Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

দিল্লিতে ‘জহান-এ-খুসরো ২০২৫’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

দিল্লিতে ‘জহান-এ-খুসরো ২০২৫’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডঃ করণ সিং জি, মুজাফফর আলী জি, মীরা আলী জি, উপস্থিত অন্যান্য সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকগণ!

 

আজ ‘জহান-এ-খুসরো’ অনুষ্ঠানে এসে মন আনন্দে ভরে ওঠা স্বাভাবিক। হজরত আমির খসরু যে বসন্তের দিওয়ানা ছিলেন, সেই বসন্ত আজ এখানে শুধু দিল্লির আবহাওয়ায় নয়, ‘জহান-এ-খুসরো’-র এই অনুষ্ঠানের আবহাওয়াতেও মিশে আছে। হজরত খুসরোর বয়ানে যদি বলি –

 

“সকল বন ফুল রহী সরসোঁ, সকল বন ফুল রহী সরসোঁ,

অম্বওয়া ফুটে দেসূ ফুলে, কোয়েল বোলে ডার-ডার….”

 

আজকের এখানকার পরিবেশ অনেকটা এরকমই। এখানকার মহফিলে আসার আগে আমার তহ বাজার ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তারপর, ‘বাগ-এ-ফিরদৌস’-এও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ, আলোচনা ও অভিবাদন বিনিময় হয়েছে। একটু আগেই ‘নজর-এ-কৃষ্ণা’ ও বিভিন্ন পরিবেশনা দেখলাম, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শিল্পীদের জন্য মাইকেরও একটি নিজস্ব শক্তি থাকে, কিন্তু তার পরেও প্রকৃতির সাহায্য নিয়ে তাঁরা যা কিছু পরিবেশনের চেষ্টা করেছেন, হয়তো তাঁরা নিজেরাও এর জন্য কিছুটা হতাশ হয়েছেন, যাঁরা এই আনন্দ পেতে এখানে এসেছিলেন তাঁরাও হয়তো কিছুটা হতাশ হয়েছেন। কিন্তু কখনও কখনও এই ধরনের হতাশাজনক ঘটনাও জীবনে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়। আমি মনে করি, আজকের এই প্রতিকূলতার মধ্যেও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া থেকে আমরা অনেক কিছু শিখবো। 

 

বন্ধুগণ,

 

এই ধরনের আয়োজন দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে যেমন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তেমনি এ থেকে আমরা অপার শান্তি পাই। ‘জহান-এ-খুসরো’-র এই সাম্বাৎসরিক আয়োজন এবার ২৫ বছর পূর্ণ করছে। এই ২৫ বছরে এই আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের মনে স্থান তৈরি করে নেওয়া এটাই এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমি ডঃ করণ সিং জি, আমার বন্ধু মুজাফফর আলী জি, আমার বোন মীরা আলী জি এবং অন্যান্য সহযোগীদেরকেও এর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ‘জহান-এ-খুসরো’-র এই গুলদস্তা বা ফুলের তোড়া এভাবেই প্রস্ফূটিত হতে থাকুক, আমি এজন্য রুমি ফাউন্ডেশনকে এবং আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। রমজানের মুবারক মাসও শুরু হতে চলেছে। আমি আপনাদের সবাইকে এবং সকল দেশবাসীকে রমজানের মুমারকবাদ বা শুভেচ্ছা জানাই। আজ আমি যখন সুন্দর নার্সারিতে এসেছি, তখন মহামান্য প্রিন্স করিম আগা খান-এর স্মরণ করাও অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমি তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাই। সুন্দর নার্সারিকে সাজানো ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাঁর যে অবদান তা লক্ষ লক্ষ শিল্পপ্রেমীদের জন্য বরদান হয়ে উঠেছে। 

 

বন্ধুগণ,

 

