Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী দশম ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধন করেছেন

প্রধানমন্ত্রী দশম ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধন করেছেন


নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে দশম ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধন করেছেন। এ বছরের শিখর সম্মেলনের থিম ‘গেটওয়ে টু দ্য ফিউচার’ এবং এতে অংশ নিচ্ছে ৩৪টি অংশীদার দেশ এবং ১৬টি অংশীদার সংস্থা। এই শিখর সম্মেলনকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রকও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগের সুবিধা তুলে ধরতে।

একাধিক শিল্পপতি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। আর্সেলর মিত্তলের চেয়ারম্যান শ্রী লক্ষ্মী মিত্তল, জাপানের সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট শ্রী তোশিহিরো সুজুকি, রিলায়েন্স গোষ্ঠীর শ্রী মুকেশ আম্বানী, আমেরিকারর মাইক্রন টেকনোলজিস-এর সিইও শ্রী সঞ্জয় মেহরোত্রা, আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শ্রী গৌতম আদানি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিনটেক-এর সিইও শ্রী জেফ্রে চুন, টাটা সন্স লিমিটিডের চেয়ারম্যান শ্রী এন চন্দ্রশেখরন, ডিপি ওয়ার্ল্ড-এর চেয়ারম্যান শ্রী সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম, এনভিডিয়া-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী শঙ্কর ত্রিবেদী এবং জিরোধার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নিখিল কামাত সমাবেশে ভাষণ দেন এবং তাঁদের বাণিজ্য পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান। বণিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার প্রশংসা করেন। 

জাপানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী শ্রী শিম হোসাকা, সৌদি আরবের বিনিয়োগের সহমন্ত্রী শ্রী ইব্রাহিম ইউসেফ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া কমনওয়েল্থ এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রতিমন্ত্রী শ্রী তারিখ আহমেদ আর্মেনিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী বাহান কেরোবিয়ান, মরক্কোর অর্থ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী তিত রিসালো এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শ্রী রিয়াদ মেজুর, নেপালের অর্থমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ শরন মাহাত, ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী শ্রী ট্রান লু কোয়াং, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রী পিটর ফিয়ালা এবং মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট শ্রী ফিলিপ নুসি, তিমর লেল্টের প্রেসিডন্ট শ্রী জোশে রামোস-হোর্তা-ও ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটে ভাষণ দেন। আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানও সম্মেলনের শুরুতে ভাষণ দেন।

সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শুরু করেন ২০২৪এর জন্য তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়ে। দেশের পরবর্তী ২৫ বছরের ‘অমৃতকাল’-এ ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার সংকল্পের কথা পুনরায় জানান। তিনি বলেন, ‘এখন নতুন স্বপ্ন নতুন সংকল্প এবং লাগাতার সাফল্যের সময়’। তিনি ‘অমৃতকাল’-এ প্রথম ভাইব্রান্ট গুজরাট শিখর সম্মেলনের গুরুত্বের উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটে আরব আমিশাহীর প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি একটি বিশেষ ঘটনা কারণ এর দ্বারা ভারত এবং আরব আমিরশাহীর মধ্যে গভীর বন্ধনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ভারতের প্রতি তাঁর ভাবনা এবং সহযোগিতা হার্দ্যতা এবং উষ্ণতায় পরিপূর্ণ, কারণ তিনি ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনার বিশ্বমঞ্চ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্র, উদ্ভাবনীমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ভারতে বন্দর পরিকাঠামোয় কয়েকশো বিলিয়ন ডলারের লগ্নির মধ্য দিয়ে ভারত-আরব আমিরশাহী অংশীদারিত্ব তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি জিআইএফটি সিটিতে আরব আমিরশাহীর সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের কাজের সূচনা এবং বিশ্বের নানা কোম্পানীর দ্বারা উড়োজাহাজ এবং জাহাজ লিজ দেওয়ার কাজকর্মেরও উল্লেখ করেছেন। ভারত এবং আরব আমিরশাহীর মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে বিশাল কৃতিত্ব দিয়েছেন। 

