Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের সময়ে জারি হওয়া ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতি

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের সময়ে জারি হওয়া ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতি


নতুন দিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 

 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ওয়াশিংটন ডিসি-তে সরকারি সফরে যান। 

 

আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বহুত্ববাদকে গুরুত্ব দেওয়া সার্বভৌম ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের দুই নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-মার্কিন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের শক্তি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই অংশীদারিত্ব পারস্পরিক আস্থা, অভিন্ন স্বার্থ, সুনাম এবং দুই দেশের নাগরিকদের শক্তিশালী সংযোগের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

 

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রধান ভিত্তিগুলিতে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী একবিংশ শতকের জন্য ভারত-মার্কিন COMPACT (Catalyzing Opportunities for Military Partnership, Accelerated Commerce and Technology)-এর সূচনা করেছেন।

 

ভারত-মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের গভীরতার উল্লেখ করে দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত গতিশীল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের প্রতি তাঁদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রতিরক্ষা সংযোগ আরও নিবিড় করতে তাঁরা ১০ বছর মেয়াদী এক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

 

সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, সি১৭ গ্লোব মাস্টার ৩, হারপুন জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বিভিন্ন মার্কিন সমরাস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দুই নেতা সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়াবে এবং সহ উৎপাদনে উদ্যোগী হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রয়োজন মেটাতে চলতি বছরে জ্যাভেলিন ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ট্রাইকার সামরিক যান ভারতে বিক্রি এবং সহ উৎপাদনের পরিকল্পনা ব্যক্ত করা হয়েছে। 

 

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার এবং কোয়াডের অংশীদার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তাদের অস্ত্র হস্তান্তর সংক্রান্ত বিধি খতিয়ে দেখতে সহমত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সরঞ্জাম, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিমার্জনে শুল্কের হার খতিয়ে দেখতেও দুই দেশ সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও পণ্যের ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক ভারসাম্যযুক্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দুই নেতা চলতি বছরেই আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। মহাকাশ, আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র, সমুদ্র এবং গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিবিড় করার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা। 

 

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার গুরুত্ব ক্রমশ বেড়ে চলায় দুই নেতা Autonomous Systems Industry Alliance – ASIA গঠনের ঘোষণা করেছেন। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নিয়ে আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মাহিন্দ্রা গ্রুপের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। 

 

আকাশ, ভূমি, সমুদ্র, মহাকাশ, সাইবার পরিসর – সব ক্ষেত্রেই সামরিক সহযোগিতা প্রসারিত করার অঙ্গীকার নিয়েছেন দুই নেতা। ভারতে অনুষ্ঠেয় টাইগার ট্রায়ামফ মহড়াকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন।

 

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায় ভারত ও মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় ও গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের উপর জোর দিয়েছেন দুই নেতা। 

 

অর্থনীতির উন্নয়নে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ আরও প্রসারিত করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। 

 

নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারসাম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুই নেতা ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বহুক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা জানিয়েছেন। এজন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও শক্তিশালী ও সুগভীর করার লক্ষ্যে সংযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে। এর আওতায় শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমানোর এবং বাজারকে আরও বেশি করে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার প্রয়াস চালানো হবে। 

 

ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাগত জানিয়েছে। একইভাবে ভারতের আম ও অন্য কয়েকটি সামগ্রীর রপ্তানি বাড়ানোর মার্কিন প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। 

 

দুই দেশ উচ্চ মূল্যের শিল্প ক্ষেত্রে ভারতীয় ও মার্কিন সংস্থাগুলির সামনে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। ভারতীয় কোম্পানীগুলি সম্প্রতি ৭.৩৫ বিলিয়ন ডলারের যে বিনিয়োগ করেছে, দুই নেতা তাকে স্বাগত জানিয়েছে। 

 

জ্বালানি সুরক্ষাকে অর্থনৈতিক বিকাশ, সামাজিক কল্যাণ ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বিষয় বলে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতার উপর দুই নেতা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তেল, গ্যাস ও অসামরিক পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।

 

দুই নেতা হাইড্রো কার্বনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং তেলের কৌশলগত মজুত ভান্ডার গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়ার যে দাবি ভারত জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। 

 

দুই নেতা জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন। অপরিশোধিত তেল, পেট্রোপণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের অগ্রণী সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে ভারত সহমত হয়েছে। হাইড্রো কার্বন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে বলে দুই নেতা মত ব্যক্ত করেছেন। তেল ও গ্যাস পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দু দেশের জ্বালানি সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ সহমত হয়েছে। 

