জয় গঙ্গা মা,
জয় যমুনা মা,
জয় সরস্বতী মা,
প্রয়াগরাজের জয় হোক।
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
প্রয়াগরাজের তপভূমি এবং সমস্ত প্রয়াগবাসীদের আমার সাদর প্রণাম। এই মাটিতে এসে আমি আরেকবার নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। গতবার যখন এসেছিলাম, তখন কুম্ভমেলায় পবিত্র গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর তটে পুজো দেওয়া এবং পবিত্র অক্ষয়বটের দর্শন লাভের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এবারও সঙ্গমে পবিত্র স্নান এবং পুজো করার পরম সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
বন্ধুগণ, প্রয়াগরাজের তপস্যা এবং তপস্যার সঙ্গে এই নগরীর পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে কোটি কোটি মানুষ এখানে তপস্যা, ধ্যান এবং সাধনা করছেন। প্রয়াগরাজের প্রত্যেক ধূলিকণায় সবাই এই তপস্যার প্রভাব অনুভব করেন। কুম্ভে হটযোগী, তপযোগী, মন্ত্রযোগীদের পাশাপাশি, আমার মতো পরিশ্রমী কর্মযোগীরাও আসেন। এই কর্মযোগীরাই রাত-দিন এক করে এই মেলার ব্যবস্থাপনা সুচারুভাবে সম্পন্ন করে পুণ্যার্থীদের সমস্ত পরিষেবা প্রদান সুনিশ্চিত করেন।
আমি আমার এনডিআরএফ ভাই রাজেন্দ্র গৌতম’কে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি পুণ্যার্থীদের জীবন রক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাই। এই কর্মযোগীদের মধ্যে সেই নাবিকরাও রয়েছেন, যাঁরা মা গঙ্গার পুজো দিতে আসা কোটি কোটি ভক্তকে নিরাপদভাবে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন। এই কর্মযোগীদের মধ্যে রয়েছেন – প্রয়াগরাজের অসংখ্য স্থানীয় জনগণ, যাঁদের তপস্যা মেলা শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
বন্ধুগণ, এই কুম্ভের কর্মযোগীদের মধ্যে রয়েছেন – মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কর্মরত স্বচ্ছাগ্রহী সাফাই কর্মীরাও। যাঁদের তৎপরতা এবার সারা পৃথিবীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। যে স্থানে বিগত ৫ – ৬ সপ্তাহ ধরে ২০ – ২২ কোটি মানুষ পুণ্য স্নান করেছেন, সেখানকার অস্থায়ী ব্যবস্থা পরিচ্ছন্ন রাখার বড় দায়িত্ব তাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বিশ্বে অসম্ভব বলে কোনও কথা নেই।
ভাই ও বোনেরা, কিছুক্ষণ আগে আমার এরকমই কয়েকজন মহান কর্মযোগীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এই ভাই ও বোনেরা, কাকভোরে ওঠা থেকে শুরু করে অনেক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মুখবুজে মেলা-প্রাঙ্গণ থেকে জঞ্জাল ও শৌচালয় পরিষ্কার করার কাজ করে গেছেন। কিন্তু আমি দিল্লিতে বসেই তাঁদের সাফল্যগাথা সম্পর্কে অবহিত হচ্ছিলাম। দেশ ও বিশ্বের সমস্ত সংবাদ মাধ্যম মেলা – প্রাঙ্গণ ও সন্নিহিত অঞ্চলের পরিচ্ছন্নতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ভাই ও বোনেরা, প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে এরকম অনেক মুহূর্ত আসে, যখন পুরনো সব স্মৃতি ম্লান হয়ে নতুন স্মৃতি অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠে। আজ আমার জীবনে এমনই কিছু মুহূর্ত এসেছিল। আজ আমার এরকমই কিছু কর্মযোগী ভাই ও বোনেদের পা ধুয়ে বন্দনা করার সৌভাগ্য হয়েছে, তাঁদের আশীর্বাদ, স্নেহ ও ভালোবাসা আমি সারা জীবন বহন করব। এভাবেই আপনাদের সেবা করে যাব – এটাই আমার কামনা।
