Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

সুফি সঙ্গীত উৎসব জাহান-এ-খুসরু, ২০২৫-এ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ

সুফি সঙ্গীত উৎসব জাহান-এ-খুসরু, ২০২৫-এ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ


নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির সুন্দর নার্সারিতে সুফি সঙ্গীত উৎসব জাহান-এ-খুসরু, ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করেন। 

 

এই উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হজরত আমির খুসরুর সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে এই সঙ্গীত উৎসব। তিনি বলেন, বসন্তকাল আমির খুসরুর খুব পছন্দের ছিল। এটি শুধুমাত্র একটি ঋতু নয়, এটি দিল্লির বাতাসে জাহান-এ-খুসরুর উপস্থিতির বার্তা দেয়। 

 

শ্রী মোদী দেশের শিল্পকলা ও সংস্কৃতিতে জাহান-এ-খুসরুর মতো উৎসবের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই উৎসব ২৫ বছর পূর্ণ করেছে এবং মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। এই উপলক্ষে রমজানের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

 

তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের সুফি পরম্পরায় সারখেজ রোজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ঐ স্থানটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এর সংস্কারের ওপর জোর দেন। শ্রী মোদী বলেন, সুফি সঙ্গীত সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে ঐক্যের বাতাবরণ গড়ে তোলে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মাটিতে এক অনন্য সুগন্ধ ছড়িয়ে চলেছে জাহান-এ-খুসরু উৎসব। তিনি আরও বলেন, হজরত আমির খুসরু ভারতকে স্বর্গের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তাঁর কথায়, “ভারতের মাটির এক অনন্য চরিত্র রয়েছে। সুফি পরম্পরা যখন এখানে এসে পৌঁছয়, তখন এই মাটির সঙ্গে তার যোগসূত্র গড়ে ওঠে।”

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাহান-এ-খুসরু ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও পরম্পরার আধুনিক প্রতিফলন হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, সুফি এবং ধ্রুপদী সঙ্গীতের পরম্পরা যখন পরস্পরের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যায়, তখন তারা ভালোবাসা ও নিষ্ঠার এক নতুন অনুভূতির জন্ম দেয়। 

 

শ্রী মোদী বলেন, সুফি পরম্পরা শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক দূরত্বই ঘোচায়নি, সেইসঙ্গে জাতির মধ্যে ব্যবধানও কমিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হজরত আমির খুসরুর সৃষ্টির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমির খুসরুর সময়ে বিশ্বের মহান দেশগুলির মধ্যে ভারত উচ্চস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল এবং সংস্কৃতকে বিশ্বের সেরা ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হত। জাহান-এ-খুসরু উৎসবের আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২৫ বছর ধরে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা ও সমৃদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাওয়া খুব একটা সাধারণ ঘটনা নয়। উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শ্রী মোদী। 

 

২০০১ সালে এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। 

 

SC/MP/DM