Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ইজরায়েল ও জার্মানি সফরপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ফেসবুক বার্তা


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল সফর করছেন এ মাসের ৪-৬ জুলাই পর্যন্ত। দ্বাদশ জি-২০শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য তিনি জার্মানির হাম্‌বার্গ সফর করবেন ৬-৮ জুলাই।

প্রধানমন্ত্রীতাঁর এই সফরসূচি প্রসঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি বার্তায় বলেছেন –

“প্রধানমন্ত্রীবেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র আমন্ত্রণে আমি ইজরায়েল সফর করব ৪-৬ জুলাই, ২০১৭ তারিখে।

আমিই হলামভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইজরায়েল সফর করছেন। এই কারণে আমি বিশেষভাবেইআগ্রহী অভূতপূর্ব এই সফরসূচির জন্য। কারণ আমি মনে করি যে, আমার এই সফরের মধ্য দিয়েদু’দেশের জনসাধারণ পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবেন। এই বছরটিতে ভারত ওইজরায়েল পালন করছে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্তির উপলক্ষটিকে।

আমাদেরদ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবকটি ক্ষেত্র সম্পর্কেই আমি গভীর আলোচনা করব প্রধানমন্ত্রীনেতানিয়াহু’র সঙ্গে। পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে আমরা চেষ্টা করব সহযোগিতারক্ষেত্রগুলিকে আরও জোরদার করে তোলার। সন্ত্রাসবাদের মতো সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলিসম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ ঘটবে আমাদের।

আমি একসাক্ষাৎকারে মিলিত হব প্রেসিডেন্ট রুভেন রুভি রিভলিনের সঙ্গেও। অন্যান্য বরিষ্ঠনেতাদের মতো তাঁকেও আমার সৌভাগ্য জানানোর সুযোগ হয়েছিল গত বছর নভেম্বর মাসেনয়াদিল্লিতে।

সফরকালে আমারবিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে আমি সুযোগ খুঁজে নেব ইজরায়েলি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেরমানুষদের সঙ্গে আলাপচারিতার লক্ষ্যে। ইজরায়েলে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদেরসংখ্যাও কম কিছু নয়। দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগের এক উজ্জ্বল যোগসূত্রহিসাবে কাজ করে চলেছেন তাঁরা।

আমারঅর্থনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অগ্রণী ভারতীয় ও ইজরায়েলি শিল্প সংস্থাগুলিরসিইও-দের সঙ্গে মিলিত হওয়া। তাঁদের সঙ্গে এবং ‘স্টার্ট আপ’ সংস্থাগুলির কর্ণধারদেরসঙ্গে আমি কথা বলব বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিসম্পর্কে। এছাড়াও, আমি সুযোগলাভ করব ইজরায়েলের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টারসাফল্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও।

ইজরায়েলেথাকাকালীন আমি পরিদর্শন করব ইয়াদ ভাশেম মেমোরিয়াল মিউজিয়ামটিও। আমার উদ্দেশ্য হ’ল,মানব ইতিহাসের বৃহত্তম ট্রাজেডির সাক্ষী হলকাস্টের শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো।পরে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন কর সেই সমস্ত বীর ও সাহসী ভারতীয় সৈনিকদের উদ্দেশেও যাঁরাহাইফা’র মুক্তি সংগ্রামে আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন ১৯১৮ সালে।

জার্মানিতেদ্বাদশ জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের সূত্রে আমার হামবার্গ সফর শুরু হবে ৬ জুলাই সন্ধ্যায়।পরবর্তী দু’দিন অর্থাৎ ৭-৮ জুলাই তারিখে জি-২০ ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির নেতাদেরসঙ্গে বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আমি আলোচনা ও মতবিনিময়েরসুযোগ পাব। কারণ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, নিরন্তর উন্নয়ন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতারস্বার্থে তা একান্ত জরুরি।

গত বছরেরহ্যাংঝৌ শীর্ষ বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির রূপায়ণ ও অগ্রগতির বিষয়গুলি সম্পর্কেওআমরা আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মিলিত হব। সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরন্তরবিকাশ, বাণিজ্য ও অগ্রগতি, ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ ও ব্যবহার, স্বাস্থ্য ওকর্মসংস্থান, দেশান্তরের সমস্যা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আফ্রিকার সঙ্গে সহযোগিতাপ্রসঙ্গে আলোচনা করব আমরা। এ বছরের আলোচনার থিম বা বিষয়বস্তু হ’ল ‘পরস্পর সংযুক্তএক বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে’।

অতীতের মতোএবারও শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিসম্পর্কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য আমি বিশেষভাবেআগ্রহী”।

PG/SKD / SB