Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিকিম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত – বললেন প্রধানমন্ত্রী

জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিকিম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত – বললেন প্রধানমন্ত্রী

জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিকিম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত – বললেন প্রধানমন্ত্রী

জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিকিম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত – বললেন প্রধানমন্ত্রী


নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সঙ্কল্পে স্থির থেকে জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিকিম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সিকিমের কৃষিজীবী মানুষের এই প্রচেষ্টা স্বীকৃতিলাভ করেছে সমগ্র বিশ্বে। জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে জোয়ার আজ শুরু হয়েছে সিকিমে তা ক্রমশ ব্যপ্ত হবে সারা দেশেই।

আজ এখানে ‘জৈব কৃষি উৎসব, ২০১৬’-র উদ্বোধনকালে এই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষের একজন অতিথি হিসেবেই তিনি এসেছেন সিকিম সফরে। “নিরন্তর কৃষি ও কৃষক কল্যাণ সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলনে” যে আলোচনা ও মত বিনিময় হয়েছে তাতে দেশের কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে এক সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন ঘটেছে। দেশের সবক’টি রাজ্য এই সম্মেলনে আলোচিত ও উপস্থাপিত বিষয়গুলির মধ্য থেকে তাদের গ্রহণযোগ্য অংশটুকু সংগ্রহ করতে পারেন। এ সমস্ত বিষয়ই ‘সিকিম ঘোষণা’ নামে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রসঙ্গত, প্যারিসে জলবায়ু সম্পর্কিত সি ও পি-২১ বৈঠকের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জীবনধারণের কৌশল সিকিম ইতিমধ্যেই আয়ত্ত করে নিয়েছে। তাই, এই রাজ্যটি হল উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিশেষ আদর্শ যেখানে প্রকৃতি থাকে সুরক্ষিত। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেশের দশম পরিচ্ছন্নতম শহর হিসেবে গ্যাংটক চিহ্নিত হওয়ায় সিকিমের বিশেষ প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের একটি জেলা কিংবা একটি ব্লককে চিহ্নিত করে সেখানে ১০০ শতাংশ জৈব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ডাকও দেন তিনি। এই ব্যবস্থা ক্রমশ রাজ্যের অন্যান্য অংশেও প্রসার লাভ করবে বলে তিনি মনে করেন।

সাম্প্রতিককালে ঘোষিত শস্য বিমা কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ কৃষকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের মনোভাব গড়ে তুলেছে। তাই, এই বিমা প্রকল্পটিকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্ড সহ অন্যান্য যে সমস্ত কৃষক-বান্ধব কর্মসূচি রয়েছে তার সুযোগ গ্রহণের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ জুড়ে মাটির নমুনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারগুলির এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। এমনকি, গ্রীষ্মাবকাশের সময় স্কুলের গবেষণাগারগুলিকেও এই উদ্দেশে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কিষাণ মোবাইল ফোনের মতো কয়েকটি বিশেষ উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্থান পায়। এ সমস্ত উৎপাদন কৃষকদের বিশেষ বিশেষ চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে সফল হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, স্টার্ট আপ কর্মসূচি এক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য দিশা দেখাতে পারে।

নরম পানীয়ের সঙ্গে কিছু পরিমাণ ফলের রস মিশিয়ে বিপণনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সিকিমে একটি বিমানবন্দর তৈরি হয়ে গেলে জৈব পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ সড়ক কাঠামো গড়ে তোলার পেছনে রয়েছে কৃষিপণ্য বাজারজাত করার এক বিশেষ চিন্তাভাবনা। শুধু তাই নয়, কৃষি ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে বৃক্ষ রোপণ ও পশুপালনের মতো বিষয় দুটিকেও যুক্ত করা উচিত। অগ্রণী কৃষকদের জন্য দেশের প্রতিটি রাজ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক বিশেষ অনলাইন ব্যবস্থা বা মঞ্চ গড়ে তোলারও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

সিকিমে উদ্ভাবিত তিন বিশেষ প্রজাতির অর্কিড আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সিকিম অর্গ্যানিক’– এই লোগোটি তিনি চালু করেন ডিজিটাল ব্যবস্থায়। রাজ্যে ১০০ শতাংশ জৈব-কৃষি সম্ভব করে তোলার যে সঙ্কল্প গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পবন কুমার চামলিং সেজন্য তাঁর হাতে শংসাপত্রও তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের দুটি জেলাকে তিনি শংসাপত্র দেন মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচিতে ১০০ শতাংশ সাফল্যের জন্য। সিকিমের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্রী রামা রাও-এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষক ও আদিবাসী কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রীর ভূকিমারও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। সিকিমের কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত যে বিষয়গুলির কথা তুলে ধরেছেন শ্রী চামলিং, সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষভাবে চিন্তাভাবনা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

PG/SKD/DM