Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

চিন ও মায়ানমার সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী


নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদি চিনের জিয়ামেনে আগামী ৩-৫ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নবম ব্রিকস শিখরসম্মেলনে যোগ দেবেন| এর পর প্রধানমন্ত্রী ৫-৭ সেপ্টেম্বর মায়ানমার সফরেও যাবেন|

এ উপলক্ষে বেশকিছু ফেসবুকপোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন:

“ নবম ব্রিকস শিখর সম্মেলনেযোগ দিতে আমি ৩-৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ চিনের জিয়ামেন সফর করব|

ভারতের সৌভাগ্য হয়েছিল গতবছরের অক্টোবর মাসে গোয়ায় এর আগের শিখর সম্মেলন আয়োজন করার| আমি গোয়া শিখরসম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যাওয়ায় আশাবাদী| আমিএবারও চিনের চেয়ারম্যানশিপে শক্তিশালী ব্রিকসের লক্ষ্য পূরণে সহায়তাকারী ফলপ্রসূআলোচনা এবং ইতিবাচক ফলাফলের জন্য আশাবাদী|

পাঁচটি দেশের শিল্পপতিদেরপ্রতিনিধিত্বে গঠিত ব্রিকস বাণিজ্য পরিষদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করব|

তাছাড়া, আমি ৫ সেপ্টেম্বররাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর আহ্বানে আয়োজিত “উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশ” নিয়ে একআলোচনায় ব্রিকসের সহযোগী দেশ সহ নয়টি অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূআলোচনায়ও আশাবাদী|

শিখর সম্মেলনের ফাঁকেবিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার সুযোগও আমার হবে| উন্নয়ন ও শান্তিরজন্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দশক পার করে দ্বিতীয় দশক শুরু করা ‘ব্রিকসে’র ভূমিকাকেভারত বিশেষ মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে| বিশ্বের নানান প্রতিকুলতার মোকাবিলা করা এবংপৃথিবীর শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্রিকসের বিশেষ অবদান রয়েছে|

আমি ৫-৭ সেপ্টেম্বররিপাবলিক অফ ইউনিয়ন অফ মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি মহামান্য ইউ. হুতিন জ’-এর আমন্ত্রণেমায়ানমার সফরে যাবো| আমি আগেও ২০১৪ সালে আসিয়ান-ভারত শিখর সম্মেলনের সময় এই সুন্দরদেশটি সফর করেছি, কিন্তু মায়ানমারে এটা হবে প্রথমবারের মত আমার দ্বিপাক্ষিক সফর|

আমি রাষ্ট্রপতি ইউ. হুতিনজ’-এর সঙ্গে এবং স্টেট কাউন্সিলর, বিদেশমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দফতরের মন্ত্রী মহামান্য ড্য আন সাং স্যু কি’র সঙ্গেও আলোচনারজন্য আশাবাদী| ২০১৬ সালে এই দুই বিশিষ্টজনের ভারত সফরের সময় তাঁদের সঙ্গে আমারআলোচনার সুযোগ হয়েছিল|

এই সফরে আমাদেরদ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে মায়ানমারে ভারত যে উন্নয়ন সহযোগিতার ব্যাপককর্মসূচি ও আর্থ-সামাজিক সহায়তার কাজ করছে, সেগুলো নিয়ে এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতেপারি এমন আরও ক্ষেত্র উদ্ভাবনার বিষয়ে আমরা আলোচনা করব|

তাছাড়া নিরাপত্তা,সন্ত্রাস-প্রতিরোধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিকাঠামো ও বিদ্যুত এবংসংস্কৃতি নিয়ে আমাদের বর্তমান সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আমরাআলোচনা করব|

আমি প্রখ্যাত ঐতিহ্যের শহর‘বাগান’-এর সফরেও আশাবাদী, যেখানে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা ‘আর্কেওলোজিক্যলসার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ আনন্দ মন্দির সংস্কারে অসাধারণ ভূমিকা নিয়েছে| তাছাড়া গত বছরেরভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর সংখ্যক বুদ্ধ-মন্দির ও ম্যুরালের পুনরুদ্ধারেও‘আর্কেওলোজিক্যল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ কাজ করতে যাচ্ছে|

আমি ইয়াঙ্গনে আমার সফরশেষ করব, যেখানে আমি ভারত ও মায়ানমারের মধ্যেকার সংযুক্ত ঐতিহ্যের প্রতীক বিভিন্নঐতিহাসিক ক্ষেত্র পরিদর্শন করব|

আমি মায়ানমারে বসবাসকারীভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাত ও আলোচনায় বিশেষভাবে আগ্রহী| শতাব্দীরথেকেও বেশি সময় ধরে এই মানুষরা সেখানে বসবাস করছেন|

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এইসফর ভারত ও মায়ানমারের মধ্যেকার সম্পর্কের এক নতুন উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করবেএবং আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে, আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে এবং দুই দেশেরসাধারণ মানুষের মধ্যে আরও ঘনিষ্ট সহযোগিতার রূপরেখা তৈরিতে সহায়তা করবে|”

A.D.