Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলারআহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী : জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন ডঃআম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটি


আজ নয়াদিল্লিতে ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিজাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রতিষ্ঠানটিরতিনি শিলান্যাস করেছিলেন ২০১৫-র এপ্রিল মাসে।

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেন যে, ডঃ আম্বেদকর-এর চিন্তাভাবনা ও শিক্ষাদর্শেরপ্রচার ও প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার।

আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের লক্ষ্যে ডঃ আম্বেদকরআন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিকে এই লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারের এক বাস্তবায়ন বলে বর্ণনাকরেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা ও গবেষণা চালানোরক্ষেত্রে এটি হয়ে উঠবে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলকবিকাশ ও সংশ্লিষ্ট আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিসাবেকাজ করে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন যে, দর্শন ওচিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে পথিকৃৎরা বিভিন্ন সময়ে দেশের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলি স্থিরকরেছেন। জাতি গঠনের কাজে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য সমগ্র জাতি বিশেষভাবে ঋণীবাবাসাহেবের কাছে। তাঁর চিন্তাভাবনা ও মতাদর্শ আরও বেশি সংখ্যক দেশবাসী, বিশেষতযুবসমাজের মধ্যে প্রসারলাভ করুক, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার।এই কারণেই ডঃ আম্বেদকর-এর জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিকে পুণ্যভূমি রূপে গড়েতোলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দিল্লির আলিপুর, মধ্যপ্রদেশের মহাও, মুম্বাইয়ের ইন্দুমিল,নাগপুরের দীক্ষাভূমি এবং লণ্ডনে আম্বেদকর-এর বাসভবনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ডঃ আম্বেদকর-এর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বর্তমান প্রজন্মের কাছেএই স্থানগুলি হ’ল ‘পঞ্চতীর্থ’। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের লক্ষ্যে ‘ভীম’অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ডঃ আম্বেদকর-এর অর্থনৈতিক প্রজ্ঞাকেইশ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

১৯৪৬ সালে ডিসেম্বরে ডঃ আম্বেদকর-এর ভাষণের একটিঅংশের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিতকরলেও জাতির সমস্যা দূর করার জন্য ডঃ আম্বেদকর-এর চিন্তাভাবনা ছিল অনুপ্রেরণামূলক।কিন্তু ডঃ আম্বেদকর-এর স্বপ্নকে সম্পূর্ণভাবে আমরা এখনও সফল করে তুলতে পারিনি।সামাজিক কুফলগুলি দূর করার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রজন্মের যথেষ্ট ক্ষমতা ও সম্ভাবনারয়েছে বলে মনে করেন শ্রী মোদী ।

রাজনৈতিক গণতন্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক গণতন্ত্রওপ্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন – ডঃ আম্বেদকর-এর এই কথাগুলি প্রসঙ্গত স্মরণ করেন শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, গত তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে এই সামাজিক গণতন্ত্রেরস্বপ্ন পূরণে কাজ করে চলেছে তাঁর সরকার। জন ধন যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছ ভারতমিশন, বিমা কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সাম্প্রতিককালের সৌভাগ্য যোজনারকথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিরূপায়ণের কাজ নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে সর্বতোভাবে সচেষ্ট রয়েছেকেন্দ্রীয় সরকার। সঠিক সময়ে রূপায়িত ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটি এর একটি বড়উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন তিনি। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কার্ড বন্টন, মিশনইন্দ্রধনুষ এবং গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণের সফল অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে শ্রী মোদীবলেন, জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়নে তাঁর সরকার দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেনতিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, ‘নতুন ভারত’গঠনের যে ডাক তিনি দিয়েছেন, সেই ভারতবর্ষের কথাই চিন্তা করেছিলেন ডঃ বি আরআম্বেদকর। সমান সুযোগ ও অধিকার এবং জাতিভেদ প্রথা মুক্ত এই ‘নতুন ভারত’ প্রযুক্তিরশক্তিতে আরও বলীয়ান হয়ে উঠবে।

ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর স্বপ্ন ও চিন্তাভাবনারবাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।

PG/SKD// SB