Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী রোয়ান্ডা সরকারের গিরিঙ্কা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রয়েরু আদর্শ গ্রামের বাসিন্দাদের গরু দান করলেন

প্রধানমন্ত্রী রোয়ান্ডা সরকারের গিরিঙ্কা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রয়েরু আদর্শ গ্রামের বাসিন্দাদের গরু দান করলেন

প্রধানমন্ত্রী রোয়ান্ডা সরকারের গিরিঙ্কা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রয়েরু আদর্শ গ্রামের বাসিন্দাদের গরু দান করলেন

প্রধানমন্ত্রী রোয়ান্ডা সরকারের গিরিঙ্কা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রয়েরু আদর্শ গ্রামের বাসিন্দাদের গরু দান করলেন


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রোয়ান্ডার রয়েরু আদর্শ গ্রামের যে সব বাসিন্দাদের একটাও গরু নেই, তাঁদের সব মিলিয়ে ২০০টি গরু উপহার দিলেন। রোয়ান্ডা সরকারের ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচির এই অনুষ্ঠানে রোয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি পল কাগামে উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচি এবং সেই সূত্রে রাষ্ট্রপতি পল কাগামের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে বহুদূর রোয়ান্ডাতে গ্রামে গ্রামে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গরুকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়, ভারতীয়রা এই অপ্রত্যাশিত তথ্য জানলে আনন্দবোধ করবেন। দুটি দেশের গ্রামীণ জীবনধারার সামঞ্জস্যের কথাও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচি রোয়ান্ডার গ্রামগুলিতে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

 

প্রসঙ্গত, ‘গিরিঙ্কা’ শব্দের অর্থ ‘আপনার একটা গরু থাকুক।’ এই শব্দটি রোয়ান্ডার একটি শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক প্রথাকে বোঝায়, যাতে একজন আরেকজনকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ একটি গরু দান করেন। রাষ্ট্রপতি পল কাগামে শিশুদের অপুষ্টির বিপজ্জনক উচ্চ হারের প্রতিকার হিসেবে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, পশুপালন ও কৃষিকাজের মধ্যে সমন্বয় ত্বরান্বিত করতে ‘গিরিঙ্কা’ প্রথা চালু করেন। এই কর্মসূচির মূলে রয়েছে একটি করে দুগ্ধবতী গরু দান করা। ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচি জীবনজীবিকায় পরিবর্তন আনে। তাছাড়া, এই কর্মসূচিতে সার ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও গাছ লাগিয়ে মাটির ক্ষয় রোধের মাধ্যমে কৃষিকাজের উন্নতিতে সমাজ-সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করা যায়। রোয়ান্ডাতে ২০০৬ সালে ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচি চালু করার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ গরু পেয়েছেন। জুন, ২০১৬ পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলিকে মোট ২,৪৮,৫৬৬টি গরু দান করা হয়েছে। এই কর্মসূচি রোয়ান্ডার কৃষি উৎপাদনশীলতা, বিশেষ করে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং অপুষ্টি কমেছে ও মানুষের আয়ও বেড়েছে। ‘গিরিঙ্কা’ কর্মসূচির আরেকটি লক্ষ্য, দেশে ঐক্যের প্রসার ও কর্মসূচির মূলে থাকা সাংস্কৃতিক ধারার ভিত্তিতে দাতা ও গ্রাহকের মধ্যে বিশ্বাস ও একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ স্থাপন করা। এটি কর্মসূচির মূল লক্ষ্য না হলেও, পরবর্তীকালে এই বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে। কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের কয়েকটি বিশেষ মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। একজন রোয়ান্ডা সরকারের আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, কর্মসূচির জন্য সেইসব দরিদ্র পরিবারগুলিকে বাছাই করা হয় যাদের গো-চারণের জমি থাকলেও একটিও গরু নেই। সুবিধাভোগীর পশুশালা নির্মাণের ক্ষমতা থাকা চাই কিংবা তাঁকে অন্যদের সঙ্গে মিলিতভাবে গোশালা নির্মাণে ইচ্ছুক হতে হবে।

 

CG/SC/DM