গুজরাটে সুফি পরম্পরার বড় কেন্দ্র হল সরখেজ রোজা। সময়ের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতায় এক সময় তার অবস্থান খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন তার রেস্টোরেশন বা পুনর্নবীকরণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর খুব কম মানুষই হয়তো জানেন, একটা সময় ছিল যখন সরখেজ রোজাতে খুব ধুমধাম করে কৃষ্ণ উৎসব পালন করা হতো। অত্যন্ত আনন্দ ও হর্ষোল্লাসের সঙ্গে তা পালন করা হতো। আজ এখানেও আমরা সবাই কৃষ্ণ ভক্তির রঙে রঙিন হয়ে উঠেছি। আমি সরখেজ রোজায় যে সাম্বাৎসরিক সুফি সঙ্গীতের আসর বসে অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে তার জন্য অপেক্ষা করতাম। সুফি সঙ্গীতের এমন একটি সাঝী বীরাসত বা সাধারণ ঐতিহ্য রয়েছে যা হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে পালন করে এসেছি। আমরা সবাই এভাবেই বড় হয়েছি। এখন এখানে নজরে কৃষ্ণার যেভাবে পরিবেশিত হয়েছে তাতেও আমাদের এই সাঝী বীরাসতের ঝলক দেখা গেছে। 

 

বন্ধুগণ, 

 

‘জহান-এ-খুসরো’-র এই অনুষ্ঠানে একটি ভিন্ন সুবাস রয়েছে। এই সুবাস হিন্দুস্তানের মাটির সুবাস। সেই হিন্দুস্তান যার তুলনা হজরত আমির খুসরো তাঁর কলমে জন্নত বা স্বর্গের সঙ্গে করেছেন। আমাদের হিন্দুস্তান স্বর্গের সেই উদ্যান, যেখানে তহজীব বা আদব কায়দার প্রতিটি রঙ পল্লবিত ও পুষ্পিত হয়। এখানকার মাটির মেজাজেই অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হয়তো সেজন্যই যখন হিন্দুস্তানে সুফি পরম্পরা এসেছে তখন তাঁরাও অনুভব করেছেন যে, তাঁরা যেন নিজেদের মাটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এখানে বাবা ফরীদের রুহানী বা আত্মিক পংক্তিগুলি প্রত্যেকের হৃদয়কে অপার শান্তিতে ভরিয়ে দিয়েছে। হজরত নিজামুদ্দিনের মহেফিলগুলিতে বা গানের আসরে ভালোবাসার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। হজরত আমির খুসরোর কবিতায় নতুন নতুন শব্দের মুক্তোর মালা গেঁথে কবিতাগুলি যতটা ঋদ্ধ হয়েছে, তা হজরত খুসরোর এই বিখ্যাত পুংক্তিতে পরিস্ফূট হয়েছে। 

 

“বন কে পংছী ভয়ে বাওরে, “বন কে পংছী ভয়ে বাওরে, 

এইসী বীন বজায়ী সঁওয়ারে, তার তার কী তান নিরালী,

ঝুম রহী সব বন কী ডারী।”

 

ভারতে সুফি পরম্পরা নিজস্ব একটি ভিন্ন পরিচিতি তৈরি করেছে। সুফি সন্তরা নিজেদেরকে শুধুই মসজিদ বা খানকাহোতে সীমাবন্ধ রাখেননি, তাঁরা যেমন পবিত্র কুরানের হরফ পড়েছেন, তেমনি নানা বেদের উচ্চারণও শুনেছেন। তাঁরা আজানের সঙ্গে সর্বদাই নানা ভক্তিগীতের মিষ্টত্বকে জুড়েছেন। আর সেজন্যই উপনিষদে যাকে সংস্কৃতে ‘একং সৎ বিপ্রা বহুধা বদন্তী’ বলা হয়, হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া সেই বক্তব্যকেই সমস্ত ধর্মের মানুষের মতো করে ‘দীনে-ওহ কিব্লা গাহে’-র মতো সুফি গীত গেয়ে বলেছেন। ভিন্ন ভিন্ন ভাষা শৈলী এবং শব্দ – কিন্তু বার্তা একই। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আজ জহান-এ খুসরো সেই পরম্পরাই একটি আধুনিক পরিচিতি হয়ে উঠেছে। 

 

বন্ধুগণ, 

 

