নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
আমি বলব ভগবান বিরসা মুন্ডা – আপনারা বলবেন অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
বিহারের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকরজি, যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী জুয়াল ওরামজি, শ্রী জিতেন রাম মানঝিজি, শ্রী গিরিরাজ সিং-জি, শ্রী চিরাগ পাসোয়ানজি এবং শ্রী দুর্গাদাস উইকেজি এবং আজ এখানে আমাদের মধ্যে বিরসা মুন্ডাজির উত্তরসূরীরাও উপস্থিত রয়েছেন। আজ তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের অনুষ্ঠান চলছে। তাই, তাঁদের পরিবার-পরিজন এখন সেই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে, বুধরাম মুন্ডাজি আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন। তিনি সিধু কানহু-রই এক বংশধর। একথা জানাতে পেরে আমি খুশিই হব যে ভারতীয় জনতা পার্টিতে খুবই বরিষ্ঠ একজন নেতা রয়েছেন। এক সময় তিনি লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্বভার পালন করেছেন। পদ্ম বিভূষণে পুরস্কৃত আমাদের সেই নেতা হলেন শ্রী কারিয়া মুন্ডাজি। জুয়াল ওরামজি একথার উল্লেখ করেছেন যে কারিয়া মুন্ডাজি হলেন তাঁদের কাছে পিতৃতুল্য। ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রী কারিয়া মুন্ডাজি আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং আমার বন্ধুসম শ্রী বিজয় কুমার সিনহাজি, শ্রী সম্রাট চৌধুরিজি, বিহার সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীবৃন্দ, সাংসদ, বিধায়ক, অন্যান্য সরকারি প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা জামুই-এর আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা।
আজ এখানে বহু মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, রাজ্য মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত রয়েছেন। আমি তাঁদের সকলকেই স্বাগত জানাই। আমি অভিনন্দন জানাই আমার কোটি কোটি আদিবাসী ভাই-বোনেদের যাঁরা এখানে ভার্চ্যুয়াল মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। গীত গৌর দুর্গা মা এবং বাবা ধনেশ্বর নাথের পবিত্র ভূমিতে আমি নতমস্তকে প্রণাম জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ভগবান মহাবীরের জন্মস্থানটিকে। আজ কার্ত্তিক পূর্ণিমা তথা দেব দীপাবলি। তাই এটি হল এক বিশেষ শুভদিন। একইসঙ্গে আবার তা গুরু নানক দেবজির ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী। এই উৎসবের মরশুমে সকল নাগরিককে জানাই আমার অভিনন্দন। আজ এই দিনটি ঐতিহাসিক আরও একটি বিশেষ কারণে। তা হল, ভগবান বিরসা মুন্ডার আজ জন্মবার্ষিকী যা সারা দেশে রাষ্ট্রীয় জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনটিতে আমার সকল আদিবাসী ভাই-বোনেদের জানাই আমার বিশেষ অভিনন্দন। গত ২-৩ দিন ধরে জামুই-তে এক বড় ধরনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে। এজন্য আমাদের বিজয়জি এখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই অবস্থান করছেন।
বন্ধুগণ,
গত বছর এই দিনে বিরসা মুন্ডার গ্রাম উলিহাতুতে আমি উপস্থিত ছিলাম, আর আজ আমি শহীদ তিলকা মানঝির পূণ্যভূমিতে উপস্থিত রয়েছি। আজ থেকে ভগবান বিরসা মুন্ডার ষার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে দেশব্যাপী। তাই, দেশের শত শত জেলার কোটি কোটি মানুষ আজ আমার এই অনুষ্ঠানে কোনো না কোনভাবে উপস্থিত রয়েছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে তা সম্ভব হয়েছে। তাই, জামুইবাসীদের কাছে নিঃসন্দেহে এ এক গর্বের বিষয়। কয়েকদিন আগে সিধু কানহুর বংশধর শ্রী মণ্ডল মুর্মুকে সম্মান জানানোর সুযোগ আমার হয়েছিল। তাঁদের সকলের উপস্থিতি আজকের এই অনুষ্ঠানের গরিমাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বন্ধুগণ,
বিরসা মুন্ডাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন আজ এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসী ভাই-বোনেদের জন্য ৫০ হাজারের মতো স্থায়ী বাসস্থানের অনুমোদন, আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বিদ্যালয় ও হস্টেল স্থাপন, আদিবাসী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থা, আদিবাসী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকল্পে দীর্ঘ সড়কপথ, আদিবাসী সংস্কৃতির উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত সংগ্রহশালা এবং গবেষণা কেন্দ্র। দেব দীপাবলি উপলক্ষে ১১ হাজারেরও বেশি আদিবাসী পরিবার আজ তাঁদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবেন। তাঁদের সকলের জন্যই রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বন্ধুগণ,
জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন তথা জনজাতীয় গৌরব বর্ষ সূচনার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের কর্মসূচির কেন প্রয়োজন, তাও আমাদের উপলব্ধি ও অনুধাবন করা জরুরি। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে একদা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো তথা তার প্রতিকারের এ হল আমাদের এক সৎ প্রচেষ্টা। আদিবাসী সমাজের অবদানকে ইতিহাস কোনদিনই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁদের অবদান ছিল কোন অংশেই কম নয়। মনে রাখতে হবে যে আদিবাসী সমাজই যুবরাজ রামকে প্রভু শ্রীরাম-এ রূপান্তরিত করেছিল। ভারতের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী সমাজ বহু শতাব্দী ধরেই সংগ্রাম করে এসেছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে তাঁদের এই অমূল্য অবদানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বিরসা মুন্ডাজির আন্দোলন, সাঁওতাল বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ – এ সমস্তর কথা কি মুছে যাওয়ার বিষয়? ছত্রপতি শিবাজিকে ক্ষমতা লাভে সাহায্য করেছিলেন আদিবাসী ভাই-বোনেরাই। আল্লুরি সীতারাম রাজু, তেলকা মানঝি, সিধু কানহু, বুধু ভগৎ, ধীরাজ সিং, তেলাঙ্গা খারিয়া, গোবিন্দ গুরু, রামজি গোন্ড, বাদল ভোই, রাজা শঙ্কর শাহ, কুমার রঘুনাথ শাহ, তাঁতিয়া ভিল, নীলাম্বর-পীতাম্বর, বীর নারায়ণ সিং, দিবা কিশুন সোরেন, যাত্রা ভগৎ, লক্ষ্মণ নায়েক, রোপুইলিয়ানিজি, রাজমোহিনী দেবী, রানি গাইদিনলিউ, বীর বালিকা কালীবাঈ এবং রানি দুর্গাবতীর কথা কখনও বিস্মরণযোগ্য নয়। মানগড়ে হাজার হাজার আদিবাসী ভাই-বোনেদের ব্রিটিশরা হত্যা করেছিল। এই ঘটনাও কি আমরা কখনও বিস্মৃত হতে পারি?
বন্ধুগণ,
সংস্কৃতি বা সামাজিক ন্যায় – প্রতিটি ক্ষেত্রেই এনডিএ সরকারের কাজ অতুলনীয় বলেই আমি মনে করি। মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমরা পেয়েছি। তিনিই হলেন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা নামে যে কর্মসূচির কাজ আমরা শুরু করেছি, তাও আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সৌজন্যেই। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল থাকাকালীন এবং পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি পাদে আসীন হয়েও তিনি আমার সঙ্গে প্রায়শই প্রান্তিক আদিবাসী সমাজের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পূর্ববর্তী সরকারগুলি অনগ্রসর আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য কখনই চিন্তাভাবনা করেনি। আদিবাসী ভাই-বোনেদের সমস্যার নিরসনে এবং তাঁদের জীবনে আমূল পরিবর্তন সম্ভব করে তুলতে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনার সূচনা। আজ এই কর্মসূচির একটি বছর পূর্ণ হল। এই সময়কালে আমরা হাজার হাজার স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করে তার চাবি তুলে দিয়েছি প্রান্তিক আদিবাসী সমাজের পরিবারগুলির হাতে। শত শত কিলোমিটার সড়কপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে আদিবাসী অঞ্চলগুলিকে সড়কপথে যুক্ত করার জন্য। প্রতিটি পরিবারে জলের যোগান নিশ্চিত করারও চেষ্টা করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বহু দশক ধরেই আদিবাসী সমাজ জীবনধারণের প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে উন্নয়ন বলতে প্রায় কিছুই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় শুধুমাত্র উন্নয়নের কাজই চলছে না, আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের কাছে তা অনেক সুযোগ-সুবিধাও পৌঁছে দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হল আদিবাসী কল্যাণ। এই উদ্দেশ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ীজি একটি পৃথক মন্ত্রকও গঠন করেছিলেন। আজ থেকে ১০ বছর আগে আদিবাসী অঞ্চল ও পরিবারগুলির উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সরকার এই বরাদ্দ পাঁচগুণ বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। কয়েকদিন আগে ধরিত্রী আভা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ যোজনা নামে একটি বিশেষ পরিকল্পনার সূচনা করেছি। এর আওতায় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নে।
বন্ধুগণ,