আইআইএম আহমেদাবাদের প্রাক্তনী মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট শ্রী ফিলিপ নুসির উপস্থিতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ গোষ্ঠীতে স্থায়ী সদস্য রূপে আফ্রিকান ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গর্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নুসির উপস্থিতি ভারত-মোজাম্বিকের পাশাপাশি ভারত-আফ্রিকা মৈত্রী আরও গভীর করেছে। 

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রী পিটর ফিয়ালার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভারত সফরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে ভারতের সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাচীন মৈত্রীর পাশাপাশি ভাইব্রান্ট গুজরাটের সঙ্গেও যোগাযোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী গাড়ি শিল্প, প্রযুক্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী নোবেল পুরস্কার বিজেতা এবং তিমির লেস্টে-র প্রেসিডেন্ট শ্রী জোশেফ রামোস-হোর্তাকে স্বাগত জানান এবং তাঁর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি প্রয়োগের উল্লেখ করেন। 

ভাইব্রান্ট গুজরাট সামিটের বিংশতি বর্ষের পূর্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শিখর সম্মেলন নতুন ভাবনা তুলে ধরেছে এবং লগ্নির নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। এ বছরের থিম ‘গেটওয়ে টু দ্য ফিউচার’-এর ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে ভবিষ্যতের একটি পথদিশা পেশ করা হয় এবং সেটিকেই ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের ভাবনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আই২ইউ২ এবং অন্যান্য বহুমুখী সংস্থার সঙ্গে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’-এর নীতি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে দিয়েছে যা বিশ্বকল্যাণের জন্য অবশ্য কর্তব্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ‘বিশ্ব মিত্র’এর ভূমিকায় এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে অভিন্ন ঐক্যবদ্ধ উদ্দেশ্যপূরণে বিশ্বকে আস্থা জুগিয়েছে ভারত। বিশ্ব কল্যাণে ভারতের দায়বদ্ধতা, প্রয়াস এবং কঠোর পরিশ্রম বিশ্বকে করে তুলছে আরও নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ। সুস্থিরতার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে ভারতকে দেখছে বিশ্ব। এমন একজন বন্ধু যাকে বিশ্বাস করা যায়, এমন একজন অংশীদার যে মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে, এমন একটি কণ্ঠস্বর যে বিশ্ব কল্যাণে বিশ্বাস করে, বিশ্বঅর্থনীতিতে উন্নয়নের একটি চালিকাশক্তি, সমাধান খোঁজার জন্য একটি টেকনোলজি, মেধাবী যুবাদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র এবং একটি এমন গণতন্ত্র যা পরিষেবা দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের ১৪০ কোটি নাগরিকের অগ্রাধিকার এবং প্রত্যাশা এবং মানবকেন্দ্রিক উন্নয়নে তাদের বিশ্বাসের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তি এবং সাম্যের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা বিশ্ব সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। ১০ বছর আগে যে দেশ ছিল একাদশ স্থানে। তিনি বিশেষভাবে বলেন আগামী কয়েক বছরে বিশ্বে একাধিক রেটিং সংস্থার পূর্বাভাস মতো ভারত বিশ্বে প্রথম তিনটি অর্থনীতির একটি হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “বিশেষজ্ঞরা এটা বিশ্লেষণ করতে পারেন, কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে ভারত বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবেই হবে।” তিনি আরও বলেন যে, ভারত এমন একটি সময়ে বিশ্বের আশার আলো হয়ে উঠেছে যখন বিশ্ব একাধিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী হয়েছে। ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের ভারতের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলির ঝলক দেখা যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘস্থায়ী শিল্প, উৎপাদন ও পরিকাঠামো, নতুন যুগের দক্ষতা, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি, কৃত্রিম মেধা এবং উদ্ভাবন, গ্রীন হাইড্রোজেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং সেমি কন্ডাক্টর হল এমনই কিছু বিষয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রত্যেককে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের গুজরাটে বাণিজ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন করার আহ্বান জানান। গতকাল মাননীয় নুসি এবং মাননীয় রামোস হোর্তা-র সঙ্গে বাণিজ্য প্রদর্শনীতে সময় কাটানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বাণিজ্য প্রদর্শনীতে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ই-মোবিলিটি, স্টার্টআপ, ব্লু ইকোনমি, গ্রীন এনার্জি এবং স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মতো ক্ষেত্রে নির্মিত পণ্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন যে এইসব ক্ষেত্রগুলিতে লাগাতার বিনিয়োগে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