যে কোন দেশের সভ্যতা, তার আদব কায়দার স্বর তার গীত সঙ্গীতে পাওয়া যায়, তার অভিব্যক্তি কলা ও সংস্কৃতিতে থাকে। হজরত খুসরো বলতেন, ভারতের এই সঙ্গীতের একটি সম্মোহন রয়েছে, এটি এমন সম্মোহন যে অরণ্যের হরিণও তার জীবনে সমস্ত ভয় ভুলে এই সঙ্গীত শুনে স্থির হয়ে যায়। ভারতীয় সঙ্গীতের এই সমুদ্রে সুফি সঙ্গীত একটি ভিন্ন ঊর্মিমালা যা এই সমুদ্রের রূপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যখন সুফি সঙ্গীত যেমন আমাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রাচীন ধারাগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, তখন আমরা প্রেম এবং ভক্তির নতুন কলকল স্রোতের শব্দ শুনেছি। এতে আমাদের হজরত খুসরোর কাওয়ালি যেমন মিশেছে, তেমনই আমাদের বাবা ফরিদের দোহাগুলি এসে মিশেছে। বুল্লে শাহের মধুর আওয়াজ যেমন মিশেছে, মীর-তকি-মীর-এর সঙ্গীত মিশেছে, এখানে আমাদের কবীরের গাঁথাগুলি মিশেছে, রহিমের কবিতা মিশেছে, আর রসখান-এর কবিতাও মিশেছে। এই সন্তরা এবং ঔলিয়ারা ভক্তিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছেন। আপনারা সুরদাসের কবিতা পড়ুন, অথবা রহিম বা রসখানের কবিতা পড়ুন, অথবা আপনারা চোখ বন্ধ করে হজরত খুসরোর কবিতাগুলি শুনুন। যখন আপনারা মনের গভীর ঢুকে যান, সেই একটি স্থানে পৌঁছে যান, যে স্থান আধ্যাত্মিক প্রেমের সেই উচ্চতা এবং সমস্ত মানবিক প্রতিকূলতা ভেঙে যায়, যেখানে মানুষ এবং ঈশ্বরের মিলন অনুভূত হয়। আপনারা দেখুন, আমাদের রসখান মুসলমান ছিলেন। কিন্তু তিনি হরি ভক্ত ছিলেন। রসখানও বলতেন – “প্রেম হরি কো রূপ হ্যায়, ত্যোঁ হরি প্রেমস্বরূপ। এক হোঈ দ্বৈ য়োঁ লসৈঁ, জ্যৈঁ সুরজ অরু ধূপ।।” অর্থাৎ প্রেম এবং হরি উভয়ই এমনই একটি রূপ, যেমন সূর্য এবং রোদ। আর এই অনুভূতি হজরত খুসরোরও হয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন – “খুসরো দরিয়া প্রেম কা, সো উলটী ওয়া কী ধার। জো উতরা সো ডুব গ্যায়া, জো ডুবা সো পার।।” অর্থাৎ প্রেমে ডুবে গেলে সমস্ত বিভেদের বাধাগুলি দূর হয়ে যায়। এখানে এখন যে সুন্দর পরিবেশনগুলি আমরা দেখলাম সেগুলিতেও আমরা এটাই অনুভব করেছি। 

 

বন্ধুগণ,

 

