Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গ্লোবাল মোবিলিটি সামিট – ‘মুভ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) নতুন দিল্লিতে গ্লোবাল মোবিলিটি বা বিশ্ব অধিগমন শীর্ষ বৈঠকের উদ্বোধন করেন।

 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন অর্থনীতি, পরিকাঠামো, যুব বিষয়ক ও অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হ’ল অগ্রসরতা। এই অগ্রসরতা আর্থিক বিকাশে গতি সঞ্চার করে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলে।

 

প্রধানমন্ত্রী সাতটি ‘সি’-এর ওপর ভিত্তি করে ভারতে ভবিষ্যৎ অগ্রগতির পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। এই সাতটি ‘সি’ হ’ল – common বা অভিন্ন, connected বা সংযুক্ত, convenient বা উপযোগী, congestion free বা যানজট মুক্ত, charged বা বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারিত করা, clean বা পরিচ্ছন্ন এবং cutting edge বা সর্বাধুনিক।

 

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অংশ নিম্নরূপ –

 

মহামহিম সকলে,

সারা বিশ্বের বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ,

ভদ্র মহোদয় ও মহোদয়াগণ,

 

গ্লোবাল মোবিলিটি শীর্ষ বৈঠকে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই।

 

মুভ – শীর্ষ বৈঠকের এই নামটি প্রকৃত অর্থেই বর্তমান ভারতের প্রাণচঞ্চলতাকে প্রতিফলিত করে। অবশ্যই ভারত এখন এগিয়ে চলেছে :

 

আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। আমরা এখন বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল প্রধান অর্থনীতি।

আমাদের শহর ও নগরগুলিও এগিয়ে চলেছে। আমরা ১০০টি স্মার্টসিটি নির্মাণ করছি।

 

আমাদের পরিকাঠামো এগিয়ে চলেছে। আমরা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সড়ক, বিমানবন্দ্র, রেল লাইন ও বন্দর নির্মাণ করছি।

 

আমাদের পণ্য সরবরাহ ক্ষেত্রও এগিয়ে চলেছে। অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর সরবরাহ ব্যবস্থাকে যুক্তিসঙ্গত এবং পণ্যাগার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

 

আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। আমরা ভারতকে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুকূল গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলেছি।

 

আমাদের জীবনযাত্রা এগিয়ে চলেছে। পরিবারগুলি এখন নিজস্ব বাড়ি, শৌচালায়, ধোঁয়ামুক্ত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ঋণের সুবিধা পাচ্ছে।

 

আমাদের যুবসম্প্রদায়ও এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের স্টার্টআপ হাব বা নতুন শিল্প স্থাপনের কেন্দ্র হিসাবে আমাদের দ্রুত উত্থান ঘটছে। ভারত এখন নতুন শক্তি, চাহিদা ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমরা সকলেই জানি যে, মানবতার অগ্রগতিরমূলে রয়েছে গতিময়তা।

 

সমগ্র বিশ্ব এখন গতিময়তার এক নতুন নবজাগরণের মধ্যভাগে রয়েছে। তাই, গতিময়তার বিষয়টিকে আরও বড় আঙ্গিকে দেখা প্রয়োজন।

 

গতিময়তা হ’ল অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। গতিময়তা ভ্রমণ ও পরিবহণের বোঝা কমিয়ে দেয়। এমনকি, আর্থিক বিকাশেও সহায়ক হয়। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিল্প সংস্থা বড় ভূমিকা নিতে পারে।

 

নগরায়নের কেন্দ্রেও রয়েছে গতিময়তা। মনুষ্যচালিত যানবাহনের জন্য ক্রমবর্ধমান সড়ক, পার্কিং ও ট্র্যাফিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন।

 

সহজে জীবনযাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল মোবিলিটি। প্রতিটি মানুষের কল্পনায় এর জায়গা রয়েছে।

আমাদের গ্রহের সংরক্ষণের জন্যও গতিময়তার প্রয়োজন। সারা বিশ্বে মোট নির্গত কার্বডাইঅক্সাডের এক-পঞ্চমাংশ আসে সড়ক পরিবহণ থেকে। এই বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড শহরের মানুষের শ্বাসরোধ করছে। এম্নকি, বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধিরও কারণ।

 

বর্তমানে এমন এক অনুকূল গতিময় ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যা প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সময়ের চাহিদা পূরণ করবে।

 

জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গতিময়তাকে ব্যবহার করতে হবে। দ্রুতগতি ভালো কর্মসংস্থান প্রদান করে। আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলে এবং জীবনযাত্রার গুণমান বাড়ায়। এমনকি, গতিময়তা খরচ কমায়, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করে এবং এই গ্রহকে সুরক্ষা প্রদান করে।

