Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আগামী ১২ জানুয়ারি বিকশিত ভারত গঠনে সঙ্কল্পবদ্ধ দেশের তরুণ ও যুব নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সহ অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী


নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

 

আগামী ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। এই দিনটির স্মরণে আগামী রবিবার, বেলা ১০টায় নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে বিকশিত ভারত যুব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক আলোচনাসভায় মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এজন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩,০০০ জন উৎসাহী যুব নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের সমাবেশে এক ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৫ বছর ধরে প্রথাগতভাবে জাতীয় যুব দিবস ১২ জানুয়ারি দিনটিতে উদযাপিত হয়ে আসছে। এবারের উদ্যোগ-আয়োজন সেই দিক থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন ধরনের। স্মরণ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশের ১ লক্ষ যুবককে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কোন রাজনৈতিক দলের অনুমোদন বা সমর্থন ছাড়াই তাঁরা এক জাতীয় মঞ্চের মাধ্যমে বিকশিত ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করার বিষয়ে তাঁদের চিন্তাভাবনা পেশ করতে পারবেন। এবার তাই জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী যাতে দেশের ভবিষ্যতের ভাবী নেতৃবৃন্দ উজ্জীবিত ও উৎসাহিত হয়ে ওঠেন। এই প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তরুণ ও যুবকদের ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ১২ জানুয়ারি দেশের যুব নেতৃবৃন্দ তাঁদের উদ্ভাবনাপ্রসূত কিছু চিন্তাভাবনার কথা পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। দেশের উন্নয়নের জন্য ১০টি বিশেষ বিশেষ বিষয় বা ক্ষেত্রকে তাঁরা এদিন চিহ্নিত করবেন। ভারতের সামনে বর্তমানে এমন কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা রয়েছে যা উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে সমাধানের প্রস্তাব দেবেন এই যুব নেতারা।

এই উপলক্ষে ১০টি পৃথক পৃথক বিষয়ের ওপর অংশগ্রহণকারীদের লেখা কিছু রচনার একটি সঙ্কলনও এদিন প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রযুক্তি, ধারাবাহিকতা, নারী ক্ষমতায়ন, নির্মাণ ও উৎপাদন এবং কৃষির মতো বিভিন্ন বিষয় ও ক্ষেত্র সম্পর্কে তাঁদের চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ করা হয়েছে এই রচনাগুলির মাধ্যমে।

পরে, এই যুব নেতাদের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজেও মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারবেন। ব্যক্তিগত এই আলাপচারিতার মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থা এবং যুব সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্যে যে ফারাকটুকু রয়ে গেছে, তা দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিজস্বতা এবং দায়দায়িত্ব সম্পর্কে এক গভীর চেতনারও উন্মেষ ঘটবে।

তবে, এই ধরনের আলাপ-আলোচনার সূচনা হচ্ছে ১১ জানুয়ারি থেকে। নানা ধরনের প্রতিযোগিতামূলক কাজকর্মের সঙ্গে এদিন থেকেই যুক্ত হবেন এই যুব নেতারা। সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার কাজেও এদিন দেখা যাবে তাঁদের। ভারতের সাংস্কৃতিক শিল্পকলার ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি, আধুনিক ভারতের অগ্রগতির এক বিশেষ প্রতীক হয়ে উঠবে এই ধরনের কর্মপ্রচেষ্টা।

যে ৩,০০০ তরুণ ও যুবককে এ বছর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৫-২৯ বছর বয়সী তরুণ ও যুবকরা। এর আগে ১২টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় বিকশিত ভারত সম্পর্কে ক্যুইজেরও আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষের মতো। এছাড়াও ছিল রচনা বা প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা। বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে সাকার করে তোলার লক্ষ্যে ১০টি প্রধান প্রধান বিষয়কে অবলম্বন করে আয়োজিত হয় এই রচনা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা যাতে ২ লক্ষের মতো রচনা জমা পড়ে। এছাড়াও রাজ্য পর্যায়ে বিষয়বস্তুপ্রতি ২৫ জন করে প্রার্থী প্রতিযোগিতায় সশরীরে সামিল হয়েছিলেন।  তাঁদের চিহ্নিত ও মনোনীত করা হয় রাজ্য সরকারগুলির মাধ্যমে।

এছাড়াও, বিকশিত ভারত গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে আরও বেশ কিছু কর্মসূচি ইতিমধ্যেই আয়োজিত হয়েছে যাতে তরুণ ও যুবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

SC/SKD/DM/