ভারতীয় অর্থনীতির দৃঢ়তা এবং গতির ভিত্তি কাঠামোগত সংস্কারে সরকারের দৃষ্টিপাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশদে জানান কারণ এই সংস্কারগুলি অর্থনীতির ক্ষমতা, সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতামুখিনতা বৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন যে পুনর্মূলধনীকরণ এবং আইবিসি শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ৪০,০০০-এর মতো বাধ্যতামূলক বিধি বাতিল করাতে বাণিজ্য করা সহজ হয়েছে। জিএসটি কর ব্যবস্থার জড়তা কাটিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলের বৈচিত্রকরণের জন্য আরও ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আরব আমিরশাহীর সঙ্গে একটি সহ সম্প্রতি তিনটি এফটিএ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরাসরি এফডিআই-এর জন্য অনেক ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোয় রেকর্ড পরিমাণ লগ্নি হয়েছে এবং ক্যাপেক্স বেড়েছে ৫ গুণ। তিনি আরও বলেন, গ্রীন এবং বিকল্প শক্তিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি ঘটেছে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ, সৌরশক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ২০ গুণ। তথ্যের মূল্য সুলভ হওয়ায় ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে। প্রতিটি গ্রামে পৌঁছেছে অপটিক্যাল ফাইবার। চালু হয়েছে ফাইভ জি, ১.১৫ লক্ষ নথিভুক্ত স্টার্টআপকে নিয়ে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ পরিমণ্ডল গড়ে উঠেছে। তিনি রপ্তানী ক্ষেত্রেও সব মিলিয়ে রেকর্ড বৃদ্ধির বিষয়টিরও উল্লেখ করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, ভারতে যে রূপান্তর ঘটছে তাতে জীবনযাপন সহজ হচ্ছে এবং মানুষের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। তিনি জানান যে, গত ৫ বছরে ১৩.৫ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র মুক্ত হয়েছেন। এইসঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর গড় আয় নিয়মিত বেড়ে চলেছে। মহিলা কর্মীদের সংখ্যাবৃদ্ধির ফলে ভারতের ভবিষ্যতের একটি ভালো ইঙ্গিতের প্রসঙ্গও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মনোবল নিয়ে আমি আপনাদের সকলের কাছে ভারতের বিনিয়োগ যাত্রাায় অংশ হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”

লজিস্টিক্স এবং পরিবহন ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে আধুনিক নীতি উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, এক দশকের মধ্যে বিমান বন্দরের সংখ্যা ৭৪ থেকে বেড়ে ১৪৯ হয়েছে, ভারতের জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্ক দ্বিগুণ হয়েছে, মেট্রো নেটওয়ার্ক ৩ গুণ হয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর, জাতীয় জলপথ বেড়েছে, বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোতে সময় কম লাগছে এবং জি২০র সময় ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর ঘোষণা করা হয়েছে। এই সঙ্গেই তিনি বলেন, “এইগুলি আপনাদের সামনে বিপুল বিনিয়োগের সুবিধা এনে দিয়েছে।”

ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের প্রত্যেকটি জায়গায় বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং ভাইব্রান্ট গুজরাট সামিট সেই সুযোগের গেটওয়ের মতো ভবিষ্যতের দ্বার। প্রধানমন্ত্রী সবশেষে বলেন, আপনারা ভারতে শুধু লগ্নিই করছেন না, বরং আপনারা নব প্রজন্মের তরুণ নির্মাতা এবং উপভোক্তা তৈরি করছেন। ভারতে প্রত্যাশামুখী তরুণ সমাজের সঙ্গে আপনাদের অংশীদারিত্ব এমন ফল দিতে পারে যা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না”। 

    

PG/AP/NS