 

গতিময়তা, বিশেষ করে গতিময়তার ডিজিটাইজেশনের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ইতিমধ্যেই মানুষ ফোন করে ট্যাক্সি ডেকে নিচ্ছেন, শহরগুলিতে বাইসাইকেল পরস্পরকে ব্যবহারের জন্য দিচ্ছেন; পরিশ্রুত জ্বালানির সাহায্যে বাস চলাচল করছে। গাড়িগুলি বিদ্যুৎ চালিত হয়ে উঠছে।

 

ভারতেও আমরা গতিময়তার ওপর জোর দিয়ে আসছি। আমরা মহাসড়ক নির্মাণের গতি দ্বিগুণ করেছি।

 

গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ পরিকল্পনায় পুনরুজ্জীবন ঘটানো হয়েছে। আমরা জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিশ্রুত জ্বালানির সাহায্যে যানবাহন চালানোর ওপর জোর দিচ্ছি। দেশের যেখানে বিমান পরিষেবা ছিল না, সেখানে আমরা কম খরচে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসাধন করেছি। নতুন ১০০টি আকাশপথে বিমান পরিষেবা চালু করছি।

 

রেল ও সড়কের মতো চিরাচরিত পদ্ধতির পাশাপাশি আমরা জলপথ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

 

উপযুক্ত জায়গায় আমরা বাড়ি, বিদ্যালয় ও কার্যালয় নির্মাণ করে শহরগুলিতে সফরের সময় সাশ্রয় করছি।

 

যানজত এড়াতে আধুনিক যানবাহন পরিচালনা ব্যবস্থার মতো তথ্য নির্ভর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়াস আমরা নিয়েছি।

 

অবশ্য, পদযাত্রীদের উৎসাহিত করতেও সাইকেল চালনায় উৎসাহ দেওয়া আমাদের প্রয়োজন। সেইসঙ্গে, তাঁদের সুরক্ষা ও অগ্রাধিকারের বিষয়টিকেও সুনিশ্চিত করতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

দ্রুত পরিবর্তনশীল ও গতির এই যুগে ভারতের নিজস্ব কিছু শক্তি ও তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। আমাদের নতুনভাবে যাত্রা সূচনা করতে হবে। সম্পদচালিত গতিময়তার সৌভাগ্য আমাদের খুব কম।

 

অন্যান্য প্রধান অর্থনীতিগুলির তুলনায় মাথা পিছু আমাদের যানবাহন সংখ্যা কম। এটি আমাদের এক নতুন সমস্যামুক্ত অনুকূল গতিময়তার সুযোগ গড়ে তুলতে সুবিধা করে দিয়েছে।

 

প্রযুক্তির দিক থেকে আমাদের শক্তি নিহিত রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি, বিগডেটা, ডিজিটাল লেনদেন ও ইন্টারনেট উপযোগে পারস্পরিক লেনদেন অর্থনীতির ওপর এই উপাদানগুলি বিশ্বের ভবিষ্যৎ গতিময়তার মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠছে

 

আমাদের অভিনব পরিচিতি ব্যবস্থা ‘আধার’ – এক সুসংবদ্ধ সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। অভিনব এই ব্যবস্থা ৮৫ কোটি মানুষকে ডিজিটাল দিক থেকে অধিকার প্রদান করেছে। ভারত দেখাতে পারে যে, কিভাবে এ ধরণের ডিজিটাল পরিকাঠামোকে গতিময়তার নতুন বাণিজ্যিক মডেলের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।

 

আমাদের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গতিময়তার পরিবেশগত উপকারিতাগুলিকে কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষেত্রে আমরা ২০২২ নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সৌরশক্তি উৎপাদক দেশ। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের দিক থেকে আমাদের স্থান এখন ষষ্ঠ। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মাধ্যমে সৌরশক্তি ক্ষেত্রে এখন অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছি।

 

আমাদের উৎপাদন ভিত্তি, বিশেষ করে মোটর গাড়ি ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে।

 

আমাদের এক বিপুল সংখ্যক ডিজিটাল-শিক্ষিত যুবসম্প্রদায় রয়েছে। এই যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত, সুদক্ষ যুবক-যুবতীরাও রয়েছেন। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার উচ্চাকাঙ্খী স্বপ্ন এদের মধ্যে রয়েছে।

 

আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে, গতিময় অর্থনীতিতে সর্বাগ্রে থাকার ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জায়গায় রয়েছে।

 

