Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘বর্তমান সময়কাল হল এক নতুন ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত’

‘বর্তমান সময়কাল হল এক নতুন ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত’


নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

আজ ভিডিও কনফারেন্সের এক মঞ্চে ‘বিকশিত ভারত বিকশিত গুজরাট’ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় নির্মিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ির তিনি দ্বারোদ্ঘাটন করেন এবং পূজার্চনাতেও অংশগ্রহণ করেন। আবাস যোজনার সুফলভোগীদের সঙ্গেও এক আলাপচারিতায় মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী। 

এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভিডিও ভাষণে গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে ‘প্রাণবন্ত গুজরাট’ কর্মসূচিতে তাঁর সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘প্রাণবন্ত গুজরাট’-এর মাধ্যমে রাজ্যে যেভাবে বিনিয়োগ প্রচেষ্টা গতিলাভ করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র সাধারণ মানুষ আবাস যোজনার আওতায় যে বাড়িটির মালিকানা ভোগ করবেন, তা হয়ে উঠবে তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের এক গ্যারান্টি। তিনি বলেন, এত বড় আকার ও আয়তনে যে কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেশবাসী তা ‘মোদীর গ্যারান্টি’ বলে বিশেষভাবে আখ্যায়িত করবেন।

এক সময় এই অঞ্চলে ছিল জলের অপ্রাচুর্য। কিন্তু প্রতিটি জলবিন্দুর সাহায্যে আরও শস্য উৎপাদন কর্মসূচি কিভাবে বনসকান্থা, মেহসানা, অম্বাজি এবং পাটনের মতো অঞ্চলগুলিকে কৃষিসমৃদ্ধ করে তুলেছে, তার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অম্বাজিকে যেভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে এখানে পূণ্যার্থীদের ঢল নামবে বলে আশা করা যায়। অন্যদিকে, আমেদাবাদ থেকে আবু রোড পর্যন্ত যে ব্রডগেজ লাইনের কাজ ব্রিটিশ আমল থেকে মুলতবি অবস্থায় পড়েছিল, তার রূপায়ণ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের গ্রাম ভাবনগর প্রসঙ্গে বলেন, হটকেশ্বর, অম্বাজি, পাটন এবং তরঙ্গজির মতো স্থানগুলি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সাফল্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটের কোটি কোটি মানুষ। তাঁরা কোন না কোনভাবে সামিল হয়েছিলেন এই সঙ্কল্প যাত্রায়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়কাল হল এক নতুন ইতিহাস গড়ার সময়। বর্তমান সময়কালকে স্বাধীনতা আন্দোলনকালে স্বদেশী আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ডান্ডি অভিযানের মতো ঘটনাকালের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এক বিশেষ সঙ্কল্পে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন দেশবাসী। ‘বিকশিত ভারত’ গঠনের স্বপ্নে আবার নতুন করে সঙ্কল্পবদ্ধ হয়েছেন ভারতবাসী। এক একটি রাজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমেই জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব – এটাই হল উন্নয়ন সম্পর্কে গুজরাটের চিন্তাভাবনা। তাই, ‘বিকশিত গুজরাট’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্পই আজ মূর্ত হয়ে উঠেছে। 

গুজরাটের শহরাঞ্চলে ৯ লক্ষেরও বেশি বাসস্থান নির্মিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায়। অন্যদিকে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় গ্রামাঞ্চলে নির্মিত হয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি। এই ধরনের বাসস্থান নির্মাণে প্রযুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লাইটহাউজ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে ১,১০০টির মতো বাড়ি।

শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪-র পূর্ববর্তী সময়কালের তুলনায় দরিদ্র মানুষদের জন্য বাসস্থান নির্মাণের কর্মসূচি এগিয়ে চলেছে দ্রুততার সঙ্গে। দরিদ্র মানুষদের বাসস্থান নির্মাণকল্পে আর্থিক হস্তান্তরের মাত্রা দাঁড়িয়েছে ২.২৫ লক্ষেরও বেশি। প্রত্যেক সুফলভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা সরাসরি হস্তান্তরিত হচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের জন্য নির্মিত এই বাসস্থানগুলিতে শৌচাগার, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সংযোগ এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগও দেওয়া হচ্ছে। ফলে, দরিদ্র মানুষের অর্থ সাশ্রয়ও ঘটছে উল্লেখযোগ্যভাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের কোন গ্যারান্টি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ‘মোদী’ – এই নামটিই তাঁদের কাছে একটি গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি প্রসঙ্গে ‘মুদ্রা যোজনা’, ‘বিশ্বকর্মা’ এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি কর্মসূচিরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লাখপতি দিদি’ গড়ে তোলার সঙ্কল্প হল মোদীর আরও একটি গ্যারান্টি বিশেষ। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ‘লাখপতি দিদি’র স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু, আমাদের লক্ষ্য রয়েছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৩ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ কর্মসূচিকে সফল করে তোলা। এ বছরের বাজেটে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও আয়ুষ্মান যোজনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রীর এদিনের ভাষণে ‘উজ্জ্বলা যোজনা’, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা সম্ভব করে তোলার পাশাপাশি, উন্নয়নের গতিকেও কিভাবে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

গুজরাট রাজ্যটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি বিশেষ রাজ্য বলে চিহ্নিত। এই প্রসঙ্গের অবতারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের উন্নয়নের পথে যাত্রা এখন শিল্পোন্নয়ন প্রচেষ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করেছে। রাজ্যের যুব সমাজ এখন নিজেদের ভাগ্য গঠনের নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা লাভ করছে এবং এইভাবে তাঁরাই এখন উন্নয়নের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুজরাটকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করছেন। 

PG/SKD/DM/