বন্ধুগণ, এই পুণ্য কুম্ভকে আধুনিক করে তুলতে আপনারা সদা সচেষ্ট ছিলেন। এই মেলা প্রাঙ্গণে ২০ হাজারেরও বেশি ডাস্টবিন এবং ১ লক্ষেরও বেশি শৌচালয় ছিল। সেগুলি পরিচ্ছন্ন রাখতে আমার সাফাই কর্মী ভাই ও বোনেরা কিভাবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে গেছেন, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনাদের এই অবদানের জন্য আমরা স্বচ্ছ সেবা সম্মান তহবিল গঠন করেছি। এই তহবিল থেকে এই কুম্ভমেলায় কর্মরত প্রত্যেক পরিবারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সাহায্য করা হবে। এই তহবিল দেশবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদের এই সেবার প্রতি একটি ভালবাসা মাখা কৃতজ্ঞতার প্রকাশ।
বন্ধুগণ, রাষ্ট্রপিতা মহাত্মা গান্ধী প্রায় ১০০ বছর আগে হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়ে স্বচ্ছ কুম্ভ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। গান্ধীজীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষে এখানে স্বচ্ছ কুম্ভ সফল করে আপনারা তাঁর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন। দেশবাসীর পূর্ণ সহযোগিতায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিজের লক্ষ্যের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এ বছর ২ অক্টোবরের আগেই দেশ উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। প্রয়াগরাজে আপনাদের এই সাফল্য আজ সারা দেশের সামনে একটি বড় প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
ভাই ও বোনেরা, এবার কুম্ভমেলায় যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে মা গঙ্গাকে নির্মল করা নিয়ে অনেক আলোচনা শোনা গেছে। বিগত এক – দেড় মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমি তীর্থযাত্রীদের অভিজ্ঞতার কথা জানছিলাম আর আজ নিজের চোখে তা প্রত্যক্ষ করেছি। আমি আগেও অনেকবার প্রয়াগরাজে এসেছি। কিন্তু গঙ্গার জলকে এমন নির্মল আগে কখনও দেখিনি। এই নির্মলতা নমামি গঙ্গে মিশনের সাফল্যের প্রমাণ। এই অভিযানের মাধ্যমে শুধু প্রয়াগরাজেই গঙ্গায় মিলিত হওয়া ৩২টি নালাকে বন্ধ করে সিওর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে দূষিত জল পরিষ্কার করার পরই গঙ্গায় ছাড়া হয়েছে।
এই অভিযান সফল করার জন্য সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। অনেক স্বচ্ছাগ্রহী স্বেচ্ছায় এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন, আর্থিকভাবেও সাহায্য করেছেন। দু’দিন আগে আমিও সিওল শান্তি পুরস্কারে পাওয়া প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা এই মিশনের তহবিলে দান করেছি। বিগত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি যত উপহার পেয়েছি, সেগুলি নিলামে বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছি, তাও আমি মা গঙ্গার সেবায় সমর্পণ করেছি।
বন্ধুগণ, মা গঙ্গায় যে নাবিকরা নৌকা চালান, তাঁদের সঙ্গে প্রয়াগরাজের সম্পর্ক অতি প্রাচীন। নাবিকদের ছাড়া মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের রামায়ণও সম্পূর্ণ হয় না। যিনি দুনিয়ার সবাইকে উদ্ধার করেন, তাঁকেও আমাদের নাবিক বন্ধুরাই উদ্ধার করেছিলেন। আপনারা নিজেদের ভগবান রামের সেবক বলে মনে করেন আর আমি নিজেকে আপনাদের প্রধান সেবক বলে মনে করি। আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। যে নিষ্ঠা নিয়ে আপনারা তীর্থযাত্রীদের সেবা করেছেন, তাঁদের পথ দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আমি আরেকবার আপনাদের সাদর প্রণাম জানাই।
ভাই ও বোনেরা, এই কুম্ভে আরও অনেক কাজ প্রথমবার হয়েছে। প্রথমবার ভক্তরা সঙ্গম স্নানের পাশাপাশি, অক্ষয়বট দর্শনের সুযোগ পেয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে অক্ষয়বটকে সবসময় দুর্গে বন্দী করে রাখা ছিল। এবার সরকার অক্ষয়বট ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব দূর করেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী অক্ষয়বট ও সরস্বতী কুম্ভ দর্শন করতে পারছেন।