ভারতে গতিময়তার ভবিষ্যতের পেছনে আমার পরিকল্পিত যে ৭টি ‘সি’ রয়েছে, সেগুলি হ’ল – common বা অভিন্ন, connected বা সংযুক্ত, convenient বা উপযোগী, congestion free বা যানজট মুক্ত, charged বা বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারিত করা, clean বা পরিচ্ছন্ন এবং cutting edge বা সর্বাধুনিক

 

common বা অভিন্ন – গণপরিবহণ ব্যবস্থা আমাদের গতিময়তার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ হয়ে উঠবে। আমাদের বড় মোটর গাড়ির পাশাপাশি স্কুটার ও রিক্‌শার মতো যানবাহনেও গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নয়নশীল বিশ্বের একটা বড় অংশই গতিময়তার জন্য এ ধরণের যানবাহনের ওপর নির্ভর করে।

 

connected বা সংযুক্ত – বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থার পাশাপাশি, ভৌগোলিক অখন্ডতার ক্ষেত্রেও সংযুক্ত গতিময়তা সমানভাবে প্রযোজ্য। ইন্টারনেট উপযোগী কানেকটেড শেয়ারিং অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

convenient বা উপযোগী – উপযোগী গতিময়তা সমাজের সব শ্রেণীর স্বার্থে এক নিরাপদ, সুলভ ও সহজে ব্যবহারযোগ্য মাধ্যম। এই ব্যবস্থার সকলেই নিতে পারেন। ব্যক্তিগত যানবাহনে সফরের পরিবর্তে গণপরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধা সকলে যাতে নিতে পারেন, তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে।

 

congestion freeবা যানজট মুক্তগতিময়তা অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা রয়েছে, তা দূর করার ওপর জোর দিতে হবে। এরফলে, রাস্তায় যানজট যেমন কমবে, তেমনই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে হয়রানিও হ্রাস পাবে।

 

charged বা প্রাণবন্ত গতিময়তা এগিয়ে চলার এক অন্যতম শক্তি। ভারতের ব্যবসায়ী মহল ও উৎপাদকরা এক সর্বাধুনিক ব্যাটারি প্রযুক্তি আবিষ্কারে নিজেদের নিয়জিত করে রেখেছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংগঠন মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহগুলি চালনার জন্য বিশেষ ধরণের ব্যাটারির ব্যবহার করে থাকে। আমরা খুব শীঘ্রই বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য বিকল্প জ্বালানি চালিত যানবাহনের জন্য এক নীতি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছি। এই নীতির ফলে সকলেই সমান লাভবান হবেন এবং মোটর গাড়ি শিল্পে এক বিরাট সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে।

 

clean বা পরিচ্ছন্ন গতিময়তা – পরিচ্ছন্ন শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই শক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এক উপযুক্ত হাতিয়ার। এই গতিময়তা বায়ুকে দূষণমুক্ত রাখতে ও জীবনযাপনের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।

 

cutting edge বা সর্বাধুনিক গতিময়তা ইন্টারনেট চালু হওয়ার গোড়ার দিনগুলির মতো জায়গায় রয়েছে। এই সর্বাধুনিক গতিময়তা পরবর্তী সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে চলেছে। শিল্পোদ্যোগীরা গতিময়তাকে উদ্ভাবন ও বিকাশের এক বিপুল সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করবেন। এটি এমন একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে চলেছে, যেখানে উদ্ভাবন জনস্বার্থে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে, গতিময়তার বিপ্লব আমাদের অগ্রগতি ও বিকাশের সহায়ক হয়ে উঠবে। ভারত যখন উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করবে এক-পঞ্চমাংশ মানুষ এ থেকে উপকৃত হবেন। এমনকি, ভারতের এই সাফল্য অন্যদের অনুসরণ করতে উৎসাহিত করবে। পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আমার তরুণ বন্ধুরা উদ্ভাবনের এক নতুন যুগের নেতৃত্ব দিতে এটি আমাদের কাছে এক বড় সুযোগ। এটিই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের এই বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যা আমাদের এবং অন্যদের গতিময় উদ্ভাবন ব্যবস্থার অগ্রগতিতে শক্তি যোগাবে।

 

আমাদের প্রাচীন লিপি থেকে উদ্ধৃত করে আমি বলতে পারি –

 

আমরা সকলেই সুরক্ষিত থাকব

আমরা সকলেই পরিপুষ্ট হব

আরও উৎসাহ নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব

আমাদের বুদ্ধি আরও ক্ষুরধার হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমরা একত্রে কি করতে পারি, তা উপলব্ধি করার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।

এই শীর্ষ বৈঠক সবেমাত্র শুরু হ’ল। এটি আরও এগিয়ে চলুক।

 

ধন্যবাদ।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

 

CG/BD/SB