 

ভারত-মার্কিন ১২৩ অসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির সম্পূর্ণ রূপায়ণে দুই নেতা তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে বিভিন্ন পরমাণু চুল্লি নির্মাণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

 

দুই নেতা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে TRUST-Transforming the Relationship Utilizing Strategic Technology কর্মসূচি চালু করার ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় প্রতিরক্ষা, কৃত্রিম মেধা, সেমিকনডাকটর, কোয়ানটাম, জৈব প্রযুক্তি, জ্বালানি ও মহাকাশ ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হস্তান্তরে সহায়তা করা হবে। 

 

উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহ দিতে দুই নেতা INDUS শীর্ষক একটি উদ্ভাবনী সেতু গড়ে তোলার ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ, জ্বালানি ও অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিল্পগত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগত অংশীদারিত্ব এবং বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া হবে। 

 

উদীয়মান প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিরল খনিজগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃত দিয়ে দুই দেশ এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরল খনিজের অনুসন্ধান, খনন, উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একটি যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

 

২০২৫ সালকে ভারত-মার্কিন অসামরিক মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক বিশেষ বছর হিসেবে চিহ্নিত করে দুই নেতা নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় এই প্রথম একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইসরো ও নাসা যৌথভাবে নিসার মিশন-এর সূচনা করবে। এর আওতায় দ্বৈত রাডার ব্যবহার করে ভূ-পৃষ্ঠে পরিবর্তনের মানচিত্র তৈরি করা হবে। 

 

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক গবেষণামহলের মধ্যেকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে দুই নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং ভারতের অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছেন। 

 

দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাড়াতে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে দুদেশের সরকার তাদের প্রয়াস আরও জোরদার করবে বলে জানানো হয়েছে। 

 

এক মুক্ত, বাধাহীন, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব অপরিহার্য বলে দুই নেতা মত ব্যক্ত করেছেন। কোয়াডের অংশীদার হিসেবে তাঁরা আশিয়ান কেন্দ্রীকতা, আন্তর্জাতিক আইন ও সুশাসনের মান্যতা, নিরাপদ ও মুক্ত সমুদ্রযাত্রা, বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সমুদ্র বিবাদের নিষ্পত্তির প্রতি দায়বদ্ধ বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী মোদী কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে নতুন দিল্লিতে আসার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানান। 

 

দুই নেতা মধ্যপ্রাচ্যের অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বাড়ানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। ওই অঞ্চলে পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার কথা বলেছেন তাঁরা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডরের অংশীদারদের এবং I2U2 গ্রুপের সদস্যদের বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা জানিয়েছেন দুই নেতা।

 

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, ভারতের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা জালের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রসঙ্গে দুই নেতা ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও আলোচনা আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা ভারত মহাসাগরীয় কৌশলগত উদ্যোগের সূচনার ঘোষণা করেন। এর আওতায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ বৃদ্ধিতে সুসমন্বিত বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। 

 

পশ্চিম ভারত মহাসাগর, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক নতুন বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা। 

 

বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুই নেতা বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

 

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে দুই নেতা বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে। আলকায়দা, আইসিস, জঈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। ২৬/১১-র মুম্বাই হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। মুম্বাই ও পাঠানকোট হামলায় যুক্ত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুই নেতা। 

 

দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই নেতা সহমত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে, প্রতি বছর ৩ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী মার্কিন অর্থনীতিতে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অবদান রাখে। পড়ুয়া, গবেষক ও কর্মীদের এই প্রবাহ দুই দেশকেই লাভবান করছে বলে তাঁরা স্বীকার করেছেন। দুদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন দুই নেতা। মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভারতে অফ-শোর ক্যাম্পাস গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

 

অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক, সংগঠিত অপরাধী সিন্ডিকেট, মাদক-অস্ত্র-মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নির্ণায়ক ব্যবস্থা নিতে দুই নেতা প্রশাসনিক সহযোগিতা আরও নিবিড় করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। 

 

দুদেশের নাগরিকদের জন্য এক উজ্জ্বল ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ, বিশ্বকল্যাণ এবং মুক্ত ও স্বাধীন ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে এক সুদৃঢ় ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এবং দুদেশের সরকার, শিল্পমহল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিবিড় সংযোগ রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

 

SC/SD/SKD