Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

পি.জি.আই.এম.ই.আর. চন্ডীগড়-এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ


আজ যারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন, সমস্ত পদক বিজেতা, ডিগ্রি প্রাপ্ত বন্ধুগণ এবং উপস্থিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ,

আজ ১১ সেপ্টেম্বর। ১১ সেপ্টেম্বর বললে দিনটার যত গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়, ৯/১১ বললে তার থেকে দ্রুত মনে পড়ে ইতিহাসে এই দিনটি কিভাবে অঙ্কিত রয়েছে। এই দিনে মানবতাকে ধ্বংস করার একটি হীন প্রচেষ্টা হয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ এমন দিনেই পি.জি.আই. চন্ডীগড় থেকে এক ঝাঁক নবীন চিকিৎসক মানুষের জীবন বাঁচানোর ব্রত নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সমানে পা রাখছেন।

কাউকে মারা খুব সহজ। কিন্তু কাউকে বাঁচিয়ে রাখা? সারা জীবন তপস্যা করতে হয়, সেদিক থেকে আপনাদের জীবনেও আজকের এই ৯/১১ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের আরেকটি গুরুত্ব রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে ১৮৯৩ সালে এই দেশ থেকে এক মহাপুরুষ আমেরিকার মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। আর এই দিনেই শিকাগোর ধর্ম পরিষদে স্বামী বিবেকানন্দ নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই বক্তব্যের সম্বোধন ছিল “আমেরিকার ভাই ও বোনেরা” ঐ একটি শব্দবন্ধ সম্পূর্ণ সভাগৃহকে অনেকক্ষণ ধরে হাততালি বাজাতে বাধ্য করেছিল। ঐ মূহুর্তের মধ্যে তিনি সবার মনে মানবতাকে বন্ধুত্বের সঙ্গে যুক্ত করার অনুভূতি সঞ্চারিত করেছিলেন। তাঁর সেই বার্তা যদি পৃথিবী মানতো, তাঁর মানবতার বাণীকে গ্রহণ করতো, তা হলে পরবর্তী ৯/১১ হতো না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৯/১১ তারিখে চন্ডীগড় পি.জি.আই. – এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পেয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানকে আমি খুব ভালোভাবে জানি। অনেকবারই আমি এখানে এসেছি। অনেক পরিচিত মানুষকে আমি এখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। দীর্ঘকাল আমি কর্মসূত্রে চন্ডীগড়ে ছিলাম।

আজকের এই সমারোহে আপনারা একটি অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখছেন। সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠরত কিছু নিঃসহায় পরিবারের শিশু এখানে বসে রয়েছে। আমি এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ পেয়েই বলেছিলাম, ঐ অনুষ্ঠানে এই শহরের বস্তিবাসী শিশুদেরকে সাক্ষী হিসেবে করা হোক। এই দৃশ্য তাদের মনে প্রেরণার সৃষ্টি করবে, তাদের মনেও আত্মবিশ্বাস জন্মাবে, আমরাও কখনও এখানে আসতে পারবো।

এই সমাবর্তন সমারোহে দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত, যারা সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষালাভ করে নতুন কর্মজীবনে পা রাখছেন। দ্বিতীয়ত, যারা এই সাফল্যের দৃশ্য দেখে এদের মতো হবার সংকল্প নিয়ে ফিরবে। একজন শিক্ষক যতটা না শেখাতে পারেন, একটি দৃশ্য তার থেকে অনেক গভীরভাবে মনের মধ্যে রেখাপাত করে, যা কারও জীবন বদলে দেওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেজন্যই আমি চাই, এই ধরনের সমারোহে সর্বত্র সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের ছেলেমেয়েরা সাক্ষী থাকুক। আমার অনুরোধ মেনে তাদেরকে এখানে নিয়ে আসার জন্য আমি পি.জি.আই. কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরাই এই অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি, এরাই আমাদের সত্যিকারের চিফ গেস্ট।

এই সমাবর্তন সমারোহে আমি আরও দুটি কথা বলতে চাই। সমাবর্তন মানে এই তো নয় যে, আপনাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। যদি আপনাদের মনে হয় যে, শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, তা হলে আমার মনে হয়, এই অনুষ্ঠান একটি সফল সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে না।

এখানে শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটি দীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার সমারোহ। মানবসভ্যতার লিখিত ইতিহাস অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে প্রথম দীক্ষা সমাপন সমারোহ আয়োজিত হয়েছিল। তৈত্তিরীয় ঊপনিষদে সেই প্রথম দীক্ষা সমাপন সমারোহে উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের দেশেই এই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আর তা আড়াই হাজার বছর ধরে চলে আসছে।