ভাই ও বোনেরা, গতবার এখানে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, এবার কুম্ভ অধ্যাত্ম, আস্থা ও আধুনিকতার ত্রিবেণী সঙ্গম হয়ে উঠবে। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আপনাদের সকলের পরিশ্রমে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি। তপস্যা ক্ষেত্রকে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে যে অদ্ভূত সঙ্গম গড়ে তোলা হয়েছে, তা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এবারের কুম্ভমেলাকে একরকম ডিজিটাল কুম্ভ রূপে মনে রাখা হবে।
বন্ধুগণ, প্রয়াগরাজের কৃপা, সাধু – সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ আর আপনাদের সকলের উদ্যোগ ও নিয়মানুবর্তীতার সমন্বয়ে এই মেলা নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। আমি দেখেছি যে, কুম্ভে উত্তর প্রদেশ পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছে, সবাই তারও প্রশংসা করছেন। আপনাদের হারানো প্রাপ্তি বিভাগ এবং শিশু ও বৃদ্ধদের সাহায্যে তৎপরতার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।
আমি জানি যে, কুম্ভের সময়ে এরকম অনেকবারই হয়তো আপনারা এত পরিশ্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু যথাযথ বিশ্রামের সময় পাননি। তবুও কুম্ভের সাফল্যকে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যার ঊর্ধ্বে রেখে নিরন্তর কাজ করে গেছেন। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে, ৮ হাজারেরও বেশি সেবামিত্র এই মেলা – প্রাঙ্গণে দিনরাত কাজ করেছেন।
বন্ধুগণ, প্রয়াগরাজে যখন কুম্ভ শুরু হয়, তখন গোটা প্রয়াগরাজ শহরই কুম্ভ হয়ে ওঠে। এই নগরীর সাধারণ মানুষও তখন শ্রদ্ধেয় হয়ে ওঠেন। এবারের কুম্ভের আগে এই শহরটিকে একটি অনিন্দ্য সুন্দর নগরীতে পরিণত করার জন্য সমগ্র প্রয়াগবাসীর উদ্যোগ সারা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত-স্বরূপ।
বন্ধুগণ, আপনাদের সহযোগিতায় এবার কুম্ভে যেসব ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেগুলি সবই স্থায়ী ব্যবস্থা। এর আগে কুম্ভের সময়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হ’ত। কিন্তু এবার যে স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, তা প্রয়াগরাজে পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এখানকার বিমানবন্দরে যে নতুন টার্মিনাল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত প্রশংনীয়। সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নিয়ে যে এসটিপি গড়ে উঠেছে, তা আগামী বহু বছর সঙ্গমে ময়লা জল যেতে দেবে না।
ভাই ও বোনেরা, এই কুম্ভ ভক্তি এবং সেবা ভাবের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিভাগের আধিকারিকদের এই কুম্ভমেলার সফল আয়োজনের জন্য আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাই ও বোনেরা, শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে কোনও না কোনও সামাজিক বার্তাবাহী হয়। মাঝে এই পরম্পরা থেমে গিয়েছিল, কুম্ভমেলা নিছকই ধার্মীক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার কুম্ভমেলা দেশকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণে যে পরিচ্ছন্নতার বার্তা দিয়েছে, তা লোক শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আগামী বছরগুলিতে যেখানেই ধার্মিক, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক সমারোহ হবে, আয়োজকরা এরকমই পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে কোনও সমঝোতা করবে না। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টাতেই এই বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
