মঞ্চে উপস্থিত ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল, শ্রদ্ধেয় বলরাম দাস ট্যান্ডন,ছত্তিশগড়ের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ রমন সিং মহোদয়, আমার কেন্দ্রীয়মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মী শ্রী বিষ্ণুদেব, ছত্তিশগড় বিধানসভার অধ্যক্ষ গৌরীশঙ্করআগরওয়াল, ছত্তিশগড় সরকারের সকল মাননীয় মন্ত্রীগণ, স্থানীয় সাংসদ রমেশজি, মঞ্চেউপস্থিত অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ওবোনেরা,
এখন দেশ দীপাবলি উৎসবে মেতে আছে। চারদিকে দীপাবলি পালন করা হচ্ছে, এমনই একসময়ে আমি ছত্তিশগড় আসার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের সবাইকে এই পবিত্র উৎসবের অনেক অনেকশুভেচ্ছা জানাই। আমি সৌভাগ্যবান; মা ও দিদিরা যখন আশীর্বাদ দেন, তখন আমাদের কাজকরার শক্তি অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। আজ ‘ভাইদুজ’ উৎসবের দিনে ছত্তিশগড়ের নানা প্রান্তথেকে আগত লক্ষাধিক দিদি এসে আমাকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, বিশেষ করে, আদিবাসী দিদিরাআশীর্বাদ জানিয়েছেন। আমি এই সকল দিদিদের প্রণাম জানাই। আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে,আপনাদের এই ভাই ভারতমাতার কল্যাণে, ১২৫ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণে আপ্রাণ কাজ করতেকোনও খামতি রাখব না।
আজ আমাদের সকলের অগ্রজ নেতা, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় বলরামদাসমহোদয়ের জন্মদিন। আমি তাঁকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ ছত্তিশগড়ের এক অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ দিন, এর জন্য আমরা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারীবাজপেয়ীজিকে যত ধন্যবাদই জানাই না কেন, তা কম হবে। আজ সমগ্র ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ,উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, বিহার এবং ঝাড়খন্ডের পক্ষ থেকে আমরা সবাই শ্রদ্ধেয় অটলবিহারী বাজপেয়ীজিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
কোনও রাজ্যের সৃষ্টি এত শান্তিপূর্ণভাবে, সৌহার্দ্যময় পরিবেশে হলেরাজ্যবাসীর শক্তিবৃদ্ধি হয়। বাজপেয়ীজির দূরদৃষ্টি এবং গণতান্ত্রিক মর্যাদা ওপরম্পরা পালন করে রাজ্য সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ এই ছটি রাজ্যের ভবিষ্যৎপ্রজন্ম ভালোভাবেই অনুভব করবেন। আমরা জানি, আমাদের দেশে যে কোনও রাজ্য রচনারক্ষেত্রে কেমন তিক্ততার সম্মুখীন হতে হয়। আর নতুন রাজ্য গড়ে ওঠার পরও উন্নয়নের কাজনা করে এই তিক্ততা কিভাবে চিরকালীন শত্রুতায় পরিণত হয়। এই ছটি রাজ্যের ক্ষেত্রেবাজপেয়ীজি তা হতে দেননি। আজ থেকে ১৬ বছর আগে যখন ছত্তিশগড় দেশের নতুন রাজ্য রূপেযাত্রা শুরু করেছিল, তখন কে ভেবেছিলেন যে, আদিবাসী প্রধান নক্শাল অধ্যুষিত এইরাজ্যটিও একদিন দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সঙ্গে উন্নয়নের ক্ষেত্রে টক্কর দেবে। বিগত১৩ বছর ধরে এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাঃ রমন সিংজি। উন্নয়নই তাঁর জীবনেরমূল্যমন্ত্র, উন্নয়নই আমাদের জীবনে সকলের মূলমন্ত্র। দেশের প্রতিটি সমস্যার সমাধানকেবল এই উন্নয়নের মাধ্যমেই সম্ভব।
আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এক মহাপুরুষের দূরদৃষ্টি ও সাফল্যের ভিত্তিতেইনিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা গড়ে তুলতে পেরেছি। আর সমাজের শেষ প্রান্তে বসে থাকাব্যক্তির কল্যাণের জন্য আমরা পবিত্র মনে, সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।