নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
জনজাতীয় গৌরব দিবস উপলক্ষে ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের জামুই-এ আজ ৬,৬৪০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেওয়া বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। এছাড়াও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেওয়া অসংখ্য আদিবাসী ভাই-বোনদের স্বাগত জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্ত্তিক পূর্ণিমা, দেব দীপাবলি এবং শ্রী গুরু নানক দেবজির ৫৫০তম জন্মজয়ন্তী আজকের এই পবিত্র দিনে উদযাপন করা হচ্ছে এবং সেই উপলক্ষে দেশবাসীকে তিনি শুভেচ্ছা জানান। ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী জাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপিত হওয়ায় আজকের দিনটিকে তিনি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেন। শ্রী মোদী বলেন, জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত তিনদিন ধরে জামুই-এ স্বচ্ছতা অভিযান করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীদার, প্রশাসন, জামুই-এর সাধারণ মানুষ এবং মহিলা লোকশিল্পীদের স্বচ্ছতা অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর জনজাতীয় গৌরব দিবস উপলক্ষে ধরিত্রী আভা বিরসা মুন্ডার জন্ম গ্রাম উলিহাতুতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই বছর তিনি শহীদ তিলকা মাঞ্জির বীরত্ব প্রত্যক্ষ করেছে যে গ্রাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন আজকের অনুষ্ঠান আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী দেশ উদযাপন করছে। আগামী এক বছর ধরে এই উদযাপনপর্ব চলবে। শ্রী মোদী বিহারের জামুই-এ আজকের এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে যোগ দেওয়া অসংখ্য মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিরসা মুন্ডার উত্তরসূরী শ্রী বুধারাম মুন্ডা এবং সিধু কানহু-র উত্তরসূরী শ্রী মণ্ডল মুর্মুকেও এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ৬,৬৪০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল। আদিবাসীদের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার পাকা বাড়ি, বিদ্যালয়, আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যতের উন্নয়নকল্পে ছাত্রাবাস, আদিবাসী মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ, আদিবাসী এলাকায় সড়ক সংযোগ, আদিবাসী সংস্কৃতির সংরক্ষণে জাদুঘর, গবেষণা কেন্দ্র প্রভৃতি নানা প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল বলে শ্রী মোদী জানান। দেব দীপাবলির পবিত্র উৎসব উপলক্ষে আদিবাসীদের জন্য নির্মিত ১১ হাজার বাড়িতে গৃহ প্রবেশও করা হয়।
জনজাতীয় গৌরব দিবস এবং জনজাতীয় গৌরব বর্ষের আজ সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক অবিচারের বিরুদ্ধে সংশোধনাত্মক ন্যায় পদক্ষেপ উদযাপন বলে আজকের দিনটিকে তিনি আখ্যা দেন। স্বাধীনোত্তর সময়কালে আদিবাসীরা তাঁদের প্রাপ্য পরিচিতি ও সম্মান পাননি বলে জানান তিনি। আদিবাসী সমাজের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আদিবাসী সমাজই রাজপুত্র রামকে ভগবান রাম-এ রূপান্তরিত করেছিল। সেইসঙ্গে, ভারতের সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা রক্ষায় শতবর্ষ ধরে সংগ্রামের আলো জ্বালিয়েছিলেন তাঁরাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বার্থপর রাজনীতিবশত স্বাধীনতা উত্তরকালে আদিবাসী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে মুছে ফেলার নানা চেষ্টা হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে উলগুলান বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, ভিল বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী সমাজের এ’রকম নানা অবদান রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসী নেতাদের চিরস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে মানগড় গণহত্যাকান্ডে ইংরেজরা হাজার হাজার আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তা কখনও ভোলার নয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ন্যায়বিচার – সমস্ত ক্ষেত্রেই তাঁর সরকার যত্নশীল। শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়াকে সৌভাগ্য বলে ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। পিএম জনমন যোজনায় বিভিন্ন কাজের সূচনার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিকে কৃতিত্ব দেন। পিএম জনমন যোজনার অধীন যে ২৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষত বিপুপ্তপ্রায় আদিবাসী গোষ্ঠীর সশক্তিকরণের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের অধীন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিছিয়ে থাকা আদিবাসীদের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ওইসব আদিবাসী গোষ্ঠীকে কয়েক হাজার পাকা গৃহ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, তাঁদের আবাস স্থলের উন্নয়ন, পানীয় জল এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সড়ক সংযোগ সহ নানা প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলেছে।
বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। আদিবাসীদেরকে নিয়ে চিন্তাধারার পরিবর্তন এনে অনগ্রসর আদিবাসী জেলাগুলিকে তাঁর সরকার উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার মর্যাদা দেয় এবং সেগুলির উন্নয়নে দক্ষ আধিকারিক নিয়োগ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়নের মাপকাঠিতে বিচার করলে দেখা যাবে যে দেশের বিভিন্ন উন্নত জেলার থেকেও এই সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলি অনেক ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, অটলজীর সরকার আদিবাসী উন্নয়নে একটি পৃথক মন্ত্রক তৈরি করেছিলেন। এক্ষেত্রে এই মন্ত্রকের বরাদ্দ ২৫ হাজার কোটি টাকা থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গত ১০ বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। ধারিত্রী আভা জাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযানের মতো বিশেষ প্রকল্প সম্প্রতি দেশের ৬০ হাজারেরও বেশি গ্রামে শুরু হয়েছে। আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে যার মাধ্যমে আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সহায়তা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আদিবাসী দ্রব্য বিপণন কেন্দ্রও তৈরি করা হবে। শ্রী মোদী বলেন, এর ফলে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পরিবেশ-বান্ধব পর্যটনের প্রসার ঘটবে যার দরুণ আদিবাসী মানুষেদের উপার্জনের সন্ধানে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে না।
আদিবাসী ঐতিহ্যের সংরক্ষণে তাঁর সরকার নানা আদিবাসী শিল্পীকে পদ্ম পুরস্কার সম্মানে ভূষিত করেছেন। ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে একটি আদিবাসী জাদুঘরের নামকরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের এই জাদুঘর ঘুরে দেখতে আহ্বান জানান তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় বাদল ভোই-এর নামে এবং জব্বলপুরে রাজা শঙ্কর শাহ ও কুঁওয়ার রঘুনাম শাহ-এর নামে জাদুঘরের আজ উদ্বোধন হয়েছে। সেইসঙ্গে, শ্রীনগর এবং সিকিমে দুটি আদিবাসী গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে একটি স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিটেরও আজ আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয়। এই জাতীয় বিভিন্ন কাজ আদিবাসীদের বীরত্ব ও সম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় আদিবাসী সমাজের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা হচ্ছে এবং তাতে নতুন গতি সঞ্চার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, লেহ-তে সোয়া-রিগপা জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে লোক-চিকিৎসা গবেষণা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ ঘটানো হয়েছে। হু-এর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথাগত চিকিৎসার একটি বিশ্বজনীন কেন্দ্রও গড়ে তোলা হচ্ছে।
শ্রী মোদী বলেন যে তাঁর সরকার আদিবাসী সমাজের শিক্ষা, উপার্জনের যত্নশীল। সেই কারণে, গত এক দশকে দুটি আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিগ্রি কলেজ, শিল্প শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আইটিআই) আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গড়ে তোলা হয়েছে। গত এক দশকে আদিবাসী অঞ্চলে ৩০টি নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও, বিহারের জামুই সহ অন্যান্য জায়গায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনেরও কাজ চলছে। দেশজুড়ে ৭ হাজার একলব্য বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের কাছে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষা একটি প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় তাঁর সরকার এই সমস্ত ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বলে শ্রী মোদী জানান। এই পদক্ষেপের ফলে আদিবাসী ছাত্রদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
বিগত এক দশকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রেও আদিবাসী খেলোয়াড়রা পদক জয় করেছেন। আদিবাসী এলাকায় ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নকল্পে তাঁর সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান। খেলো ইন্ডিয়া অভিযানে আধুনিক ক্রীড়াঙ্গন এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়েছে আদিবাসী অঞ্চলে। মণিপুরে দেশের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও বাঁশের ব্যবহার নিয়ে আইন খুব কঠোর ছিল যার ফলে আদিবাসী সমাজকে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত। এই বাঁশের চাষ নিয়ে তাঁর সরকার আইনের সরলীকরণ ঘটিয়েছে। ৯০ শতাংশ বনজ দ্রব্যকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বলেন, ৪ হাজারেরও বেশি বন ধন কেন্দ্র দেশে কাজ করছে যার মাধ্যমে ১২ লক্ষ আদিবাসী কৃষক উপকৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সূচনার পর থেকে ২০ লক্ষ আদিবাসী মহিলা ‘লাখপতি দিদি’ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন বড় শহরে আদিবাসী হাট গড়ে তোলা হয়েছে যাতে আদিবাসী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও হস্তশিল্প সেখানে বিক্রি করা যায়। আদিবাসীদের হাতে তৈরি নানা দ্রব্য ইন্টারনেটের সহায়তায় বিশ্ব বাজারে সুযোগ করে নিয়েছে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সিকল সেল অ্যানিমিয়া একটি বিরাট সমস্যা বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে তাঁর সরকার জাতীয় সিকল সেল অ্যানিমিয়া মিশন চালু করে। চালুর এক বছরের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ আদিবাসীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আদিবাসী এলাকাগুলিতে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির তৈরি হওয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আদিবাসী মানুষদের দূরে যেতে হয় না। দুর্গম আদিবাসী এলাকাগুলিতে মোবাইল মেডিকেল ইউনিটও চালু করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আন্দোলনে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি রক্ষায় আদিবাসীদের শিক্ষা আমাদের মূল শক্তি। তিনি বলেন যে আদিবাসী মানুষরা প্রকৃতিকে পুজো করেন। ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা উপলক্ষে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিরসা মুন্ডা জনজাতীয় উপবন তৈরি করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এই উপবনগুলিতে ৫ লক্ষ গাছ রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃহৎ সঙ্কল্প গ্রহণে ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। নতুন ভারত গড়ে তুলতে আদিবাসী ধ্যান-ধারণাকে একসাথে নিয়ে কাজ করার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আদিবাসী ঐতিহ্য এবং শতবর্ষ ধরে আদিবাসীরা যা সংরক্ষণ করে এসেছে, তার সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করে সমৃদ্ধ শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিহারের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকার, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জুয়াল ওরাম, কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, অণু ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী শ্রী জিতান রাম মাঞ্জি, কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী শ্রী চিরাগ পাসোয়ান, কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী দুর্গা দাস উইকে অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
PG/AB/DM
जनजातीय गौरव दिवस पर भगवान बिरसा मुंडा के 150वें जयंती वर्ष के शुभारंभ कार्यक्रम में भाग लेना मेरे लिए परम सौभाग्य की बात है। जमुई की धरती से सभी आदिवासी भाई-बहनों को जय जोहार।https://t.co/0TOzSC9cJW
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
आदिवासी समाज वो है, जिसने राजकुमार राम को भगवान राम बनाया।
— PMO India (@PMOIndia) November 15, 2024
आदिवासी समाज वो है, जिसने भारत की संस्कृति और आज़ादी की रक्षा के लिए सैकड़ों वर्षों की लड़ाई को नेतृत्व दिया: PM @narendramodi pic.twitter.com/UNHnVHfqb3
पीएम जनमन योजना से, देश की सबसे पिछड़ी जनजातियों की बस्तियों का विकास सुनिश्चित हो रहा है: PM @narendramodi pic.twitter.com/Bbs9PV1P1S
— PMO India (@PMOIndia) November 15, 2024
आदिवासी समाज का भारत की पुरातन चिकित्सा पद्धति में भी बहुत बड़ा योगदान है। pic.twitter.com/Cij2iwIVRl
— PMO India (@PMOIndia) November 15, 2024
जनजातीय समाज की पढ़ाई, कमाई और दवाई, इस पर हमारी सरकार का बहुत जोर है: PM @narendramodi pic.twitter.com/hmI6yMzwnN
— PMO India (@PMOIndia) November 15, 2024
भगवान बिरसा मुंडा की 150वीं जन्म जयंती के उपलक्ष्य में, देश के आदिवासी बाहुल्य जिलों में बिरसा मुंडा जनजातीय गौरव उपवन बनाए जाएंगे: PM @narendramodi pic.twitter.com/0jEqZIpoU2
— PMO India (@PMOIndia) November 15, 2024
जनजातीय गौरव वर्ष इतिहास में आदिवासी समाज के साथ हुए बहुत बड़े अन्याय को दूर करने का हमारा एक ईमानदार प्रयास है। pic.twitter.com/dFjlkA8ehl
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
आज पीएम-जनमन योजना का एक साल पूरा हो रहा है। इससे देश के सबसे पिछड़े जनजातीय भाई-बहनों का विकास सुनिश्चित हुआ है। pic.twitter.com/Fd29U9tCfS
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
आदिवासी कल्याण हमेशा से भाजपा-NDA सरकार की प्राथमिकता रही है। मुझे संतोष है कि आकांक्षी जिलों के तेज विकास का लाभ मेरे आदिवासी परिवारजनों को भी मिला है। pic.twitter.com/I50JLxDLmk
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
हमारी सरकार ने आदिवासी विरासत को सहेजने के लिए अनेक कदम उठाए हैं। आदिवासी कला-संस्कृति को आगे बढ़ाने के हमारे प्रयासों के एक नहीं, अनेक उदाहरण हैं… pic.twitter.com/kIcwJZD2rN
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
जनजातीय समाज की ‘पढ़ाई, कमाई और दवाई’ पर हमारी सरकार का बहुत जोर है। इससे इस समाज के सपनों की उड़ान को नए पंख लगे हैं। pic.twitter.com/COnJBoROnE
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024
भगवान बिरसा मुंडा जी की 150वीं जन्म-जयंती पर देशभर में कई कार्यक्रमों का आयोजन हो रहा है। मुझे पूरा भरोसा है कि आप इसमें अपनी भागीदारी जरूर सुनिश्चित करेंगे। pic.twitter.com/qjXtup1b9f
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2024