আপনাদের সবাইকে আমার অনেক শুভেচ্ছা। খেলাধূলাপ্রত্যেক সাধারণ মানুষের জীবনের অঙ্গ হওয়া উচিৎ, খেলাকে জীবনের অঙ্গ না বানালেজীবন পূর্ণ বিকশিত হয় না। অনেকে ভাবেন, কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই খেলাজরুরি। এটি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ধারণা। ব্যক্তিত্বের সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য, সার্বিকউন্নয়নের খাতিরে খেলাধূলাকে জীবনের অঙ্গ করে নেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। খেলাধূলারমাধ্যমে সমাজ-জীবনও বিকশিত হয়, রাষ্ট্রজীবনও বিকশিত হয়।
ভারতের মতো দেশে যেখানে প্রায় ১০০টি ভাষা আর১৭০০টি কথ্যভাষা রয়েছে, নানারকম পরিধান, নানা রকম খাদ্যাভাস রয়েছে, এহেন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তের জেলাভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হলে, বারো মাস ধরেক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু থাকলে এই প্রতিযোগিতা শুধু খেলার পরিধিতে সীমাবদ্ধ নাথেকে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির একটি বড় আধার হয়ে উঠতে পারে। আর সেজন্যই ভারতে খেলাধূলাব্যক্তিত্ব বিকাশের পাশাপাশি, সমাজের মধ্যে একটি অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে, খেলা থেকেইশিশু-কিশোরদের মনে খেলোয়াড়-সুলভ মনোভাব গড়ে ওঠে, ঔদার্য বাড়ে, অন্যকে স্বীকার করেনেওয়ার সামর্থ্য গড়ে ওঠে।
খেলায় জয়লাভ যত আনন্দ দেয়, তার থেকেও বেশিপরাজয়কে মেনে নেবার শক্তি খেলা থেকে আসে। জীবনের খেলায় আছাড় খেয়ে, গড়িয়ে পড়ে আবারগা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ানোর শক্তি যোগায়। আর কখনও জীবনের অন্যান্য পরিস্থিতিতে হারস্বীকার করে না। যে খেলোয়াড় শুধুই শারীরিক ক্রীড়ায় মগ্ন, তাঁর কথা আমি বলছি না।যিনি শরীর এবং মন দিয়ে খেলার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরই এই প্রাপ্তি হয় আর সেজন্যইখেলাধূলা প্রত্যেকের জীবনে এবং জাতীয় জীবনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা আজ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন,দেশের নবীন প্রজন্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খেলাধূলার গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য আমিরিলায়েন্স স্পোর্টস ফাউন্ডেশন’কে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রতিভা অন্বেষণই সবচাইতে বড়কাজ। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ছোট বন্ধুরা ব্যাপক স্তরে খেলার সুযোগ না পাবে, ততক্ষণতাদের প্রতিভা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায় না। আজ খেলার সাথে গ্ল্যামারও যুক্তহয়েছে। সেজন্য কখনও কখনও পরিবারের সদস্যরাও ছেলেমেয়েদের খেলোয়াড় বানাতে চান।কিন্তু ভোর চারটের উঠে পরিশ্রম করার কথা উঠলে একটু পিছিয়ে পড়েন। আসলে গ্ল্যামার, কৃতিরমর্যাদা কোনওটাই কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সম্ভব নয়।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন নিয়মিতখেলাধূলায় উৎসাহ প্রদানের খাতিরে তৃণমূল স্তরেও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেপ্রতিভা অন্বেষণ করবে, যত প্রতিভা আবিষ্কৃত হবে দেশের পক্ষে ততই ভালো। রিলায়েন্সফাউন্ডেশনকে, নীতা বোনকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সকল ছাত্রছাত্রী, সমস্ত ছোট ছোটবন্ধুদের বলবো, ক্রীড়া জীবনের পরাজয়কে সবসময়েই ভবিষ্যতে জেতার সুযোগ বলে মনে করবে,পরাজয় থেকে কখনও দুঃখ পেও না। পরাজয় অনেক কিছু শেখায়। যে খেলা না সে জেতেও নাহারেও না। জয় এবং পরাজয় উভয়কেই জ হাসিমুখে বরণ করে নিতে পারে, সেই আসল খেলোয়াড়।
নাখেললে তোমরা খেলার আনন্দ কিভাবে পারে? জয়-পরাজয় উভয় ক্ষেত্রেই খেলার আনন্দ পেলেব্যক্তিত্ব বিকশিত হয়। যেমন পদ্মফুল ফোটে, যেমন বীজ অঙ্কুরিত হয়, তেমনই খেলারমাধ্যমে জীবন প্রস্ফুটিত হয়। খেলা প্রস্ফুটনের সবচাইতে বড় ওষুধ, সবচেয়ে বড় সুযোগ,সবচেয়ে বড় প্রতিস্পর্ধাও বটে। আর সেজন্যই আমি আজ ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত সকলশিশু, কিশোর-কিশোরীদের শুভেচ্ছা জানি। SPORTS শব্দটিরমাধ্যমে আমরা ক্রীড়া জগতের লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাখ্যা করতে পারি। ‘ S ’ দিয়ে বোঝায় Skill,‘P’ দিয়েবোঝায় Perseverance, ‘O’ দিয়ে বোঝায় Optimism, ‘R’ দিয়ে বোঝায় Resilience, ‘T’ দিয়েবোঝায় Tenacity আর ‘S’ দিয়ে বোঝায় Stamina. এই সকল অর্থের সমাহারে আমরা নিজেদেরক্রীড়া-জীবনকে গড়ে তুললে অনেক সাফল্য আসবে আর আজ এই অবসরে আমি আপনাদের সবাইকে অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। I wish you all the best.
PG / SB/SB
Sports must be a part of everyone's lives: PM @narendramodi speaks at the launch of RFYS
— PMO India (@PMOIndia) July 23, 2016
We are a large and diverse nation. Sports can be a great means of national integration: PM @narendramodi speaks at the launch of RFYS
— PMO India (@PMOIndia) July 23, 2016
In order to be a good sportsperson, it is essential to be hardworking: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) July 23, 2016
If you don't play, you won't shine. And never let defeat affect you so much: PM @narendramodi to young sportspersons
— PMO India (@PMOIndia) July 23, 2016