আমাদের সেই প্রেরণাপুরুষ হলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। এ বছর আমরা তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীকে আমরা গরিব কল্যাণবর্ষ রূপে পালনকরার মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে সমাজ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সমন্বয়ে গরিব মানুষেরকল্যাণে গৃহীত প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করছি। আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের একটিমর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁর মূলমন্ত্র ছিল জনপদ থেকেরাজপথ পর্যন্ত একটি আত্মপথ নির্মাণ, একাত্মতার মাধ্যমে একাত্মপথ নির্মাণ। আজ সকালেএখানে আসার পর আমি ঘুরে ঘুরে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ দেখছিলাম। এত উন্নতমানেরনির্মাণকার্য দেখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। আজ থেকে ৫০ বছর পরও যখন কেউ এসেছত্তিশগড়ের নতুন রায়পুর দেখবেন, এই একাত্মপথ দেখবেন, তখনও তিনি অবাক হয়ে ভাববেন,এই ছোট্ট রাজ্য কত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছে। আদিবাসী অঞ্চলগুলিতেও উন্নয়নেরকাজ জোরকদমে চলছে। এই একবিংশ শতাব্দীতে ছত্তিশগড়ে আজ যে ভিত্তিপ্রস্তরগুলি স্থাপনকরা হচ্ছে, যে প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমব্যক্তির কল্যাণের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র দ্বারা এখানকারপ্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করারক্ষেত্রে আজকের ছত্তিশগড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ ডাঃ রমন সিংজিরনেতৃত্বে তাঁর সরকার এবং ছত্তিশগড়ের সাধারণ মানুষ যে কর্মযজ্ঞ পালন করছেন, যেমজবুত ভিত্তি গড়ে তুলছেন, তা ছত্তিশগড়ের ভাগ্য বদলে দেবে, এর প্রভাব শতাব্দীকালধরে মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। শুধু তাই নয়, ভারতের ভাগ্য পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করবে।
আজ ডাঃ রমন সিংজি আমাকে তাঁর প্রিয় প্রকল্প জঙ্গল সাফারি ভ্রমণে নিয়েগিয়েছিলেন। সেখানে মনে হচ্ছিল, বাঘেরা তাঁকে চেনে, তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আমিবলতে চাইছি যে, যে দূরদৃষ্টি নিয়ে ছত্তিশগড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করে পর্যটনক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে, তা উদাহরণযোগ্য। ছত্তিশগড়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনারয়েছে। এখানকার শিল্পকলাও পর্যটকদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে। সেজন্য ডাঃ রমন সিংতাঁর রাজ্যে ইকো-ট্যুরিজম’কে গুরুত্ব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অনেক কম পুঁজিতে অনেকবেশি রোজগার সম্ভব হয়। একটি কারখানা স্থাপন করলে যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলে যতজনমানুষের কর্মসংস্থান হয়, তার দশ ভাগের এক ভাগ লগ্নি করলেই পর্যটনের ক্ষেত্রে এরথেকে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়। প্রত্যেকেই রোজগার করেন। ফুল, ফল, প্রসাদ,পুজোর সরঞ্জাম বিক্রেতা থেকে শুরু করে খেলনা, চকলেট, বিস্কুট বিক্রেতা কিংবা রিক্শা,অটো রিক্শা, টাঙ্গা ও ট্যাক্সি চালক, গেস্ট হাউসের মালিক ও কর্মচারী, হস্তশিল্পনির্মাতা ও বিক্রেতা থেকে চা বিক্রেতা অব্দি। নতুন ছত্তিশগড়ে জঙ্গল সাফারি থেকে শুরু করেএকাত্মপথ – উন্নয়নের এই সাফল্য ভবিষ্যতে রাজ্যটিকে পর্যটনের ক্ষেত্রে অন্যতমশ্রেষ্ঠ গন্তব্য করে তুলতে পারে। আর যে আবেগ নিয়ে ডাঃ রমন সিং আমাকে তাঁর স্বপ্নেরকথা শোনাচ্ছিলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, অদূর ভবিষ্যতেই সেসব স্বপ্নের বাস্তবায়নছত্তিশগড়কে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেবে।
ভাই ও বোনেরা, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জির জন্ম শতবর্ষে তাঁর দারিদ্র্যদূরীকরণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্যসরকার ও পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সংস্থাগুলিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে,জনগণকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাঁদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। কাজ করার জন্যতাঁদের হাতে সরঞ্জাম তুলে দিতে হবে, তাঁদেরকে কাজের সুযোগ দিতে হবে। তবেই তাঁরানিজের পরিবারের দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দুটো-তিনটে পরিবারেরওদারিদ্র্য দূরীকরণ করবেন। এভাবেই দরিদ্র জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব।