সুফি পরম্পরা শুধু যে মানুষের আত্মিক দূরত্বগুলিকে দূর করেছে তা নয়। বিশ্বের সঙ্গে দূরত্বকে হ্রাস করেছে। আমার মনে আছে ২০১৫ সালে যখন আমি আফগানিস্তারের পার্লামেন্টে গিয়েছিলাম সেখানে আমি অত্যন্ত আবেগখিন্ন শব্দাবলিতে রুমীকে স্মরণ করেছিলাম। আজ থেকে ৮ শতাব্দী আগে রুমী সেদেশের বল্খ রাজ্যে জন্ম নিয়েছিলেন। আমি রুমীর লেখা একটি হিন্দি তর্জমা এখানে পুনরুচ্চারণ করতে চাই। কারণ এর শব্দাবলী ততটাই প্রসাঙ্গিক। রুমী বলেছিলেন, “শব্দগুলিকে উচ্চতা দিন, আওয়াজকে নয়। কারণ, ফুল বৃষ্টিতে জন্ম নেয়, তুফানে নয়”। তার আর একটি কথা আমার মনে পড়ে, আমি একটু দেশজ শব্দে ব্যাখ্যা করছি, যার অর্থ হল – “আমি পূর্বেরও না, পশ্চিমেরও না, আমি সমুদ্র থেকে উঠে আসিনি, আর মাটি থেকেও জন্ম নিয়নি। আমার জায়গায় কেউ আছেন কিংবা নেই। আমি কোন নির্দিষ্ট স্থানের নই। অর্থাৎ আমি সব জায়গার।” এই ভাবনা, এই দর্শন আমাদের উপনিষদে বর্ণিত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ – এর ভাবনা থেকে ভিন্ন নয়। যখন আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করি, তখন আমি এই ভাবনাগুলি থেকে অনেক শক্তি পাই। আমার মনে আছে যখন আমি ইরানে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আমি মীর্জা গালিবের শের পড়েছিলাম – 

 

“জনূনত গরবে, নফ্সে-খুদ, তমাম অস্ত।

জে-কাশী, পা-বে কাশান, নীম গাম অস্ত।।”

 

অর্থাৎ যখন আমরা জেগে থাকি, তখন আমাদের কাশী এবং কাশানের মধ্যে দূরত্ব শুধু অর্ধেক পা বলে মনে হয়। সত্যিই, আজকের বিশ্বের জন্য, যখন যুদ্ধ মানবতার এত বড় ক্ষতি করছে তখন এই বার্তা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে! 

 

বন্ধুগণ,

 

হজরত আমির খুসরোকে ‘তূতী-এ হিন্দ’ বলা হয়। ভারতের প্রশংসায় ভারতের প্রেমে তিনি যে সব গান গেয়ে গেছেন, হিন্দুস্তানের মহানতা এবং মনমোহকতার যে বর্ণনা তিনি করে গেছেন, তা তাঁর বই নুহ-সিপ্হর-এতেও দেখা যায়। হজরত খুসরো ভারতকে তখনকার বিশ্বের সমস্ত বড় দেশের মধ্যে মহানতম বলেছেন। তিনি সংস্কৃত ভাষার জগৎকে সবচেয়ে উন্নত ভাষা জগৎ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি ভারতের মনীষীদের বিশ্বের বড় বড় বিদ্বানদের থেকে বড় বলে মনে করতেন। ভারত বিশ্বকে ‘শূন্য’ দিয়েছে, গণিত দিয়েছে, আর বিজ্ঞান এবং দর্শনের যে জ্ঞান দিয়েছে তা কিভাবে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে পৌঁছেছে, কিভাবে ভারতের গণিত আরবে পৌঁছে সেখানকার বিদ্যাচর্চায় ‘হিন্দসা’ নামে পরিচিত হয়েছে! হজরত খুসরো শুধু তাঁর গ্রন্থগুলিতে এসবের উল্লেখ করে থেমে থাকেননি, তিনি এগুলি নিয়ে গর্ব করতেন। দাসত্বের দীর্ঘ কালখণ্ডে যখন আমাদের অনেক কিছু নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যদি আজ আমরা নিজেদের অতীতের সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিচিত হই, তাহলে বুঝতে পারবো এতে হজরত খুসরোর রচনাগুলিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। 

 

বন্ধুগণ, 

 

এই ঐতিহ্যকে আমাদের নিরন্তর সমৃদ্ধ করে যেতে হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জহান-এ-খুসর-র মতো অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করছে। আর অখণ্ডরূপে ২৫ বছর ধরে তা পালন করছে। এটা কম কথা নয়। আমি আমার সমস্ত বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি আর একবার আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ হওয়া এই আয়োজনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও এই ধরনের সমারোহের আনন্দ পাওয়ার সুযোগ কিছুটা হয়েছে। সেজন্য আমি আমার বন্ধুদের অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক শুকরিয়া! 

 

(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে)

 

 

 

SC/SB/AS