Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

দিল্লির কারিয়াপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে এনসিসি র‍্যালিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

দিল্লির কারিয়াপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে এনসিসি র‍্যালিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লি, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রাজনাথ সিং-জি, শ্রী সঞ্জয় শেঠজি, সিডিএস-জেনারেল অনিল চৌহানজি, তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, এনসিসি-র মহানির্দেশক, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ, জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর আমার প্রিয় বন্ধুরা! এনসিসি দিবস উপলক্ষে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আজ ১৮টি বন্ধু রাষ্ট্রের প্রায় ১৫০ জন ক্যাডেট এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। আমি তাঁদের সকলকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে, ‘মেরা যুব ভারত’, ‘MY Bharat’ সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়া একটি সাফল্যের বিষয়। এ বছরের কুচকাওয়াজ তো আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, আমাদের রিপাবলিক-এর ৭৫ বছর পূর্তি হল। বন্ধুরা, আপনাদের জীবনে এই স্মৃতিগুলি অমলিন হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে আপনাদের সব সময়েই মনে থাকবে যে সাধারণতন্ত্র দিবসের ৭৫তম বর্ষ পূর্তিতে আপনারা এই কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন। যাঁরা শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটের পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সম্প্রতি এনসিসি-র বেশ কয়েকটি কার্যক্রমের সূচনা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র সঙ্গে ভারতের ঐতিহ্যের এবং যুব সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে। এই কর্মসূচিগুলির সঙ্গে যেসব ক্যাডেটরা যুক্ত, তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুগণ,

দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখনই এনসিসি গঠিত হয়। এক অর্থে বলা যায়, দেশের সংবিধান তার যাত্রা শুরু করার আগে থেকেই আপনাদের সংগঠন তার যাত্রা শুরু করেছিল। সাধারণতন্ত্রের ৭৫ বছরে ভারতের সংবিধান দেশকে গণতান্ত্রিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিয়েছে ও নাগরিক কর্তব্যের গুরুত্বের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। একইভাবে এনসিসি দেশ গড়ার কাজে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করে। জীবনে শৃঙ্খলাবোধের গুরুত্ব কতটা, তারও ব্যাখ্যা দেয় এনসিসি। ইদানিংকালে সরকার এনসিসি-র সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নতুন নতুন সুযোগ ও দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমি এর জন্য আনন্দিত। আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং সমুদ্র তীরবর্তী জেলাগুলিতেও এনসিসি-র কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে।

আজ, সীমান্তবর্তী ১৭০টি তালুক এবং উপকূলবর্তী ১০০টি জেলায় এনসিসি পৌঁছে গেছে। আমি তিন বাহিনীর সদস্যদেরও এখানে অভিনন্দন জানাব। আপনারা এই জেলাগুলিতে তরুণ এনসিসি ক্যাডেটদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের হাজার হাজার যুবক-যুবতীরা এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। এনসিসি-তে যে সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে, তা ক্যাডেটদের সংখ্যার মাধ্যমে প্রতিফলিত। ২০১৪ সালে প্রায় ১৪ লক্ষ এনসিসি ক্যাডেট ছিল। আজ এই সংখ্যা ২০ লক্ষে পৌঁছেছে। এই বাহিনীতে ৮ লক্ষের বেশি মহিলা রয়েছেন যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আজ বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় আমাদের এনসিসি ক্যাডেটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাঁদের দৃপ্ত পদচারণা। বিশ্বের বৃহত্তম ঐক্যবদ্ধ যুব সংগঠন হিসেবে এনসিসি বিবেচিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত গর্বিত। 

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব এবং ভারতের উন্নয়নে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের যুবশক্তি শুধুমাত্র ভারতের শক্তিই নয়, তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আজ সারা বিশ্ব এটি স্বীকার করে। সম্প্রতি সংবাদপত্রগুলিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের যুব সম্প্রদায় দেড় লক্ষ স্টার্ট-আপ এবং ১০০টির বেশি ইউনিকর্ন তৈরি করেছে। আজ বিশ্বে ২০০-র বেশি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। এই সংস্থাগুলি বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কোটি কোটি অর্থের যোগান দেয়, যা কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন নিয়ে আসে। ভারতীয় বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষকরা পৃথিবীর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেন। আর তাই, আন্তর্জাতিক স্তরে এমন কোনো ক্ষেত্র পাওয়া খুবই শক্ত যেখানে ভারতীয় যুবশক্তির কোনো প্রতিনিধি নেই, ভারতীয় প্রতিভার কোনো স্বাক্ষর নেই। আর তাই, আমি আপনাদেরকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের শক্তি বলে উল্লেখ করলাম।