আমরা জানি যে, গরিব ছেলেমেয়েদের জন্য টিকাকরণের নানা সরকারি প্রকল্প চালুরয়েছে। যে এলাকার মায়েরা লেখাপড়া জানেন, সেসব অঞ্চলে এই টিকাকরণ প্রকল্পেরবাস্তবায়ন দ্রুত হয়। কারণ, লেখাপড়া জানা মায়েরা কুসংস্কারমুক্ত হন, তাঁরা বোঝেনযে, এই টিকাকরণ তাঁর শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কবচকুন্ডলের মতো। কিন্তু আমাদেরদেশে এখনও অশিক্ষার অন্ধকার রয়েছে। অশিক্ষিত মায়েরা জানেন না যে, তাঁদের শিশুদেরকোন্ কোন্ টিকা কখন দেওয়া উচিৎ। এইব্যবধান দূর করার জন্য আমরা একটি ‘ইন্দ্রধনুষ’ যোজনা চালু করেছি। এর মাধ্যমে সকলশিশুর জন্য টিকাকরণের একটি রুটিন তৈরি হয়েছে। আমাদের দেখতে হবে যেন কোথাও এইপ্রবাহ থমকে না যায়।
প্রত্যেক গ্রামের প্রত্যেক গলিতে প্রতিটি গরিবের ঘরে গিয়ে খুঁজে বের করতেহবে কোন্ শিশুটির যথাযথ টিকাকরণ হয়নি। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, আমাদের সঙ্গীরাএকাজে লেগে পড়েছেন এবং ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ এমন শিশু খুঁজে বের করেছেন আর তাঁদেরকেটিকা দিয়ে ভবিষ্যতে মারাত্মক রোগের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করেছে।
একটা সময় ছিল, যখন প্রত্যেক সাংসদ ২৫টি করে গ্যাস সিলিন্ডার কানেকশনের কুপনপেতেন। একটা সময় ছিল, যখন গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হ’ত,নেতাদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হ’ত। আর বর্তমান সরকার গরিবদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাসেরউনুন ও সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে আসছে। লক্ষ লক্ষ গরিব মায়ের কাছে আজ রান্নার গ্যাস ওউনুন পৌঁছে গেছে। একজন মা যখন কাঠের উনুনে ধোঁয়ায় চোখ লাল করে রান্না করেন, তখন একদিনেতাঁর শরীরে ৪০০টি সিগারেটের সমান ধোঁয়া প্রবেশ করে। ঐ ঘরে যে বাচ্চারা খেলা করে,তারাও একই প্রদূষণের শিকার হয়। ঐ মা, বোন আর বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউভেবেছেন? আগামী তিন বছরে আমরা ৫ কোটি দরিদ্র পরিবারে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ারসংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি এবং ইতিমধ্যেই এই অভিযানে প্রভূত সাফল্য পেয়েছি।
ভাই ও বোনেরা, দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আমরা কর্মসংস্থানের ওপর জোরদিয়েছি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু করেছি। আমাদের দেশে অধিকাংশ নাগরিকের বয়স ৩৫বছরের নীচে। তাঁদের রয়েছে শক্তিশালী দুটি হাত, একটি হৃদয় ও একটি মস্তিষ্ক। তাঁরাযদি সুযোগ পান, তা হলে যে কোনও কাজ করে দেখাতে পারেন। সেজন্য আমরা তাঁদের দক্ষতাউন্নয়নে জোর দিয়েছি। আমরা সরকার গঠনের সময় থেকেই দক্ষতা উন্নয়নের একটি স্বতন্ত্রমন্ত্রক গড়ে তুলেছি। আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছি। আর গোটা দেশে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলির উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের বড়অভিযান শুরু করেছি। সম্পন্ন পরিবারের ছেলেমেয়েরা সহজেই ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারে।আমরা গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছি, যাতে তারা সৎপথেসম্মানের সঙ্গে পরিবার প্রতিপালনের পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠন করতে পারে। দক্ষকর্মীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিদেশেও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের গরিবঘরের ছেলেমেয়েরা যখন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম হয়ে উঠবে, তখনই দেশদারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাবে। আমাদের কৃষক পরিবারগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলেব্যক্তি পিছু জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জমি বিভাজিতহতে হতে অনেক পরিবারেরই এমন অবস্থা হয়েছে যে জমির ওপর নির্ভর করে সাম্বাৎসরিকভরণপোষণ আর সম্ভব নয়। এখন যে কৃষকের তিনটি ছেলে আছে, তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনিবলবেন যে, একটি ছেলেকেই তিনি গ্রামে চাষবাসের জন্য রাখতে চান আর বাকি দু’জনকে শহরেপাঠাতে চান ভাগ্যঅন্বেষণে। সেই ছেলেদের কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন অত্যন্তপ্রয়োজনীয়। আমরা চাই, ছোট জমি থেকেও বেশি উৎপাদন হোক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়েওআমাদের কৃষকরা সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাক। কৃষক যে ফসল ফলান, তা গোটাদেশের বাজারে পৌঁছাক। সর্বক্ষেত্রে দালালি বন্ধ হোক। সেজন্য আমরা গোটা দেশেরবাজারগুলির অনলাইন নেটওয়ার্ক ই-নাম চালু করেছি। এখন কৃষকরা নিজেদের মোবাইল ফোনেরমাধ্যমে কোন্ বাজারে গেলে বেশি দাম পাবেন, তা যাচাই করে নিজেদের ফসল বিক্রি করতেপারবেন।
