Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

প্যারিসে সি ও পি ২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী


ভারতের নতুন অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতা সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেইসঙ্গে, সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার ভারত উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে। আমাদের এই অগ্রগতি দেশের এক-ষষ্ঠাংশ নাগরিকের জীবনযাত্রাকেই শুধু প্রভাবিত করবে না, এক সফল ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তোলার কাজেও তা এক বিশেষ অবদানের নজির সৃষ্টি করবে।

সোমবার প্যারিসে সি ও পি-২১ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় মণ্ডপের উদ্বোধনকালে এই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তার প্রভাব পড়বে আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাতেও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী নই। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবেই বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে জলবায়ু পরিবর্তন তার প্রভাব বিস্তার করেছে। ভারতও এই প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। জল-হাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের ঝুঁকির মাত্রাও যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই তীব্রতর হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাত্রা। সমুদ্রের উচ্চতা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের মতো উপকূলবর্তী এলাকা। সেইসঙ্গে, অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৩০০টি দ্বীপের। এই সমস্ত উদ্বেগ ও আশঙ্কার কারণেই আজ আমরা সকলে সমবেত হয়েছি প্যারিসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের ভারসাম্য যাতে রক্ষা করা যায় সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর এজন্য সমগ্র বিশ্বকেই কাজ করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। কার্বন নির্গমনের মাত্রা হ্রাস করতে প্রয়োজন প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ও উদ্ভাবনের সঠিকমাত্রায় সদ্ব্যবহার। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে এমন এক পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে যেখানে প্রচেষ্টা ও পরিস্থিতির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো সম্ভব হয়ে ওঠে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অগ্রগতি শুধুমাত্র ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত নয়। ভারতীয় জনসাধারণের অধিকার রয়েছে অগ্রগতির সুফল ভোগ করার। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার কাজে আমরা জোটবদ্ধ হতে চাই পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও। ভারতে প্রকৃতিকে মানুষ বরাবরই মা জ্ঞানে পুজো করে এসেছেন। অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানবজাতি হয়ে উঠেছে প্রকৃতিরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যেই প্রতিফলিত হয়েছে ঐশ্বরিকতার আশীর্বাদ। আমরা বরাবরই বিশ্বাস করি যে, প্রকৃতির অস্তিত্ব মানবজাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে প্রকৃতির আশীর্বাদ ছাড়া। প্রকৃতি আমাদের শোষণ করে না, আমাদের লালন করে। তাই, প্রাকৃতিক ভারসাম্য যদি বজায় থাকে তা হলে মানব জীবন ও বিশ্ব সংসার সঠিকভাবেই চালিত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঋগ্বেদে প্রকৃতি ও বসুন্ধরাকে বন্দনা করা হয়েছে মানব জীবনের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। অথর্ববেদে জীবনের স্বার্থেই পৃথিবীকে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।গান্ধীজীর জীবন ও বাণীতেও আমরা তার পুনরাবৃত্তি খুঁজে পাই। গান্ধীজীর মতে, কারও লোভ চরিতার্থ করার জন্য প্রকৃতি নয়, সকলের চাহিদা ও প্রয়োজন মেটানোর জন্যই অস্তিত্ব প্রকৃতির। আজ আমরা এখানে ‘পরম্পরা’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছি, যার মূল সুর ও বার্তা হল এই বিষয়টিকে অবলম্বন করেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির সাহায্যে ১৮ হাজার গ্রামে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে পারি। জীবাশ্ম ছাড়া অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত জ্বালানির সাহায্যে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৪০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা আমরা পূরণ করতে পারি। এই লক্ষ্যে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের কর্মপরিকল্পনা আমরা স্থির করে ফেলেছি। এমনকি, বর্জ্য থেকেও জ্বালানি শক্তি উৎপাদনে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। আমরা একদিকে যেমন স্মার্ট নগরীগড়ে তুলবো, অন্যদিকে তেমনই সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী পরিবর্তন সম্ভব করে তুলবো। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৫০টি নতুন মেট্রোরেল প্রকল্প। জীব বৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখতে অরণ্য এলাকাকে আরও সম্প্রসারিত করে তোলার এক ব্যাপক কর্মসূচি আমরা ছকে ফেলেছি। গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ লক্ষ গৃহস্থ বাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে এল ই ডি বাল্ব। আমরা ভারতকে গড়ে তুলতে চাই নির্মাণ তথা উৎপাদন শিল্পের এমন একটি ক্ষেত্র হিসেবে যেখানে ত্রুটিমুক্ত উৎপাদন নিশ্চিত করা যাবে পরিবেশের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ‘প্রতিটি জলবিন্দুর সাহায্যে অধিকতর উৎপাদন’। এরফলে, আমাদের কৃষক বন্ধুদের জীবনধারণের মানই শুধু উন্নত হবে না, বিরল প্রাকৃতিক সম্পদের সাশ্রয়ও সম্ভব হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, বিশুদ্ধ জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়টিকে আমরা বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কয়লার মতো প্রাকৃতিক জ্বালানিকে আমরা আরও বিশুদ্ধ জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে আগ্রহী। সেইসঙ্গে, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি যাতে সুলভ হয়ে ওঠে এবং প্রতিটি গৃহকোণে পৌঁছে যায় তার সুফল সেই লক্ষ্যেও এক নিরন্তর প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে স্টকহোম থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনপর্যন্ত ভারতীয় নেতৃবৃন্দ বরাবরই পরিবেশের পক্ষে ও অনুকূলে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এসেছেন। জাতীয় স্তরে কাজকর্মের পরিধি অতিক্রম করে এখন আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার কাজে সামিল হয়েছি আমরা। আশা ও অঙ্গীকার নিয়েই আমরা উপস্থিত হয়েছি এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রাঙ্গণে। আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও মতাদর্শ যদি সঠিক পথে চালিত হয় তা হলে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলতে পারবো এক সফল সহযোগিতার বাতাবরণ।

PG/SKD/SB/S