নয়াদিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ‘স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি (এসআইপি)’ ২০২৬ পর্যন্ত বহাল রাখা এবং পুনর্গঠনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮,৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০ (পিএমকেভিওয়াই ৪.০)’, ‘প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোমোশন স্কিম (পিএম-এমএপিএস)’ এবং ‘জন শিক্ষণ সংস্থান (জেএসএস)’ কর্মসূচি – এই তিনটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে এখন ‘স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি’র আওতায় আনা হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল, প্রান্তিক সম্প্রদায় সহ গ্রাম ও শহরাঞ্চলে দক্ষতা উন্নয়ন, চাকরিমুখী প্রশিক্ষণ এবং গোষ্ঠী-ভিত্তিক শিক্ষা সুনিশ্চিত করা। এই তিনটি প্রকল্পে এ পর্যন্ত ২.২৭ কোটি সুবিধাপ্রাপক উপকৃত হয়েছেন।
পিএমকেভিওয়াই ৪.০ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫-৫৯ বছর বয়সী নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল রাখতে এআই, ৫জি প্রযুক্তি, সাইবার সুরক্ষা, গ্রিন হাইড্রোজেন ও ড্রোন প্রযুক্তির ওপর ৪০০-র বেশি পাঠক্রম চালু করা হয়েছে।
আইআইটি, এনআইটি, জহর নবোদয় বিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, সৈনিক স্কুল, একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়, পিএম শ্রী বিদ্যালয় সহ দেশের প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নতমানের প্রশিক্ষণদানের লক্ষ্যে স্কিল হাব গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোমোশন স্কিমে শিক্ষা থেকে চাকরি – এই লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য মাসিক ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন ১৪-৩৫ বছর বয়সী নাগরিকরা।
জন শিক্ষণ সংস্থান প্রকল্পে ১৫-৩৫ বছর বয়সী মহিলা, গ্রামাঞ্চলের তরুণ এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষকে বৃত্তিমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি ভারতে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন –
https://www.skillindiadigital.gov.in/home
SC/MP/DM