আমরা আজ এখানে দেখেছি, ছত্তিশগড় সরকার ই-নাম’কে কত সফলভাবে বাস্তবায়নের পথেএগিয়ে চলেছে। ভয়ঙ্কর বর্ষা কিংবা খরায় ফসল বিনষ্ট হলে কৃষকরা যাতে বিপদে না পড়েন,সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু করেছি। অনেক কম টাকাপ্রিমিয়াম দিয়ে এই বিমার সুবিধা পাওয়া যায়। অধিকাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে।জুন মাসে যদি বীজবপন করা হয় আর জুলাই মাসের মধ্যেও বৃষ্টি না হয়, তা হলে তাঁর ফসলতো আর ফলবে না। সেক্ষেত্রে ফসল খারাপ হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কৃষকের যেলোকসান হ’ল, সেক্ষেত্রে আগে কোনও বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের বিমার টাকা পাবারকোনও সম্ভাবনা ছিল না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা অনুসারে এক ইঞ্চিজমিতেও যদি প্রাকৃতিক কারণে ফসল না ফলে থাকে, তা হলে তাঁর সারা বছরের আয়ের অনুপাতহিসাব করে তাঁকে বিমার টাকা প্রদান করা হবে। দেশে প্রথমবার এ ধরনের বিমা প্রকল্পচালু করা হয়েছে।
ফসল কাটার জন্য তৈরি হয়ে গেছে, এমন সময়ে হঠাৎ ভয়ানক বৃষ্টির ফলে ফসল যদিনষ্ট হয়ে যায়, তা হলেও আগে কোনও বিমার টাকা পাওয়া যেত না। কিন্তু বর্তমান বিমাযোজনায় তা পাওয়া যাবে। এমনকি, ফসল কাটার পর গুদামজাতকরণের আগে ১৫ দিনের মধ্যে কোনওপ্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে, সেক্ষেত্রেও কৃষক বিমার টাকা পাবেন।
কৃষকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ফসলের মূল্যবৃদ্ধিও আমরাসুনিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি, নানারকম মূল্য সংযোজনেরও ব্যবস্থা করেছি। যেমন – যাঁরআম বাগান রয়েছে, তিনি যদি আমের আচার প্রক্রিয়াকরণের ব্যবসা করেন, তা হলে তা বেশিদামে বিক্রি হতে পারে। তেমনই টমেটো থেকে টমেটোকেচপ, দুধ থেকে মিষ্টি – এভাবে নানাখাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মূল্য সংযোজনের নানা নতুন নতুন উপায় সম্পর্কে তাঁদেরকিভাবে অবহিত করা যায়। যিনি আখ চাষ করেন, তিনি আখ বিক্রি করে যত রোজগার করবেন, গুড়বা চিনি তৈরি করে বিক্রি করলে তার থেকে বেশি লাভবান হবেন। সেজন্য আমরা গ্রাম,গরিব, কৃষক, মজুর এবং যুবক-যুবতীদের সামর্থ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নসুনিশ্চিত করতে চাই। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি সহযোগিতামূলকযুক্তরাষ্ট্রীয়তা থেকে সহযোগিতামূলক প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তাকে আমরা জোরদিচ্ছি। আমরা চাই, রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা হোক। একটি রাজ্য নিজেকেখোলামাঠে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষণা করলে, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্যগুলিরও ভাবা উচিৎআমরা পিছিয়ে পড়লে চলবে না। একটি রাজ্য শিল্পের একটি ধারা নিয়ে এগিয়ে গেলে, অন্যরাজ্যও তার নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কাঁচামালের যোগান অনুসারে অন্য শিল্পে এগিয়েযেতে পারে। রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা হলে কেন্দ্রীয় সরকারও তাদেরকেযথাসম্ভব সাহায্যের মাধ্যমে এই উন্নয়নযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার পথে এগিয়ে আসবে।আমরা কোনও রকম বৈষম্য মাথায় না রেখে প্রতিটি রাজ্যকে সমস্ত রকম সাহায্য করারক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ছত্তিশগড়ের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্পচালু করবে, কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলির ক্ষেত্রেও সহযোগিতার জন্য হাত বাড়াবে। কোনওরাজ্যের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকার পিছিয়ে থাকবে না। আমি আরেকবার ছত্তিশগড়ের এইরাজ্যোৎসবের শুভদিনে এ রাজ্যের কোটি কোটি মানুষকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ছত্তিশগড়েরউজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তরফ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।আসুন, আমরা সবাই মিলে ছত্তিশগড়ের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিই। এই শুভেচ্ছানিয়ে সবাই আমার সঙ্গে বলুন, ভারতমাতা কি জয়। আপনাদের আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়াচাই।
ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়।ভারতমাতা কি জয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
PG /SB/ SB……
I am coming here, to Chhattisgarh at a time when there is a festive season across the nation: PM @narendramodi at @Naya_Raipur
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
On a day like this, we remember the work of our beloved Atal Ji. He was the one who made Chhattisgarh: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
When the 3 states were being created (in 2000), it was done in a very peaceful and harmonious manner by Atal Ji: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
For 13 years, @drramansingh ji has got the opportunity to serve the people of Chhattisgarh & create an atmosphere of development: PM
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
Chhattisgarh shows the way and demonstrates how a relatively smaller state can scale new heights of development: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
The impact of the development initiatives will benefit generations to come in Chhattisgarh: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
Was taken to the jungle safari by the Chief Minister. It is his pet project. I see great scope for tourism in Chhattisgarh: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
Why must we give importance to tourism? Because it gives economic opportunities to the poorest of the poor: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
When I say the Government has taken up work on skill development in a big way, who does this help? It helps poor, enhances their dignity: PM
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
When a farmer produces something, the entire nation has to be the market: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
Value addition always helps the farmer. Glad to see Chhattisgarh has taken up initiatives that enable value addition for farmers: PM
— PMO India (@PMOIndia) 1 November 2016
One for the camera….at the Nandan Van Jungle Safari in @Naya_Raipur. pic.twitter.com/KpqVjjI8Xx
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
A selfie moment during my visit to @Naya_Raipur. pic.twitter.com/Y551DqTsvh
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
During my visit to @Naya_Raipur for Chhattisgarh Statehood Day celebrations, remembered Atal Ji’s vision that led to Chhattisgarh’s birth. pic.twitter.com/eLYCdCSKR4
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
With beneficiaries of various schemes…I compliment Chhattisgarh Govt & @drramansingh for creating an atmosphere of progress in the state. pic.twitter.com/S4KaPqrrIx
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
Pandit Deendayal Upadhyaya’s thoughts guide us in serving the people of India. Unveiled his statue at @Naya_Raipur. pic.twitter.com/mEc0HrxwHn
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
CM @drramansingh gave me a tour of Nandan Van Jungle Safari. Chhattisgarh’s tourism potential is strong & this augurs well for the citizens. pic.twitter.com/c3iuIC7YIt
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016
Be it agriculture, skill development & economic reforms, our efforts are aimed at helping the poor overcome poverty. https://t.co/lXxdPjY31I
— Narendra Modi (@narendramodi) 1 November 2016