আজ এখানে এসে আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে। সাধু – মহাত্মাদের আশীর্বাদ তো আমি পেয়েই থাকি। কিন্তু আজ আপনাদের মতো প্রকৃত সেবক তপস্বীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। সাধু-সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ ও তাঁদের শিক্ষার গুণেই আজ আমি আপনাদের মাঝে এসে দাঁড়াতে পেরেছি। আমাদের শাস্ত্রে বলেছে –
না কামে রাজ্যপম ন মোক্ষম ন পুনর্ভবম।
কামে দুখ তপ্তোনা প্রাণিণার্তশম।।
দরিদ্র ও দুঃখীদের সেবার বার্তাই মানবজাতির কল্যাণে আমাদের পূর্বজরা আমাদের দিয়ে গেছেন। আজ যে তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে, আমি নিশ্চিত যে, তা নাবিক পরিবার, পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত সাফাই কর্মীদের পরিবার এবং পুলিশের নিম্ন পদে কর্মরত মানুষদের পরিবারের কাজে লাগবে! তাঁদেরকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
SSS/SB/SB…
इस साल 2 अक्टूबर से पहले पूरा देश खुद को खुले में शौच से मुक्त घोषित करने की तरफ आगे बढ़ रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) February 24, 2019
और मैं समझता हूं, प्रयागराज के आप सभी स्वच्छाग्रही, पूरे देश के लिए बहुत बड़ी प्रेरणा बनकर सामने आए हैं: PM
गंगाजी की ये निर्मलता नमामि-गंगे मिशन की दिशा और सरकार के सार्थक प्रयासों का भी उदाहरण है।
— PMO India (@PMOIndia) February 24, 2019
इस अभियान के तहत प्रयागराज गंगा में गिरने वाले 32 नाले बंद कराए गए हैं।
सीवर-ट्रीटमेंट प्लांट के माध्यम से गंगा नदी में प्रदूषित जल को साफ करने के बाद ही प्रवाहित किया गया: PM
नमामि-गंगे के लिए अनेक स्वच्छाग्रही तो योगदान दे ही रहे हैं, आर्थिक रूप से भी मदद कर रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) February 24, 2019
मैंने भी इसमें छोटा सा योगदान किया है।
सियोल पीस प्राइज़ के तौर पर मुझे जो 1 करोड़ 30 लाख रुपए की राशि मिली थी, उसको मैंने नमामि-गंगे मिशन के लिए समर्पित कर दिया है: PM
बीते साढ़े चार वर्षों में प्रधानमंत्री के नाते मुझे जो उपहार मिले हैं,
— PMO India (@PMOIndia) February 24, 2019
उनकी नीलामी करके भी जो राशि मिली है,
वो भी मां गंगा की सेवा में लगाई जा रही है: PM
पिछली बार मैं जब यहां आया था तो मैंने कहा था कि इस बार का कुंभ
— PMO India (@PMOIndia) February 24, 2019
अध्यात्म,
आस्था और
आधुनिकता की त्रिवेणी बनेगा।
मुझे खुशी है कि आप सभी ने अपनी तपस्या से इस विचार को साकार किया है।
तपस्या के क्षेत्र को तकनीक से जोड़ कर जो अद्भुत संगम बनाया गया उसने भी सभी का ध्यान खींचा है: PM
Moments I’ll cherish for my entire life!
— Narendra Modi (@narendramodi) February 24, 2019
Honouring remarkable Safai Karamcharis, who have taken the lead when it comes to realising the dream of a Swachh Bharat!
I salute each and every person making a contribution towards a Swachh Bharat pic.twitter.com/IsjuCgjlkn
‘Swachh Kumbh, Swachh Aabhaar’ was a great platform to honour those great women and men who have worked tirelessly to keep the Kumbh at Prayagraj clean. Here are some glimpses from the programme. @PrayagrajKumbh pic.twitter.com/ERBgRM45lD
— Narendra Modi (@narendramodi) February 24, 2019
The people of Prayagraj must be congratulated for being exceptional hosts of the Kumbh in the city.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 24, 2019
The efforts of the Naviks, local administration, police personnel have been noteworthy.
Congratulations to the UP Government for their stupendous organisation of the Kumbh!