সমাবর্তনের সময় আপনাদের মনে হতে পারে, “আরে ভাই অনেক হয়েছে, কতদিন শব ব্যবচ্ছেদ কক্ষে কাটাতে হয়েছে, কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, গবেষণাগারে ঘন্টার পর ঘন্টা দিন-রাত এক করতে হয়েছে, যখন তখন ডিউটিতে ডেকে নিয়েছে, রোগীর কাশি নেই তবুও জাগিয়ে বলতো দেখো গিয়ে কী হয়েছে, এসব থেকে এখন ছুটি পাওয়া গেল”।

আপনাদের মনে হতে পারে, সব কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আসলে আপনারা যা শিখেছেন, বুঝেছেন, গ্রহণ করেছেন – এই সবকিছুকে বাস্তবের কষ্টিপাথরে যাচাই করার সময় এখন শুরু হল। কোনও অধ্যাপকের দেওয়া কাজ আর তা থেকে পাওয়া নম্বরের জোরে আপনারা আজ হাতে যে শংসাপত্র পেয়েছেন, তার জোরে এখন নতুন জীবন শুরু করবেন। আগে আপনারা রোগী দেখতেন ছাত্র হিসেবে, রোগী থেকেও সিলেবাসের কথা বেশি মাথায় থাকতো। বইয়ে লেখা ‘পাল্স রেট’ – এর সঙ্গে রোগীর ‘পাল্স রেট’ মিলিয়ে দেখতেন।

এখন আপনারা চিকিৎসক হয়েছেন, মেকানিক হননি। মেকানিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ করেন। ডাক্তারির ক্ষেত্রেও রোগীর শরীর এবং তাঁর শরীরের অংশ নিয়ে কাজ করতে হয়। মানুষের শরীরেও অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়, প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ এবং তার কাজ সম্বন্ধে জ্ঞান থাকাই যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে তার সঙ্গে মানবিকতার সেতুবন্ধন করতে হবে। সফল চিকিৎসকদের জীবন সম্পর্কে যদি পড়েন, তা হলে দেখবেন, যাঁরা কেবলই অসুখের চিকিৎসা করতে গেছেন, তাঁরা কম সফল হয়েছেন, যাঁরা অসুস্থ ব্যক্তির কষ্ট দূর করার কথা ভেবেছেন, তাঁরা বেশি সফল হয়েছেন। কারণ, অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা করতে গেলে তাঁর শরীরের নানা অঙ্গের অসুস্থতা ছাড়াও, তাঁর মনের অবস্থাকে জানতে হয়। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম রোগী হয়তো যথেষ্ট টাকা দিতে পারবে না, যদি সত্যিকারের চিকিৎসক হিসেবে আপনি টাকা ছাড়াই তাঁকে সুস্থ করে দেন, সে পরিশ্রম করে ২০ বছর পরেও আপনার ঋণ পরিশোধ করবে।

আজকাল চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা বিজ্ঞান। আজ আর চিকিৎসক অসুস্থ ব্যক্তিকে চারটি প্রশ্ন করে ওষুধ লিখে দেন না। তিনি বলেন, গবেষণাগারে যান, রক্ত পরীক্ষা করান, মূত্র পরীক্ষা করান, সব কিছুর রিপোর্ট দেখে তারপর আপনারা ওষুধ লিখে দেন। তার সঙ্গে যদি কিছুটা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জুড়ে যায়, তা হলে আপনার সাফল্য বৃদ্ধি পায়। আমি শুনেছি, পি.জি.আই. – এ ডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হয়েছে, তার মানে আপনারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই যে পরিবর্তন এসেছে, আমার বিশ্বাস, আপনারা এই পরিবর্তনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সফলভাবে প্রয়োগ করবেন। আপনারা ডাক্তার হয়েছেন, আপনাদেরকে ডাক্তার কাঁরা বানিয়েছেন? আপনি খুব মেধাবী, পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পেয়েছেন, খুব ভালো কোচিং পেয়েছেন, সেজন্যই কী আপনারা ডাক্তার হয়েছেন? ৫ – ৭ বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করেছেন বলেই কী আপনারা ডাক্তার হয়েছেন? যদি এগুলি ভেবে থাকেন, তা হলে আপনার ভাবনা অসম্পূর্ণ।

আপনাদেরকে চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি ওয়ার্ড বয়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পরীক্ষার আগে মাঝ রাতে আপনাদেরকে চা বিক্রি করতে আসা ছেলেটিরও ভূমিকা রয়েছে। সেজন্যই আমরা যা কিছু হই, সেটা শুধুই নিজের জোরে হই না। পিতা-মাতা-শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের অনেক মানুষের অবদান থাকে। আমার জীবনে সাফল্যের পেছনে অনেকেরই অবদান ছিল। তার মানে, আপনারা সরকারের সেবা করার জন্য চিকিৎসক হননি, সমাজ সেবা করার জন্যই চিকিৎসক হয়েছেন। সমাজের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।

আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে, এমনকি অনেকে ভিসার জন্য দরখাস্তও জমা দিয়ে এসেছেন। কিন্তু, এই দেশ আমাদের। আজ আমরা যাই হয়েছি, আমাদের ওপর এদেশের গরিব মানুষের অধিকার রয়েছে। সেজন্য জীবনে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেবার আগে মহাত্মা গান্ধীর একটি কথা মনে রাখবেন, তিনি বলেছিলেন, “আমার জীবনের সিদ্ধান্ত কিংবা আমার সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত – ঠিক বা ভুল – যদি আমি দ্বিধায় থাকি, তা হলে একবার এক মূহুর্তের জন্য সমাজে দরিদ্রতম ব্যক্তিটির কথা ভাববো, তার চেহারা মনে করে ঠিক করবো, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো কি করবো না, এতে তার ভালো হবে কি হবে না”! তা হলেই দেখবেন আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক হবে।

আমাদের দেশে পরম্পরাগতভাবেই ‘হলিস্টিক হেলথ্ কেয়ার’ চালু রয়েছে। আজ গোটা বিশ্বে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। উন্নত দেশগুলি এখন ‘হলিস্টিক হেলথ্ কেয়ার’ এবং ‘প্রিভেন্টিভ হেলথ্ কেয়ার’ সম্বন্ধে সচেতন হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগেই আমরা আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করেছি। কেউ কল্পনা করতে পারতেন যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে সমস্ত সদস্য দেশ ১৯৩টি দেশ এর ‘কো-স্পনসর’ হয়েছে। আর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আন্তর্জাতিক যোগদিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণও রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা। এটা কেমন করে সম্ভব হয়েছে। এজন্য হয়েছে যে, গোটা বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছ থেকে আরও কিছু চায়। ওষুধ খেয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে তাঁরা সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে ভাবছেন।

অসুস্থতাকে মোকাবিলা করার সময় চলে গেছে। এখন ভালো থাকার দিকে নজর দেওয়ার সময়। আমাদেরকেও এখন তাই পূর্ণাঙ্গচিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে অসুস্থতার বদলে ভালো থাকাকে নজর দিয়ে আমরা মঙ্গলের কথা ভাববো।

আমার মনে হয়, একজন সফল ফিজিওথেরাপিস্ট হতে গেলে ভালো যোগ শিক্ষক হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনারা হয়তো দেখেছেন, ফিজিওথেরাপির সঙ্গে যোগের অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে, সেজন্য যাঁরা ফিজিওথেরাপির শিক্ষা নেন, তাঁরা যদি পাশাপাশি যোগ শিক্ষাও নেন, তা হলে তাঁরা শ্রেষ্ঠ ফিজিওথেরাপিস্ট হতে পারেন।

এসব কথা বলার তাৎপর্য হল, সমাজ জীবনে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন ওষুধ থেকে মুক্তি চায়, যে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, সেগুলিকে বর্জন করতে চায়, সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসব বিষয় ভেবে পরবর্তী নীতি এবং রণনীতি স্থির করতে হবে। আমার বিশ্বাস আপনাদের মতো জ্ঞানী, গুণী নাগরিকরা এক্ষেত্রে আমাদের সহায়ক হবেন।

এই আশা নিয়ে আজ এই সমাবর্তন সমারোহে যাঁরা স্বর্ণ পদক পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানাই। যাঁরা সামান্য পিছিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরকে বলবো, নিরাশ হবেন না, কখনও বিফলতা সাফল্যের ক্ষেত্রে শিক্ষকের মতো কাজ করে। সেজন্য যাঁরা চেষ্টা করেও সাফল্য পাননি, তাঁরা ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে এগিয়ে যাবেন, আর যাঁরা সাফল্য পেয়েছেন, তাঁরা কেবল রোগীদের চিকিৎসা করা নয়, আগমীদিনে আপনাদের মধ্যেই কেউ কেউ নতুন চিকিৎসকদের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন। আমি চাই, আপনারা প্রত্যেক ছাত্রকে সংবেদনশীল চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলুন। কারণ, সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসকরাই ঈশ্বের মূর্ত রূপ। তাঁরা আপনাদের ঈশ্বর ভাবেন।

আপনারা কল্পনা করুন, মানুষ যাঁদের ঈশ্বর ভাবেন, সেই সমাজের একজন হয়ে উঠেছেন, এই ভাবনা আপনাদের প্রেরণা জোগাবে, সেই প্রেরনা নিয়ে আপনারা জীবনের পথে এগিয়ে যান। অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

PG/SB/SB/S/