বন্ধুগণ,

ব্যক্তি হিসেবে অথবা দেশের জন্য – সব ক্ষেত্রেই অহেতুক কোনো বাধা আসলে তাকে অতিক্রম করার শক্তি অর্জন করতে হবে। গত ১০ বছরে দেশের যুবশক্তির সামনে যে সমস্ত বাধাগুলি রয়েছে, তা দূর করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি, এর জন্য আমি আনন্দিত। এর ফলে, ভারতের যুবশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে, দেশের ক্ষমতা বেড়েছে। ২০১৪ সালে যখন আপনাদের বয়স ১০ বা ১২ বা ১৪ ছিল, সেই সময়ে পরিস্থিতিটা কিরকম ছিল তা আপনাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করুন। যেমন ধরুন, কোনো নথি প্রত্যয়নের বিষয়। আগে কোথাও ভর্তি হতে গেলে, কোনো পরীক্ষায় বসতে চাইলে, চাকরির ক্ষেত্রে – যে কোনো ফর্ম ফিল-আপ করার সময় গেজেটেড অফিসারদের দিয়ে নথিগুলিকে প্রত্যয়িত করতে হত। এর জন্য নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হত। যুব সম্প্রদায়ের এই সমস্যা আমাদের সরকার দূর করেছে কারণ আপনাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। এখন আপনারাই আপনাদের নথিগুলিতে স্বপ্রত্যয়ন করেন। আগে বিভিন্ন বৃত্তির জন্য আবেদন করতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন করতে হত। বৃত্তির টাকা প্রচুর নয়ছয় হত। ছেলে-মেয়েদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছত না। আর এখন ‘এক জানালা’ ব্যবস্থায় পুরনো সব সমস্যার সমাধান ঘটানো হয়েছে। আগে পড়াশোনার জন্য বিষয় বাছাই করাও আরও একটা বড় সমস্যা ছিল। বোর্ড পরীক্ষার পর কোন বিষয় নিয়ে আপনি পড়াশোনা করবেন, তা বিবেচনার পর বিষয় পরিবর্তন করা খুব সমস্যার ছিল। আর এখন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি আপনাদের ইচ্ছা অনুসারে বিষয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবরকমের সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।

বন্ধুগণ,

বছর দশেক আগে এমন সময়ও ছিল যখন যুবক-যুবতীরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতেন না। ব্যাঙ্কগুলি বলত, যদি আপনি ঋণ পেতে চান তাহলে কিছু গ্যারান্টির ব্যবস্থা করুন। ২০১৪ সালে যখন দেশের জনসাধারণ তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম, আমার দেশের যুব সম্প্রদায়ের গ্যারান্টার আমি। আমরা মুদ্রা যোজনার সূচনা করি, যেখানে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। আগে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তৃতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা এই পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ টাকা করেছি। গত ১০ বছরে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে আমরা ৪০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। আপনাদের মতো লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এই ঋণের সাহায্যে তাঁদের ব্যবসা শুরু করেছেন। 

বন্ধুগণ,

দেশের যুবশক্তির ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা। দিন দুয়েক আগে আমরা জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করেছি। আপনারা অনেকেই প্রথমবারের ভোটার। ভোটার দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল, যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা, তাঁদের অধিকার যাতে কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করা। আজ বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন ভারতবর্ষ আয়োজন করে। এই নির্বাচনগুলি আয়োজনের সময় বেশ কয়েক মাস কেটে যায়। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন লোকসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন একইসঙ্গে হত। কিন্তু, পরবর্তীতে এই ব্যবস্থাটি নষ্ট হয়ে যায়। এর জন্য দেশের বেশ সমস্যা হয়। প্রতিটি নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকার সংশোধন করতে হয়। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই কাজটি করেন। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা হয়। পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত ঘটে। ঘন ঘন নির্বাচন আয়োজন করার ফলে প্রশাসনিক কাজেও সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই, ইদানিংকালে দেশজুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সকলেই এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাচ্ছেন। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় মতপ্রকাশ অত্যন্ত জরুরি, প্রত্যেকেই নিজের মত প্রকাশ করবেন। বিতর্কের বিষয় হল, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’। লোকসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে হওয়া প্রয়োজন। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্দিষ্ট সময়ে তা হতে হবে। এর ফলে, নতুন নতুন কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হবে না। 

আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ আছে, এনসিসি ক্যাডেটদের কাছে আমার একটি অনুরোধ আছে। MY Bharat-এর স্বেচ্ছাসেবক এবং এনএসএস-এর কমরেড, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ, বিতর্কের এই বিষয়টিতে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করুন। এই বিষয়টি আপনাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। আপনারা জানেন, আমেরিকার মত দেশে নতুন সরকার গঠনের দিন স্থির থাকে। প্রতি চার বছর অন্তর সে দেশে নির্বাচন হয়। আপনাদের নিজেদের কলেজ বা স্কুলেও ছাত্র পরিষদের নির্বাচনগুলি নির্ধারিত সময়ে হয়। একবার ভাবুন, যদি প্রতি মাসে ভোট হয় তাহলে কি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা সম্ভব? তাই, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে উদ্ভুত বিতর্কে আপনারা নেতৃত্ব দিন। দেশজুড়ে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হোক। ফলশ্রুতিতে সঠিক দিশায় যাতে আমরা এগোতে পারি তা নিশ্চিত হোক।
 
বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তনশীল। সময়ের চাহিদা মেনে আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাদের প্রত্যেককে, দেশের যুবশক্তিকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিল্পকলা, গবেষণা, উদ্ভাবন – প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন শক্তির সঞ্চার ঘটাতে হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল রাজনীতি। আমাদের দেশের যুবশক্তিকে যত বেশি সম্ভব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুন শক্তিতে, উদ্ভাবনী চিন্তাধারায়, নতুন নতুন পরামর্শ নিয়ে আপনারা এগিয়ে আসুন। এটি দেশের চাহিদা। আর তাই, লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি বলেছিলাম, রাজনীতিতে ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর সামিল হওয়ার প্রয়োজন। ‘বিকাশ ভারত : ইয়ং ইন্ডিয়া ডায়ালগ’-এ দেশের যুবশক্তির ক্ষমতার স্বাদ আমরা পেয়েছি। দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী উন্নত ভারত গড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মূল্যবান মতামত জানিয়েছেন। 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কালে দেশের প্রতিটি পেশার মানুষ অভিন্ন এক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন – স্বাধীনতা অর্জন করা। দেশের যুব সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের যৌবনকাল কারাগারে কাটিয়েছেন। একইভাবে অমৃতকালে আমাদের একটিই লক্ষ্য – উন্নত ভারত গড়া। আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি কাজ উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে করতে হবে। আর তাই, আমাদের ‘পঞ্চ প্রাণ’কে ভুলে গেলে চলবে না। এই ‘পঞ্চ প্রাণ’ হল – আমাদের উন্নত ভারত গড়তে হবে, দাসত্বের প্রতিটি ভাবনা থেকে মুক্ত হতে হবে, আমাদের ঐতিহ্যকে নিয়ে গর্ববোধ করতে হবে, ভারতের একতার জন্য কাজ করতে হবে এবং আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যকে সৎভাবে পালন করতে হবে। এই পাঁচটি ‘প্রাণ’ প্রত্যেক ভারতবাসীকে পথচলার দিশা দেখাবে, প্রত্যেকের অনুপ্রেরণার উৎস হবে। আপনারা মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। ‘এক ভারত – শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনা আমাদের দেশের সবথেকে বড় শক্তি। এই মুহূর্তে প্রয়াগে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানেও ভারতের একতা প্রতিফলিত। তাই, এই মহাকুম্ভ হল ঐক্যের মহাকুম্ভ। এই ঐক্য দেশের প্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

বন্ধুগণ,

আপনারা আপনাদের কর্তব্যগুলির বিষয়ে সবসময় সচেতন থাকবেন। দায়িত্বের ভিতের ওপরই মহান ও পবিত্র এক উন্নত ভারত গড়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ,

আপনাদের মধ্যে যখন আমি উপস্থিত হই তখন আপনাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রকৃত চিত্র উপলব্ধি করতে পারি। এই মুহূর্তে আমার নিজের লেখা কয়েকটি লাইনের কথা মনে পড়ছে – 

असंख्य भुजाओं की शक्ति है, हर तरफ देश की भक्ति है
तुम उठो तिरंगा लहरा दो, भारत के भाग्य को फहरा दो
कुछ ऐसा नहीं जो कर ना सको, कुछ ऐसा नहीं जो पा ना सको
तुम उठ जाओ, तुम जुट जाओ
सामर्थ्य को अपने पहचानो, कर्तव्य को अपने सब जानो !

বন্ধুগণ,

আরও একবার আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আসুন আমার সঙ্গে একযোগে বলুন – 
ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল

 

SC/CB/DM..