আদিবাসী ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও আমাদের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদিবাসী শিল্পকলা ও সংস্কৃতির কাজে অবদানের স্বীকৃতিতে অনেককেই সম্মানিত করা হয়েছে পদ্ম পুরস্কারে। ভগবান বিরসা মুন্ডার নামাঙ্কিত একটি সংগ্রহশালার কাজও আমরা শুরু করেছি রাঁচিতে। আজ শ্রীনগর ও সিকিমে দুটি আদিবাসী গবেষণা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। ভগবান বিরসা মুন্ডার স্মরণে ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রাও প্রকাশিত হয়েছে। আদিবাসী সমাজের জন্য আমাদের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টা নিরন্তর করে তোলা হবে।
বন্ধুগণ,
ভারতের সুপ্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও আদিবাসী সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাঁদের ঐতিহ্যকে শুধুমাত্র সংরক্ষণই নয়, তাতে নতুন মাত্রা এনে দিতেও আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্দেশ্যে লেহ-তে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সোয়া রিগপা জাতীয় প্রতিষ্ঠান। আবার, অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত আয়ুর্বেদ ও লোক-চিকিৎসা সম্পর্কিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিষ্ঠানটিকেও আরও উন্নত করে তোলা হয়েছে। আমাদের দেশে স্থাপিত হতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কিত একটি বিশ্ব কেন্দ্র। এইভাবে চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের অবদানকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে বিশ্ববাসীর কাছে।
বন্ধুগণ,
আদিবাসী সমাজের ভাই-বোনেদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমাদের সরকার নানাভাবে সচেষ্ট রয়েছে। জামুই-তে স্থাপন করা হচ্ছে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে স্থাপিত হয়েছে বহু ডিগ্রি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও আইটিআই। দেশজুড়ে আমরা স্থাপন করব ৭০০-টিরও বেশি একলব্য বিদ্যালয়।
বন্ধুগণ,
মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনিক্যাল পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের কাছে একটি বিশেষ সমস্যা হল ভাষার সমস্যা। তাই আমাদের সরকার মাতৃভাষাতেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। আমাদের এই সিদ্ধান্ত আদিবাসী সমাজের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এবং তাঁদের স্বপ্নকে সফল করে তোলার পথও দেখিয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিগত দশকে আদিবাসী যুব সমাজ ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। আন্তর্জাতিক খেলাধূলার ক্ষেত্রেও তারা অসামান্য অবদানের নজির রেখেছে। তাই, খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের আওতায় আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। মণিপুরে স্থাপিত হয়েছে ভারতের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে সারা দেশে স্থাপিত হয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি বন ধন কেন্দ্র যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১২ লক্ষের মতো আদিবাসী ভাই-বোন। এর মাধ্যমে তাঁরা জীবনধারণের এক উন্নততর পথের সন্ধান খুঁজে পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ একটি দেশ হিসাবে ভারত আজ বিশ্বের কাছে সুপরিচিত একটি নাম। আদিবাসী সমাজ আমাদের বরাবর এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে যে প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব বজায় রেখে কিভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। আদিবাসী সমাজ খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতিপ্রেমী। তাঁরা সূর্য, বায়ু এবং বৃক্ষ দেবতার পূজার্চনা করে থাকেন। আজ এই শুভ দিনটিতে আমি একথা ঘোষণা করতে চাই যে দেশের আদিবাসী প্রধান জেলাগুলিতে বিরসা মুন্ডা জনজাতীয় গৌরব উপবন স্থাপন করা হবে। এর প্রত্যেকটিতেই রোপণ করা হবে ৫০০ থেকে ১ হাজারের মতো গাছের চারা।
বন্ধুগণ,
ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন আমাদের নতুন লক্ষ্য স্থির করার কাজে অনুপ্রাণিত করে। এক নতুন ভারত গড়ে তোলার পেছনে তাঁদের আবেগ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত পরম্পরাকে আমরা অবশ্যই সংরক্ষণ করব। এই ঐতিহ্যগুলিকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাঁরা লালন করে এসেছেন। এর মধ্য দিয়েই এক শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই, জনজাতীয় গৌরব দিবসের এই বিশেষ উপলক্ষে আমি আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আসুন, আমরা আরও একবার একসাথে উচ্চারণ করি –
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
PG/SKD/DM