Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ২০,৯০০ কোটি টাকারও বেশি একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন


নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে সফর করবেন। সফরকালে সন্ধ্যা ৬টায় ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট মেট্রো স্টেশন থেকে তিনি স্বর্গেট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবার সূচনা করবেন। এরপর, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ২০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন তিনি। 
ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট থেকে স্বর্গেটের মধ্যে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে পুণে মেট্রো রেল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। ভূগর্ভস্থ এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। 
এছাড়াও, শ্রী মোদী স্বর্গেট থেকে কাটরাজ পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ভূগর্ভস্থ এই রেল পরিষেবায় ৩টি স্টেশন থাকবে – মার্কেট ইয়ার্ড, পদ্মাবতী এবং কাটরাজ। 
প্রধানমন্ত্রী ভিড়েওয়াড়ায় ক্রান্তীজ্যোতি সাবিত্রীবাঈ ফুলের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের স্মারক সৌধ নির্মাণের শিলান্যাস করবেন।
সুপার কম্প্যুটিং প্রযুক্তিতে দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে তিনি ৩টি পরম রুদ্র সুপার কম্প্যুটার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ন্যাশনাল সুপার কম্প্যুটিং মিশনের আওতায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই কম্প্যুটারগুলি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। উন্নত বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার জন্য কলকাতা, পুণে এবং দিল্লিতে এই কম্প্যুটারগুলি ব্যবহার করা হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুণেতে জায়েন্ট মেট্রে রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হবে। দিল্লিতে মেটেরিয়াল সায়েন্স এবং পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা গবেষণার কাজে ইন্টার্ন ইউনিভার্সিটি অ্যাসেলেরটর সেন্টারে আরেকটি সুপার কম্প্যুটার ব্যবহৃত হবে। পদার্থবিদ্যা, সৃষ্টিতত্ত্ব এবং ভূ-বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য কলকাতার এস এন বোস সেন্টারে তৃতীয় সুপার কম্প্যুটারটি কাজ করবে। 
প্রধানমন্ত্রী আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষণার জন্য একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কম্প্যুটিং ব্যবস্থাপনারও উদ্বোধন করবেন। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। এরফলে, জলবায়ু সংক্রান্ত পূর্বাভাস সহ অন্যান্য কাজে ভারতের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। পুণের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেরেলোজি এবং নয়ডায় ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কম্প্যুটিং ব্যবস্থাপনাগুলি কাজ করবে। পুণেতে যে কম্প্যুটিং ব্যবস্থাপনাটি কাজ করবে, তার নাম রাখা হয়েছে অর্ক। নয়ডার ব্যবস্থাপনার নাম অরুণিকা। এই উন্নতমানের যন্ত্রগুলির সাহায্যে গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত, তাপপ্রবাহ, খরা সহ জলবায়ুর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাস আরও নিখুঁতভাবে পাওয়া যাবে। 
শ্রী মোদী ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা করবেন। জ্বালানী, পরিকাঠামো এবং ট্রাক ও ট্যাক্সি চালকদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি সহায়ক হবে। এরফলে, পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর ব্যবহার বাড়বে এবং সুস্থায়ী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাক চালকদের সুবিধার্থে ছত্রপতি শম্ভাজীনগর, পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিব, গুজরাটের সঙ্গাধ, কর্ণাটকের বেলাগাভি ও ব্যাঙ্গালোর (গ্রামীণ) – এ রাস্তার ধারে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা করবেন। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই প্রকল্পগুলি ট্রাক ও ট্যাক্সি চালকদের দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালানোর পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সহায়ক হবে। এখানে পণ্য ওঠা-নামা, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, পার্কিং করার সুরক্ষিত জায়গা, রান্নার জায়গা, ওয়াইফাই ব্যবস্থা, জিম সহ একগুচ্ছ সুবিধা থাকবে। ১ হাজারটি এ ধরনের আউটলেট নির্মাণে খরচ হবে ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। 
বিভিন্ন খুচরো ব্যবসা কেন্দ্রে একই জায়গা থেকে যাতে পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি, ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল সহ নানাধরনের জ্বালানী পাওয়া যায়, তার জন্য এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। সোনালী চতুর্ভুজে এ ধরনের ৪ হাজার জ্বালানী কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্থ-সাউথ করিডর ছাড়াও আগামী ৫ বছরে এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তুলতে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরফলে, বিকল্প জ্বালানী ব্যবহার করে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উপভোক্তারা যেতে পারবেন। 
পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানী ও কার্বন মুক্ত জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কার্বন নিঃসরণকে শূন্যে নামিয়ে আনতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট গাড়ি চালকদের জ্বালানী সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না দেখা দেয়, সেই দিকটি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে ৫০০টি ইভি চার্জিং কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ২০২৫ সালের মধ্যে এ ধরণের আরও ১০ হাজার কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ২০টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) স্টেশন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। দূরপাল্লার সফরে এলএনজি-র ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে আগামী দিনে ৫০টি জ্বালানী কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এরজন্য ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। 
শ্রী মোদী ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত ১ হাজার ৫০০ ই-২০ পেট্রোল পাম্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এগুলি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। 
প্রধানমন্ত্রী শোলাপুর বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন। এরফলে, এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা সহজেই শোলাপুর আসতে পারবেন। শোলাপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনটির সংস্কার করা হয়েছে। এরফলে, এখানে প্রতিবছর ৪ লক্ষ ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। 
শ্রী মোদী কেন্দ্রের জাতীয় শিল্প করিডর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বিড়কিন শিল্প তালুক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজীনগরের দক্ষিণে ৭ হাজার ৮৫৫ একর জমিতে এই শিল্প তালুক গড়ে উঠেছে। দিল্লি – মুম্বাই শিল্প করিডরে এটি নির্মিত হয়েছে। মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলে এই প্রকল্পটি ইকনোমিক হাব হিসেবে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত তিনটি পর্বে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। 

 

PG/CB/SB