন অথবা দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের
কোন নির্দেশসাপেক্ষে একমাত্র পরিচয় যাচাই করা যাবে।
· কেওয়াইসি-র জন্য স্বেচ্ছায় আধার নম্বর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই
বিলে।
· কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আধার দিতে বাধ্য করতে পারবে না।
· আধার নম্বর না দেওয়ার জন্য কোনরকম পরিষেবা প্রদান থেকে বিরত রাখা
যাবে না।
· এই বিলে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ফান্ড প্রতিষ্ঠার সংস্থান
আছে।
· আধার আইন লঙ্ঘন এবং সেই সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থার
সংস্থানও আছে এই বিলে।
CG/AP/DM/