Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর প্রধানমন্ত্রীর; একাধিক প্রকল্পের সূচনা

মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর প্রধানমন্ত্রীর; একাধিক প্রকল্পের সূচনা

মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর প্রধানমন্ত্রীর; একাধিক প্রকল্পের সূচনা

মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর প্রধানমন্ত্রীর; একাধিক প্রকল্পের সূচনা


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৬ই ফেব্রুয়ারি) মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর করেন। রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ ভামরে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলওয়ামায় আত্মোৎসর্গকারী বীর জওয়ানদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোকের এই মুহূর্তে দেশ তাঁদের পাশেই রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত কখনই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। তবে, ভারতের ব্যাপারে অনাবশ্যক হস্তক্ষেপকে কখনই মেনে নেওয়া হবে না। “আমি শুধু দেশের বীর সন্তানদেরই নয়, তাঁদের মায়েদেরকেও, যাঁরা এমন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁদের স্যালুট করি।” “পুলওয়ামার হামলার ঘটনার ষড়যন্ত্রকারীদের অবশ্যই বিচারের আঙিনায় আনা হবে। সারা বিশ্ব নতুন দৃষ্টিভঙ্গির এক নতুন ভারতকে দেখবে, যেখানে চোখের একফোঁটা জলও ব্যর্থ যাবে না।”

শ্রী মোদী, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাঁই যোজনার (পিএমকেএসওয়াই) আওতায় লোয়ার পানাজারা মধ্যম সেচ প্রকল্পের সূচনা করেন। এর মাধ্যমে, ধুলে ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ২১টি গ্রামের ৭,৫৮৫ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। জলের অভাব রয়েছে এমন অঞ্চলের পক্ষে এটি হবে জীবনরেখার সামিল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাঁই যোজনার মাধ্যমে ধুলে সহ মহারাষ্ট্র এবং দেশের অন্যান্য অংশে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। গত চার বছরে এ ধরণের ৯৯টি সেচ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে ২৬টিই রয়েছে মহারাষ্ট্রে। পানাজারা প্রকল্পটি এরকমই একটি সেচ প্রকল্প বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২৫ বছর আগে মাত্র ২১ কোটি টাকায় এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের শুষ্ক এলাকায় জল সরবরাহ করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, এটি তারই সুফল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী, জলগাঁও-উধানা রেল প্রকল্পের ডবল লাইন এবং বিদ্যুতিকরণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। সাধারণ নাগরিক এবং পণ্য চলাচলের সুবিধার্থে গত চার বছর ধরে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ২,৪০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়। উত্তর এবং দক্ষিণের মধ্যে এই রেললাইন স্থানীয় এলাকার বিকাশে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে পতাকা দেখিয়ে ভুসাওয়াল-বান্দ্রা খান্দেশ এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন। এই ট্রেনটির মাধ্যমে মুম্বাই এবং ভুসাওয়ালের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী, নান্দুরবার-উধানা এমইএমইউ ট্রেন এবং উধানা-পালাডি এমইএমইউ ট্রেন যাত্রারও সূচনা করেন। তিনি বোতাম টিপে ৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুলে-নার্দানা রেললাইন এবং ১০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জলগাঁও-মানমাড় তৃতীয় রেললাইনের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে, সময় এবং যান চলাচল পরিচালন ব্যবস্থা আরও ভালো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব প্রকল্পের ফলে ধুলে ও সংলগ্ন এলাকার যোগাযোগ এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং উন্নয়নের মাপকাঠিতে শীঘ্রই ধুলে, সুরাটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে পারবে।

নরেন্দ্র মোদী সুলওয়াড়ে জামফল কানোলি সেচ প্রকল্পেরও সূচনা করেন। এই প্রকল্পে তাপি নদী থেকে জল এনে তা স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন বাঁধ, পুকুর এবং খালে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে, ১০০টি গ্রামের প্রায় ১ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী, ধুলে শহরে অম্রুত প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন জল সরবরাহ প্রকল্প এবং ভূগর্ভস্থ নিকাশি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধুলের খরাপ্রবণ এলাকায় নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনযাপন সহজ এবং উন্নত করতে সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অত্যন্ত অল্প সময়ে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এর মধ্যে, ধুলে থেকে প্রায় ১,৮০০ মানুষ এবং মহারাষ্ট্রের মোট ৭০ হাজার রোগী এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য এই প্রকল্প আশার আলো দেখাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

CG/DM/